হাগিং ফেস, ভেনচার ক্যাপিটাল এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পেছনে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তারা ওপেনএআই-এর মতোই একটি ওপেন সোর্স প্রতিপূরক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেছে। অর্থাৎ এটিও অনেকটাই চ্যাটজিপিটি কিন্তু এর নাম হাগিংচ্যাট। আপাতত এর ওয়েব ইন্টারফেস পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। এই ওয়েব ইন্টারফেসে জরুরি অ্যাপ এবং হাগিং ফেস এপিআই যুক্ত করে নানা সেবা চালু করা হবে।
হাগিংচ্যাট চ্যাটজিপিটির মতোই অনেক কাজ করতে পারে। আপনার জন্য কোড লিখে দেওয়া, ইমেইল ড্রাফট করা এবং র্যাপ গানও আপনাকে কম্পোজ করে দেবে। লাইওন নামে একটি সংগঠন ওপেন অ্যাসিস্ট্যান্ট নামে একটি দল করে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলটি তৈরি করেছেন। তারা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। মূলত টেক্সট টু ইমেজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলের দিকেই তারা এগিয়ে যেতে চাচ্ছেন। চ্যাটজিপিটির মতো হলেও এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে চাচ্ছে।
গিটহাবে ওপেন অ্যাসিস্ট্যান্ট লিখেছে, ‘আমরা একটি সহকারী তৈরি করছি। এমন একজন প্রযুক্তি সহকারী আমরা তৈরি করব যা ভবিষ্যতে আপনাকে অর্থবোধক কাজ, এপিয়াই, অনেক জটিল গবেষণার কাজেও সাহায্য করতে পারবে। আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সমন্বয় করেই আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে যেতে পারবে এটি।’ অর্থাৎ গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের মতোই আপনার সব কাজ সহজ করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেবে প্রতিষ্ঠানটি। হাগিংচ্যাটের অবশ্য অনেকদূর হাটতে হবে এখনো। ওপেন সোর্স কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল নিয়ে সমালোচকরা বেশ সরব। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন চ্যাটজিপিটিকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষেত্রে বোধহয় এই একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল এগিয়েই আছে।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