ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ৩ জনের মৃত্যু

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের সুড়াপাড়া গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ১নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন-ওই গ্রামের মৃত মকছেদ মোল্লার ছেলে আঙ্গার আলী (৬০), তার ভাইবৌ হাসিনা খাতুন (৫৫) ও ভাতিজার স্ত্রী রেশমা খাতুন (৪০)।

স্থানীয়রা জানান, গত দুদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের সুড়াপাড়া গ্রামের কৃষক আঙ্গার আলীর বাড়ির পেছনের পেঁপে গাছ ভেঙ্গে যায়। রোববার রাতে আঙ্গার আলী পেঁপে গাছ ঠিক করতে গেলে বিদ্যুতের ছেড়া তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। রাতে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। সোমবার সকালে হাসিনা খাতুন ও রেশমা খাতুন আঙ্গার আলীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করতে যায়। সেসময় তারাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদেরও মৃত্যু হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, সুড়াপাড়া গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় মানসিক ভারসাম্যহীন দুই নারীকে হাসপাতালে নিলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে সাকিব বিশ্বাস নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত কাজে আসেন। এ সময় স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে গুরুতর জখম অবস্থায় এক প্রতিবন্ধী মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে পড়ে থাকতে দেখেন এই শিক্ষার্থী। কৌতুহলবশত ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। ওই নারী মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে বুঝতে পারেন। পরে তার শরীরে গুরুতর জখম দেখতে পায়। সেই ক্ষতস্থানে পোকায় বাসা বেধেছে। এ সব দেখে ওই শিক্ষার্থী দ্রুত তার সহকর্মী ও সিনিয়রদের বিষয়টি অবগত করেন।

তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সহযোগিতায় ওই নারীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে রোগীটির চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাতের চিকিৎসার যাবতীয় মেডিসিন সহ অনান্য সামগ্রী কিনে দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত সাকিব বিশ্বাস বলেন, স্টেশনে আমরা একজন বৃদ্ধাকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তার কাছে যেয়ে দেখি ডান পায়ের এক অংশ ইনজুরি এবং ক্ষত সৃষ্টি করে পোকা বাসা বেধেছে। আমরা চুয়াডাঙ্গা সাধারণ শিক্ষার্থী মিলে সিধান্ত নিই তার চিকিৎসা সেবা দেওয়া প্রয়োজন যোগাযোগ করে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

শিক্ষার্থী শাফফাতুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। তার চিকিৎসাসহ যাবতীয় সেবার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। পাশাপাশি তার পূর্ণবাসনের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফাহিম উদ্দিন মভিন, মাহবুবুর ইসলাম আকাশ, মুশফিকুর রহমান, সাদ, রিয়াজুল বাসার, মাহিম বিল্লাহ ও আকাশ প্রমূখ।




আলমডাঙ্গায় শিশু ফাহিমকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল

আলমডাঙ্গা উপজেলার নটা বিলের খালে পড়ে ফাহিম (৫) নামের এক শিশু নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুর দেড়টার দিকে খাসকররা ইউনিয়নের সানবাধা রাইসা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে খুলনা জেলা অভিজ্ঞ চারজন ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন।

নিখোঁজ শিশু ফাহিম রাইসা সানবাধা গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক আব্দুল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, রোববার দুপুরে বাড়ির পাশে নটা বিলের খালের সাঁকোতে খেলা করছিল শিশু ফাহিম। ওই সময় ফাহিম খালের পানিতে পড়ে স্রোতে ভেসে যায়। পরিবারের সদস্যরা সাঁকোর উপর থেকে তার পায়ের স্যান্ডেল উদ্ধার করে। পরে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়। তাদের সাথে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন স্থানীয়রাও।

শিশুর পিতা গ্রাম্য চিকিৎসক আব্দুল হোসেন জানান, দুপুরে গোসলের আগে ফাহিম বাড়ির পাশে খালের সাঁকোর উপর খেলা করছিল। তার মা বাড়ির মধ্যে আসলে ফাহিম খালের পানিতে পড়ে যায়। পরে এলাকাবাসী মিলে খোঁজাখুঁজি করলেও শিশু ফাহিমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সির্ভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়ে বিকেলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। বর্ষার কারণে খালে স্রোত থাকায় শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, রোববার খুলনা ফায়ার সার্ভিসের অভিজ্ঞ ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে নেমেছে।

