প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটলে শরীরে রোগবালাই সহজে বাসা বাঁধতে পারে না। যেকোনো বয়সীদের জন্যই ওয়াকিং এক্সারসাইজ শারীরিক সুস্থতা এনে দেবে। ঠিক কতটা সময় হাঁটলে উপকার পাওয়া যাবে, এমন প্রশ্নের উত্তর হলো ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। ধীরে ধীরে সেটা ১ ঘণ্টা হলে ভালো।
অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যারা চিন্তিত তাদের জন্য হাঁটা খুব ভালো এক্সারসাইজ। পাশাপাশি হাঁটা হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে এবং ক্যানসারসহ অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, আর্থ্রাটিস, অস্টিওপোরোসিসের মতো অসুখের সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটলে অসময়ে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৪ শতাংশ কমে যায় এবং ৬১-৮১ বছরের মহিলা এবং পুরুষরা যদি প্রতিদিন দুই মাইল হাঁটতে পারেন তাহলে যেকোনো ধরনের অসুখের থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়।
হাঁটার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো একে নিজের প্রয়োজনে কমানো কিংবা বাড়ানোর সম্ভব। যারা কখনো ব্যায়াম করনে না বা কোনো বড় আঘাত থেকে সেরে ওঠছেন অথবা সদ্য মা হয়েছেন তারা প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ২০ মিনিট করে হাঁটা শুরু করতে পারেন। ধীরে ধীরে ফিটনেস লেভেল বাড়লে সময়টা ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা করতে পারেন।
সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ দিন হাঁটতে পারেন। সময়ের পাশাপাশি ওয়াকিং স্পিডও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ঘণ্টায় তিন মাইল বেগে কেউ যদি হাঁটতে পারে তাহলে খুব ভালো ফল পাবেন।
প্রথমদিকে ৭ থেকে ১০ মিনিট রিল্যাক্স করে হাঁটুন। এরপর কিছু হালকা স্ট্রেচ প্র্যাকটিস করুন। পায়ের সমস্ত পেশিকে ভালোভাবে প্রসারিত করতে হবে। একই ভাবে পিঠের মাসলগুলোও প্রসারিত করুন।
প্রয়োজনে একজন ফিটনেস এক্সপার্টের কাছ থেকে পরামর্শ করে জেনে নিন কোন ধরনের স্ট্রেচিং আপনার জন্য উপযুক্ত। তবে অন্যান্য ওয়র্কআউটের মতো হাঁটার আগেও শরীরকে ‘ওয়ার্ম আপ’ এবং ‘কুলিং ডাউন’ করাটা ভালো।