ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এইচএসসি কৃষি শিক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা স্বাক্ষর করতে ছাত্রছাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার হাজী আরশাদ আলী কলেজের কৃষিশিক্ষার প্রভাষক ফারজানা সিমু ও ভুগোল বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক সামছুল আলমের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায় ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে প্রতি বিষয়ে ২০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
ধার্যকৃত টাকা না দিলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকিসহ ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষর না করে পরীক্ষার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একছাত্র জানায়, ভূগোল পরীক্ষার খাতা বাবদ প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ২৪০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। টাকা না দিলে তাদের খাতায় স্বাক্ষর করা হয়না এবং তাদের ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
ভূগোলের সহকারী অধ্যাপক সামসুল আলমের কাছে এ টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেননি। আগে থেকেই এমন হয়ে আসছে, আমরাও ছাত্র জীবনে এর থেকে অনেক বেশি দিয়ে এসেছি বলে তিনি দাবী করেন।
কলেজের একাধিক ছাত্র জানায়, কৃষিশিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ সংশ্লিষ্ট প্রিভাষক ফারজানা সিমু ২০০ টাকা করে নিয়েছেন।
কলেজের ২৫০ জন পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে ২০০ টাকা করে ৫০হাজার টাকা উঠেছে। যেটাকে অনেকে সিজেনাল ইনকাম বলেও মনে করছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফারজানা সিমুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কলেজের অধ্যক্ষের সম্মতিতে টাকা তুলেছেন বলে জানান। এছাড়াও এক্সটার্নাল, ইন্টার্নাল ও পরীক্ষার কেন্দ্রে এই টাকা খরচ করেন বলেও জানান তিনি। তথ্য সংগ্রহের জন্য তাকে ফোন দেওয়ার পর পরই তিনি বিভিন্ন লোক মাধ্যমে নিউজ না করার জন্য সুপারিশ করতে থাকেন।
উল্লেখ যে, ব্যবহারিক পরীক্ষার কেন্দ্র ফি বাবদ বোর্ড নির্ধারিত খরচ পরীক্ষার্থীদের ফর্ম পূরণ করার সময় নিয়ে নেওয়া হয় বলে জানান উপজেলার সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোক্তার আলী।
হাজী আরশাদ আলী কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম মোত্তালেব হোসেন বলেন, ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষর করে টাকা নিচ্ছে এই বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। তবে তিনি বলেন, আমি জন প্রতি ৪০ টাকা করে নিতে বলেছি যেটা কেন্দ্র পরিচালনায় বাড়তি খরচ হয়।এর বাইরে যে টাকা নিচ্ছে সেটা আমার অজানা। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তবে আমি এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সুরাহা করবেন এমনটাই পরীক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের দাবি।