ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে দেশের কন্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি রাব্বুল হোসেন-কে পিটিয়ে আহত করেছে অন্ত্রধারী প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার একতারার মোড়ে অবস্থিত প্রেসক্লাবের অফিস কক্ষের সমনে অতর্কিতভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটায় সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
আহত রাব্বুল হোসেন বর্তমানে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক হরিণাকুন্ডু থানায় পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে।
হামলার খবর পেয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ আক্তারুজ্জামান তড়ীৎ গতিতে ঘটনাস্থলে পৌছে কালো মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে যাওয়া হামলাকারীদের পিছনে ধাওয়া করেন।
আহত সাংবাদিক রাব্বুল হোসেন জানান, একটি নতুন প্রেসক্লাব গঠনকে করে কয়েকজন সন্ত্রাসী আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল, মঙ্গলবার উপজেলার আইজদ্দির মোড়ে আমার নতুন অফিসে কাজ করছিলাম এসময় ২নং জোড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবু মিয়ার কালো গাড়িতে কতিপয় সন্ত্রাসী লোহার রড, ডাঁসা, বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাকে হঠাৎ করেই মারধর করতে থাকে, এসময় ওসি সাহেব খবর পেয়ে সন্ত্রাসীদের পিছনে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায় আর আমাকে উদ্ধার করে হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আমি ৫জনকে চিনেছি বাকিরা অপরিচিত। তিনি আরও বলেন আমি ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার দায়ের করেছি। এই সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।
এব্যাপারে হরিনাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক রাব্বুলের উপরে প্রতিপক্ষের হামলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।