আগামী সেপ্টেম্বরে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে বসবে দাবা অলিম্পিয়াড। এখানে যাবেন মহিলা দাবার শীর্ষে থাকা পাঁচ দাবাড়ু। দুই বোন ওয়াদিফা ও ওয়ালিজা, নোশিম আঞ্জুম, নুশরাত জাহান আলো ও রানী হামিদ।
দেশের কিংবদন্তি রানী হামিদ শীর্ষ পাঁচ দাবাড়ুর তালিকায় ছিলেন না। পঞ্চম স্থানে ছিলেন শারমিন সুলতানা শিরিন। কিন্তু শিরিন পারিবারিক কারণে যেতে পারছেন না বলে দাবা ফেডারেশন জানিয়েছে। শিরিনের ঘরে এক বছরের শিশুসন্তান রয়েছে। এই অবস্থায় তার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে ষষ্ঠ স্থানে থাকা রানী হামিদ অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
দাবার বোর্ডে রানী হামিদ
দাবা অলিম্পিয়াড খুব মর্যাদার একটি আসর। মহিলা দাবার দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন শারমিন সুলতানা শিরিন। তিনি যেতে না পারায় আক্ষেপ আছে। কিন্তু শিশুসন্তান রেখে যাওয়াটা সম্ভবও নয়। বাধ্য হয়ে এত বড় একটি সুযোগ হাতছাড়া করতে হয়েছে। দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিরিন নাম প্রত্যাহার করায় রানী আপার নামটি অন্তর্ভুক্ত করা গেছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ওয়ালিজা ও রানী হামিদ যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থানে ছিলেন। প্লেঅফে রানী হামিদকে হারিয়ে ওয়ালিজা অলিম্পিয়াডে খেলা নিশ্চিত করেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ৮০ পেরিয়ে ৮১ বছরে পা দিয়েছেন রানী হামিদ। এখনো তিনি দাবার বোর্ড নিয়ে আছেন। দাবা খেলার প্রতি এতটুকু অনীহা নেই। মহাখালী ডিওএইচএস থেকে চলে আসনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম-সংলগ্ন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন ভবনে, দাবা ফেডারেশনে। এখনো তিনি দাবার প্রতি অনেক বেশি উত্সাহী। খুব খুশি হয়েছেন অলিম্পিয়াডে যাবেন বলে। একসময় রানী হামিদের সঙ্গে খেলেছেন আন্তর্জাতিক অনেক দাবাড়ুর সঙ্গেও এবার দেখা হতে পারে। এটাই তার কাছে অনেক আনন্দের।
সূত্র: ইত্তেফাক