আলমডাঙ্গা থানার (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, খালের পানিতে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।




আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আজ সোমবার ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। অর্থাৎ মহান আল্লাহর হাবিব আখেরি নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের দিন আজ। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

৫৭০ খ্রিস্টাব্দের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়ালের ১২ তারিখে মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে বিশ্বনবী জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর বাবা আবদুল্লাহ। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। জন্মের আগেই রাসুল (সা.) তাঁর বাবাকে হারান এবং ছয় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন।বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে মহান আল্লাহ তাআলা রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছিলেন।

এ কারণে তাঁকে ‘রহমাতুল্লিল আলামিন’ বলা হয়। সারা পৃথিবীর মুসলিমদের কাছে দিনটি অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। মুসলিম উম্মাহ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে উদযাপন করে থাকে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তাওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সে সময় আরবের সমাজ ছিল পৌত্তলিকতা, ঘোরতর অন্যায়-অবিচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত। ‘আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগ’ বলে সেই সময়টিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই অন্ধকার যুগে মহানবী (সা.) এসেছিলেন আলোকবর্তিকার মতো। শৈশব থেকেই তিনি তাঁর সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়ণতা, বিচক্ষণতাসহ অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি, অপরিমেয় দয়া-সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতার মতো মহৎ গুণের জন্য আরব সমাজের সবার কাছে শ্রদ্ধাভাজন হয়ে উঠেছিলেন।

নবুয়ত লাভের আগেই ‘আল-আমিন’ অভিধায় তাঁকে সম্মানিত করেছিল আরব সমাজ। হেরা পর্বতের গুহায় গভীর ধ্যানে নিমগ্ন থেকে তিনি ৪০ বছর বয়সে ওহি লাভ করেন। এরপর পরম করুণাময় আল্লাহর নির্দেশে দীর্ঘ ২৩ বছর কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে শান্তির ধর্ম ইসলাম তথা পবিত্র কোরআনের বাণী প্রচার করেন। আল্লাহর প্রতি অসীম ও অতুলনীয় আনুগত্য এবং ভালোবাসার পাশাপাশি মহত্ মানবিক চারিত্রিক গুণাবলির জন্য তিনি সর্বকালে সর্বজনের কাছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন ও সংস্থা নানা কর্মসূচি নিয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সূত্র: কালের কণ্ঠ অনলাইন




ফরহাদ হোসেন ৫দিনের রিমাণ্ডে

রাজধানীর আদাবর থানায় দায়ের করা গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক আব্দুল মালেক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.ছানাউল্ল্যাহ তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১ টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়। নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ছাড়া এ মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, নায়ক ফেরদৌস, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মেহেরপুরেও হত্যাসহ একাধিক মামলা হয়েছে। যে মামলাগুলো পুলিশকে তদন্ত দিয়েছে আদালত।




সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ ঢাকায় গ্রেফতার




চুয়াডাঙ্গায় দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা

শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে পূজা উদযাপন কমিটির সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আজ শনিবার সাড়ে দশটাই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম- সেবা সভাপতিত্বে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পূজা উদযাপন সনাতন ধর্মালম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সভাপতির বক্তব্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বলেন,চুয়াডাঙ্গা জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম সুষ্ঠুভাবে পালনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সতর্ক রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ও আনন্দমূখর পরিবেশে পূজা উদযান করার জন্য পুলিশ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক ছাড়াও পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবেন। তাছাড়াও সাদা পোশাকে ডিবি, ডিএসবি মাঠে কাজ করবে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নিজেস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

উক্ত আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন; সভাপতি পলাশ,সম্পাদক তানজিল

দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের আয়োজনে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জোহা পলাশ।

এসময় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র সাংবাদিক তাছির আহমেদ, আঃসালাম ও হাফিজুর রহমান কাজল। কোনো পদের বিপক্ষে প্রার্থী না থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধীতা হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে একের অধিক প্রার্থী হওয়ায় গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এপদে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মুরশেদ বীন ফয়সাল(তানজির) ও সদস্য মোজাম্মেল শিশির।

