ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ’র যৌথ উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে পৃথক-পৃথক কর্মসূচীর মাধ্যমে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্লা, চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুজ্জামান তাজুসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ।
অপর দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টুসহ, ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম প্রমুখ। এছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোষর রাজাকার আল-বদর আল-সামস্রা এদেশকে মেধা শুন্য করার জন্য যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে আসছিল। সর্বশেষ ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে শিক্ষক, গবেষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, সাহিত্যিক, নাট্যকার, গীতিকার-সুরকারসহ সকলশ্রেণীর বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ডেকে এনে ঢাকার মিরপুর রায়ের বাজারে হত্যা করে।
সেই কারণে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে শ্রদ্ধার সাথে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বক্তারা বুদ্ধিজীবী দিবসের আরও বিস্তারিত প্রকাশের দাবি জানান।
আলোচনা শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালিত হয়।