লালন শুধু কুষ্টিয়ার নয়, সারা পৃথিবীর বাঙালির সম্পদ: ফরিদা আখতার

অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ফকির লালন সম্রাট ছিলেন না, তিনি ছিলেন সাধক। তাঁর বাণী সমাজের সকল ক্ষেত্রে বিদ্যমান।

অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক ফকির লালন শাহ ও তাঁর গান। তিনি মানবধর্মে বিশ্বাস করতেন। বিশ্বজুড়ে মানবপ্রেম ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। লালন বহুমাত্রিক এক ব্যক্তিত্ব। তিনি কেবল এই কুষ্টিয়ার নন, তিনি সারা বাংলাদেশের এবং সারা পৃথিবীর বাঙালির সম্পদ।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউরিয়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মতো লালনও আমাদের সম্পদ। তিনি তাঁর কর্মে ও প্রতিভায় বিশেষ কোনো ধর্মের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন না। লালনের চেতনা অসাম্প্রদায়িক। এই চেতনা না থাকলে বাংলাদেশ থাকে না। আজ অনেক উন্নতি-অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু সমাজ যদি অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী না হয়, তাহলে এসব অগ্রগতি টিকবে না।’

ফকির লালন শাহ ছিলেন বৈষম্যবিরোধী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফকির লালন শাহ ছিলেন বৈষম্যবিরোধী। ১৩৪ বছর আগেই সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি ঠিকঠাক কাজ করতে না পারে। আপনারা আমাদের ধরবেন। এই যে ছাত্র জনতার রক্তের ওপর আমরা যে সরকার গঠন করেছি। দাঁয়িত্ব পেয়েছি। তা দায়সারা হতে পারে না বলেও জানান তিনি।

সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।

কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোছা. শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার,কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান,বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুবউদ্দিন, সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সমন্বয়ক আলমাস, সুইট প্রমুখ
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লালন একাডেমির খাদেম মহম্মদ আলী।

আলোচনা সভা শেষে বাউল ও লালন একাডেমির শিল্পীরা সেখানে লালনের গান পরিবেশন করেন।




দামুড়হুদায় “দৈনিক কালবেলা”র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নানা আয়োজনে দামুড়হুদায় পাঠকপ্রিয় “দৈনিক কালবেলা”র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা শহরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শেষে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের কক্ষে কেক কেটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দৈনিক কালবেলার দামুড়হুদা প্রতিনিধি শাহ জালাল বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দামুড়হুদা থানা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, সাধারণ সম্পাদক তানজির ফয়সাল।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দৈনিক কালবেলা গত ২ বছরে সাহসী সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পাঠকের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ সুন্দর ভাবে গড়তে কালবেলার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনপ্রকাশ করে প্রথম সারির গণমাধ্যেম হিসাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সচিত্র সংবাদ পরিবেশন করে মিডিয়া অঙ্গনে র্শীষে অবস্থান করছে। নির্ভীক ও বস্তুনিষ্ঠ যুগোপযোগী সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের এই অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মাধ্যমে দৈনিক কালবেলা আরও একধাপ অগ্রসর হবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উক্ত অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হাসান সোহাগ,সাংগাঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা,দপ্তর সম্পাদক এস এম সুজন,নিবার্হী সদস্য তাছির আহম্মদ,মেহেদি হাসান মিলন,আরিফুল ইসলাম, সদস্য মোজাম্মেল শিশির, বিল্লাল হোসেন মানিক প্রমূখ।




ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির ওয়ালটন প্লাজা বিভাগ হেড অব ক্রেডিট সেলস পদে জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি পদের নাম : হেড অব ক্রেডিট সেলস বিভাগ : ওয়ালটন প্লাজা পদসংখ্যা : ০১টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অন্যান্য যোগ্যতা : ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি/গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি, মাইক্রো-ক্রেডিটে দক্ষতা অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ১০ বছর

চাকরির ধরন : ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র : অফিসে প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা : ৩৫ থেকে ৪২ বছর

কর্মস্থল : ঢাকা বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা : লাভ শেয়ার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বিমা, দুপুরের খাবারের সুবিধা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, সার্ভিস বেনিফিট, ফুলটাইম গাড়ি।

