মেহেরপুর জেলা এক সপ্তাহ যাবৎ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশার কারণে মাত্র কয়েক হাত দূরের কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। তীব্র শীতের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠাণ্ডা ও ঝিরিঝিরি বাতাসে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুও কাবু হয়ে পড়েছে।
শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর চাপ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় এ মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটার ও বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৫ ভাগ ।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে যেয়ে দেখা গেছে, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অ্যালার্জি, সর্দিকাশিসহ শীতজনিত নানা রোগে মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে কর্তব্যরত ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. সউদ কবির মালিক বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে মোট ১৪১ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে গেছেন। এদের মধ্যে ঠান্ডা জ্বর নিয়ে এসেছিলেন ১৪ জন, ৪০ জন এসেছিলেন ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রাথমিক উপসর্গ নিয়ে।’
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জামির মো. হাসিবুস সাত্তার কালবেলাকে বলেন, ‘বর্তমানে এখানে ২৪১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
অন্যান্য রোগীর চাপ কম থাকলেও ক্রমান্বয়ে ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার রোগী বাড়ছে। গত ৪ দিনে ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগের উপসর্গ নিয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৭ জন। আর সর্বশেষ ২৪ ঘন্টাতে এই সংখ্যা ২০ জন।