ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে তথ্য চাওয়ায় এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কর্মরত সাংবাদিক জাফিরুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার সেলিম আক্তার নাম হলেও সেলিমা আক্তার নামে এমপিও নিচ্ছেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার প্রিয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজে তথ্য জানতে গেলে অত ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম আজ বুধবার সকালে প্রতিষ্ঠানে আসতে বলেন।
আজ বুধবার প্রিয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে না পেয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বাইরে আছেন বলে জানান।
এসময় সাংবাদিক জাফিরুল ইসলাম চলে আসতে চাইলে ওই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক সেলিম আক্তার বলেন, কোথায় যাচ্ছিস তুই প্রতিষ্ঠানের বাইরে বের হতে পারবি না, উঠে দাড়িয়ে কথা বল। আমার বিরুদ্ধে জানতে চাওয়ার তুই কে। তোকে আজ সাংবাদিকতা শেখাবো। এসময় কর্তব্যরত সাংবাদিক জাফিরুল ইসলাম চলে আসতে চাইলে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন তাকে বাধা দেন।
আবু সাইদ, আসাদুজ্জামান ওরফে বোরহানসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক তাকে অফিস কক্ষে আটকিয়ে রেখে বিভিন্ন প্রকারের হুমকি প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সেলিম আক্তার এর ব্যাপারে সেলিম আক্তার থাক আর সেলিমা আক্তার থাক তাতে সাংবাদিক কেন জানাতে চাবে। আবার যদি কখনো আমার ব্যাপারে জানাজানির চেষ্টা করিস তাহলে তোর সাংবাদিকতা শেখাবো বলে হুমকি প্রদান করেন সেলিমা আকতার।
সাংবাদিক জাফিরুল ইসলামকে তথ্য প্রদানে বাধা দেওয়া এবং অফিস কক্ষে আটকিয়ে রেখে হুমকি প্রদান করায় জেলা উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রেসক্লাব এক জরুরি সভা করে উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অফিস কক্ষে সাংবাদিক কে হুমকি প্রদানের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
জাফিরুল ইসলাম আনন্দ টিভি, দৈনিক আমাদের সময় ও বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকায় কর্মরত আছেন। এছাড়া তিনি হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।