১৪৪ ধারা জারি করতে গিয়ে বিবাদমান জমির ধান জব্দ করে থানায় নিলেন কোটচাঁদপুর থানার সহউপপরিদর্শক( এএসআই) এরশাদ হোসেন। আজ সোমবার সকালে তিনি এ ধান উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। আইন শৃংখলার রক্ষার্থে ধান উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে দাবি ওই কর্মকর্তার।
জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলার গুড়পাড়া মাঠের ১৮ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ চলছিল কামাল হোসেন ও মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তারা দুই জনে চাচাত ভাই। আজ সোমবার সকালে ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করতে যান কোটচাঁদপুর থানার সহউপপরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ হোসেন। এ সময় ওই জমিতে কাটা ধান পড়ে থাকতে দেখেন। ওই ধান নিতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা চলছিল। পরে ওই ধান উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন ওই কর্মকর্তা।
ভূক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন,দীর্ঘদিন ধরে আমি বিবাদমান জমিটি চাষাবাদ করে থাকি। এ বছরও ওই জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। গেল গত রবিবার রাতে কামালের নির্দেশে ওই জমির ধান কাটেন স্থানীয় লেবাররা। গতকাল সোমবার সকালে আবার ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করতে আসেন পুলিশ।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে কামাল হোসেন তাঁর লোকজন দিয়ে ধান নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ওই ধান উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান আদালতে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে।
গুড়পাড়া গ্রামের কামাল হোসেন বলেন,মিজানুর রহমানের সঙ্গে আমার ১৮ শতক জমি নিয়ে বিবাদ। ওই জমির পুরোটাই আমার। তবে জোর পূর্বক করে খান তিনি। গেল বুধবার আমি ১৪৪ ধারায় মামলা করেছি আদালতে।
আজ সোমবার সকালে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করতে গিয়েছিল। এ সময় জমিতে গিয়ে দেখতে পায় ধান কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। পরে ওই ধান পুলিশের উপস্থিতিতে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ধানগুলো কোটচাঁদপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে আছে।
তিনি বলেন, তবে আমি ওই ধান কাটিনি। কে কেটেছে তা আমি জানিনা। কামাল হোসেন গুড়পাড়া গ্রামের মৃত ইয়াদুল মন্ডল।
এলাঙ্গী ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাফা সুলতান বলেন, পুলিশ ধান উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পরে আমার জিম্মায় দিয়েছেন। তবে ধান এখানো থানা থেকে আনা হয়নি। সন্ধ্যার দিকে ধান আনতে থানায় যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার সহউপপরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ হোসেন বলেন,সোমবার সকালে ১৪৪ ধারা জারি করতে গিয়ে ছিলাম। ওই জমির ধান কাটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলযোগ শুরু হয়। আইন শৃংখলা রক্ষার্থে স্যারের সাথে পরামর্শ করে ওই ধান উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
তিনি বলেন, পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে, ওই ইউনিয়নের সাফা মেম্বারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।