এক্স অ্যাকাউন্টের ইউজার নেম পরিবর্তন করবেন যেভাবে

এক্স বা টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অনেকে মনমতো ইউজার নেম পাই না। তবে এখন ব্যবহারকারীরা চাইলেই নিজেদের ইউজার নেম পরিবর্তন করতে পারবে। এক্সের নতুন আপডেটের মাধ্যমে এ পরিবর্তন করা যাবে।

যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন তারা জানেন, এক্সের ইউজার নেম ও প্রোফাইল নাম বিষয়টি এক নয়। প্ল্যাটফরমটিতে এটি ‘এক্স হ্যান্ডেল’ নামে পরিচিতি। ইউজারনেম সঙ্গে ‘@’ চিহ্ন থাকে এবং এই চিহ্নের আগের অংশ ইচ্ছামতো পরিবর্তন করা যায়। এটি আপনাকে টুইট বা বার্তায় উল্লেখ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি এক্সের লগ ইন করার সময়ও প্রয়োজন হয়ে থাকে। একই সঙ্গে পাবলিক প্রোফাইলের ইউআরএলেও এটি দেখা যায়।

অন্যদিকে এক্সের প্রোফাইলের নাম অনেকের সঙ্গেই মিলে যেতে পারে। তবে ইউজার নেম সব সময় আপনার অ্যাকাউন্টের জন্য একক ও ভিন্ন থাকবে।

যে পদ্ধতিতে ওয়েব ব্রাউজার বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এক্সের ইউজার নেম পরিবর্তন করা যাবে –

ওয়েব ব্রাউজার বা কম্পিউটার থেকে এক্সের ইউজার নেম পরিবর্তন করবেন যেভাবে

১. প্রথমে এক্সের ওয়েবসাইট থেকে নিজের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে হবে। ২. বাঁপাশের মেনু থেকে ‘মোর’ অপশন যেতে হবে। ৩. এখন ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ নির্বাচন করুন। ৪. নিজের অ্যাকাউন্টটি নির্বাচন করে ‘অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন’এ ট্যাপ করুন। ৫. অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিন । ৬. তারপর ‘ইউজার নেম’ নির্বাচন করুন। ৭. ইউজার নেম এর নিচে নতুন ইউজার নেম টাইপ করুন। ‘সেভ’ অপশনে ট্যাপ করুন।

তবে আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ইউজার নেম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া একই। এক্স মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ইউজার নেম পরিবর্তন করবেন যেভাবে –

১. এক্স অ্যাপ চালু করুন এরপর প্রোফাইল আইকন বা ছবিতে ট্যাপ করুন। ২. ‘সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি’ ট্যাপ করুন। ৩. ‘অ্যাকাউন্ট’ অপশনে ট্যাপ করুন। ৪. এখন ‘ইউজার নেম’ অপশন যেতে হবে। ৫. নতুন ইউজার নেম সেট করতে ‘কনটিনিউ’ অপশনে ট্যাপ করুন। ৬. আপনার নতুন ইউজার নেম টাইপ করুন। তারপর ‘ডান’ অপশনটি নির্বাচন করুন। এভাবে আপনার নতুন এক্স হ্যান্ডল সেট হয়ে যাবে।

সূত্র: কালবেলা




প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে যান ১৫ ক্রিকেটারসহ ১৯ জনের একটি দল।

১৫ ক্রিকেটারের বাইরে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন এবং পাকিস্তান সফরে যাওয়া বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার রাবীদ ইমাম। এছাড়াও সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

১৬ ক্রিকেটার পাকিস্তানে খেলতে গিয়েছিলেন। সাকিব আল হাসান ইংল্যান্ডের টনটনে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলছেন। সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সিরিজ জেতা বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছিলেন তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাকিবের বিষয়ে কথা বলবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মিলু চেয়ারম্যান ও ডা. অলোকসহ আসামি ১৫৩ জন