বৈধ ২২ভোটের বিপরীতে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ শেষে ১৭ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয় মুরশেদ বীন ফয়সাল(তানজির), একমাত্র প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মোজাম্মেল শিশির পেয়েছে মাত্র ৪ভোট।

এদিকে বিনাপ্রতিদন্ধীতায় বিজয়ী হয়েছেন সভাপতি পদে শামসুজ্জোহা পলাশ, সহসভাপতি পদে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, সহ সাধারণ সম্পাদক পদে সাজিদ হাসান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রকিবুল হাসান তোতা, কোষাধ্যক্ষ পদে শমশের আলী, দফতর সম্পাদক পদে এসএম সুজন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সালেকিন মিয়া সাগর, নির্বাহী সদস্য পদে তাছির আহমেদ, আঃসালাম, হাবিবুর রহমান, মেহেদী হাসান মিলন, আরিফুল ইসলাম মিলন।




এসএসসি পাসেই চাকরির সুযোগ

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ইটিপি অপারেটর পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড

পদের নাম: ইটিপি অপারেটর

পদসংখ্যা: ০১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং/ ট্রেড কোর্স/ এসএসসি

অন্যান্য যোগ্যতা: ইটিপি মেশিন পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষতা

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৫ বছর

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর

কর্মস্থল: গাজীপুর

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদনের শেষ সময়: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




প্রিয় মানুষটি প্রিয়তর হোক!

রাজ্যের সব হিসাব কিতাব মাথায় থাকে, সবার প্রতি দায়িত্ববোধ সজাগ থাকে অথচ প্রিয় মানুষের জন্মতিথি স্মরণে থাকে না, পছন্দ-রুচি হাজির করেন না কিংবা ঘুরতে যাওয়ার সময় বের করতে পারেন না- এমন হলে সুখ তবে ঘরে ফিরবে না। বরং অসুখ আপনায় তাড়িয়ে বেড়াবে। সম্পর্ককে সময় না দিলে যে দূরত্ব তৈরি হবে তা ঘুচানোর কাজটা সহজ নয়। তাঁর সাথে সব কথা দু’মিনিটে ফুরিয়ে গেলে দশ গ্লাস দুঃখ পান করতেই হবে। যদি যত্ন না থাকে, শ্রদ্ধা না বাড়ে তবে সম্পর্কে সম্মান জন্মে না। জীবনের নাগপাশে সুখ-প্রশান্তি ঘোরাঘুরি করে বিদায় নিলো অথচ দেখা পেলেন না- সে আক্ষেপ আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। প্রিয় মানুষকে প্রাধান্য দিলে তবেই সম্পর্ক টেকসই হয়। শখের দেশে হাজির করলে তবেই অভিযোগ কমে। মান-অভিমান ভাঙানোর জেদ থাকলে তবেই মনকে মনের মনে পড়ে।

অনুপস্থিতির সময়টাতে জুড়ে থাকার যে ব্যাপারটা সেটুকুতেই প্রেম। প্রেম দেখানোর চেয়ে বোঝানো জরুরি। যে মানুষটা সবার মাঝে থেকেও সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য প্রত্যাশা করে সেই মানুষটিকে উপেক্ষা করলে- সম্পর্ক পারদ পাতলা হতে শুরু করে। অভিমান না ভাঙানোর মাঝে যে জমাট ব্যথা তা তাকেই ভোগায় যার অভিমান মনের মধ্যে ব্যথার পাহাড় গড়ে। দু’টো কথা শুনে যে আনন্দ পায়, একটু স্পর্শে যার কোলে রাজ্যের সুখ নামে তাকে অধিকার বঞ্চিত করা ঠিক নয়। এই জীবনটা সুখের জন্য সামনে বাড়ে। সেই প্রত্যাশা ও প্রশান্তির পথে যে হাল ধরে সে সুখের অন্যরকম মধূর সংজ্ঞা তৈরি করে। যে সুখী করতে জানে সে সুখী হয়। সুখ তাকে ঘিরে রাখে। সবার জন্য সবকিছুর করার মাঝে তৃপ্তি নিশ্চয়ই আছে তবে যার অধিকার সর্বাগ্রে সে যাতে তালিকার তলানিতে না পড়ে।

