অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি,পরিটপাটি যুক্ত অপারেশন থিয়েটার থাকা সত্বেও ডাক্তার সংকটে দির্ঘদিন বন্ধ ছিল অপারেশন।পাঁচ বছরের অপেক্ষার মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবশেষে চালু হয়েছে অপারেশন থিয়েটার। রোববার দুপুরে এক নারীর সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এটি চালু করা হয়। অপারেশন থিয়েটারটি চালু হওয়ায় রোগী সাধারণ ফেলেছে স্বস্তির নিঃশ^াস। এখন থেকে সব ধরণের অপারেশন করা হবে আর সাধারণ মানুষ এর সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর সিভিল সার্জন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির আধুনিক ভবন নির্মিত হয় ২০১৮ সালে। সব ধরণের অপারেশন করার জন্য বরাদ্দ দেয়া একটি সুসজ্জিত রুম। দেয়া হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থার জন্য রয়েছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি জেনারেটর। আছে প্রশিক্ষিত নার্স। অথচ প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় এটি বন্ধ ছিল। ফলে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছিল সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনবল পদায়ন করেন। এর পর থেকে উদ্যোগ নেয়া হয় অপারেশনের। রোববার দুপুরে গাংনীর তেরাইল গ্রামের আজমিরা খাতুনকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এটির কার্যক্রম চালু হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীদের অনেকেই জানান, বাইরের ক্লিনিকে অপারেশনের জন্য ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনা টাকায় অপারেশন করা হবে এবং সার্বক্ষনিক সেবা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন রোগী সাধারণ। অপারেশন চালু হওয়ায় অনেকে স্বস্তির নিঃশ^াস ফেলেছে তারা।
ডাক্তার সংকটর বিষয়টি কাটিয়ে ওঠার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অপারেশন করতে সম্মত হন। অপারেশন চালু হওয়ায় জনগন এর সুবিধা পাবেন। এটি দীর্ঘ প্রতিক্ষা ও জনগনের দাবিীর প্রতিফলন বলে জানিয়েছেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক।
ইতোমধ্যে তিনি ডাক্তার সংকটর বিষয়টি কাটিয়ে ওঠার পর অপারেশন চালু হওয়ায় জনগন এর সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প, প কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান লিটন।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন মোঃ জওয়াহেরুল আনাম বলেন, জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ উপজেলা গাংনী। এখানে অন্তত সাড়ে তিন লাখ মানুষ বসবাস করেন। এতগুলি মানুষের কথা চিন্তা করেই চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে অনেক ভাল ও মানসম্মত চিকিৎসা দেয়া হয় এটাই গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একটি উদাহারণ। এতে অনেক গরিব মানুষ উপকৃত হবে।