ফিলিস্তিনের ১৯টি সিনেমা সরিয়ে দিল নেটফ্লিক্স

ফিলিস্তিনি ১৯ টি সিনেমা সরিয়ে দিয়েছে জনপ্রিয় অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স। ২০২১ সাল থেকে ফিলিস্তিনের ৩২টি সিনেমা চলতো নেটফ্লিক্সে। সেখান থেকে ১৯ টি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

দ্য হলিউড রিপোর্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে সিনেমা গুলো সরানোর কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে নেটফ্লিক্স।

এর আগে নেটফ্লিক্স এক ঘোষণায় জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনিদের নিয়ে ১৯ টি সিনেমা এ প্ল্যাটফর্ম থেক সরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর বিষয়টি ফিলিস্তিনিদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তারা নেটফ্লিক্সের থেকে বিদ্বেষের ইঙ্গিত পায় এবং এক পর্যায়ে বিষয়টি নানাভাবে বিতর্কে গড়ায়।

এছাড়া সান ফ্রান্সিসকো ভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম ফরওয়ার্ড ছবিগুলো সরানোর কারণ কী, তার কৈফিয়ত চায়। প্রতিবাদ জানিয়ে পিটিশনসহ একটি খোলা চিঠি দিয়ে আন্তর্জাতিক এই স্ট্রিমিং প্লাটফর্মটির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ফিলিস্তিনি নির্মাতাদের নির্মিত এবং ফিলিস্তিনের জনগোষ্ঠীর কথা উঠে এসেছে- এমন সিনেমাগুলো কেন সরানো হল, তার ব্যাখ্যা চাই আমরা।’

ব্যাখ্যায় নেটিফ্লিক্স জানায়, ‘আমরা ২০২১ সালে তিন বছরের জন্য ফিল্মের এই লাইসেন্স সংগ্রহটি চালু করেছি। সেই লাইসেন্সগুলোর এখন মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা আমাদের সারা বিশ্বের দর্শকদের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের মানসম্পন্ন ফিল্ম নিয়ে কাজ করছি।’

এদিকে ফ্রিডম ফরোয়ার্ডের কথায়, ‘প্যালেস্টাইনের গল্প বিশ্বের সাথে শেয়ার করার জন্য নেটফ্লিক্সের যথাসাধ্য সাহায্য করা উচিত। কিন্তু সেখানে নেটফ্লিক্স উল্টো ফিলিস্তিনি চলচ্চিত্র সরিয়ে ফিলিস্তিনি গণহত্যা ও তার কণ্ঠস্বর মুছে ফেলে দেওয়ার উপক্রম করছে।

তাদের এমন সিদ্ধান্তে পশ্চিমা সংবাদ এবং বিনোদন মিডিয়া সংস্থাগুলো ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিরূপ দৃষ্টিকোণ সংগঠিত করছে।’

এলিয়া সুলেমানের ‘ডিভাইন ইন্টারভেনশন’, অ্যানেমারি জাসিরের ‘সল্ট অব দ্য সি’, মাই মাসরির ‘৩০০০ নাইটস’সহ ফিলিস্তিনের বেশ কিছু আলোচিত সিনেমা স্ট্রিমিং হত নেটফ্লিক্সে।

সম্প্রতি নেটফ্লিক্স থেকে সেই সিনেমা গুলো দেখতে না পাওয়ায় বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। কারণ, নেটফ্লিক্স এগুলো সরানোর সিদ্ধান্তটি এমন সময় নিয়েছে, যখন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালাচ্ছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




আলমডাঙ্গায় মিথ্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও প্রতারণার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

জমি বিক্রির কথা বলে প্রতারণা করে নেওয়া টাকা ফেরত না দিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর পর মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আলমডাঙ্গার খেজুরতলা গ্রামের মঞ্জুর আলী। তিনি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তার সাথে করা প্রতারণার বিচার দাবী করে গতকাল রোববার এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জুর আলী উল্লেখ করেন ২০২০ সালে শ্বশুরের দেওয়া আমার স্ত্রী ও তার বোনদেরকে নামে বাড়ির সম্পত্তির অংশ বিক্রির ঘোষণা দিলে পাঁচলিয়া গ্রামের ওমর মন্ডল কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তিনি ২ লক্ষ টাকা বায়নানামা করেন। এ বিষয়টি জানার পর রায়সা গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ এস, এ হৃদয় আমাকে এসএসআই’র অফিসার পরিচয় দিয়ে পিস্তল উচিয়ে ভয় দেখিয়ে জমির বায়না ফেরত দিতে বলে । আমি রাজি না হওয়ায় তিনি গোয়েন্দা বিভাগে আছে, এমপি সোলায়মান হক সেলুন জোয়াদার তাকে পৌর মেয়র গনু মিয়ার ভোটের জন্য এখানে দিয়ে নিয়ে এসেছে। টাকা ফেরৎ না দিলে আমাকে হারদী হাসপাতাল থেকে বদলী করে দেব সহ নানা রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেক বুঝিয়ে জমির ক্রেতা মোঃ ওমর আলী ভাইকে টাকা ফেরত দেওয়া হয় । টাকা ফেরৎ দিলে সেদিনই জমি রেজিষ্ট্রী করে দিতে হবে বলে চাপ সৃষ্টি করে।অনেক বুঝিয়ে ২৫/০৩/২০২০ তারিখে রেজিস্ট্রার অফিস খোলা না থাকায় এনএসআই অফিসার পরিচয় দিয়ে সাব- রেজিস্ট্রি অফিসারকে ম্যানেজ করে আনন্দধামের একটি গোডাউনের মধ্যে নিয়ে গিয়ে আমাদের কাছ থেকে জোর করে জমি রেজিষ্ট্রী করে নেয়। বেশ কিছুদিন পর হঠাৎ তার ভগ্নিপতির চাকরীর জন্য টাকার প্রয়োজন বলে জমি ফেরৎ দিতে চান । অনেক অনুরোধে আমরা জমি ফিরিয়ে নিতে চাইলে গত ১৫/০২/২০২১ ইং তারিখে রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিল লেখক মোঃ কোরবান আলীর মাধ্যমে দলিল লিখে টাকা চায়। জমি হৃদয় ও তার স্ত্রীর নামে থাকার কারণে তার স্ত্রীকে আনতে রায়সা গ্রামে আমার এম্বুলেন্স পাঠিনো হয়। তার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হঠাৎ ৪/৫ জন লোক বিকেল ৪ টার দিকে রেজিস্ট্রী অফিসে এসে দ্রুত টাকা না দিলে হৃদয়ের ভগ্নিপতির চাকুরী হবেনা বলে জোরাজুরি শুরু করেন । আমি সরল মনে ১০ লক্ষ টাকা মোঃ এস, এ হৃদয় কে দিয়ে দিই। পরে তার স্ত্রীর রেজিস্ট্রি অফিসে না আসলে মোবাইলে গালাগালি মটর সাইকেলে চলে যায় ওনার স্ত্রীকে আনার জন্য চলে যায়।

পরে আর তারা রেজিস্ট্রি অফিসে না এসে আমাকে মোবাইলে জানাই আজকে আসছেনা কাল যেভাবেই হোক জমি রেজিষ্ট্রী করে দিবো। এর একদিন পরে ঐ জমি দখল নেওয়ার জন্য রাত ২টার সময় প্রাচীর দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করে সেই সংবাদ পেয়ে থানাতে অভিযোগ দিলে এসআই খাইরুল সাহেব ফোর্স পাঠাইয়া তাকে ধরে নিয়ে আসে। তখন মোখিক ভাবে আপোষ করে বাড়ি গেলেও পরদিন থানায় এসে টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করে। পরে রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক মোঃ কোরবান আলী ও ওবাইদুল ডাক্তার সাক্ষী দিলে মোঃ এস.এ হৃদয় বলে আমি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে কয়েক দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেবার কথা বলে।

