আমাদের শ্বাস নিতে কাজ করে এমন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটিই হচ্ছে ফুসফুস। আর এটির সবচেয়ে ভয়াবহ সংক্রমণ হচ্ছে ক্যান্সার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বর্তমান বিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সার সবচেয়ে মারাত্মক হয়ে উঠেছে। আর এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি।
কিছু কিছু জিনিস আছে, যা ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এগুলোকে রিস্ক ফ্যাক্টর বলা হয়। তবে রিস্ক ফ্যাক্টর থাকার মানে এই নয় যে, আপনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেন। আবার রিস্ক ফ্যাক্টর না থাকার মানে এই নয় যে, আপনার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই।
এ জন্য আজ জেনে নিন ফুসফুস ক্যান্সারের ৬ রিস্ক ফ্যাক্টর সম্পর্কে—
১. ধূমপান
ধূমপান হচ্ছে ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ। আপনি যত বেশি ধূমপান করবেন, আপনার ঝুঁকি তত বেশি। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৯ জনই পাওয়া যায় ধূমপায়ী বা প্রাক্তন ধূমপায়ী। আর অল্প বয়সে ধূমপান শুরু করলে এ ঝুঁকি আরও বেশি থাকে।
যারা ধূমপান করেন না, তাদেরও ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে, তবে তাদের ঝুঁকি অনেক কম।
২. প্যাসিভ স্মোকিং
অন্য লোকের সিগারেটের ধোঁয়া নিলে বা ধোঁয়ার মধ্যে শ্বাস নিলে তাকে প্যাসিভ স্মোকিং বা সেকেন্ড-হ্যান্ড ধূমপান বলে। আর এটি ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা আপনি নিজে ধূমপান করলেও এর চেয়ে ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
৩. বয়স
বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার বেশি দেখা যায়। ১০ জনের মধ্যে চারজনেরও বেশি এমন রোগীকে দেখা যায় যাদের বয়স ৭৫ বা তার বেশি। তবে ফুসফুসের ক্যান্সার অল্পবয়সিদেরও প্রভাবিত করতে পারে, কিন্তু ৪০ বছরের কম বয়সিদের ক্ষেত্রে তা বিরল।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে
অসুস্থতা বা চিকিত্সার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৫. পারিবারিক ঝুঁকি
যাদের পরিবারে বাবা-মায়ের ফুসফুসের ক্যান্সার থাকে, তাদের এটি হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা বেশি থাকে। এ ছাড়া ভাই বা বোনের ফুসফুসের ক্যান্সার যদি অল্প বয়সে ধরা পড়ে, তাদেরও ঝুঁকি বেশি থাকে।
৬. বায়ুদূষণ
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, বায়ুদূষণের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। তবে জায়গাভেদে ও পৃথক ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বলাটা একটু কঠিন।
তথ্যসূত্র: ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্ট