১০ লাখ টাকা চাদা আদায় ও ৪০ লাখ টাকার ফল লুটপাটের অভিযোগে মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগ নেতা, স্বাস্থ্য কমকর্তা, কলেজের অধ্যক্ষসহ ১৫৩ জনের নামের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার মেহেপেুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম (মুজিবনগর) আদালতে আসাদুল হক নামের এক ফল ব্যবসায়ী বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন মুজিবনগর উপজেলার অপসারিত চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অলোক কুমার দাস, মুজিবনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ওমর খৈয়াম উষা, আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহাজ উদ্দিন, দারিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম রবি, মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ, সদরের কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, অনলাইন জুয়ার এজেন্ট নুুরুল ইসলাম লালন, মাদার মাস্টারের ছেলে অনিক, লিপু, বিজয়, মুজিবনগর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান তকলিমা খাতুন তকলি।

মামলার বাদি পক্ষে আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে মুজিবনগর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহারে বাদির অভিযোগ, আসামীরা পরস্পর চাঁদাবাজ ও তৎকালীন ক্ষমতাধর ব্যক্তি। বাদী একজন মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী। তিনি তাহার এলাকাসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমী ফল তথা আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা ইত্যাদি ফল ক্রয় করিয়া বিভিন্ন পাইকার ফড়িয়াদের নিকট বাগানে বাগানে বিক্রয় করিয়া থাকেন।

বিগত আওয়ামী সরকার নির্বাচনের পর আসামীরা বাদীকে বলে যে, তাহাদের সরকারের আমলে ব্যবসা করিতে হইলে বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হইবে। ঐ সময় বাদীর নিজের ও বিভিন্ন পার্টনারদের সহিত প্রায় এক কোটি টাকার ফলকর লওয়া ছিল। আসামীদের হুমকীতে বাদী থানায় গেলেও পুলিশ প্রভাবশালী আসামীদের চাপে বাদীর কোনরূপ অভিযোগ এমনকি জি.ডি এন্ট্রি পর্যন্ত করেনি।

বাদী ও তাহার পরিবারের লোকজনদের আসামীদের মাধ্যমে খুন—গুম, অপহরণ ও লুটপাটের হুমকী আসিতে থাকিলে ও আসামীরা স্বয়ং অস্ত্রসহ মহড়া দিয়া চাঁদা দাবী করিলে বাদী ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল ১নং আসামী আমাম হোসেন মিলুর বাড়ি গিয়ে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দিয়ে ২০১৮—২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যবসা করেন। তারপর পুনরায় আসামীরা বাদীর নিকট হইতে ত্রিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করিলে বাদী আসামীদের বুঝান যে, সমস্ত বছরে ঐ পরিমাণ লাভ হয় না যেখান থেকে তাহাদের চাঁদা দিবে। কিন্তু আসামীরা বাদীর কোন কথায় আমলে নেয় নাই। ২০২১—২০২২ মৌসুমে আসামীরা বাদীর অনুমান ১৭টি বাগানের আম—লিচু মূল্য অনুমান চল্লিশ লক্ষ টাকার ফল লুট কেও নিয়ে যায়। বাদী বাধা দিতে গেলে বাদীকে আসামীরা গণহারে এলোপাথাড়িভাবে লাথি, কিল, ঘুসি মারিয়া গুরুতর জখম করিয়া দেয়।

অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকায় বাদীকে আসামীরা বিজ্ঞ আদালত চত্বরে পর্যন্ত আসিতে দেয় নাই। পুলিশের ভূমিকাও ছিল নিরব দর্শকের। আসামীরা দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হওয়ায় এবং তাহাদের দল দীর্ঘদিন ক্ষমতা থাকায় ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় আসামীদের বিরুদ্ধে তিনি এ মামলা দায়ের করেন।




ঝিনাইদহের সরকারি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সরকারি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ আ কা ম মামুনুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী কর্মকর্তা, কর্মচারী মিলে মানববন্ধন পালন করেন।

মানববন্ধনে অংগ্রহণকারী বলেন, তিনি অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার শুরু থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নামক ব্যাধিতে মারাত্মকভাবে জড়িয়ে পড়েন। কলেজটি জাতীয়করণ ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। শুধু তাই নয় তার নিজের নিয়োগের ক্ষেত্রেও অনিয়মের প্রশ্ন উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ভাটই বাজার এলাকায় কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের পাশেই কলেজটির অবস্থান। অধ্যক্ষ মামুনুর রহমান প্রায়ই কলেজে অনুপস্থিত থাকেন। তিনি তার ইচ্ছামত উপস্থিত হয়ে বিগত দিনের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন।

