মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুরের মৃত আতাহার আলীর ছেলে মোঃ মতিউর রহমান জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়েও পুলিশের সহযোগীতা না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মতিউর রহমান বলেন, ‘ আমার পিতার নামিও রাজাপুর মৌজার ৫৩ শতক জমিতে মেহগনি গাছের বাগান আছে। আসামী বজলু, আবিদুল, বদরুল, বুলবুল, হাবিব, রাজ্জাক, আতিয়ার সহ বেশ কয়েকজন গত ১৬ সেপ্টেম্বর উক্ত জমি থেকে ৬টি মেহগুনি গাছ চুরি করার উদ্দেশ্যে কেটে ফেলে। এসময়ে মেহেরপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ আসলে, আসামীরা গাছ ফেলে পালিয়ে যায়। এতে আমাদের ৮০,০০০ /- (আশি হাজার) টাকার ক্ষতি হয়। ঐ ঘটনায় পুলিশ মামলা না নিলে আমার বোন শরিফা বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর আমলী আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরে আসামীরা আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮ টা হতে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নালিশী জমিতে সাঙ্গ-পাঙ্গসহ দলবদ্ধ ভাবে হাজির হয়ে গাছ চুরি করার উদ্দেশ্যে গাছ কাটতে থাকে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে আসামীদের গাছ কাটতে নিষেধ করলে এবং গাছ কাটার দৃশ্য ভিডিও করতে গেলে আসামীরা আমাদের কে ঘিরে ফেলে। আসামীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল (দা, কুড়াল, ইত্যাদি)। আসামীরা আমাদের হত্যার হুমকি দিয়ে আমাদের হাতের মোবাইল কেড়ে নিয়ে উক্ত ভিডিও মুছে দেয়। আসামীরা আনুমানিক ৪০ টি গাছ কেটে চুরি করে আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। এসময়ে আমরা ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগীতা চাইলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে নাই।
পরে আমি মেহেরপুর থানায় উপস্থিত হয়ে ওসি সাহেবকে ঘটনা বললেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। আমি মামলা করতে চাইলেও তিনি মামলা গ্রহণ করেন নাই। ওসি সাহেব বলেন আদালতের আদেশ পেলে ঘটনাস্থলে যাব। আমি নিরুপায় হয়ে থানা থেকে ফেরত আসি। আমরা এই ঘটনায় চরম অসহায় ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। জীবনের ও সম্পত্তির নিরাপত্তার জন্য সংবাদ সম্মেলন করছি।