দামুড়হুদা ডুগডুগী পশুহাটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আর অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছে এলাকাবাসী। গতকাল সোমবার ডুগডুগি পশুহাটে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ৩/৪ ঘন্টা এই যানজট তীব্র থেকে তীব্র আকার ধারণ করে।
সরজমিনে জানাগেছে, সপ্তাহের প্রতি গতকাল সোমবার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগি বাজারে বসে এই পশুহাট। ঐতিহ্যবাহী ডুগডুগি পশুহাটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খামারী ও ব্যাবসায়ীরা আসে পশু ক্রয় বিক্রয়ের জন্য। প্রধান সড়কের পাশেই অবস্থিত এই পশুহাট। হাটে আসা পশু বহনকারী ট্রাক, ট্রাক্টর, পাওয়ারটলি, আলমসাদু, ভটভটি, নসিমন, করিমন ও ইজিবাইকের যেখানে সেখানে অবস্থান করা এবং হাট কতৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাই বেড়েছে তীব্র যানজট। হাঁট মালিকদের উদাসিনতায় এবং রাস্তা ক্লিয়ার করার পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবল না থাকায় যানজট দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। হাঁটে কয়েকজন পুলিশ থাকলেও তা যানজট নিরসনে যথেষ্ট নয়। সড়কের উপরই লাইন দিয়ে পশুনিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে খামারিদের। এতে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে আরও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে পশুর বর্জ্য অপসারণের নেই পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা। পশু হাটের দিন যানজটের কারনে এই সড়কে আসা যাওয়া করা খুবই যন্ত্রণাদায়ক ও কঠিন।
হাঁটের দিন ডুগডুগি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারেনা। হাঁটের দিন ডুগডুগির প্রধান সড়কটি ক্লিয়ার রাখার জন্য হাঁট কতৃপক্ষের কোন লোকজনকে কাজ করতে দেখা যাইনি।
ডুগডুগি পশুহাটে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থাকা কালিগন্জের উম্মে সালমা নামের একজন সমাজ কর্মী বলেন, এই হাটে খুবই যানজট। কিন্তু এই যানজট ক্লিয়ার করার মতো হাটের কোন লোকজন কে দেখতে পায়নি। এতক্ষণ রাস্তায় ভীড় থাকলে মানুষের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। হাঁট কতৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেন তিনি। দ্রুত যানজটের স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহল বলেন, ডুগডুগি পশুহাটে যানজট নিরসনে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি ডুগডুগি পশুহাঁট মালিকদের সাথে কথা বলবো। হাঁটের দিন যেনো পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবল নিয়োগ করে রাস্তা ক্লিয়ার রাখে।