বিগত দিনে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় তিনি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারিদের দীর্ঘদিন জিম্মি করে রাখায় এতো অনিয়মের পরেও ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পর্যন্ত করেনি। বর্তমান ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সাথে সাথে রূপ পরিবর্তন করে স্থানীয় দলের নেতাদের সাথে আতাত করে নতুন বুদ্ধি আটছেন। এদিকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতায় এইচএসসি কম্পার্টমেন্টাল-১৯৮৯, আবার পাস কোর্স থেকে পাস। নিয়োগ বিধিতে আছে, যদি কেউ পাস কোর্স থেকে পাস করে তাহলে যে কোন একটিতে ১ম শ্রেনি থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তার শিক্ষা জীবনে কোন ১ম শ্রেণী না থাকলেও অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পান। এত নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কিভাবে নিয়োগ পেল তা নিয়েও কথা উঠেছে।

আরো জানা যায়,কলেজটি ২০২৪ সালের জানুয়ারীতে জাতীয়করণ হয়। এরপর ব্যাকডেটে নিয়োগের মহাৎসোব শুরু হয়ে যায়। ব্যাকডেটে বিভিন্ন সময়ে ২৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ভূয়া সার্কুলারের মাধ্যমে ২০১৯ সালে মৃত ও অন্যত্র চলে যাওয়া ডিগ্রী শিক্ষকের পদে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে অবৈধভাবে ব্যাকডেটে নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও ওই কলেজের অনার্স সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাসিমা খাতুনের স্বপদ থেকে সরিয়ে তাকে অফিস সহকারীতে নিয়োগ দিয়ে উক্ত পদে হাফিজুর রহমানকে ব্যাকডেটে নিয়োগ দিয়ে ২২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। শুধু হাফিজুর রহমানই নন অনার্সে এমন অনেক শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এছাড়াও সাবেক সভাপতির (আব্দুল হাই এমপি) স্বাক্ষর জাল করে অধ্যক্ষ টিউশন ফিসের ১২ লক্ষ টাকা চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ করেন। করোনাকালীন সময়ে সরকার থেকে ফেরতকৃত এইচএসসি শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র ফির ৪০০ জনের ৪০০ টাকা করে রেখে দিয়ে মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কলেজ জাতীয়করণের পরে ফান্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও ৬০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করেছেন। বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত ধারের টাকা কলেজ ফান্ড থেকে পরিশোধ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, মূল কপির উপর টেম্পারিং করে সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ২০২৩ সালে ২৯ জনকে অবৈধ নিয়োগ দিয়েছেন। ২২ আগস্ট ২০১৬ সালে দৈনিক খবর পত্র পত্রিকার ১৪ জন নিয়োগের সার্কুলারটি জাল করে একই ডেটে সোনালী খবর পত্রিকায় টেম্পারিং করে ১৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১০ আগস্ট ২০১৭ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার নিয়োগের সার্কুলারটি জাল করে একই ডেটে একই পত্রিকা টেম্পারিং করে ১২ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োাগ দেয়া হয়েছে। ১০ আগস্ট ২০১৭ দৈনিক খবর পত্র পত্রিকার ১২ জন শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারটি জাল করে একই ডেটে সোনালী খবর পত্রিকা টেম্পারিং করে ৮ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে। ১০ জানুয়ারি ২০১৫ দৈনিক সমকাল পত্রিকায় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের কোন সার্কুলার না থাকলেও তিনি ওই পত্রিকার টেম্পারিং করে ১১ জন শিক্ষক ও তৃতীয় শ্রেণির ৭ জনকে নিয়োগ দেন। যা মূল পত্রিকার সাথে কোন মিল নেই।

দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকার ভুয়া সার্কুলার দেখিয়ে একজন কম্পিউটার অপারেটর একজন স্টোরকিপার একজন এমএলএসএস নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যার কোন সার্কুলারই নেই ঐ পত্রিকায়। এভাবে অবৈধ নিয়োগের মাধ্যম ২ থেকে ৩ কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও এলাকাবাসী। এবিষয়ে সরকারি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল কলেজে অধ্যক্ষ আ কা ম মামুনুর রহমান মুঠো ফোনে(০১৭১৮৬০৭৬৬২) একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।