মান-অভিমান কিংবা অভাব-অনুযোগ জীবনের বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। তবে এসব ভাঙানোর এবং শখ পূরণ করার যে চেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য যে দায়িত্ববোধ- এসবই মানুষকে প্রিয় করে তোলে। প্রিয়জন যদি প্রয়োজনের রেখা অতিক্রম করে আপন হয় তবে এক মানুষেই একজীবন পূর্ণ হতে পারে। দু’টো হাত, ভরসার কাঁধ এবং বিশ্বস্ত হৃদয়ের চেয়ে প্রশান্তির আবাস দুনিয়া দু’টো নাই। পাখি এদিক-সেদিক উড়তে পারে, ইচ্ছেমতো ঘুরতে পারে তবে বেলা শেষে যে নীড়ে ফিরতে হবে- সেখানে কেউ অপেক্ষা করুক, সেখানে দু’চামচ শান্তির জন্য রসদ থাকুক- সেই চেষ্টায় সর্বোচ্চ সময় রাখতে হবে। দু’জনে মুখোমুখি বসিবার, চোখে চোখ রাখিবার দুর্নিবার আকাক্সক্ষা একজীবনের সবটুকু সময় যেনো প্রফুল্লচিত্তেই থাকে। হাত ধরা মানুষটি যাতে কোন শ্রোতেই হারাতে না পারে।

দুঃখ যদি হাজির হয় তবে তা মোকাবেলায় যুগপৎ সংগ্রাম যাতে অবিরাম থাকে। যাকে বিশ্বাস করা যায় অনায়াসে তাকে নিয়ে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতেও ক্লান্তি নাই। যে রাখে ওয়াদা, যার কাছে জমা থাকে বিশ্বাস- সে প্রকৃত মানুষ হলে কোন বাঁধাই জীবনকে এলোমেলো করে দিতে পারে না। তবে কখনো যদি মানসিকতার দূরত্ব হয়, ভাঙনের ঢেউ খেলে এবং তাতে পাল দেয় লোভ তবে সে সম্পর্কের দেয়াল ইস্পাত-দৃঢ় হলেও টিকবে না। দেহের নাগালে থাকলেও মানুষ মেলে না! এই শরীরে মূল্য এবং প্রয়োজন ক্ষণিকের। অবিরাম থাকতে হয় মনে মন গেঁথে। অথচ অবিশ্বাসের পারদ চড়া হলে, সন্দেহ জীবনের দিকে তেড়ে এলে এবং প্রিয় মানুষকে উপেক্ষা-অবজ্ঞায় ঠেলে দিলে এই জীবনের রঙ-রস শুকিয়ে যাবে। যে সম্পর্কের সুভাষ নষ্ট হয়ে যায় সে সম্পর্কের টানটা মরে যায় আরম্ভিক প্রান্তে।

বাঁচার জন্য কেউ অপরিহার্য নয় তবে সুখে বাঁচার জন্য একজন বিশ্বস্ত মানুষের উপস্থিতি অনিবার্য। দুঃখের দিনে পাশে থাকলে, মন খারাপের দিনগুলোতে ভরসা দিলে, বিশ্বাসের হাত মাথায় রাখলে- সে জীবন উপভোগ্য হয়ে ওঠে। বিচ্ছেদের তীব্র ঢেউয়ের মাঝে একসাথে বাঁচার মাঝে, একাকাশে ওড়ার মাঝে এবং দিন-দুনিয়ায় ঘোরার মাঝে সর্ব সুখ লুকিয়ে থাকে। জমানো কথা যার কাছে অনায়াসে বলা যায়, যার পরশে বুকের ব্যথা হালকা হয় কিংবা যার ঘ্রাণে মন ভালো হয় যায়- সে বিশেষ কেউ। এই মানুষের জন্য একটা জীবন লগ্নি হলে দুঃখের অগ্নি স্পর্শ করতে পারে না। আরেকটু বাড়তি সুখের জন্য চেষ্টায় সচেষ্ট হলে সুখের বর্ষণে হৃদয় প্রশান্তিময় হবে। সব সুখে ভোগের মধ্যে থাকে না। কারো স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে, কারো ইচ্ছা পূর্ণ করে এবং কারো জীবনে সুখের ধূপগুড়ি ছড়িয়ে দিলে জীবন সুশোভিত আলোকের মঙ্গলে ছেয়ে যায়। প্রিয় মানুষ প্রিয়তর হয়ে উঠুক- সুদিনের প্রত্যাশায়।

লেখক: প্রাবন্ধিক, ইমেইল-raju69alive@gmail.com