আগামীকাল শুরু হচ্ছে ছেউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ৩ দিন ব্যাপী শুরু হচ্ছে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ-এর ১৩৪তম তিরোধান স্মরণে তিন দিনের স্মরণোৎসব।

কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ এর তিরোধান দিবস উপলক্ষে ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমির আয়োজনে এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।

তিন দিনের এই স্মরণোৎসবকে ঘিরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে মাজার প্রাঙ্গণ। কালী নদীর পাড়ের বিশাল মাঠ জুড়ে চলছে মূল মঞ্চসহ গ্রামীণ মেলার স্টল তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে থেকেই হাজারো ভক্ত-অনুসারীরা দূর দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন। লালন মেলা উপলক্ষ্যে আখড়াবাড়িতে হাজারো ভক্ত-অনুসারীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। একাডেমির নিচে এবং আশেপাশের এলাকাসহ লালন আঁখড়াবাড়িতে সমবেত হচ্ছেন সাধু ভক্ত-অনুসারীরা।

একদিকে, বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সাধু-গুরুরা তাদের শিষ্যের সঙ্গে ভাব বিনিময়ে মত্ত থাকছেন। অন্যদিকে, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে একতারা আর ঢোল বাজিয়ে সাঁইজীর মরমী সংগিত পরিবেশন করছেন। দিনরাত গান ছাড়াও তারা লালন ফকিরের বাণী নিয়ে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করছেন। অনেকে আবার লালনের মত ও পথের দীক্ষা নিচ্ছেন। আর এ মেলা দেখতে আসছেন হাজারো মানুষ।

এক কথায় উৎসব শুরুর আগেই নদীর পাড়ঘেঁষে গুরুশিষ্য, ভক্ত-অনুসারী আর দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে প্রাঙ্গণ।

লালন ভক্ত ও অনুসারীরা জানান, প্রতিবারই লালন মেলায় লাখ লাখ মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়। এবার মেলা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই দূরদূরান্ত থেকে হাজারো ভক্তরা এসেছেন। যতই সময় পার হচ্ছে ততই ভিড় বাড়ছে।

লালন মেলায় আসা আসিফ ইকবাল নামের এক দর্শনার্থী বলেন, লালন মেলা উপলক্ষে আখড়াবাড়িতে দূর দূরান্ত থেকে ভক্ত অনুসারীরা এসেছেন। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। লালন ভক্ত ও অনুসারীদের আস্তানাগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। তাদের গাওয়া গান শুনতে ভালো লাগে। জায়গায় জায়গায় তারা গান গাচ্ছেন। লালন সাঁইজির গানে ও বাণীতে এই এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে।

চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা লালন ভক্ত শান্ত ফকির বলেন, লালন স্মরণ উৎসব হল দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারো ভক্ত অনুসারীদের মিলন মেলা। বছরের দুটো অনুষ্ঠানের জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি। এখানে আমরা ছুটে আসি আবার আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে তৃপ্তি নিয়ে যে যার গন্তব্যে ফিরে যায়।

লালন একাডেমির কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয়রা বলেন, লালন ফকির দীর্ঘ সময় ধরে তার নিজস্ব আত্মদর্শনের আলোকে ভক্ত আশেকান ও শিষ্যদের নিয়ে যেসব উৎসবমুখর কর্মকাণ্ড করতেন, তারই ধারাবাহিকতায় পহেলা কার্তিক সাঁইজির তিরোধান দিবস পালন করতে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভক্তশিষ্য-অনুসারীরা ছেঁউড়িয়ার আঁখড়াবাড়িতে মিলিত হন।

শিল্পী সাব্বির কোরাইশি বলেন, ফকির লালনের অজানা কথা ও তথ্য জানার পাশাপাশি মানুষের মিলন-মেলায় মুখর হয়ে উঠবে। লালনের বাণীর মর্ম দেশ-দেশান্তরে পৌঁছে দিতেই তাঁরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