ঝিনাইদহে ১ হাজার ১২ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিলসহ বাদশা সোলায়মান (২৯) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-৬।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে উপজেলার কাঁঠালবাগান গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত বাদশা সোলায়মান ঐ উপজেলার কাঁঠালবাগান গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে।

ঝিনাইদহ র‌্যাবের মেজর নাঈম আহমেদ জানান, কালীগঞ্জের কাঠালবাগান গ্রামে মাদক ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বুধবার ভোররাতে অভিযান চালায় ঝিনাইদহ র‌্যাব। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ওই গ্রামের বাদশা সোলায়মানকে। পরে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১ হাজার ১২ বোতল ফেন্সিডিল।

এ ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আসামীকে কালীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।




ঝিনাইদহ থেকে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ ৫ জন আটক 

ঝিনাইদহ হয়ে ভারতে পালানোর সময় সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো: মেহেদী হাসান চৌধুরী (৫৪), গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, ভাওয়াল বদ্রে আলম সরকারী কলেজ ছাত্র লীগের সাবেক সহসভাপতি ও মেট্রো চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক রিয়াজ মাহমুদ আয়নাল (৫৩), তার চাচা শশুর গাজীপুর জয়দেবপুরের মুদি দোকানদার সানোয়ার হোসেন (৫৪), মানিকগঞ্জ জেলা যুব লীগের সদস্য, মাদকদ্রব্য নিরাময় কেন্দ্রের প্রষ্ঠিাতা ও বিশিষ্ট ঠিকাদার সৌমিত্র সরকার ওরফে মনা (৪৬) ও প্রাইভেট চালক ধামরাইয়ের রুবেল দেওয়ান (৩৮)।

গতকাল  মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। পুলিশ তাদের সম্পর্কে যাচাই বাছাই শেষে নিশ্চিত হয়ে রাত ৯টার পরে আটকের খবর জানায়।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের মধ্যে প্রাইভেটকার চালক বাদে ৪জনকে ঝিনাইদহ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, আটককৃত ব্যক্তিরা ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর উদ্যেশ্যে একটি ভাড়াকরা প্রাইভেটকারযোগে ঢাকা থেকে রওনা দেন। তারা সীমান্তের ‘ধুড়’ পাচার চক্রের সদস্য জনৈক আকরাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেন। আকরাম হোসেনের সাথে তাদের ভারতে পৌঁছে দেয়ার চুক্তি হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে একটি প্রাইভেট কার থেকে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য রিয়াজ মাহমুদ আইনাল, সরোয়ার হোসেন, মানিকগঞ্জের সৌমিত্র সরকার ও প্রাইভেট চালক ধামরাইয়ের রুবলে দেওয়ানসহ ৫ জনকে আটক করেন।

আটককৃতদের মধ্যে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরীর নামে ঢাকা আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলাসহ দু’টি মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রাইভেটকার চালক বাদে ৪ জনকে ঝিনাইদহ আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।




কুষ্টিয়ায় বেশি দামে সার বিক্রি, ডিলারকে জরিমানা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বেশি দামে সার বিক্রি, নিয়মিত দোকান না খোলা ও প্রাপ্ত সারের সঠিক হিসাব না থাকায় এক ডিলারকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ বুধবার দুপুরে কুমারখালী স্টেশন বাজার এলাকার মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. কামরুজ্জামান রতনকে এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল। এসময় কুমারখালী কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বিসিআইসির নিয়ম অনুযায়ী একজন ডিলারকে নিয়মিত দোকান খুলতে হবে এবং ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি করতে হবে। কিন্তু মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ দীর্ঘদিন ধরে নিয়ম ভেঙে অধিকাংশ সময় দোকান বন্ধ রাখে। এছাড়া বিভিন্ন নামে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে বেশি দামে সার বিক্রি করে আসছে।

ভুক্তভোগীদের এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ডিলার মো. কামরুজ্জামান রতনকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

কুষ্টিয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল বলেন, বিভিন্ন নামে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে বেশি দামে সার বিক্রি, নিয়মিত দোকান না খোলা ও প্রাপ্ত সারের সঠিক হিসাব না থাকার অপরাধে মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজের ডিলারকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও নিয়ম কানুন মেনে চলতে কঠোর সতর্কীকরণ করা হয়েছে।




ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিবে এসিআই মোটরস

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এসিআই মোটরস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির রিটেল অ্যান্ড ডিজিটাল ফাইন্যান্সিং বিভাগ ম্যানেজার পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : এসিআই মোটরস লিমিটেড পদের নাম : ম্যানেজার বিভাগ : রিটেল অ্যান্ড ডিজিটাল ফাইন্যান্সিং পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা : অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে বিবিএ/ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে বিবিএ/এমবিএ অন্যান্য যোগ্যতা : ব্যাংক, বিমা, বিনিয়োগ/মার্চেন্ট ব্যাংকিং, ডাইরেক্ট সেলিং/মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানিতে কাজের দক্ষতা । অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ বছর

চাকরির ধরন : ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র : অফিসে প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা : ৩০ থেকে ৩৫ বছর

কর্মস্থল : ঢাকা (তেজগাঁও শিল্প এলাকা) বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

আবেদন করবেন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময় : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সূত্র: কালবেলা




গাংনীতে কলেজ ছাত্রকে খুর চালিয়ে হত্যার চেষ্টা

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুর মেরে কলেজ ছাত্র মোঃ আরাফাত হোসেন (১৯) কে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে গাংনী উপজেলা শহরের লাভলু হোসেন ও তার ছেলে রাজুসহ কয়েকজনে।

আহত মোঃ আরাফাত হোসেন গাংনী পৌরসভার নয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এনামুল হকের ছেলে ও সে মেহেরপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত। ঘটনাটি গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটে লাভলুর সেলুনের দোকানের সামনে ঘটে।

আহত আরাফাত হোসেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এঘটনায় লাভলু তার ছেলে রাজুসহ ৫/৬ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় আরাফাত হোসেন মোটরসাইকেল লাভলু হোসেনের সেলুনের সামনে রাখায় তার ছেলে রাজু অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। এর প্রতিবাদ করাই সেলুনের ভিতর থেকে লাভলু এসে খুর দিয়ে গলা বরাবর পোস দেই। এসময় গলা সরিয়ে নিলে আরাফাত হোসেনের নিচের ঠোঁট থেকে গলা পর্যন্ত কেটে যায়। তার শরীরে তিনটি স্থানে গুরুতর জখম হয়। এসময় স্থানীয়রা ছুটে এলে লাভলু হোসেন ও তার লোকজন পালিয়ে যায়।

গাংনী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইনসারুল হক ইনসু বলেন, পূর্ব পরিকল্পনায় তুচ্ছ ঘটনায় ভাতিজা আরাফাত হোসেনকে হত্যার প্রচেষ্টা করেছে। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

কলেজ ছাত্র আরাফাতের পিতা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এনামুল হক জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।

এদিকে তুচ্ছ ঘটনায় কলেজ ছাত্রকে খুর চালিয়ে হত্যা চেষ্টার অপরাধে বিক্ষুব্ধ জনতা তার সেলুনের দোকানে হামলা চালায়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।




মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দুই ব্যবসায়ীর জরিমানা

মেহেরপুরের কোট রোড পন্ডের ঘাটে ইসমাইল ট্রেডার্স এবং হোটেল বাজারের মতিন হার্ডওয়ারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পন্ডের ঘাটের ইসমাইল ট্রেডার্স এবং হোটেল বাজারে মতিন হার্ডওয়ারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আদালত পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।

এসময় জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ, জেলা স্যানিটারি ইনসপেক্টর তারিকুল ইসলাম ও পুলিশ লাইনের এক দল পুলিশ অংশ নেয়।

ফেবিকোল কোম্পানির নামে নকল আঠা বিক্রির অপরাধে দোকান মালিক মোঃ সোহেল রানাকে ৩০ হাজার এবং মতিন হার্ডওয়ারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মতিনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, কোট রোড পন্ডের ঘাটে ইসমাইল ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে নকল আঠা বিক্রিয়ের অভিযোগ ছিল। দোকান মালিক সোহেল রানাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ হাজার এবং মতিন হার্ডওয়ারের মালিক আব্দুল মতিনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।