মেহেরপুর পৌরসভার ২৪ টি ও মেহেরপুর জেলা পরিষদের ৯৪টিসহ ১১৮ টি গাছের আম বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫ হাজার টাকায়। তবে দুটি প্রতিষ্ঠানের কেউ আম বিক্রির কোনো টেন্ডার আহবান করেনি বলে জানা গেছে। তবে, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেছেন পৌরসভার কোন আম বিক্রি করা হয়নি।
সরেজমিনে মেহেরপুর কাথুলী-গাংনী সড়কের মেহেরপুর সীমানা পিলার থেকে কাথুলী বাজার পর্যন্ত ছোট বড় ৯৪ টি আমগাছ রয়েছে। এছাড়া মেহেরপুর পৌরসভার আওতায় রয়েছে ২৪ টি আম গাছ।
নামমাত্র আম কিনেছেন মেহেরপুর শহরের বেড়পাড়া এলাকার জহর শেখের ছেলে রাজমিস্ত্রি আব্দুর রাজ্জাক। সে মেহেরপুর পৌর সভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ১০/১৫ দিন যাবৎ প্রতিদিন ৫/৬ বস্তা করে আম ভেঙ্গেছে আব্দুর রাজ্জাক। এসব আম সে রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকিয়ে বাইরে চালান দিয়েছে।
গতকাল দুপুরে মেহেরপুর শহরের অদুরে পৌরসভার শেষ সীমান্তে আম ভাঙছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। তাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, আমি এই আম মেহেরপুর পৌর সভার কাছ থেকে ১ হাজার ও মেহেরপুর জেলা পরিষদ থেকে ৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছি। আম গাছ বেশী নেই। মাত্র কয়েকটি আম গাছ থেকে আম সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এবিষয়ে মেহেরপুর পৌর সভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, আমি বিষয়টি জানিনা। কাউকে এক হাজার টাকায় আম দেওয়া হয়নি।মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহা: আব্দুস সালাম বলেন, আমি যতটুকু শুনেছি ৫/৬ হাজার টাকায় আম বিক্রি করা হয়েছে। এর বেশী কিছু বলতে পারবোনা।
জানা গেছে, মেহেরপুর জেলাতে আম সংগ্রহ নিয়ে আগামি ৮ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিং রয়েছে। ওই মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আম ভাঙ্গার তারিখ।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, কেউ পাকা আম হিসেবে বিক্রি করতে ক্যামিকেল দিয়ে আম পাকানোর চেষ্টা করলে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।