সাফ চ্যাম্পিয়নদের বরণ করতে প্রস্তুত ছাদ খোলা বাস

নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। বুধবার (৩০ অক্টোবর) ফাইনালে কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারায় সাবিনা খাতুনের দল। সাফের শিরোপা নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরবেন ফুটবলাররা।

বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া দুইটায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়নদের। আর তাদের বরণ করতে প্রস্তুত ছাদ খোলা বাস। কমলাপুর বিআরটিসি বাস ডিপো থেকে কিছুক্ষণ পর বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে বাসটি। সাফ চ্যাম্পিয়নরা ছাদ খোলা বাসে করেই বাফুফে ভবনে পৌঁছাবেন।

বিআরটিসি বাসের দুই পাশে চ্যাম্পিয়ন দলের ছবি সেঁটে দেওয়া হয়েছে। দুই পাশে দুই টুর্নামেন্ট সেরার ছবি। বাম পাশে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা ও ডান পাশে সেরা গোলরক্ষক রূপনা চাকমার ট্রফি নেওয়ার মুহূর্ত।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের ছাদ খোলা বাসটি আগের বানানো। আগে চারটি গাড়ির মধ্যে একটি গাড়ি আজকে সাফ বিজয়ীদের আনতে যাবে। বাফুফে আমাদেরকে বলামাত্র আমরা গাড়িটি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করেছি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের লোকগুলো শুধু গাড়িতে স্টিকার লাগিয়েছে। এখানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের লোক আছে, বাফুফের লোকজন আছে। গাড়িটি আন্তর্জাতিক বাস ডিপোতে প্রস্তুত আছে।’

এর আগে ২০২২ সালে এই নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ জিতেছিল বাংলার মেয়েরা। সেবার প্রথম ছাদ খোলা বাসে করে তাদের বরণ করা হয়েছিল।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ মহিলা মাদক ব্যবসায়ী আটক

দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩২বোতল ফেনসিডিল ও ১শ ৭০ গ্রাম গাঁজাসহ তাসলিমা খাতুনকে (৩০)আটক করেছে। আটককৃত তাসলিমা খাতুন দর্শনা পৌরসভার রামনগর গ্রামের ফরজ আলীর স্ত্রী।

জানাযায় গতকাল বুধবার সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে অভিযান চালায় রামনগর গ্রামে। এ সময় দর্শনা থানার এস আই অনুজ কুমার সরকার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালায় রামনগর গ্রামের ফরজ আলী ওরফে সবুজ এর বসত বাড়ীর শয়ন কক্ষে। সেই সময় পুলিশ তার ঘরের কক্ষ থেকে ৩২ বোতল ফেনসিডিল ও ১শ ৭০ গ্রাম গাঁজাসহ তাসলিমাকে আটক করে।

আটককৃত তাসলিমাকে এসআই অনুজ কুমার সরকার বাদি হয়ে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্টে সোপর্দ করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।




ইতালি নেওয়ার নামে ৪ যুবকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকা

ভাল বেতন হবে, জীবন হবে উন্নত। কিন্তু একটু কষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৩ ঘন্টার পানি পথে ইতালি পৌছানো হবে। এ আশ্বাস দেন মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য গাংনী উপজেলার শালদহ গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে ইতালি প্রবাসী টোকন।

অল্প টাকা খরচে ইতালি গিয়ে উন্নত জীবন যাপনের প্রত্যাশায় একই গ্রামের ৪ যুবক দেড় লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকা তুলে দেন ইতালি প্রবাসী টোকনের পরিবারের কাছে।

তবে, অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, লোভে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন মানুষ। আর সচেতনতার অভাবেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বলে দাবি প্রশাসনের।

মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য টোকন ভুয়া ভিসা দিয়ে ৪ যুবককে গত ৩০ জুন লিবিয়া নিয়ে একটি নির্জন কক্ষে প্রায় চার মাস আটক রেখে নির্মম নির্যাতন করে। ভিডিও কলে এই নির্যাতন দেখিয়ে ৪ যুবকের পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৯৬ লক্ষ টাকা। অভিযোগ প্রতারিত ওই চার যুবকের।

তাঁরা জানান, লিবিয়ার জনমানবহীন পাহাড়ের নির্জন স্থানে একটি গোডাউনে ৪ যুবককে আটক রেখে নির্যাতন করতো। নির্যাতনের চিত্র ভিডিও কলে পরিবারের লোকজনকে দিয়ে হুমকী দিয়ে দফায় দফায় হাতিয়ে নিয়েছে এই টাকা। পরিবারের লোকজন ৪ যুবকের জীবন বাঁচাতে সহায় সম্বল বিক্রি ও এনজিও থেকে লোন করে তুলে দিয়েছে মানব পাচারকারী টোকনের পরিবারের কাছে।

