ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার রেসিডো ক্লিনিকে সিজারের পর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায় মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে মহিমা খাতুন প্রসব বেদনা নিয়ে হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়, কিন্তু সেখানে নরমাল ডেলিভারি না হওয়ায় এবং কোন সার্জিক্যাল ডাক্তার না থাকায় একজন নার্স তাকে দ্রুত ক্লিনিকে গিয়ে সিজার করার পরামর্শ দেয়। সে সময় উপায়ান্তর না পেয়ে রোগীর স্বজনরা তাকে স্থানীয় রেসিডো ক্লিনিকে ভর্তি করে। রেসিডো ক্লিনিকে ডাঃ আলমগীর হোসেনের তত্বাবধানে রোগীকে সিজার করা হয়। সিজারের পর দেখা যায় নবজাতকের হেড ডেমারেজ হয়েছে তখন বাচ্চাটিকে দ্রুত ঝিনাইদহের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অলক বাবুর কাছে দেখানোর জন্য পরামর্শ দেয়। তখন নবজাতক শিশুকে ঝিনাইদহ নেওয়ার পথে মারা যায় বলে স্বজনরা জানান।
এবিষয়ে রেসিডো ক্লিনিকের মালিক এম এ জামান কুসুম বলেন রোগী বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসতে অনেক দেরি করে ফেলে। বাচ্চা এবং মায়ের সংকটাপন্ন অবস্থায় আমরা অপারেশন করি, পরে মা বাচানো সম্ভব হলেও বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে অপারেশনকারী ডা. আলমগীর হোসেন বলেন অপারেশেনের সময় অবস্ট্রাকটেড লেবার দেখা দেওয়ায় বাচ্চা ডেলিভারী নরমাল ছিল না সে কারনে বাচ্চা মারা গেছে। তবে প্রসূতি বর্তমানে সুস্থ আছে। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জামিনুর রশিদ বলেন হাসপাতালে ভর্তি এবং চলে যাওয়া কোন কিছু সম্পর্কেই আমি জানি না, আমি এই প্রথম শুনলাম তবে ডা. আলমগীর আমার হাসপাতালের ডাক্তার নয়। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজে সার্জারির উপরে ডিপ্লোমা করছেন বলে জানি।
ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনরা বলেন আমরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হয়। ডাক্তার আলমগীর সার্জারীর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না হয়ে অর্থের লোভে এমন বড় বড় অপারেশন করে থাকেন, তার বিরুদ্ধে এর আগেও অন্য একটি ক্লিনিকে রোগী মৃত্যুর ঘটনা আছে। তাছাড়া ক্লিনিকটি যথাযথ আইন মেনে পরিচালিত হয় না এখানে কোন আবাসিক ডাক্তার নেই, নেই কোন প্রশিক্ষিত নার্স। এমন মৃত্যুর ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটে। এভাবেই দিনের পর দিন চলছে হরিণাকুণ্ডুসহ ঝিনাইদহের বিভিন্ন বে-সরকারী হাসপাতাল ক্লিনিকগুলো।
এলাকাবাসীর দাবি হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন অভিজ্ঞ সার্জন নিয়োগ দিলে এলাকাবাসী উপকৃত হয়।