বলিউডে জিরো ফিগারের ট্রেন্ড এনেছিলেন কারিনা কাপুর। স্বাস্থ্য সচেতন এই অভিনেত্রীর বয়স এখন ৪৪-এ। এরই মধ্যে হয়েছেন দুই সন্তানের জননী। এতোকিছুর পর এখনও টানটান মেদহীন শরীর তার। তাই অনেকেই বলে থাকেন তার এমন ঈর্ষণীয় ফিটনেস দিয়ে এখনও অনায়াসে তিনি টেক্কা দিতেন পারেন হাঁটুর বয়সি নতুন অভিনেত্রীদেরও।
আর এসব কারণে সবার জানার ভীষণ আগ্রহ কারিনার ফিটনেস রুটিন কী? তার ডায়েটে কী থাকে? কেমন ভাবেই বা করেন শরীরচর্চা?
সম্প্রতি সেলিব্রিটি ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিওয়েকার প্রকাশ করেছেন কারিনার ফিটনেসে রহস্য।
কারিনা কাপুরসহ বেশ কিছু বিখ্যাত বলিউড তারকার পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকার এই বিষয়ে নানা কথা শেয়ার করেছেন। রুজুতা সোমবার একটি পোস্টে সুস্থ থাকার জন্য সঠিক নিয়মে ওজন হ্রাসের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন।
এই পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন, ‘সঠিক নিয়ম না মেনে ওজন কমালে তা আপনার দেহের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। স্বাস্থ্যের উন্নতির পরিবর্তে এটি আপনাকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যার দিকে ঠেলে দেয়। অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই ওজন মাপার যন্ত্র থেকে সরে, হেলদি লাইফস্টাইলে মন দিন।’
দ্য ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রিনোলজিতে প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের জন্য নির্ভরযোগ্য পরিমাপ নয়।
এই গবেষণার কথা উল্লেখ করে রুজুতা বলেছেন, ‘প্রায়শই যখন আমরা ওজন হ্রাস করার জন্য কঠোর ডায়েট প্ল্যান করি বা একই ধরনের ওয়ার্কআউটের পদ্ধতি অনুসরণ করি। তখন অনেক সময়ই সুস্বাস্থ্য ও সঠিক ওজন পেতে ব্যর্থ হই। তখন আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। ওজন কমানোর দ্রুত পদ্ধতি ব্যবহার করি। তবে এটা থেকে আরও অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের মেদ কমানো এবং ফিটনেসের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে তিনটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
এই তিনটি বিষয় কী কী জানেন? রুজুতা তার পোস্টে জানিয়ছেন এই তিনটি বিষয় হল আকার, আকৃতি এবং ক্ষমতা।
আকার
রুজুতা ব্যাখ্যা করে বলেন, যখন আমাদের শরীরের আকার কমে যায়, তখন এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে আমরা শরীর থেকে মেদ কমিয়ে ফেলেছি।
আকৃতি
রুজুতা উল্লেখ করেছেন যে, আমাদের আকারের পরিবর্তনগুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিত, প্রধানত কোমর রেখায়। এটি দেখায় যে আমরা অঙ্গগুলোর মধ্যে জমে থাকা চর্বি কমছে, এটি ভিসারাল ফ্যাট হিসাবেও পরিচিত। মেদ কমানো একটি স্বাস্থ্যকর ইঙ্গিত।
ক্ষমতা
আমাদের শরীর কতটা ক্ষমতা নিতে পারে তার দ্বারাও আমাদের স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস নির্ধারিত হয়। বেশি সিঁড়ি দিয়ে ওঠা থেকে শুরু করে শরীরের যে কোনো ধরনের ব্যথা অনুভব না করে সন্তানের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ খেলাধুলা করা বা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম করা প্রমাণ করতে পারে যে আমাদের শরীরের ক্ষমতা বেড়েছে। এটি স্বাস্থ্যকর ওজন হ্রাসের একটি সূচক।
সূত্র: যুগান্তর