হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা নূন্যতম চিকিৎসাসেবাও পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার সকালে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে কোনো বেড পাচ্ছেন না। বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে চিকিৎসার জন্য মানুষ হাহাকার করছে। মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেও ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে না। যদি করোনা পজিটিভ হয় কোথায় চিকিৎসা নেবে তারা? হাসপাতালে বেড নাই, কোনো চিকিৎসা নাই-কিচ্ছু নাই। সরকার ফ্লাইওভার করেছে কিন্তু একটা হাসপাতালেও নির্মাণ করে নি। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম দরকার সেটা দেয় নি।
রিজভী বলেন, সরকার উন্নয়ন দেখাচ্ছে। এসব করে আপনার নেতাকর্মীদের পকেট ফুলতে ফুলতে্ একেবারে বেলুনের মত করে দিয়েছেন।মানে টাকা এত বেশি পকেটে ঢুকেছে-বেলুনের মত। মানুষ যেখানে বাঁচবে, জনগন যেখানে বাঁচবে।তাদের রোগে-শোকে ভোগলেও ন্যুনতম একটা চিকিৎসার ব্যবস্থা সরকার করেনি। করোনায় আক্রান্ত হলে অক্সিজেন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। সেই অক্সিজেন সিলিন্ডার বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ হাসপাতালে নেই, অক্সিজেন মাস্ক যেটা দরকার সেটা ৮০ শতাংশ হাসপাতালে নেই, অক্সিজেন লাঞ্চে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে মেশিনটি দরকার সেটা ৬৯ শতাংশ হাসপাতালে নেই। এভাবে দেশের মানুষ নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করছে।
সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে(এডিপি) স্বাস্থ্যখাতে কম বরাদ্দ দেয়ায় সরকারের কড়া সমালোচনা করেন রিজভী।
রাজধানীর উত্তরার ৪৭ নং ওয়ার্ডে মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এম কফিলউদ্দিনের উদ্যোগে দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে ঈদসামগ্রী উপহার বিতরণের এই অনুষ্ঠান হয়। এ সময়ে মহানগর উত্তরের নেতা আহসানউল্লাহ হাসান, এবিএমএ রাজ্জাক, মোতালেব হোসেন রতন, মমতাজ উদ্দিন, এফ ইসলাম চন্দন, সফুরউদ্দিন মৃধা, সাইফুল ইসলাম সরুজ, তাজুল ইসলাম, মো. মুনির, জাহিদ মাস্টার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর পূর্ব ছাত্র দলের উদ্যোগে দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করেন রিজভী। এ সময়ে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণসহ মহানগর পূর্বের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর দুপুরে মগবাজারে মীরবাগে ফিউচার অব বাংলাদেশের উদ্যোগে দুস্থ মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করেন রিজভী। এই সময়ে শওকত আজিজ, জামাল হোসেন টুয়েল, রেজাউল হোসেন অনিক উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, আমরা যদি বলি সরকারি হিসাব ২৮ হাজারের বেশি করোনায় আক্রান্ত এদেশের মানুষ এবং ৪শ’ দুই মারা গেছেন। এটা হচ্ছে সরকারি হিসাব। আর যারা মেডিকেল গবেষণা করে, বড় বড় ডাক্তাররা বলেছেন, সরকার যে হিসাব দিচ্ছে তার থেকে ১০ গুন থেকে ৪০ গুন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন।
সরকার অনেক পরিসংখ্যান গুম করছেন, প্রকাশ হতে দিচ্ছেন না। এটা আমার কথা নয়, যারা এসব নিয়ে গবেষণা করছেন তাদের কথা। তাহলে সরকার কি করেছে? যুগান্তর