বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হাবিব আনিসুর রহমান মেহেরপুরের বল্লভপুর গ্রামে ১৯৫৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। । পিতা এস এম হাবিবুর রহমান, মা বেগম আশরাফুন্নেসা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর গবেষণাকর্মে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭৯ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষকতায় যোগদান করেন ।
দীর্ঘ ১০ বছর চট্টগ্রাম কলেজে ইতিহাসের প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে যথাক্রমে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ও যশোর সরকারি এম এম কলেজে অধ্যাপনা করেন। ২০০৫ সালে প্রফেসর পদে পদোন্নতি পান। স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার পর ঢাকায় বসবাস। শুরু করেন লেখালেখির সঙ্গে ঘরসংসার । প্রচুর লিখে চলেছেন অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বিচিত্রা ও পাক্ষিক শৈলীসহ প্রায় প্রতিটি জাতীয় দৈনিকে সাহিত্য পাতায় লিখছেন নিয়মিত প্রথম আলো, সমকাল কালের খেয়া, যুগান্তর, কালের কণ্ঠের ঈদ সংখ্যা ও সাপ্তাহিক সাহিত্য সাময়িকীর পাতায়।
তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলো: গুলেনবারি সিনড্রোম ও অন্যান্য গল্প; অষ্টনাগ ষােলচিতি; পােড়ামাটির জিলাপি ও অন্যান্য গল্প; পক্ষি ও সারমেয় সমাচার। (উপন্যাস); পুষ্পরাজ সাহা লেন (উপন্যাস, শিখা। প্রকাশনী); আমাদের নতিপোতা গ্রামের ইতিহাস। (উপন্যাস); নেফারতিতি (উপন্যাস); কথা। উপকথা (উপন্যাস); রৌদ্র ও ত্রাতাগণ (মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস); বন্দিভুতের ফন্দি (কিশােরদের গল্প) ও। ছোটকু মোটকু (কিশোরদের গল্প)।
হাবিব আনিসুর রহমান তার লেখায় একই সঙ্গে শােষণে শাসনে পর্যদস্ত গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। ‘পোড়খাওয়া জীবন এবং পুঁজির ঔরসজাত কদর্যেভরা অসুস্থ উন্মাদ নাগরিক জীবনের ছবি এঁকে যান স্বেচ্ছায়, নিজ দায়িত্নে; তৈরি করেন অন্য এক ভুবন। যেখানে স্পষ্ট হয়ে ওঠে মানুষের জীবনের প্রকৃত চিত্র। লেখালেখির জন্যে তিনি ২০১১ সালে ‘জীবননগর সাহিত্য পরিষদ সম্মাননা’ এবং ২০১৫ সালে ‘কাঙাল হরিনাথ মজুমদার’ পদকে ভূষিত। হন। তিনি ভালোবাসেন বই পড়তে, লিখতে আর ‘সেতার শুনতে। সময় পেলে মুভি দেখেন।