প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে মিরপুর উপজেলার আমলা সদরপুর নিজ বাড়ী, মিরপুরের বাসভবন ও মিরপুরের উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, পেশাজীবি ও ব্যবসায়ী সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, উপজেলার সকল গ্রাম পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা হাজার হাজার নেতা-কর্মী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনেকে ঢাক-ঢোলসহ মিছিল নিয়ে এসেছেন তাঁর সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করতে। জয়ের মালা পরাতে হাজার হাজার নেতা-কর্মী প্রচণ্ড ভীড় ঠেলে তাঁর গলায় মালা পরিয়েছেন। অনেকে আবার আবেক আপ্লুত হয়ে কামারুল আরেফিনকে বুকে জড়িয়ে ধরে তাঁর সাথে কোলাকোলি করছেন, কেউ পরাচ্ছেন ফুলের মালা, কেউ কেউ দিচ্ছেন ফুলের তোড়া।
এতে বিন্দু পরিমাণ ক্লান্ত নয় নব নির্বাচিত এমপি কামারুল আরেফিনের বরং তিনি সকলকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে তিনি বলেন, আজকের এই আনন্দঘন মুহুর্তটি আমার প্রতিটি নেতা-কর্মীর জন্য উৎসর্গ করলাম। তাঁরা নির্বাচনের সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমি আমার প্রতিটি নেতা-কর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি আরও বলেন. আমি অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভোটে জয়লাভ করেছি, এ অর্জন মিরপুর ও ভেড়ামারার মানুষের।
আমি একটি সুন্দর সুখী এই দুই উপজেলা গঠনে সকলের সহযোগিতা চাই। মিরপুর ভেড়ামারা উপজেলার দৃশ্যমান উন্নয়নে আমাকে যা যা করতে হয় আমি তা তা-ই করব। শুধু এ দুই উপজেলার মানুষ আমার পাশে থাকলেই হবে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছরে এই আসনে আওয়ামী লীগের আমি এমপি হলাম এবং ৩২ বছর পর এ আসনের মিরপুর উপজেলা থেকে এমপি নির্বাচিত হলাম। ১৫ বছর ধরে এ আসনে হাসানুল হক ইনু এমপি থাকলেও এই দুই উপজেলায় তেমন কোন অবকাঠামোগত দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে পারে নি। আমি একটি স্মার্ট আসন বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি। আমার কোন নেতা-কর্মীকে কোন অন্যায় কাজ করতে দেওয়া হবে না। যারা বিগত দিনে মানুষের প্রতি অত্যাচার অন্যায় করেছে তাদের দিন শেষ।
গেলো ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মনোনীত প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে ২৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হয় কামারুল আরেফিন।
এদিকে দিনব্যাপী মিরপুর উপজেলায় কর্মযজ্ঞ শেষে ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।