লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীদের শিল্প নৈপুণ্যের ধারক ও বাহক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়ে থাকে। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে এই পিঠা উৎসব। প্রতি বছর শীতে এলেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব।
গ্রামীণ ঐতিহ্য ও নতুন প্রজন্মের কাছে হরেক রকমের পিঠার পরিচয় তুলে ধরতে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু সরকারি লালন শাহ কলেজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয়ে দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ উৎসবে শিক্ষার্থীরা ১৩টি স্টল সাজিয়ে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হরেক রকমের বাহারী ও মুখরোচক পিঠার আয়োজন করে।
ভোজন রসিকরাও পিঠা খেয়ে প্রশংসা করেছেন। আর আয়োজকরা বলছেন প্রতি বছরই এমন আয়োজন থাকবে নতুন প্রজন্মের কাছে পিঠা পুলির পরিচিতি তুলে ধরার জন্য।
এছাড়া সপ্তাহ ব্যাপি বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার আহবায়ক আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুজ্জামান শেখর, বিশেষ অতিথি হিসেবে ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আহবায়ক মহব্বত আলী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নজরুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ আব্দুর রাকিব উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে আনন্দ উপভোগ করেণ।