মেহেরপুর ছহিউদ্দিন কলেজে সভাপতি নিয়োগের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মেহেরপুর ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের (সাবেক পৌর কলেজ) গভর্ণিং বডির সভাপতি পদে হোটেল আটলান্টিকা মামলার আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন আরন্যকে নিয়োগের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক ও ছাত্র সমাজ।

আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে শহরের ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে এ মানববন্ধন  অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর সচেতন নাগরিক ও ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি মোঃ দবির উদ্দিনের নেতৃত্বে মানববন্ধনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর খাঁন ছাতু।

অন্যদের মধ্যে বিএনপির সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক ও ছহিউদ্দিন কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহাবুব সানি সহ ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে সবজির দাম নিম্মমুখী, বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম

মেহেরপুরে কিছুদিন আগেও সবজির দাম ছিল লাগামহীন। চাহিদা মতো সবজি কিনতে পারতেন না ক্রেতারা। বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কমে গিয়েছিল। তবে এখন স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। দাম কমায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্য মতো সবজি কিনতে পেরে খুশি।

সপ্তাহন্তে কমেছে মরিচ, রসুন ও আদার দাম। কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী আলু ও পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মেহেরপুরের বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

গতকাল সোমবার সকালে মেহেরপুর বড় বাজারের আড়ৎ ও কাচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ, আদা, রসুন, আলু ও শাক-সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় কমেছে দাম। গত এক সপ্তাহ ধরে সব সবজির দাম বিগত অর্ধেকে নেমে এসেছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাইকারি বাজারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে শাকসবজি বিক্রি করছেন তারা।
বাজারে আলুর কেজি ৫৩ থেকে ৫৭ টাকা। পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৪৮ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি বেগুন এখন ৬০ টাকা কেজি, লাউ কেজিতে ৫০ টাকা, কলা ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা কেজি ও গাজর প্রতি কেজি ২ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মুলা কেজিতে ৪০ টাকা, পালং শাক ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লাল শাক ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, টমেটো ২ শত টাকা এবং লেবু হালিতে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে নতুন করে পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২ শত টাকায়। সোনালি মুরগির দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ৩ শত টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫ শত টাকা কেজি দরে। সপ্তাহন্তে মুরগির দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা।

স্থিতিশীল রয়েছে মাছ ও মাংসের বাজার। মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা। এক থেকে ঢেড় কেজি ওজনের পাঙ্গাস মাছের দাম প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। রুই মাছ ছোট সাইজের বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, গ্লাস কাপ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩ শত টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া, বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২ শত টাকা কেজি দরে।

বাজারভেদে গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৭৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে।

কাঁচা বাজারের বাজার করতে আসা মল্লিক নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকদিন পর বাজার করতে এসে আজকে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। সকল পন্যের দাম অনেকটা সহনীয়।

আরেক ক্রেতা মোঃ আনোয়ার বলেন, কিছুদিন আগেও ১ হাজার টাকা নিয়ে সবজি বাজারে ঢুকলে চাহিদা মতো সবজি কিনতে পারিনি। এখন সব সবজির দাম কিছুটা কমেছে, ইচ্ছে মতো সবজি কিনতে পারছি।

সবজি ব্যবসায়ী ইসমাইল বলেন, পেঁয়াজ ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। বাজারে সবজির সরবরাহ হয়েছে। ফলে দাম কমে গেছে। আমরা বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করি, আর কম দামে কিনলে কম দামেই বিক্রয় করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, কেজি প্রতি শিম ১০০, বেগুন ৬০, কলা ৬০, ফুলকপি ৬০, মুলা ৪০, পালং শাক ৬০ টাকাসহ সব সবজির দাম কমেছে। বাজারে শীতকালীন প্রায় সব সবজিই উঠেছে। সবজি বাজার এখন ক্রেতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক।




মেহেরপুরে জেলা জামায়েতের সাবেক আমির ছমির উদ্দিনের ইন্তেকাল

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছমির উদ্দীন বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না এলাহী রাজিউন)।

আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল পৌণে ১১ টার দিকে  মারা যান তিনি।

আলহাজ্ব ছমির উদ্দীনের ছেলে ডেন্টিস্ট তারিক মোহাম্মদ তাওয়াবুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ২৫ অক্টোবর তিনি আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছেন। গতকাল ২৮ অক্টোবর দুপুরে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত “ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর মায়ের কবর জিয়ারত শেষে বাড়িতে এসে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন।

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুকালে তার ৪ ছেলে ৪ মেয়ে, স্ত্রী আত্মীয় স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মী বন্ধু বান্ধবসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আলহাজ্ব ছমির উদ্দীন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকুরী করতেন। চাকুরী শেষে তিনি দীর্ঘদিন কুয়েত ছিলেন।

পরে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি রাজনৈতিক জীবনে মেহেরপুর সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর নির্বাচিত হন।

পরে তিনি দীর্ঘদিন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় জামায়াতের সূরা সদস্য ছিলেন। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি ২০০৬ সালের পর মেহেরপুর সামসুজ্জোহা পার্কে প্রকাশ্যে পুলিশ কর্তৃক নির্যাতন স্বীকার হন।

তাঁর বড় ছেলে মেহেরপুর জেলা জামায়াতের তৎকালিন সেক্রেটারী ও জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি দুপুরে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকায় ইসলামি ব্যাংকের কাছ থেকে পুলিশ আটক করেন।

ওইদিন গত রাতে বন্দর গ্রামের শ্বসানঘাট এলাকায় কথিত ক্রস ফায়ারের নামে হত্যা করে। তারপরপরই আলহাজ্ব ছমির উদ্দীন তার আমেরিকা প্রবাসী মেঝো ছেলের কাছে চলে যান।

তারপর তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন আওয়ামীলীগ সরকার। এছাড়া শহরের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর বাড়িটি।

২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আলহাজ্ব ছমির উদ্দীনের মায়ের মৃত্যুর সময় দেশে আসলে মায়ের জানাযা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বেশ কিছুদিন হাজত বাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও আমেরিকাতে চলে যান তিনি।

আলহাজ্ব ছমির উদ্দীনের আকষ্মিক মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন  মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দীন খান, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, আলমগীর খান ছাতুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠণের নেতৃবৃন্দ।

পারিবারিক ভাবে জানা গেছে, আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেহেরপুর সরকারী কলেজ মাঠে জানাজা শেষে পৌর কবর স্থানে দাফন করা হবে।




গাংনীতে গাঁজাসহ নারী আটক

গাংনীতে ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ রোজিনা খাতুন (৩৫) নামের এক নারীকে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

আটক রোজিনা খাতুন গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের সীমান্তবর্তি বর্ডারপাড়া এলাকার মজনু আলীর স্ত্রী।
গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিমুল বিল্লাহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রোজিনা খাতুনকে আটক করে।

এসআই শিমুল বিল্লাহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। রোজিনাকে আটকের পর তাঁর স্বীকারোক্তী মোতাবেক ঘর থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়।

এদিকে এলাকাবাসি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রোজিনা খাতুন তার ছেলেসহ মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। পুলিশী অভিযানের কথা টের পেয়ে ছেলে পালিয়ে গেছে।

এঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর যুবদলের উদ্যোগে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলায় নিহত আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের আহবায়ক শহীদ আব্দুল হাই বল্টুর ১২ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ  সোমবার (২৮ অক্টোবর) আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর যুবদলের উদ্যোগে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ।

এসময় তিনি বলেন, রাত পোহালে ঈদ, সবাই ঈদের আনন্দ আর বাড়ির ছোট ছোট ছেলে- মেয়েদের পছন্দের কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত । আর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা খুনের নেশা ঈদের চাঁদরাত্রে আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের আহবায়ক শহীদ আব্দুল হাই বল্টুকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল। তারা দীর্ঘ ১২ বছর এই শহরে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেরিয়েছে। তাদের বিচার হয়নি। এখন সময় এসেছে। আমরা দ্রুত আব্দুল হাই বল্টু খুনিদের গ্রেফতার করিয়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সর্বচ্চো ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দার, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য এমদাদুল হক ডাবু, জেলা জাসাসের সাধারন সম্পাদক সেলিমুল হাবীব সেলিম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, রাশেদুল ইসলাম, পৌর সহসাধারন সম্পাদক মহাবুল হক মাস্টার, আসিফ আল নূর তানিম, মকলেছুর রহমান মিলন, পৌর সাংগঠনিক আলী আজগর সাচ্চু, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঝন্টু, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ মো: রাজিব খাঁন, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মোমিন মালিথা, যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান।

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম বিশ্বাসের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক সেকান্দার আলি,কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম বাবু, রাসেল, জিহাদ, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন কনক, যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার আব্দুল কাদের, হাফিজুর রহমান, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান চমক, সাধারন সম্পাদক আব্দুল হক মিন্টু, সংগঠনিক সম্পাদক জসিম, পৌর ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রশিদ মালিথা,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এমদাদ হোসেন, সদস্য সচিব রাজু আহমেদ রাজিব, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকারিয়া ইসলাম শান্ত, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাহিদ হাসান শুভ, সদস্য সচিব আল ইমরান রাসেল, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আতিক হাসনাত রিংকু, সদস্য সচিব মাহমুদুল হক তন্ময়, যুগ্ম আহবায়ক রাজু আহম্মেদ, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম লিমন, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির অঙ্গসংগঠনের সকল নেতাকর্মি উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণসভা শেষে আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের আহবায়ক শহীদ আব্দুল হাই বল্টুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা ওমর ফারুক।




আলমডাঙ্গায় যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা

আলমডাঙ্গায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার এসো ঐক্যবদ্ধ হই, গণতন্ত্র, শান্তির অর্ধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই শ্লোগানে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর যুবদলের উদ্যোগে ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়।

বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা মঞ্চ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঝন্টু।

এসময় তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা তার অপকর্মের কারণে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তার অপকর্মের কারণেই কিন্তু ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। এখন দেখবেন আওয়ামী লীগের দোসররা বলে আমরা কি এমন অপরাধ করেছি, যারা এই কথা বলেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি, আপনারা সাধারণ মানুষের মাঝে যান তারা আপনাদের জবাব দিয়ে দেবে আপনারা কি করেছেন আর কি করেন নাই।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খাঁন, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম বাবু, আওয়ালুজ্জামান রাসেল, আবু জিহাদ, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন ইসলাম কনক, যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান।

পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার আব্দুল কাদেরের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদল নেতা সাফায়েত, আলা মন্ডল, মতিয়ার রহমান মাখাল, আবু জার, সেলিম, হাসান কাজী, সুমন, সেলিম হোসেন, মুন্সি সাইফুল ইসলাম, শামীম রেজা, মোমিম, লতিফ, মনিরুজ্জামান, আজম, পৌর যুবদল নেতা আওয়াল কবির, মিলন মালিথা,আক্তারুজ্জামান লুলু, শরিফ, মিলি, উজ্জ্বল, মিলন, গোলাম মোস্তফা সহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন যুবদলের নেতা কর্মী বৃন্দ।




আলমডাঙ্গায় গাঁজা সেবনের অপরাধে যুবকে তিন দিনের কারাদণ্ড

আলমডাঙ্গা পৌর শহরে গাঁজা সেবনের অপরাধে আকাশ নামের এক যুবকের তিন দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আকাশ (২১) উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের হারুনের ছেলে।

আজ সোমবার বেলা ১২ টার দিকে পৌর শহরের হাউসপুর এলাকায় গাঁজা সেবনের সময় হাতেনাতে আকাশকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মেহেদি ইসলাম এ কারাদণ্ড দেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আকাশকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




দর্শনা বন্দরে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত

দর্শনা বন্দরের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গেদে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বিএসএফ এর আহবানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর পৌনে দুইটায় এ বৈঠক শুরু হয়। বিকেল পৌনে তিনটা পর্যন্ত বৈঠক চলে।

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর প্রতিপক্ষ ৩২ বিএসএফ গেদে ক্যাম্পে বিএসএফের আহবানে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মারুফুল আবেদীন বিজিওএম। বিএসএফ এর পক্ষে নেতৃত্ব দেন কৃষ্ণনগর সেক্টর কমান্ডার ডিআইজি সঞ্জয় কুমার।

এ বৈঠকে বিজিবির ১০ জন এবং বিএসএফ’র ১২ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। বিজিবির কর্মকর্তারা গেদে ক্যাম্পে পৌঁছুলে বিএসএফ’র সেক্টর কমান্ডার বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও গার্ড সালামী প্রদান করেন। এরপর গেদে বিএসএফ ক্যাম্প কনফারেন্স হলে সৌজন্য সাক্ষাৎ এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

এতে বিজিবি সেক্টর কমান্ডার বলেন, সীমান্ত বিষয়ক ১৫০ গজের মধ্যে যেকোনো কার্যক্রমে আমাদের বর্ডার গাইডলাইন ১৯৭৫ অনুসরণ করতে হবে এবং সীমান্ত হত্যা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে হবে। সীমান্তে, মাদক, মানব পাচার রোধে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তৎপর থাকতে হবে। তাছাড়াও যে কোন সমস্যার সমাধানে বিওপি এবং কোম্পানি পর্যায় থেকে শুরু করে উদ্ধতন মহল পর্যন্ত আলাপচারিতা এবং সৌজন্য সাক্ষাতের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। এ সময় বিএসএফ কমান্ডার একমত পোষণ করেন।

পরবর্তীতে একে অপরের মঙ্গল কামনা করে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করে শান্তিপূর্ণভাবে বৈঠক শেষ হয়।

বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অধিনায়ক (৫৮ বিজিবি) লে. কর্নেল আজিজুস শহীদ, সেক্টর জিএসও টু মেজর মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ৬ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর কাজী আসিফ ইকবাল প্রমুখ। বিএসএফের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়ান কমান্ড্যান্ট বিএম আরো, ৬৮ বিএসএফ ব্যাটেলিয়ান কমান্ড্যান্ট বিপেন পান্থিরায়, ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়ান কমান্ডেন্ট সুজিত কুমার প্রমুখ।




দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আফজালুর রহমান সবুজ ও যুবদলের সদস্য মাহফুজুর রহমান জনি কে অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সন্ধা ৭ টার দিকে উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলটি উপজেলা চত্বর থেকে বাস স্ট্যান্ড মোড় ঘুরে দেউলী হয়ে বিএনপির অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর আবুল হাসেম, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুবদলের যুগ্ন-আহ্বায়ক আরিফুল রহমান আরিফ।

এ সময় বক্তারা বলেন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দেশ অস্বস্তিশীল হয়ে পড়ে পরে ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তারপরও তাদের ষড়যন্ত্র শেষ হচ্ছে না। এখানে ওখানে ঘাপটি মেরে বসে থেকে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র যাতে করতে না পারে সেদিকে বিএনপি যুবদল ছাত্রদল, তথা বিএনপি’র সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সজাগ থাকতে হবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী, যুবদলের সদস্য ইকরামুল মেম্বার এজাজুল হক, আমিনুল ইসলাম রশিদ, মাহফুজুর রহমান জনি, কবির, আব্দুল কাদের, মানিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এম ডি কে সুলতান, উপজেলা যুবদলের নেতা ইমতিয়াজ হোসেন, শওকত আলী, জাহিদ, হাসান, লাবলু, রানা, মামুন, মুর্শিদ বিন সজল, মহসিন, আরিফ, শামীম, শিলং, দেলোয়ার, এনামুল, রনি, শাহাবুদ্দিন, কাউসার, বাদশা, আব্দুর রশিদ, জাহিদুল, আমির হামজা, আলামিন, খালিদ, সম্রাট, রবিউল, জাহিদুল, লাল, লালন, মামুন, জাহাঙ্গীর, বাদশা প্রমূখ।




কেরুজ চিনিকল মিলস গেট আখচাষী কল্যাণ সংস্থার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও কমিটি গঠন

কেরুজ চিনিকল মিলস গেট আখচাষী কল্যাণ সংস্থার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও কমিটি গঠণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১১ টার দিকে কেরুজ ট্রেনিং কমপ্লেক্সের হল রুমে কেরুজ চিনিকলের মিলস গেট আখচাষী কল্যাণ সংস্থার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও কমিটি গঠণ অনুষ্ঠিত হয়।

কেরুজ চিনিকল মিলস গেট আখচাষী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভা ও কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কেরু’জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান (এফসিএমএ)।

কেরুজ চিনিকল মিলস গেট আখচাষী কল্যাণ সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামানের উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, দামুড়হুদা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন, কেরু’জ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুইয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, জেলা শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক সাবু তরফদার, সাবেক ছাত্রনেতা দর্শনা পৌর বিএনপি সমন্বয়ক কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম মাষ্টার, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক কমিটির সদস্য মাহাবুবুল হাসান খোকন, দর্শনা পৌর বিএনপি সমন্বয়ক কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান, দর্শনা পৌর বিএনপি সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর শরীফ উদ্দিন, দর্শনা পৌর জামায়াতের সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, কেরুজ অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক নেতা হাবিবুর রহমান হবি, প্রমুখ।

সভার বক্তব্য শেষে শরীফ উদ্দীনকে সভাপতি ও নজরুল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক, ওহিদুজজামান ও শফিউল আলম তোতাকে সহ-সভাপতি, মোমিনল ইসলাম ও জাহান আলীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জালাল উদ্দীন লিটনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি পূর্ণঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

আলোচনার শুরুতেই আখচাষী কল্যাণ সংস্থার পরিচালনা পরিষদের অর্থ সম্পাদক (ক্যাশিয়ার) নজরুল ইসলাম বিগত বছরের আয় ব্যায়ের হিসাব উপস্থিত সকলের মাঝে পাঠ করে তুলে ধরেন।