এবারের লালন স্মরণোৎসবকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এর পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। তিনদিনের এই আয়োজন নির্বিঘ্নে শেষ করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির এডহক কমিটির সভাপতি শারমিন আখতার বলেন, বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে তিনদিন ব্যাপী লালন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে আলোচনা সভা শুরু হবে, আলোচনা শেষে শুরু হবে লালন সঙ্গীত। মেলার সার্বিক প্রস্তুতি চলছে। মাজার প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবে।

উল্লেখ্য, মরমী সাধক ফকির লালন শাহ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া গ্রামে ১৮৯০ সালের ১ কার্তিক মারা যান। পরবর্তী সময়ে লালন স্মরণোৎসবের আয়োজন করা হয়। সেই থেকে প্রতি বছরই নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের কাঙ্খিত এ উৎসব পালন করা হয়। সাঁইজির স্মরণে দিবসটি ঘিরে তিন দিনের অনুষ্ঠান হয় আখড়াবাড়িতে।




একদল চোর তাড়িয়ে আরেকদল চোরকে ক্ষমতায় আনলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না –মুফতী ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেছেন, ৫৩ বছর এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজকে শ্রমিকরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামে গুলিবিদ্ধ হয়। যারা ক্ষমতায় থাকবে তারা চাকরি পাবে, আর যারা ক্ষমতায় থাকবে না তারা চাকরি পাবে না। যারা ক্ষমতায় থাকবে তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবে আর যারা ক্ষমতায় থাকবে না তারা না খেয়ে থাকবে, চিকিৎসা করাতে পারবে না। তা হবে না। কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না। আমরা সকল বৈষম্য দুর করতে চাই। স্বাধীনতার পরে সকল দল সরকারে ছিল কিন্তু বৈষম্য দুর হয়নি। এদেশে যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তাদের থেকে বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন-ভাতার অনেক বৈষম্য। ব্যাংকগুলি ধনিকে ধনি করছে আর গরিবকে আরও গরিব করছে। গরিব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য অর্থনৈতিক সিস্টেম পাল্টাতে হবে। শুধু নেতা পাল্টালে হবে না নীতিও পাল্টাতে হবে। ইসলামী অর্থনীতি চালু হলে এই দেশে কেউ গরিব থাকবে না।

তিনি বলেন, দেশের সকল সম্পত্তি কয়েকটি পরিবারের হাতে বন্দি। মাত্র ৫টি পরিবার কয়েক লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। একদল চোর তাড়িয়ে আরেকদল চোরকে ক্ষমতায় আনলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। দেশে পিআর নির্বাচন পদ্ধতি চালু করতে হবে। তাহলে সকল দল সংসদে যাওয়ার সময় পাবে। সংসদে কথা বলার সুযোগ পাবে তাহলে এমনিতেই ৮০ শতাংশ দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে। সকল দুর্নীতি ও বৈষম্য দুর করতে প্রয়োজন ইসলামী শাসন ব্যবস্থা। আপনারা ইসলামী আন্দোলনের হাতকে শক্তিশালী করুন। ৫শ টাকায় ভোট বিক্রি না করে দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা নিয়ে আসুন তাহলে গরিবের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে, দেশ উন্নত হবে। তিনি ইসলামী আন্দোলনে সকল সচেতন নাগরিককে দাওয়াত দেন।

আজ বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্ত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানো, বিদেশে টাকা পাচারসহ চরমোনাই পীর ঘোষিত ৭ দফা দাবিতে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র জেলা শাখার সভাপতি ডা: এইচ. এম. মোমতাজুল করীম এবং সভা পরিচালনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র জেলা সাধারণ সম্পাদক মাও: সিহাব উদ্দীন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ’র খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আব্দুল জলিল। সমাবেশে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে পাকা ধান পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের বকসিপুর মাঠে আড়াই বিঘা জমির পাকা ধানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।  আজ বুধবার শেষ রাতের কোন এক সময়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, সদর উপজেলার বকসিপুর গ্রামের আহমেদ হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দীনের বাড়ির পাশে মাঠের মধ্যে পাকা ধান বেঁধে জাউলি দিয়ে রাখে। গভীর রাতে কে বা কারা মাঠের মধ্যে বেঁধে রাখা স্তুপ করা আড়াই বিঘা জমির ধানে আগুন দেয়। এতে আগুনে পুড়ে যায় সকল পাকা ধান।