আবেদন করবেন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন

সূত্র: কালবেলা




বাংলাদেশ থেকে টিকটকের ১ কোটির বেশি ভিডিও ডিলিট

কমিউনিটি গাইডলাইনস লঙ্ঘন করায় মোট ১ কোটি ২১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪৫টি ভিডিও ডিলিট করে দিল টিকটক। ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির এরূপ কাজ করেছে টিকটক।

২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে জুন কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে টিকটক।

বাংলাদেশের প্রতিবেদনে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই মোট ১ কোটি ২১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪৫টি ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যা প্রথম পর্যায়ে ছিল ৭১ লাখ ৭১ হাজার ৮৩২। বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে ভিডিও অপসারণের হার ৯৯.৬ শতাংশ যেখানে ৯৭.২ শতাংশ ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে টিকটক মোট ১৭ কোটি ৮৮ লাখ ২৭ হাজার ৪৬৫টি ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে, যা প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা সব ভিডিওর প্রায় ১.০ শতাংশ। এর মধ্যে ১৪ কোটি ৪৩ লাখ ১৩৩টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্তকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত এবং অপসারণ করা হয়েছে। আবার ৫৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৮টি ভিডিও যাচাই-বাছাই করে প্ল্যাটফর্মে পুনরায় রাখা হয়েছে। এবার সক্রিয়ভাবে ভিডিও অপসারণের হার ছিল ৯৮.২ শতাংশ যেখানে পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯৩.৫ শতাংশ ভিডিও মুছে ফেলা হয়।

প্রতিবেদনটি অনুযায়ী মুছে ফেলা ভিডিওগুলোর মধ্যে ৩১ শতাংশ কনটেন্ট ছিল সংবেদনশীল বিষয়বস্তু সম্পর্কিত, যা টিকটকের কনটেন্টের নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গত নয়। এ ছাড়া এই ভিডিওগুলোর মধ্যে ১৫.১ শতাংশ ভিডিও প্ল্যাটফর্মের সুরক্ষা মানদণ্ড লঙ্ঘন করে, এবং ৪.৭ শতাংশ ভিডিও সরানো হয় গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার নির্দেশনা ভঙ্গ করার জন্য।

সরিয়ে ফেলা কোভার্ট ইনফ্লুয়েন্স অপারেশনস (সিআইও) নেটওয়ার্কগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণীর প্রকাশ অব্যাহত রাখবে টিকটক। এতে একটি নতুন আলাদা প্রতিবেদনে ব্যাহত হওয়া অপারেশনগুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

সূত্র: কালবেলা




আমরা ক্ষমতায় গেলে কাউকে বেকার থাকতে দেবনা- জামায়াতের আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান

শিক্ষিত হয়ে কোন যুবককে আত্মহত্যা করতে হবেনা প্রতিটি মানুষের জন্য কর্মস্থান সৃষ্টি করা হবে। আমরা ক্ষমতায় গেলে কাউকে বেকার থাকতে দেবনা প্রতিটি যুবকের হাতকে কর্মীর হাতে পরিনত করা হবে। ঝিনাইদহের জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। তিনি আরও বলেন বিগত জালিম সরকারের সময় যারা সিন্ডিকেট করেছিলো তারা এখনও এসব করছে এ সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হয়নি। তাই এ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। আর তারা জাতির ঘাড়ে এখনও বসে আছে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে দেশের মানুষ আরও নির্যাতিত হবে। তাই সিন্ডিকেট ভেঙে বৈষম্যহীন শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে ঝিনাইদহ শহরের ওয়াজির আলী হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন, ডাঃ শফিকুর রহমান। তিনি বিগত সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের কথা তুলে ধরে বলেন, সকলকে দেশে ফিরিয়ে এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী দিনে জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে নারীদের সবোর্চ্চ সম্মানের সাথে সমাজ উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে বলেও আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে যেখানে নারী, পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কোনো নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। যেখানে সবাই মিলেমিশে সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হিংসামুক্ত সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, যারা একদিন গর্বকরে বলতেন এ দেশে জালিম কাউকে থাকতে দেওয়া হবেনা। দেশ থেকে জালিমদের বিতাড়িত করতে হবে। অথচ আজ তারা নিজেরাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বিদেশে বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভুত্ববাদ মেনে নেওয়া হবে না। কেউ যদি প্রভুত্ব করতে আসে তাহলে জাতি তাদের উচিত জবাব দেবে।

জামায়াতের আমীর আরও বলেন, এমন একটি সমাজ গড়া হবে যেখানে আদালত প্রাঙ্গণে কোনো বিচারপ্রার্থীকে হয়রানির শিকার হতে হবে না। বিচারক দুর্নীতিমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রের আইন ও বিবেক দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করবে।
জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের মানুষ স্বৈরাচার সরকার দ্বারা নির্যাতিত। তবে দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে নির্যাতিত ও মজলুমের দল। এই দলের নেতাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিচারের নামে জুলুম করে গুম, খুন করা হয়েছে। বিগত সরকার জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে নানা পাঁয়তারা করেছে।

তিনি আরও বলেন, তারা গণআন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রতীক কেড়ে নেয়। তবে জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে দেশপ্রেমী এবং আলেম-ওলামাদের যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।

অন্তরর্বতীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার সরকারের কোনো দোসর যেন রাষ্ট্রের কোনো স্তরে না থাকে। তারা থাকলে এই দেশ ও সরকারকে ব্যর্থ করে দিবে। জনগণের বিপ্লবকে ব্যর্থ করে ছাত্র-জনতার স্বপ্নের মৃত্যু ঘটাবে।

কর্মী সম্মেলনে ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতে ইসলামের আমির আলী আজম মোঃ আবু বকর এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রচার ও মিডিয়া বিভাগ মোঃ আবদুল হাই’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোঃ মোবারক হুসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাও: আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় ইউনট সদস্য ড. মাও:মোজামম্মেল হক, জেলা সহকারী সেক্্েরটারী মাও: আব্দুল হাই, আব্দুল আলীম, আবু তালিব, ড. হাবিবুর রহমান, ইবি ছাÍত্র শিবিরের সভাপতি এইচ এম আবু মুসা, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।




সালমান খানের বাড়িতে গুলি, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের শুটার গ্রেপ্তার

বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বান্দ্রার বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-এর শুটার সুখখাকে হরিয়ানার পানিপথ থেকে গ্রেপ্তার করেছে নেভী মুম্বাই পুলিশ।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুম্বাই পুলিশ স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় পানিপথ ২৯ নম্বর সেক্টর থেকে সুখাকে গ্রেপ্তার করে। সুখখা রেল কালান গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার তাকে মুম্বাইয়ে আনার পর আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত জুনে নেভী মুম্বাইয়ের পানভেলের কাছে নিজের ফার্মহাউসে যাওয়ার পথে সালমান খানকে টার্গেট করার ছক কষেছিল বিষ্ণোই গ্যাং। ২০২৪ সালের এপ্রিলে মুম্বাইয়ে তার বান্দ্রার বাসভবনের বাইরে গুলি চালানোর পর এই ঘটনা ঘটে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে সালমান খান পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে গুলি চালিয়েছিল।

এই ঘটনায় মুম্বাই পুলিশের তরফে আদালতে যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, অভিনেতার বয়ান তারই অংশ।

২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে পানভেলের কাছে তার ফার্মহাউসে ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে ঢোকার চেষ্টা করে দু’জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।

এরও আগে ২০২২ সালে, তার বিল্ডিংয়ের বিপরীতে থাকা একটি বেঞ্চে একটি হুমকি চিঠি পাওয়া গিয়েছিল, এরপর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সালমান খানের কাছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে একটি ইমেল হুমকি আসে, ভাইজান জানিয়েছিলেন পুলিশকে।

পুলিশ জানিয়েছে, লরেন্স বিষ্ণোই এবং সম্পত নেহরা গ্যাং সালমান খানের বান্দ্রার বাসভবন, পানভেলের ফার্ম হাউস এবং সিনেমার শুটিং লোকেশনগুলিতে রেকি করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে সালমান খানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন সদস্যকে মোতায়েন করেছিল।

বলিউড সুপারস্টারকে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পরে, ২৪ এপ্রিল পানভেল টাউন থানায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

এদিকে, গত সপ্তাহে গুলি চালানো হয় সালমান ঘনিষ্ট, বাবা সিদ্দিকির উপরে। অজ্ঞাতপরিচয় অ্যাকাউন্ট থেকে যার দায়ভারও নিয়েছে বিষ্ণোইরাই। সেই সোশ্যাল পোস্টে আরও বলা হয়, যারাই সালমান খানকে সঙ্গ দেবে, তাদেরই এভাবে হত্যা করা হবে। এই ঘটনার পর থেকে আরও জোরদার করা হয়েছে অভিনেতার নিরাপত্তা।

এ ঘটনায় আতংক সৃষ্টি হয়েছে খান পরিবারের অন্দরেও।

সূত্র: ইত্তেফাক




বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলার আয়োজনে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী।

প্রধান আলোচক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল লতিফ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আরিফুজ্জামানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতী রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হাকিম, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টি করতে খেলাফত প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।




শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এ বিষয়ে দুটি আবেদন করেন। একটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ ছাড়া অপর আবেদনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন আমলের সব হত্যা, গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, পিলখানা হত্যার বর্ণনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর।

গত ১৫ অক্টোবর নিয়োগের পর প্রথম কর্মদিবসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী এদিন ট্রাইব্যুনালে আসেন।

এ সময় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও অন্য কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।

গত ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন ঠেকাতে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় শেখ হাসিনা সরকার। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। শেখ হাসিনার পতনের পর সরকারের দায়িত্বে আসে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পরই জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত হয়।

ছাত্র আন্দোলনের সময় কয়েক শ মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কয়েক ডজন মানুষের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এরই মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ




এখন হয়তো দেশে ফিরতে পারব না: সাকিব

খুব নাটকীয় কিছু না ঘটলে দেশের মাটিতে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। নিরাপত্তা ইস্যু থাকায় তার ইচ্ছাটা আর পূরণ হচ্ছে না। দুবাই থেকেই তিনি হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাবেন।

দেশের অনলাইন গণমাধ্যম ‘বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম’কে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সাকিব নিজেই এই কথা জানিয়েছেন।

সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘দেশে ফেরার কথা ছিল… কিন্তু এখন হয়তো ফিরতে পারব না সিকিউরিটি ইস্যুর জন্য, আমার নিজের নিরাপত্তার জন্যই…।’ সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কখন আসতে পারে? জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন সিদ্ধান্ত চূড়ান্তই বলতে পারেন।’

সাকিবের ইচ্ছাপূরণে বেশ আন্তরিকতা দেখিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু গত কয়েক দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাকিবের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মানববন্ধন, মিছিলসহ নানা কর্মসূচি করেছে। পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি পক্ষের আজ বিসিবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা। এসব ঘটনাপ্রবাহের মাঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানোর আগপর্যন্ত সাকিবকে দুবাইয়ে অবস্থান করতে বলা হয়।

সাকিব গতকালই দুবাই পৌঁছেছেন। দুবাইয়ে তার ট্রানজিট এবার একটু লম্বা। সেখান থেকে তার ঢাকায় আসার ফ্লাইট আজ স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটায়। রাত ১১টার পর তার ঢাকায় পৌঁছার কথা ছিল। এই মুহূর্তে সাকিবের বিষয়ে বিসিবিতে একটা সভার কথাও শোনা গেছে।

তবে সাকিব নিজেই যা বলেছেন, তাতে তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুরে শুরু হতে যাচ্ছে প্রথম টেস্ট। দেশে ফিরে শুক্রবার অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সাকিবের।
সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ২৮৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার

মেহেরপুরের মুজিবনগরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ২৮৩ বোতল নিষিদ্ধ মাদক ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বিজিবি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ দিকে মুজিবনগর বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল টিম উপজেলা সোনাপুর গ্রামের মাঝপাড়া সীমান্তের ১০৫/৩ এস পিলার থেকে ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাঝপাড়া কবরস্থানের পাশে লিচু বাগান থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ফেনসিডিল গুলো উদ্ধার করে।

মুজিবনগর বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল বাশার জানান, ভারত থেকে সোনাপুর মাঝপাড়া সীমান্ত দিয়ে একটি ফেনসিডিলের চালান আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির টহল টিম অভিযান পরিচালনা করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা কবরস্থানে পাশে লিচু বাগানের মধ্যে ফেনসিডিল গুলো ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সেখানে গিয়ে ২৮৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের উদ্ধারের বিষয়ে মুজিবনগর থানায় একটি জিডি করা হবে এবং ফেনসিডিল গুলো বিজিবি সেক্টরে জমা দেওয়া হবে।