ওই ৪ যুবকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের হোতা ইতালি প্রবাসী টোকনের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসি।

ওই ৪ যুবকের কাছ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে দেয়া হয় ইতালির ভিসা, এমনকি বিমানের টিকিটও অগ্রিম কাটা হয়। কিন্তু ইমিগ্রেশনে গিয়ে যুবকরা জানতে পারেন সবই ভুয়া। দালালদের প্রলোভনে পড়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত অনেক যুবক।

ইতালি প্রবাসি টোকন। ১০/১২ বছর আগেও ছিলেন সুদানে। পরে সেখান থেকে লিবিয়াতে যান। সেখান থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানি পথে পাড়ি জমান ইতালিতে।

মুঠোফোনে কথা হয় তাঁর নিজ গ্রাম গাংনী উপজেলার শালদহ এলাকার খবির উদ্দীনের ছেলে স্বপন আলী, ইউসুব আলীর ছেলে কামরুজ্জামান, খলিলুর রহমানের ছেলে সামিউল্লাহ ও পার্শ্ববর্তি আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়গাংনী গ্রামের মৃতু আনোয়ার হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে।

ভুক্তভোগী স্বপন ও কামরুজ্জামান জানান, কোনো ঝামেলা ছাড়াই তাদের ইতালি পৌঁছে দেয়া হবে, এমন শর্তে টোকনের ভাই আনোয়ার হোসেন আনুর ছেলে আকাশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৪ যুবকের ৬ লাখ টাকা। পাসপোর্টে দেয়ার পর তাঁরা ইতালির ভিসা, একই সঙ্গে কেটে দেই বিমানের টিকিটও।

গত ৩০ জুন ইতালির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নিয়ে যান তাদের। বাংলাদেশ থেকে প্রথমে ভারতের চেন্নাই, তারপর শ্রীলংকা হয়ে দুবাই নিয়ে যায়। দুবাইয়ে একটি হোটেলে ৩ দিন রাখে। তারপর মিশর হয়ে নিয়ে যায় লিবিয়াতে। লিবিয়া একটি স্থানীয় বিমান বন্দরে আমাদের নামিয়ে দেন। সেখান থেকে গাড়িতে করে ৪ দিনের পথ পেরিয়ে নিয়ে যায় ত্রিপুর নামে একটি পাহাড় এলাকায়। নির্জন পাহাড়ের উপর একটি গোডাউনে পৌছে দেই আমাদের। ওই গোডউনে আমাদের মত আরও ৫০/৬০ জন অবস্থান করছেন। ওখানে গিয়েই জানতে পারলাম আমরা প্রতারণার শিকার হয়েছি। তিনি জানান, টাকার লেনদেন টোকনের বাড়িতে বসেই হয়।

ভুক্তভোগী স্বপন আলী বলেন, ‘আমাকে ইতালি পাঠানো হবে এ প্রলোভনে পড়ে আমি প্রতারিত হই। আগে বুঝতে পারিনি, তাহলে এই ফাঁদে পা দিতাম না। আমার কাছ থেকে ২৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে টোকনের ভাইস্তে আকাশ। আমি আমার টাকা ফেরত চাই, আর এ দালালচক্রের বিচার চাই।’

আরেক ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘টোকনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আমিসহ তিন যুবক সর্বস্বান্ত হয়েছি। কেউ সুদে টাকা এনে, কেউ এনজিও থেকে ঋণ এনে তাকে ৯৬ লাখ টাকা হাতে তুলে দিয়েছে এ প্রতারকদের। এখন ইতালিও নিতে পারছে না, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। এর একটা প্রতিকার দরকার। এ দালালদের বিচারও হওয়া দরকার। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি, এই চক্রকে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টোকনের মূল পাটনার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারডাঙ্গা গ্রামের ওহিদুর রহমান। তার এলাকায় তাঁকে রহমান নামে চেনে। এই চক্রের আরেক সদস্য ফরিদপুরের তৌহিদুল ইসলাম।

ভূক্তভোগীরা জানান, পানি পথে ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার একটা আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র কাজ করছে। বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের লোক রয়েছেন। বিমানবন্দরে পৌছানোর সাথে সাথে তাদের লোকজন সব ঠিকঠাক করে দেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা “দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ” এর গাংনী এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দীন বলেন, লোভে পড়েই বার বার প্রতারিত হচ্ছেন এলাকার শত শত যুবক। এক্ষেত্রে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তবে, প্রশাসনের উচিৎ বিষয়গুলো নজরে এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।

এ বিষয়ে জানতে টোকনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ওই চার যুবক দেশে ফেরার সাথে সাথে তাঁর স্ত্রী পালিয়ে গেছে বাবার বাড়ি। তবে, তার মা শাহিদা খাতুনের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, এই বাড়ি আমার। আমার ছেলে ওই চার যুবককে নিয়ে গেছে। তারা লিবিয়া থেকে জোর করেই ফিরে এসেছে। ফেরার আগে আমাদের কাছে লিখিত দিয়েছে তারা আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেবেনা বলে। তবে, আরেক অভিযুক্ত টোকনের ভাইস্তে আকাশ পালিয়ে গেছে।

এলাকাবাসি জানান, টোকন এক সময় তার ভাইদের সাথে গাড়ি চালিয়ে জীবন ধারণ করলেও এখন সে গ্রামেই ডুপ্লেক্্র আলীশান বাড়ি তৈরী করেছে।

সরেজমিনে শালদহ গিয়ে দেখা গেছে, তার বাড়ির নাম দিয়েছেন “টোকন আলীশান বাড়ি”।

এদিকে প্রতারিত ওই ৪ যুবক আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

প্রশাসন বলছে, এমন ঘটনা থামাতে জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতার পাশাপাশি প্রয়োজন পরিবারেরও সচেতনতা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনী ইসরাইল বলেন, ‘এমন ঘটনায় আদালতে দায়ের করা একাধিক মামলা তদন্ত করছে পুলিশ। এছাড়া, প্রত্যেকটি মামলা নিখুঁতভাবে তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। অনেকেই গ্রেফতারও হয়েছে। বেকার যুবকরা সচেতন হলে এসব প্রতারকের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। সচেতনতার বিকল্প কিছুই নেই।’




কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামিদ মন্ডল (৫০) ও নজরুল ইসলাম মন্ডল (৪৫) নামে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় জামাল, আসমত, আকবর গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ছাতারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হামিদ মন্ডল ও নজরুল ইসলাম মন্ডল দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের ছাতারপাড়া গ্রামের রমজান মন্ডলের ছেলে।

নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মারধর করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহতের পরিবার হত্যাকারীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আওয়াল কবির জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।




চুয়াডাঙ্গায় ৬ বিজিবির অভিযানে ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এর সদস্যরা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৮৭০ গ্রাম ওজনের ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে।

আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার সময় বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার অন্তর্গত হুদাপাড়া মাছপাড়া নামক স্থান দিয়ে স্বর্ণের একটি চালান পাচার করা হবে। এ সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের পরিকল্পনা এবং দিক-নির্দেশনা মোতাবেক হুদাপাড়া বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মো. মজনুল করিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্তের ৯৫/৩-এস পিলার হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাছপাড়া নামক স্থানে অবস্থান নেয়। দুপুর পৌনে ২ টার সময় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলযোগে উক্ত এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাকে চ্যালেঞ্জ করে।

এ সময় চালক মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারীর ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল তল্লাশি করে মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপের মধ্যে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ১টি প্যাকেট উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত প্যাকেটের ভেতর থেকে ৮৭০ গ্রাম ওজনের ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




গণ বিপ্লবে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই-রাশেদ খাঁন

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও গণবিপ্লবের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি। দেশের মানুষের অধিকার ফিরে এসেছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনের যাতাকালে পিষ্ট জনগণ নতুন করে দেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে ও জুলাই বিপ্লবের সফলতা টিকিয়ে রাখতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই।’

আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) নিজ জেলা ঝিনাইদহ সফরকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

২২ তারিখের বিএনপি’র রুহুল কবির রিজভি স্বাক্ষরিত এক চিঠি প্রসঙ্গে বলেন ওটা ওনাদের দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার তবে আমরা বিএনপি’র সাাথে যুগপথ আন্দোলন করেছি এবং এখনো ভাল সম্পার্ক বজায় রয়েছে এই সম্পার্ক বজায় থাকতে হয়তো তারা এমন চিঠি দিতে পারে। আমরা জাতীয় সরকার গঠনে একমত আছি আনুপাতিক ভোটেন মাধ্যমে সরকার গঠন চাই আমরা তবে ৩০০সিটেই আমরা প্রার্থী দেব। ঝিনাইদহ আমার জন্মস্থান আমি অত্যন্ত নিম্নবিত্ত সাধারণ পরিবারের সন্তান, আমি আপনাদের মাধ্যমে ঝিনাইদহের সকল মানুষের দোয়া ও সমর্থন চাই। এদিন বিকাল ৪টায় ঝিনাইদহ ফ্যামিলি জোন মিলনায়তনে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ ঝিনাইদহ জেলা শাখা।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল শহিদ রাজন, যুব অধিকার পরিষদের রাকিবুল হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, মিশন আলীসহ জেলা ও উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

এসময় ঝিনাইদহের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর সদর উপজেলা আমদহ ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে কর্মী সভা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৪ টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদাহ ইউনিয়নের আশরাফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে এ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমদাহ ইউনিয়নের আমীর মাওঃ মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা আমীর মাওঃ তাজউদ্দিন খান।

এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের দালাল, তাদের বাংলাদেশে ঢোকার কোন অধিকার নাই। আমরা ১৭ বছর মামলা হামলার শিকার, কোর্টের বারান্দায় উঠতে উঠতে পায়ের চামড়া নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর তারা এই কয় মাসে আবারো ক্ষমতায় আসার জন্য পাগল হয়ে উঠেছে কিন্তু ক্ষমতায় আসার তো দূরের কথা জনগণ তাদের চেহারাও আর দেখতে চাই না।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমদাহ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঃ কুদ্দুসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা আমীর মাওঃ সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার, জেলা নায়েবে আমীর মাওঃ মাহবুব-উল আলম, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওঃ কাজী রুহুল আমিন, জেলা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি মোঃ আঃ রউফ মুকুল।

এছাড়াও এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




এসডিসি সমিতি কোটচাঁদপুর শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) সমিতির ম্যানেজার মোঃ নাজমুল হোসেন এর বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও প্রত্যারনার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐ সমিতির প্রত্যারনার স্বীকার সদস্যর স্বামী মোঃ জুলিফিকার আলী। তিনি উপজেলার তালসার গ্রামের মৃতঃ দরবেশ আলীর ছেলে।

আজ বুধবার সকাল ১১ টায় কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনান মোঃ জুলফিকার আলী।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন কোটচাঁদপুর শাখার সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) সমিতির মধ্যে আমার স্ত্রী মোছাঃ সাহারা বেগম চলতি বছরের ফের্রুয়ারী মাসের ২০ তারিখে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। আমার সন্তানদের বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রথম দফায় চলতি বছরের ফের্রুয়ারী মাসের ২২ তারিখে ১ বছরের মেয়াদী ২ ল টাকা ঋণ গ্রহন করেন। তার সদস্য আইডি (১৩২) এবং আইডি নং ( ৩৩) পাশ বহি নং (১৬৬২৭)। ১ বছরের মেয়াদকালে ২ ল টাকায় সার্ভিস চার্জ সুদের পরিমাণ সহ মোট ২ ল ২৭ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে লিখিত চুক্তিপত্র হয়। সমিতির কর্তৃপক্ষ বে-আইনিভাবে ৪ টি ফাঁকা ব্যাংক চেক তাদের হেফাযতে নিয়ে রাখেন। মোট ১২টি কিস্তিতে মাসে ১৯ হাজার টাকা দিয়ে কিস্তি চলতে থাকে। ৬টি কিস্তিতে অর্ধেক টাকা পরিশোধ হয়ে যায়।

এর মধ্যে আমাদের টাকার প্রয়োজন হওয়ার কারণে সমিতির ম্যানেজার মোঃ নাজমুল হোসেন এর সাথে আলাপ আলোচনা করা হলে তিনি পূর্বের ঋণ ও সুদসহ সব টাকা এককালীন অগ্রীম পরিশোধ করার শর্তে আবারও ৩ লক্ষ টাকা দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। আমি তার কথায় সরল বিশ্বাসে উক্ত টাকা ধার দিনা করে পরিশোধ করি, নতুন করে ৩ লক্ষ টাকা পাওয়ার আশায়। কিন্তু চুক্তি মোতাবেক ১ বছরে ২৭ হাজার টাকা সুদ দেয়ার কথা থাকলেও সমিতির ম্যানেজার আমাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা সুদ গ্রহন করেন। টাকা শোধ হওয়ার পর সমিতির ম্যানেজার প্রত্যারনার আশ্রয় নিয়ে আমাদের কে ঋণের ৩ লক্ষ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন। পরবর্তীতে তিনি জানান আমাদের আর কোন টাকা দেয়া হবে না। সমিতির এমন প্রত্যারনায় ফলে আমরা আর্থিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি বিধায় সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) সমিতি কোটচাঁদপুর শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলা হয় অভিযুক্ত ম্যানেজার মোঃ নাজমুল হোসেন এর সাথে, তিনি জানান আগের ২ লক্ষ টাকা সুদসহ এককালীন পরিশোধের শর্তে ৩ লক্ষ টাকা দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু উনারা টাকা ১ কিস্তিতে পরিশোধ না করে ২ কিস্তিতে পরিশোধ করেন, তাই তাদের আর ঋণ দেয়া সম্ভব হয়নি। তাহলে গ্রহকের সাথে প্রত্যারনা করলেন কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন এরিয়া কর্তৃক রাজি না থাকায় ঋণ দেয়া সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে সমিতির ঝিনাইদহ এরিয়ার এরিয়া ম্যানেজার মোঃ হাফিজুর রহমান জানান আমি বিষয়টি অবগত আছি তাদের অন্যত্র ঋণ থাকার কারণে আমাদের সমিতির ঋণ দেয়া সম্ভব হয়নি।




মুজিবনগরে ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

মুজিবনগরে ২০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল সহ সোহাগ (২২)নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজার মুজিবনগর-মেহেরপুর সড়কের আঙ্গুর ওয়েল্ডিং এন্ড থাই ওয়ার্কসফের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক সোহাগ আলী উপজেলার সোনাপুর মাঝপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান জানান, এক মাদক ব্যবসায়ী ভারতীয় তৈরি অবৈধ নেশা দ্রব্য মাদক ফেনসিডিল বিক্রির উদ্দেশ্যে উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে। মুজিবনগর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম কেদারগঞ্জ বাজারে অভিযান চালাই এ সময় কেদারগঞ্জ বাজারের মুজিবনগর-মেহেরপুর সড়কের ব্র্যাক অফিসের কাছে মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ আঙ্গুরের লেদের সামনে মাদক বিক্রির উদ্দেশ্যে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশের উপস্থিতিতে টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয় এবং তার ব্যাগ তল্লাশি করে ২০ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়।
পরে তাকে আটক করে মুজিবনগর থানায় নিয়ে আসা হয়। আটককৃত আসামী সোহাগ আলী মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল নিজ হেফাজতে রেখে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১৪(খ) ধারার অপরাধ করেছে। তাই তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।




মেহেরপুর হাসপাতালের ধোপা ঝন্টুকে শোকজ

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ধোপা ঝন্টু শাহ কে শোকজ করেছেন কতৃর্পক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মো: হাসিবুস সাত্তার এ শোকজ করে ৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছেন।

শোকজে বলা হয়েছে, ঝন্টু শাহ গত ২৮ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের নিকট ২০২৪-২০২৫ অর্থবৎসরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, মেহেরপুরে পথ্য, স্টেশনারী ও ধোপা টেন্ডার কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতি প্রসঙ্গে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ঝন্টু শাহ এখনো মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ধোপা কাজের জন্য তত্ত্বাবধায়কের সাথে চুক্তিবদ্ধ। ধোপার কাজ তিনি সঠিক ভাবে করেন না এবং অনেক সময় অতিরিক্ত বিল দাখিল করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মানবিক দিক বিবেচনা করে পরবর্তীতে সংশোধন হবে মনে কেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

অভিযোগের মারফত দিয়ে তিনি শোকজে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে পছন্দের ঠিকাদারকে নিম্ন দরপত্র দাতা দেখিয়ে কাজ পাইয়ে দিতে বড় অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। যেখানে এখনো টেন্ডার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো শেষ হয়নি এবং কাউকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। তার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রোণিত বলে মন্তব্য করেছেন একই সঙ্গে তাকে ২০২৪-২০২৫ অর্থবৎসরের টেন্ডারের কাজ না পাওয়ার আংশকা থেকে এই অভিযোগ করেছেন বলে মনে করছেন।

তিনি শোকজে আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ বড় অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়েছে, এটি কার কাছ থেকে নিয়েছি? কখন নিয়েছি? এবং বর্তমানে টাকাগুলো কোথায় আছে? টাকার পরিমান কত? কোথায় দূর্নীতি হয়েছে? এর স্বপক্ষে সুস্পষ্ট প্রমাণাদি আগামী ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক বরাবর দাখিল করবেন। অন্যথায় ঝন্টু শাহ এর বিরুদ্ধে মানহানি ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন।