কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামি ৪ ফেব্রুয়ারি। গঠিত নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বেঠকের পরদিনই করলেন তফসিল ঘোষনা।
এবারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান কেরুজ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব পরিবহন বিভাগের (প্রকৌশলী) আবু সাইদ, সদস্য প্রশাসন বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক (পার্সনাল) আলআমিন, উপ-ব্যবস্থাপক (হিসাব) জাবেদ হাসান, জুনিয়ার অফিসার (বানিজ্যিক) জহির উদ্দিন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা প্রথম বৈঠক করেছেন ২৩ জুলাই সন্ধ্যায়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বসেন সাম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে। সে বৈঠকেই ঘোষনা করা হয়েছে নির্বাচনী তফসিল।
ঘোষতি তফসিল অনুযায়ি আগামি ২৪ জানুয়ারি বেলা ১১ টার দিকে নির্বাচনী এলাকার বিবরণ প্রকাশ, ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, পরের দিন সকাল ১০ টার দিকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে আপত্তির শেষ সময়, একই দিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
২৮ জানুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্রের ফরম সরবরাহ, একই দিন দুপুর ১ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্রের ফরম দাখিল, বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এক দিন রাত ৮ টা পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় বেধে দেয়া হয়েছে।
২৯ জানুয়ারি বিকাল ৩ টার দিকে চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৪ ফেব্রুয়ারি কেরুজ পুরাতন হাই স্কুলে গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন হবে সকাল ৮ টা থেকে বিরতীহিনভাবে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত। চিনিকলের হিসাব, প্রসাশন ভান্ডার, স্বাস্থ্য বিধান, ইমারত, সেনিটেশন, হাসপাতাল, চোলাই মদ কারখানা, ডিস্টিলারী, বিদ্যুত ও কারখানা, প্রকৌশলী, পরিবহন, ইক্ষু উন্নয়ন, ইক্ষু সংগ্রহ বিভাগ সহ বানিজ্যিক খামার গুলোর শ্রমিক-কর্মচারিদের নিয়ে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা গত নির্বাচনে ছিলো ১০৮৮। দেশের ৬ টি চিনিকল বন্ধ হওয়ায় বিভিন্ন মিলের শ্রমিক-কর্মচারী কেরুজ চিনিকলে যোগদান করেছে ২৭০ জন। ফলে মোটার ভোটার সংখ্যা ১৩৫৮ দাড়ালেও চুড়ান্ত ভাবে কমতে পারে।
কারণ হিসেবে জানা গেছে, গত ২ বছরে বহু ভোটার অবসর গ্রহন ও মৃত্যু জনিত কারণে কমেছে। ফলে এবার সাম্ভাব্য ১৩০০ ভোটার হতে পারে। এ নির্বাচনে নির্বাচনে পরিবর্তন আনা হয়েছে পরিষদের সদস্য সংখ্যায়। তথ্যনুয়ায়ি কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের বর্তমান পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা ১৩ জন। বছর ছয়েক আগে ২৫ সদস্যের কমিটির পরিবর্তন করে তা ১৩ সদস্যে করা হলেও এবার পরিবর্তন সেই পচিশে দাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পরিবর্তন করে ফের ২৫ সদস্যের কমিটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এবারের নির্বাচনে ২৫ টি পদের বিপরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে প্রার্থীরা। সেক্ষেত্রে যেমন বেড়েছে পদের সংখ্যা, তেমনি বাড়ছে প্রার্থীর সংখ্যাও। এবারের নির্বাচনে পুরাতনের পাশাপাশি নতুন মুখেরো দেখা মিলছে বেশ। কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের মূলত বড় পদ ২ টি। তা হচ্ছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদই মূল পদ হিসেবেই গণ্য করা হয়ে থাকে।
এ নির্বাচনে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ ও সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে নাম শোনা যাচ্ছে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স ও জয়নাল আবেদীন নফর। সহসভাপতি পদে ১ জনের পরিবর্তে এবার ২ জন নির্বাচিত হবে। তবে প্রতিদন্বন্দ্বিতা করতে পারেন এসএম কবীর, মফিজুল ইসলাম, আনিছুর রহমান ও রেজাউল করিম। এ দিকে বর্তমান সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবারের নির্বাচনে সে পদ থেকে সরে যুগ্নসম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সে মোতাবেক ব্যানার-ফ্যাস্টুনো সেটেছেন কেরুজ এলাকায়। যুগ্নসম্পাদক পদে নাম শোনা যাচ্ছে মোস্তাফিজুর রহমান, বর্তমান যুগ্নসম্পাদক খবির উদ্দিন, আতিয়ার রহমান, মহিদুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রচারণায় মাঠে রয়েছে ইকবাল হোসেন ও বাবুল আক্তার। এ ছাড়া অন্যান্য পদের বিপরিতে অসংখ্য প্রার্থী প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন।