দামুড়হুদায় একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি, নেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা
দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি হাঁটু পর্যন্ত হয়ে যায়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ইস্কুলে যাওয়া কোমলমতি শিশুসহ পথচারীদের। চলাচলের সময় কাদাযুক্ত পানি দিয়ে তাদের যাতায়াত করতে হয়। জমে থাকা পানি পথচারী ও স্কুল শিক্ষার্থীদের জামাকাপড় নষ্ট করে দিচ্ছে। কখনো মোটরসাইকেল আরোহী উল্টে যাচ্ছে, আবার কখনো যাত্রীসহ পানিতে পড়ছে যানবাহন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কানাইডাঙ্গা দক্ষিণ পাড়ার রাস্তার মাঝখানে কাদাযুক্ত বৃষ্টির পানি জমে আছে। সড়কের দুই পাশে বসতবাড়ি । কাদাযুক্ত বৃষ্টির পানি দিয়ে লোকজন চলাচল করছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ।
কানাইডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো শাজাহান আলী বলেন প্রায় ১০০ ঘর মানুষ এখানে বসবাস করে তাদের যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেই সাথে স্কুলে যাওয়া কোমলমতি শিশুদের যাওয়াটা কষ্ট দায় হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সামসুল হক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়। এই জায়গাটি গর্ত থাকার কারণে সেই পানি আর কোনদিকে সরে না। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে কাদাযুক্ত হয়ে যায়। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে এ দুর্ভোগে পড়েন এই সড়কে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহনের চালকরা।
স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন,একটু বৃষ্টি হলেই এ জায়গায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকে। এক দিনের মধ্যে পানি আর কাদায় একাকার হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় জনগণের। অল্প জায়গায় মাটি ভরাট অথবা পাকাকরণ করে পানি নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেই আর এমন হতো না।
জনদুর্ভোগ নিরসনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ মমতাজ মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।