দর্শনা কেরুতে অনিয়ম ও অর্থ বাণিজ্যর অভিযোগ তদন্তে কমিটির ৩ সদস্য
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানিতে ১০৪ জন মৌসুমি থেকে স্থায়ীকরণে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ বাণিজ্যর অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন। আজ সোমবার দুপুরে তদন্তকারী প্রতিনিধির ৩ সদস্যর কর্মকর্তারা তদন্তে আসে কেরু চিনিকলে। তদন্তকারী দল দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে ৪ জনকে চিঠি করে জবানবন্দি নিয়েছে বলে জানাগেছে।
এ সময় কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর সাবেক এমডি মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন, শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ ও মহিদুল নামের এক শ্রমিককে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে।
৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য কর্পোরেশনের সচিব আনোয়ার কবির, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মোঃ শামীমুল হক ও যুগ্ম সচিব ও পরিচালক অর্থ) মনিরুজ্জামান মিয়া। দর্শনা কেরু চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৪ সালের ১৩, ১৪ মে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে মৌসুমী শ্রমিক ও কর্মচারী থেকে স্থায়ীকরণের বিষয়ে লিখিত পরিক্ষা অনুষ্টিত হয় কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরের দিন মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় কেরুজ ট্রেনিং কমপ্লেক্স ভবনে।
গত ১৫ মে তাদের যাচাই বাচাই করার সময় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন সচিব কাওসার আহম্মেদ স্বাক্ষরিত জরুরী পত্রে দর্শনা কেরু কোম্পানির সহ ৯টি চিনিকলের স্থায়ীকরণ কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশনা দেন। কিন্তুু ১৫ মে ওই দিন কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ১০৪ জন শ্রমিক ও কর্মচারীকে পদোন্নতিপত্র প্রদান এবং ঐদিনই কর্মস্থলে যোগদানপত্র হাতে তুলে দেন সাবেক এমডি মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন। এই ঘটনায় জাতীয় স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে কতৃপক্ষ। এ ঘটনার পর মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৌসুমী শ্রমিক মোঃ মহিদুল ইসলাম। এ ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ শিল্প চিনি ও খাদ্য কর্পোরেশনের সচিব আনোয়ার কবির প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে।
তদন্ত কমিটি জিজ্ঞেসা বাদের জন্য তৎকালীন দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন, কেরু শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, শ্রমিক আব্দুল মান্নান, অভিযোগকারী মোঃ মহিদুল ইসলামসহ অনেকের লিখিত ভাবে চিঠি প্রদান করেছে।
আজ সোমবার দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সচিব আনোয়ার কবির ঘটনা সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে লিখিত বক্তব্য নেন। তিনি সাংবাদিকদেও এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে তদন্ত শেষ হলে আপনাদের জানাবো।
এ নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত কমিটি এসেছে তাদের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তদন্ত শেষে প্রকৃত রহস্য আপনারা জানতে পারবেন।