করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৭৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর হার কিছুটা কমেছে বলে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার ১৯৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বমোট ১৬ হাজার ৪৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোগীদের মৃত্যু ও শারীরিক অবস্থার অবনতি এতটাই দ্রুত ঘটছে, যা দেখে সেখানকার চিকিৎসক ও নার্সদের চোখ কপালে উঠে গেছে।-খবর রয়টার্সের
মৃত্যুর সংখ্যার সরকারি হিসেবে সব তথ্য উঠে আসছে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন কর্মকর্তারা। কারণ বাড়িতে বসে যেসব রোগী মারা যাচ্ছেন, এই হিসাবে তাদের গণনা করা হচ্ছে না।
নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কিউমো বলেন, প্রতিটি নম্বর একেকটি মুখমণ্ডল। মারা যাওয়া লোকজনের স্মরণে রাজ্যটিজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে অনুরোধ করেন তিনি।
কিউমো বলেন, এই ভাইরাস ঝুঁকিপূর্ণদের আক্রান্ত করে, দুর্বলদের আক্রান্ত করে। বিপন্নদের সুরক্ষা দেয়া সামাজিকভাবে আমাদের কর্তব্য।
চিকিৎসক ও নার্সরা বলছেন, বয়ষ্ক ও আগে থেকে স্বাস্থ্যগত সমস্যায় থাকা রোগীরাই কেবল ঝুঁকিতে না, তরুণ ও স্বাস্থ্যবানরাও রয়েছেন।
নিউইয়র্ক শহরের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের নার্স ডিয়ানা টরিস বলেন, দেখতে ভালো মনে হচ্ছে, ভালো বোধ করছেন, অন্যদের দেখে এমন রোগীদের কাছে ফিরে আসার পর আর তাদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমার মানসিকভাবে বিকল হয়ে পড়ার অবস্থা হয়েছে। তাদের কক্ষের বাইরে পা দিতেই আতঙ্ক বোধ করছি।
কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি সপ্তাহে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছাতে পারে।
হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, আমরা এ সপ্তাহে নিজেদের হৃদ যন্ত্রণার মাঝে রয়েছি। তবে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।
সুত্র-যুগান্তর