কৃষক নাসির উদ্দীন জানান, পাকা ধান বেঁধে মাঠের মধ্যে জাউলি দিয়ে স্তুপ করে রাখা ছিল। রাতে দুর্বৃৃত্তরা ধানে আগুন জ্বালিয়ে তার সব ধান পুড়িয়ে দেয়। এতে করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় কৃষক নাসির উদ্দীন হতাশা ব্যক্ত করেন। এলাকার কৃষকরাও ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন।

এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানা (ওসি) অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন এঘটনা আমার জানা নেই। ভুক্তভোগীরা যদি অভিযোগ দেয় তাহলে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নিবো।




ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নে করনীয় শীর্ষক আলোচনা

ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নে করনীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) ঝিনাইদহের অ্যাকটিভ সিটিজেনস গ্রুপ (এসিজি)’র উদ্যোগে শহরের সৃজনী মোড়, পবহাটিতে, এই অ্যাকশন মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র অনুপ্রেরণায় গঠিত ‘এসিজি’ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ভিত্তিক একটি নাগরিক প্লাটফর্ম।

স্থানীয় নাগরিকের সহযোগিতায় ‘এসিজি’ কর্তৃক আয়োজিত সভায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ এর সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে স্থানীয় নাগরিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সনাক এর স্বাস্থ্য উপকমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক অধ্যক্ষ এন. এম. শাহজালাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এসিজি সমন্বয়ক মোঃ মুবিনুল ইসলাম। এলাকাবাসীরা সভায় গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন এবং তাঁরা বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করেন ও সমস্যাসমূহ সমাধানের সুপারিশ উপস্থাপন করেন।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে এরিয়া কো-অর্ডিনেটর ঝিনাইদহ, ইয়েস, ও এসিজি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এসিজি সদস্য আবু জাহান খান (লিমন)।




শৈলকুপায় বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি থেকেও রক্ষা পাচ্ছে না নিজ দলের কর্মীরা!

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বিএনপি কর্মীরা। তার সামাজিক দলে না আসায় দেওয়া হচ্ছে হুমকি করা হচ্ছে জমি দখল ও মারধর, নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। গত দুই সপ্তাহ ধরে ওই ইউনিয়নের হরিহরা, নাগপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাকিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি শুরু করেছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার জন্য বিভিন্ন গ্রামের বিএনপির নেতাকর্মীদের দলে ভেড়াতে জোর করছে। কেউ তার কথায় রাজি না হলে নানা ভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে।

ভুক্তভোগী নাগপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এর আগে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানের এজেন্ট হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতিত হয়েছি। মাসের পর মাস বাড়ি ছাড়া ছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভেবেছিলাম এখন মনে হয় সুদিন ফিরবে। কিন্তু এখন যেন তার থেকে অত্যাচার বেশি হচ্ছে। হাকিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন এখন আমাদের উপর অত্যাচার করছে। জাকির হোসেন ও তার সহযোগী সিদ্দিক মেম্বর আমার বাড়ি ঘিরে দিয়েছে। আমার মাঠের ফসলাদি লাগাতে দেয়নি। আমরা দুইটা ভাই মাঠে ধান লাগাতে পারিনি। এখন আমার বসবাস করা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হরিহরা গ্রামের ভুক্তভোগী রাজু আহম্মেদ বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর জাকির আমাকে বলল তার দলে যেতে হবে। আমি জাকিরকে বললাম আমি ওসব ঝামেলার মধ্যে থাকতে চাইনা। এতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে বলে আমার দলে যেতেই হবে। আমি না যাওয়ায় পরের দিন তার ভাতিজা চয়ন, জহুরুলসহ তিনচার জন আমাকে মারধর করেছে। আমি ৪/৫ দিন হাসপাতালে থাকার পর বাড়ি আছি কিন্তু পলাতক ভাবে। গ্রামে খুব একটা বের হতে পারছি না। খুব চাপে আছি।

একই গ্রামের নওয়াব আলী বিশ্বাস বলেন, কয়েকদিন আগে হরিহরা গ্রামের জনাব আলী আমাকে বলেন, আমি নাকি তার কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। সেই টাকা ফেরত দিতে হবে। এর কয়েকদিন পর জাকির আমাকে ডেকে শালিস করে ২২ হাজার টাকা দিতে জোর করে। আমি উপায় না পেয়ে তার ২২ হাজার টাকা দিয়ে আসি। তবে আমি কিন্তু কোনদিন জনাব আলীর কাছ থেকে টাকা নিই নি। আমাকের চাঁদাস্বরূপ টাকা দিতে হলো।

আব্দুল্লাহ নামের এক কৃষক জানায়, আমার কাছ থেকেও জোর করে ২৮ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি নাকি একজনের কাছে টাকা দেনাধারী সেই কথা বলে শালিসে ডেকে নিচ্ছে। যখন প্রমাণ চাচ্ছি তখন বলছে ওসব কিছু না চাঁদা দিতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের এক বিএনপি নেতা বলেন, জাকির হোসেন এলাকায় চাঁদাবাজি করছে। একেক পাড়ায় একেকজন লোককে পাঠিয়ে তাদের কাছে টাকা পাবে বলে হুমকি দিচ্ছে। পরে জাকির তাদের ডেকে জোর করেই সেই টাকা আদায় করছে।

অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, চাঁদাবাজির কোন ঘটনা ঘটেনি। যারা টাকা দিয়েছে তারা ৭/৮ বছর আগে ওই টাকা নিয়েছিলো। সেই টাকায় শালিস করে ফেরত নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির গঠন করা ‘চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, দখলদারি, গাছকাটা জমিদখলসহ যেকোন অন্যায় বিরোধী’ কমিটির সদস্য রাকিবুল হাসান খান দিপু বলেন, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আমরাও এমন অভিযোগ পেয়েছি। ২/১ দিনের মধ্যেই বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




শরীর চর্চা করতে গিয়ে গুরুতর আহত রাকুল

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিং। শরীর চর্চা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএস একটি সূত্রে বরাত দিয়ে জানায়, কয়েক দিন ধরে বিশ্রামে রয়েছেন রাকুল। এ সময় তার অবস্থা বেশ ভীতিকর ছিল। গত ৫ অক্টোবর সকালে ওয়ার্কআউট করার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এদিন বেল্ট না পরেই ৮০ কেজি ওজনের ডেডলিফট তুলেছিলেন এই সুন্দরী। তখন পিঠে টান লাগে।’

রাকুল আঘাত পাওয়ার পরেও শুটিং করেছেন। সূত্রটি বলছে, আগে থেকেই শিডিউল দেওয়া ছিল। ফলে ‘দে দে পেয়ার দে’ শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও দুদিন শুটিং করেছেন রাকুল। দুর্ঘটনার পর তিন দিন ব্যথা সহ্য করেন তিনি। ফিজিশিয়ানের সঙ্গে দেখা করে ব্যথা কমানোর জন্য ৩-৪ ঘণ্টা পর পর ফিজিওথেরাপিও নিয়েছেন রাকুল। তবে গত ১০ অক্টোবর রাকুলের জন্মদিনের পার্টির আগে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়।

অসুস্থতার কারণে নিজের জন্মদিন উদযাপন করতে পারেননি রাকুল। জানা গেছে, আঘাতের কারণে রাকুলের এল৪, এল৫ এবং এস১ নার্ভ জ্যাম হয়ে যায়। এছাড়া তার রক্তচাপ কমে যায়। অতিরিক্ত ঘামতে থাকেন নায়িকা। পরে তাকে বেড রেস্ট দেওয়া হয়। এ সময় রাকুলকে পেশি শিথিল করার ইনজেকশন দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে রাকুলের জন্মদিনটা ছিল ঘটনাবহুল। তবে আশার কথা হলো এই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি।

রাকুল অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ইন্ডিয়ান টু’। গত ১২ জুলাই সিনেমাটি মুক্তি পায়।

রাকুলের হাতে থাকা ৩টি সিনেমা হলো ‘ইন্ডিয়ান থ্রি’, ‘দে দে পেয়ার দে’ ও ‘মেরি পত্নী কা রিমেক’।

