ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে বাঁওড় ও মৎস্য জলাশয় রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকার মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষ। শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার সোনাতনপুর বাঁওড়ের বাধের উপর এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাঁওড় রক্ষা কমিটির সভাপতি ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক এলেম মন্ডল। এছাড়াও মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য রবীন হালদার, অবনীশ হালদার, সুকুমার হালদার, স্বপন হালদারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত মৎস্যজীবীরা ব
লেন, নবগঙ্গা নদীর হরিনাকুন্ডু এলাকার ভুইয়াপাড়া গ্রামের মোড় থেকে ভেড়াখালী গ্রামের পাশ দিয়ে ইউ আকৃতির বাকে পানি প্রবাহ বাধা প্রাপ্ত হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮১ সালে ৮শ মিটার নতুন নদী খনন করে এই ইউ আকৃতি অংশে
র মাথায় একটি বাঁধ দিয়ে দেয়। যার ফলে নদীর এই অংশ মরা খালে পরিনত হয়। বাধ দেওয়া এ্ই ইউ অংশের ৫ কি.মি এর মধ্যে ২.৫০ কি.মি. সংস্কার করে ১৯৯২-৯৩ সালে এলাকার মৎস্যজীবীরা সরকারের সহযোগীতায় মাছ চাষ করে। পরিত্যক্ত এই ২.৫ কিমি দীর্ঘ নদীর জলাকারের পরিমাণ ৪২ একর। এখানে মাছ চাষ করে প্রায় ১০০টির অধিক পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ কওে এবং সরকার প্রতি বছর এই প্রকল্প থেকে ৬ লক্ষ টাকার রাজস্ব পায়।
একটি বিশেষ মহল উন্নয়নশীল এই প্রকল্পটি বন্ধ করে উন্মুক্ত করে দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। তারই প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মৎস্যজীবীরা। মৎস্যচাষের উপযোগী এই জলাশয় টি পুন:রায় উন্মুক্ত করে দিলে ১০০টির অধিক মৎস্যজীবী পরিবার কাজ হারিয়ে যেমন রাস্তায় বসবে, তেমনি সরকার প্রতি বছর এই বাওড় ও জলাশয় থেকে ৬লাখ টাকার অধিক রাজস্ব হারাবে। বিষয়টি বিবেচনার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।