ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি ফ্রি ও সেশনচার্জের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। নতুন শ্রেণীতে পুনঃ ভর্তির ক্ষেত্রেও একইভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে বিদ্যালয়টি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে চলতি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির নাম করে অর্থ বাণিজ্য করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩জানুয়ারি) সরেজমিনে ছাত্রছাত্রীদের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ছাত্রীদের কাছ থেকে ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণী পুনঃভর্তির ক্ষেত্রেও পর্যায়ক্রমে ৫শ’ হতে ১ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। ওই বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন ভর্তির জন্য এক ছাত্রীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে এবং ৭ম শ্রেণিতে কৃতকার্য হয়ে ৮ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও পুনঃভর্তির জন্য ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
অভিভাবকরা জানান, তাদের বাচ্চাদের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১ হাজার ৫শ টাকা এবং পুনঃভর্তির নামে ৫শ’ হতে ১ হাজার ৫০০ টাকা নিচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে কথা বলতে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। এ বিষয়ে কোন কথা বলবেন না বলে জানিয়ে সহকারী শিক্ষক আমজাদ হোসাইন বলেন, আসলে এ টাকা সেশন চার্জ হিসাবে নেওয়া হয়। এতো টাকা কেন নেওয়া হয় জানতে চাইলে তিনি বিদ্যালয়ের নানান ব্যয় এবং অনেক শিক্ষার্থী টাকা কম দেয় যেটা আমরা অন্যদের থেকে বেশি করে নিয়ে ঘাড়তি পূরণ করি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী জানান, পুনঃভর্তি ও সেশন চার্জের নাম করে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। যদি কোন স্কুল নেয় তাহলে সেটা অনৈতিক এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ারও কোন বিধান নেই। সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০০টাকা করে নেওয়ার আদেশ আছে।