ভয়ংকর হুমকির মুখে চুয়াডাঙ্গার তিতুদহের গবরগাড়া ও গড়াইটুপির সাড়াবাড়িয়া গ্রাম্য সড়ক। তিতুদহের মাটি খাদক এস্কেভেটর ব্যবসায়ী রফিকুলের দৌরাত্ব বৃদ্ধির খেসারত দিতে হতে পারে গবরগাড়ার সিলিন্দিপাড়ার বাসিন্দা সহ গবরগাড়া-সাড়াবাড়ি গ্রাম্য সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন সহ পথচারীদেরকে। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মাটি খাদক রফিকুল নিজের স্কেভেটর দিয়ে সড়কের কোল ঘেঁষা পুকুর থেকে তোলা হচ্ছে মাটি। আর সেই মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
ফলে বিক্রিকৃত মাটি ট্রাক্টর যোগে সড়ক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। যে কারণে ভয়ংকর হুমকির মুখে গবরগাড়া-সাড়াবাড়ি গ্রাম্য সড়কটি সহ আশপাশের বসবাসরত বসত ঘরবাড়ি।
স্থানীয় ভুমি অফিসের লোকজন নীরব দর্শকের ভুমিকা দেখে হতভম্ব স্থানীয় সচেতন মহল।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন তিতুদহ ইউনিয়নের গবরগাড়া পাড়ার কদম আলী মালিতার ছেলে রফিকুল ইসলাম। সে একজন মাটি খাদক নামে পরিচিত। নিজ ও ভাড়ায় চালিত একাধিক এস্কেভেটর দ্বারা বিভিন্নস্থানে মাটিকাটার কাজ করে থাকেন। তার এ কাটামাটি বিভিন্নস্থানে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এ মাটিকাটা ও বিক্রির ব্যাবসার কারণে রফিকুল মাটি খাদক নামে এলাকায় বেশ পরিচিত।
সে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে স্কেভেটর দিয়ে তিতুদহ-গহেরপুরের সড়কের সিলিন্দিপাড়ার মৃত তাহাজ উদ্দিনের ছেলে মান্নান মোল্লা, রাজ্জাক, জব্বর, ছাত্তারের শরীকি জমির উপর পুকুর খনন করা হচ্ছে। যা তিতুদহ-গহেরপুর গ্রাম্য পাকা সড়কের কোলঘেঁষা হওয়ায় পুকুর খননের কারণে ভয়ংকর হুমকির মুখে পড়েছে গবরগাড়া-সাড়াবাড়ি গ্রাম্য সড়ক সহ আশপাশের বসবাসরত বসত ঘরবাড়ি।
সেই মাটি সড়ক দিয়ে ট্রাক্টর যোগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। যে কারণে ভয়ংকর হুমকির মুখে পড়েছে সিলিন্দিপাড়ার সড়কের পার্শ্বের বসতঘর সহ সড়কটি। যার ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন সহ পথচারীদেরকে বড় ধরণের দূর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণহানীর মত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ভুমি অফিসের লোকজন নীরব দর্শকের ভুমিকা দেখে হতভম্ব স্থানীয় সচেতন মহল। এ দূর্ঘটনা প্রতিরোধে মাটি খাদক রফিকুলের দৌরাত্ব ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে এলাকার ভুক্তভোগীরা সহ সচেতন মহল।
এবিষয়ে তিতুদহ ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক স্থানে মাটিকাটা হচ্ছে। তবে কালকে দেখছি বললেও এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।