এর কয়দিন পরেই টাকা না দিয়ে নানা ভয়-ভীতি দেখিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জোর পূর্বক আমার কাছ থেকে আপোষ নামায় স্বাক্ষর করে নেয়। ফলে গত ২৫/০৩/২০২০ইং তারিখে খরিদকৃত জমির শরিকরা আদালতে টাকা দাখিল করেন। টাকা দাখিলের মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করেন। গত ৫ তারিখে সরকার পতন হওয়ার পরপর আমি এই প্রতারণার বিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিলে মোঃ এস,এ হৃদয় টাকা না দেওয়ার জন্য তার পিতার মৃত্যুর ২৫ বছর পরে আমার নামে।

মিথ্যা হত্যা মামলা করে। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা পূর্বক সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করে এস এ হৃদয়ের প্রতারণার বিচার দাবী করছি।




ফাইনালে মেয়েদের প্রতিপক্ষ নেপাল

নারী সাফে গত ফাইনালের মতো এবারও প্রতিপক্ষ হিসাবে নেপালকে পেয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল রাতে কাঠমান্ডুতে নাটকীয় সেমিফাইনাল ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর সরাসরি টাইব্রেকিংয়ে নেপাল ৪-২ গোলে হারায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে। দুই দফায় খেলা বন্ধ ছিল। একবার লাল কার্ড ইস্যুতে। নেপালের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার রেখাকে লাল কার্ড দেখান ভুটানের রেফারি। এ নিয়ে ১০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে।

খেলা শুরু হলে নেপাল ১০ জন নিয়েই লড়াই করে গোল হজম করে। ৫২ মিনিটে ভারতের সঙ্গীতা গোল করেন, ১-০। গোলের পর কিকঅফ করেই গোল করে নেপাল। কিন্তু ভুটানি রেফারি ওম চোকি সেই গোল বাতিল করেন। প্রতিবাদে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। নেপালি ফুটবলারদের দাবি রেফারি বাঁশি বাজানোর পরই কিকঅফ করা হয়েছে। কিন্তু রেফারি সেটি অস্বীকার করে। নেপালের ফুটবলাররা মাঠের সাইড লাইনে চলে যান। তাদের দাবি গোল দিতে হবে।

এ নিয়ে ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। পরে নেপালের সিনিয়র কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তাদের ফুটবলাররা গোল বাতিলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে খেলায় নামে। ৫ মিনিটের মধ্যে নেপাল গোল করে পুরো ম্যাচের নাটক বদলে দেয়। নেপালি গোলদাতা সাবিত্রী ভান্ডারি গোল করে জার্সি খুলে ফেলেন। রেফারি ওম চোকি সাবিত্রীকে হলুদ কার্ড দেখান। শুধু জার্সিই খুলেননি তিনি, বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লাথি মেরে ভেঙ্গে দেন, নিজের পায়ে ব্যথা পান। গোল করে জার্সি খোলার দৃশ্য দেখা গেছে ১৯৯৯ সালে নারী বিশ্বকাপ ফুটবলে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার ম্যাচে গায়ের জার্সি খুলে গোলের উৎসব করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলার ব্র্যান্ডি চাসটাইন। তখন হলুদ কার্ড দেখানোর নিয়ম ছিল না। পরে চালু হয়েছে।

দশরথের রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ১৬ হাজার দর্শক ছিল। সাফের সবচেয়ে উত্তেজনাকর ম্যাচ দেখেছেন নারী সাফের উপমহাদেশের দর্শক। টানটান উত্তেজনার সেমিফাইনালের নির্ধারিত সময়ের আগেই টাইব্রেকিংয়ের জন্য ভারত ও নেপাল তাদের গোলরক্ষক পরিবর্তন করে। সফল হয় নেপাল। নেপালের গোলরক্ষক অঞ্জনা মাগার তার দলকে ফাইনালে তুলেছেন। সেমিফাইনালে সহকারী রেফারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের সালমা আক্তার মনি এবং চতুর্থ রেফারি ছিলেন জয়া চাকমা।

সূত্র: ইত্তেফাক




আলমডাঙ্গায় যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

আলমডাঙ্গায় যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও যুবদল নেতা শহীদ আব্দুল হাই বল্টুর ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল এবং শোক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার বিকেলে হাজী মোড়স্থ টিলু ওস্তাদের চাতালে আলোচনা সভা ও আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের নেতা শহীদ আব্দুল হাই বল্টুর মৃত্যুবার্ষিকীর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব শফিকুল আজম ডালিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল কাওনাইন টিলু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিলু মিয়া বলেন,লড়াই সংগ্রামে অর্জিত বিজয়কে সংহত হবে। তাই যুবদলের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি রুখে দিতে হবে। যুবদল সমস্ত অন্যায় সন্ত্রাস প্রতিহত করবে, কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেব না। তিনি বলেন,যুবদল নেতা বল্টু একজন একনিষ্ঠ নেতা ছিল। তাকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্মম ভাবে হত্যা করে। আজ যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতি ভেসে ওঠে।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন, বিএনপি নেতা রেজাউল হক, জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাগরিবুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মোস্তফা, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ফারুকুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রহিদুজ্জামান রহিত ও সাবেক কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফাহমিদুর রহমান মুনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বাকী বিল্লাহ, তৌফিক খান, সোহেল রানা, রাসেল, উপজেলা যুবদল নেতা মিলন আলী, সাদ্দাম মুন্সি, সোয়েব, ডালিম, জাহাঙ্গীর, সোহাগ, নাসির উদ্দিন, আলমগীর, ছালাম, বুরহান, ফজলু, দোদুল, যুবদল নেতা মিশকা, সাগর, হাসিব, মুন্নি, কামরুল, জনি, পলাশ, সাদ্দাম, জাহিদ, মুকুল, হামিদ, হাসান, মুনিয়ার, আরিফ, লিয়ন, চপল, জয়, রাসেল, জাহিদ, লিটন, রনি, বজলু, রাজু, সাইফুল, জয়নাল, আব্দুস সালাম, সমের, রিপন, রাজা, আবুল কালাম প্রমুখ।




গাংনীতে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মেহেরপুরের গাংনীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালী, সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেলে গাংনী উপজেলা যুবদলের আয়োজনে এক বিশাল র‍্যালী গাংনী বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়। এরপর গাংনী বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে গাংনী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মালেক হোসেন চপ্পল।
উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিলটন।

এ সময় তিনি বলেন, গনতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে পাহারা দেবে জাতীয়তাবাদী যুবদল। আওয়ামী লীগ এখনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কেউ যদি করে তাহলে আপনারা তাকে প্রতিহত করবেন। তাকে ধরে যৌথ বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। এছড়াও তিনি বলেন, তারেক রহমানের নামে যে সকল মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দাল হক।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওসার আলী।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সহসভাপতি বিকলুস হক, পৌর যুবদলের আহবায়ক সাহিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব এনামুল হক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম নাসির,জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আওয়াল বিশ্বাস, আলফাজ উদ্দিন কালু,ইনসারুল হক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আখেরুজ্জামান, যোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত নেতা ও কর্মী বৃন্দরা।

গাংনী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড থেকে দলে দলে যুবদলের নেতা ও কর্মী বৃন্দরা সমাবেশে যোগদান করে।




মেহেরপুরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মেহেরপুরে শোভাযাত্রা ও সমাবেশের মধ্যে দিয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

রবিবার বিকালে জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদের নেতৃত্বে বিএনপি কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে গিয়ে শেষ হয়।

মেহেরপুরে-জাতীয়তাবাদী-য/পরে পার্কের মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুন বলেন, আজকের মিছিলে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই বোঝা যায় যুবসমাজ ঘুরে দাঁড়ালে সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার দেশের সমস্ত কিছু লুটপাট করে খেয়েছে। তাদের দোসরদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না। দলে অনুপ্রবেশকারীদের কোন স্থান দেওয়া যাবে না।

মেহেরপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় শতশত নেতা কর্মী

কর্মসীচূতে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, সদর উপজলা যুবদলের আহবায়ক লিয়াকত আলী, সদস্য সচিব কামরুজ্জামান বিপ্লব, পৌর যুবদলের আহবায়ক সামিউল ইসলাম লিজন, সদস্য সচিব নওশেল আহমেদ রনি, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবুল হাসান, সদস্য সচিব আনারুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিটের শত শত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।




মেহেরপুরে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল মেহেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সংগঠনটির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, রক্তদান কর্মসূচি, কেক কাটা, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।

আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি মেহেরপুরে শহরের মল্লিক পুকুরের উপর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক হুজাইফা ডিক্লিয়ার।

এ সময় মেহেরপুর সদর যুবদল নেতা বখতিয়ার, ইউনুস আলী, মাসুুদ, রাজু, সাবেক ছাত্রদল নেতা জয়নাল আবেদীন অভি, লিটন, ফাহিম, মুজিবনগর যুবদল নেতা সিরাজ, এরশাদ, জাহাঙ্গীর, ইয়াসিন বাসিম, ইদ্রিস, মোঃ ইমরান হোসেন, স্বপন, মাসুদ, সুজন, বাবু, হাবিবর, পলাশ, বারাদী ইউনিয়ন যুবদল নেতা আসলামউদ্দীন বিট্টুসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভার স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দিনটির সমাপ্তি ঘটে।




দামুড়হুদায় ভ্রাম্যমান আদালতে তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

দামুড়হুদায় মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে তিনটি প্রতিষ্ঠানের মালিক কে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।

আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ডুগডুগি বাজারে ২টি মুদিখানা ও একজন সার ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ এ সময় সহযোগিতা করেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান।

জানা যায় দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগি বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ও পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে দোষী সাবস্ত করে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩২/ ৫১ ধারায় রাজিব স্টোর মালিক কে ২০০০ টাকা হালিম ট্রেডার্স এর মালিক কে ৫০০০ টাকা ও শামীম ট্রেডার্স এর মালিক কে ২০০০টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। সকলে জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্ত হন। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ।




দামুড়হুদায় যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ মিছিল

দামুড়হুদায় যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিশাল এক আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সম্মুখ থেকে বিশাল এক আনন্দ মিছিল বার হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের আয়োজনে মিছিলটি দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে জেলার অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন ও যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফের নেতৃত্বে মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলে অংশ নেন উপজেলা যুবদলনেতা সেলিম, মাহাফুজুর রহমান জনি, লাভলু, আমিনুল ইসলাম রশিদ, ইমতিয়াজ হোসেন, শওকত আলী, ইজাজুল, আরিফ, উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক আফজালুল রহমান সবুজ, সহ শত শত নেতাকর্মীবৃন্দ প্রমুখ।




দর্শনায় ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ১

দর্শনা থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ হাফিজ (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত হাফিজ দর্শনা থানার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মিনহাজ উদ্দীনের ছেলে। আজ রবিবার সকাল ৬ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে অভিযান চালায় আকন্দবাড়িয়া বন্ধু তলা পাকা রাস্তার উপরে।

এ সময় দর্শনা থানার এস আই শামসুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ দর্শনা-জীবননগর সড়কে অভিযান চালিয়ে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ আকন্দবাড়িয়া মাঝপাড়ার হাফিজকে তল্লাশি করে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় এস আই শামসুর রহমান বাদি হয়ে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্টে সোপর্দ করেছে।