আমরা একটি সাম্যের বাংলাদেশ চাই–কুষ্টিয়ায় ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, আমরা একটি সাম্যের বাংলাদেশ চাই। যেখানে সব ধর্ম মত ও পথের মানুষ নিজেদের অধিকার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। আমরা চাই না নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক। এদেশে দখলবাজিদের স্থান হবে না। দখলবাজি চলতে দেওয়া হবে না। ইসলামি সমাজ ব্যবস্থায় কোনো বৈষম্য থাকে না। এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখা অয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যক্তিকে ভোট দিবে না -মানুষ মার্কায় ভোট দেবে। তবেই হবে পিয়ার সিস্টেম নির্বাচন। মানুষ শাস্তি পাবে। কেও বৈষম্যর শিকার হবে না, শান্তিতে থাকবে। শুধু নেতা নয় নীতির পরিবর্তন হতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন হলো পিয়ার সিস্টেমে নির্বাচন। প্রাপ্ত ভোট অনুপাতে আসন নির্ধারণ হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি সাম্যের বাংলাদেশ চাই। যেখানে সব ধর্ম মত ও পথের মানুষ নিজেদের অধিকার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। আমরা চাই না নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক। এদেশে দখলবাজিদের স্থান হবে না। দখলবাজি চলতে দেওয়া হবে না। ইসলামি সমাজ ব্যবস্থায় কোনো বৈষম্য থাকে না। এর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আরও বলেন, ভেবেছিলাম স্বাধীন দেশে এবার মানুষ শান্তি পাবে-মুক্তি পাবে। কিন্তু কি পেলাম! ৫৩ বছরে দেখালাম সামাজিক ন্যায়বিচার নেই, সাম্যতা নেই। এ অবস্থা চললে গরিবরা আরও গরিব হবে, ধনীরা আরও ধনী হবে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বক্তব্যে আরও বলেন, দেশের অর্থ পাচারকারীদের বিচার করে বিদেশে পাঠানো তাদের সমুদয় অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে আনা ও সংখানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করাতেই হবে, তাছাড়া কোনোভাবেই রাষ্ট্র মেরামত সম্ভব না। ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান শেখ হাসিনার পিয়ন ৪শ কোটি টাকা পাচার করে। মাত্র ২৫ পরিবারের কাছে এতো পরিমাণ টাকা যে সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছেও সেই পরিমাণ টাকা নেই। জাল-জালিয়াতি ও দুর্নীতি করে এতো টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে ও বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সব মানুষের মাথার উপর এখন দেড় লাখ টাকার ঋণ চেপে বসেছে। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই। ভালো মানুষ সংসদে গেলে দেশের মানুষের উপকার ছাড়া ক্ষতি নেই। সংসদকে অকার্যকর করে ফেলেছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার।
সংগঠনের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমাদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জিএম তাওহীদ আনোয়ারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেছার উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমির, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী সমন্বয়ক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন রাহাত, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, কুষ্টিয়া জেলা শাখার সংগ্রামী সভাপতি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামসহ অনেকে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমর্থক যোগ দেন এ সমাবেশে। ব্যানার ফেস্টুনসহ দলে দলে সমাবেশ স্থলে হাজির হলেও ছিল না কোনো বিশৃঙ্খলা। অনেকেই দলীয় মার্কা হাত পাখা নিয়ে এসেছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যর সময় উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মী মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েন। টুঁ শব্দ করেননি তারা। বক্তব্য শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।