সূত্র: কালবেলা




৭ মার্চ, ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত

জাতীয় শোক, শিশু ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চসহ আটটি দিবস বাতিল করছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত সেপ্টেম্বর মাসে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সরকার এসব জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ৭ অক্টোবর তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদসচিব মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। শিগগিরই এসব দিবস বাতিল করে পরিপত্র জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাতিল হওয়া আটটি দিবসের মধ্যে পাঁচটিই শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত। এর মধ্যে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস।

এ ছাড়া বাতিলের তালিকায় রয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস, ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে প্রদত্ত ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সরকার। দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে।

এরপর কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ মার্চের একাধিক অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হয়। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর বা বিজয় দিবস থেকে তা কার্যকর হয়। ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের ইশতেহারকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস পালন করে শেখ হাসিনার সরকার।

পরের বছর দিবসটির নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস করা হয়। ২০২৩ সালে তা ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।

সূত্র: কালের কণ্ঠ




কুষ্টিয়ার পদ্মায় তীব্র ভাঙন: হুমকির মুখে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মহাসড়ক

কুষ্টিয়ায় পদ্মায় আবারও ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া মির্জানগর এলাকায় পদ্মার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও তীব্র হচ্ছে। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে বৈদ্যুতিক টাওয়ার, ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়ক।

সম্প্রতি পানির তোড়ে হঠাতই তলিয়ে যায় জাতীয় গ্রিডের ২ নাম্বার বৈদ্যুতিক টাওয়ার। পানির তোড়ে তলিয়ে যাচ্ছে একরের পর একর ফসলি জমি। স্থানীয় মাদরাসা ও বসতবাড়িও হুমকির মুখে পড়েছে। মাস দেড়েক আগে আরও একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ার তলিয়ে যায় পানির তোড়ে। অব্যাহত ভাঙনে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার হাজারো মানুষ।

মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক ইসাহক জানান, ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কয়েক বিঘা জমি। বসতবাড়িই এখন সম্বল। যেভাবে ভাঙছে নদী তাতে শেষ সম্বল বসতবাড়ি যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যাবে।

একই এলাকার সুমনা খাতুন জানান, সহায় সম্বল বলতে বাড়িটুকুই। জমি জায়গা যা ছিল তা আগেই নদী কেড়ে নিয়েছে। বাড়িটুকু হারালে পরিবার নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো।

বহলবাড়িয়া জামিউল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ জুয়েল জানান, মাদরাসার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে পদ্মা নদী। যেভাবে ভাঙছে তাতে যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে মাদরাসাটি। এনিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান বিআইডব্লিউটিএ ও কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান জানান, পদ্মায় পানি কমার সঙ্গে ভাঙনও তীব্র হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব এলাকায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে সেই এলাকায় ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। তবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পানি কমলেই কাজ শুরু করা হবে।

গত এক সপ্তাহে মিরপুর উপজেলার সাহেব নগর, মির্জানগর, তালবাড়িয়া এলাকায় প্রায় ১০০ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।




সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এভারকেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ এবং সাবেক মন্ত্রী ও মতিয়া চৌধুরীর মামা মোস্তফা জামাল হায়দার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন মতিয়া চৌধুরী।

তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী।

তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রুষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।

১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন।

১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সূত্র: কালেরকণ্ঠ




মেহেরপুরে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ও সমাপনি

মেহেরপুরে ৫১তম জাতীয় স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্ম কালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ উপলক্ষে দাবা, কাবাডি ও সাঁতারের উদ্বোধনী ও সমাপনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১৬ই অক্টোবর) সকাল ১০টার সময় জাতীয় স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়ামে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্বাস উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার নাসরিন সুলতানা, সরকারি কমিশনার আবির আনসারী, মেহেরপুর আদর্শ মাধ্যমিক শিক্ষাক পরিষদের সভাপতি জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার, মেহেরপুর জেলা শিক্ষাক সমিতির সভাপতি ইসরাইল হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষক কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক ওয়াসীম আকরাম, মেহেরপুর সদর উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার আনারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার হসনাইন করিম, মেহেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালযয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক প্রমুখ।