খুলনা রেঞ্জের ডিআইজির মেহেরপুরে বিভিন্ন কর্মসূচীতে যোগদান

খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম (বার), পিপিএম দিনব্যাপী মেহেরপুর পুলিশের বিভিন্ন কর্মসূচীতে যোগদান করেছেন।

গতকাল রবিবার ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম বার), পিপিএম মেহেরপুরে এসে পৌছালে পুলিশ সুপার রাফিউল আলম তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন। পরে জেলা পুলিশের একটি চৌকষ দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এসময় তিনি সালাম গ্রহণ করেন।

পরে পুলিশ লাইন ড্রিল শেডে অনুষ্ঠিত বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পুলিশ সুপার রাফিউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আজমল হোসেনসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম (বার), পিপিএম, বাস্তব ঘটনা ও অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে জেলা পুলিশের সর্বস্তরের সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত “বিশেষ অপরাধ সভায়” প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এসময় মেহেরপুর জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।




অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্যদিয়ে কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সাধারণসভা সম্পন্ন

অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে এবারের কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সাধারণসভা।
স্বরণকালের রেকর্ড ভেঙ্গে এবার নির্ধারিত সময়ের চাইতে সভার কার্যক্রম শুরু হয় ২ ঘন্টা বিলম্বে। সকাল ১০ টায় যে সভা শুরু হওয়ার কথা সে সভা বিলম্বে দুপুর ১২ টায় সভা শুরু করে রাত ৮টার মধ্যেই করা হয়েছে শেষ। এবারের সভায় শুরু থেকে ছিল উত্তেজনা ও নেতাদের কথায় ছিল তিক্ততার বিষ। কথার তীরে ঘায়েল করতে বক্তব্যে একে অপরকে করেন ধবল ধোলাই। সভার প্রথম পর্ব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি, চেয়ার ভাংচুর ও স্বপন নামের এক শ্রমিক রক্তাক্ত জখম সহ সভাস্থলে কয়েক দফা হাতাহাতির মধ্য দিয়ে এবারের দ্বি-বার্ষিক সাধারণসভা হয়েছে শেষ।

রোববার সকাল ১০টার স্থলে দুপুর ১২ টার দিকে কেরুজ ইমারত বিভাগের সামনে আয়োজন করা হয় শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সাধারণসভা। সাধারন সভাকে কেন্দ্র করে নির্ধারিত সভা চত্বর ছিল শুনশান। সাধারন সভাকে কেন্দ্র করে সাকাল ৯টার পর থেকে শ্রমিক সংগঠন গুলো দলবদ্ধ হয়ে দলেদলে মিছিল সহকারে নেতারা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে হাজির হন সভাস্থলে। দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয় আলোচনাপর্ব। পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু হয়।

এ সভার উদ্বোধন করেন কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সহ শ্রমিক নের্তৃবৃন্দ। শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ ৫ পৃষ্ঠা বিশিষ্ট প্রতিবেদন পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ।

২০২১ সালের আয় দেখানো হয়েছে ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৮৯ টাকা ৮৮ পয়সা। ওই বছরেই ব্যয় করা হয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা। অবশিষ্ট টাকার পরিমাণ ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪৮৯ টাকা ৮৮ পয়সা। ২০২২ সালে আয় হয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ১১৮ টাকা ৮৮ পয়সা এবং ব্যয় হয়েছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫১৭ টাকা ৪৫ পয়সা। ফলে ২ বছরের আয়-ব্যয় হিসাবে অবশিষ্ট টাকার পরিমাণ ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬০১ টাকা ৪৩ পয়সা।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন, সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী জয়নাল আবেদীন নফর। অনুষ্ঠানে বর্তমান পরিষদের সহ-সভাপতি ও সহ-সম্পাদক পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের উপস্থাপনায় উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী রেজাউল করিম, মফিজুল ইসলাম, এসএম কবির, বর্তমান পরিষদের সহ-সম্পাদক খবির উদ্দিন, হাফিজুল ইসলাম, সদস্যপ্রার্থী বর্তমান পরিষদের সদস্য মজিবর রহমান, নুরুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, সাইফ উদ্দিন সুমন, ডাবলু, আব্বাস আলী, হারিজুল ইসলাম, সাহেব আলী শিকদার, জাহিদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম সুমন, প্রমুখ।

সভায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রস্তাবিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব ব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) ফিদাহ হাসান বাদশা, উপব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) আল আমিন , গ্যারেজ ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ ও সহব্যবস্থাপক (ভূমি) জহির উদ্দিনকে।

গত নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১ মাস ৫ দিন আগে। সাধারণসভা অনুষ্ঠিত হলো ১২ দিন আগে। কেরুজ নির্বাচন মানেই মহোৎসব। এ নির্বাচন গোটা জেলাবাসীকে জানান দেয়। গোটা মৌসুম জুড়ে নির্বাচনী বাতাস থাকে গরম। নির্বাচনকে ঘিরে কেরুজ আঙিনা ভোটার ও বহিরাগতদের পদচারণায় এখন মুখরিত। প্রার্থীদের দৌড়-ঝাপ-ভোটারদের দলে ভেড়ানোর কায়দা-কৌশল অবলম্বনে থাকে না কোন কমতি। ভোটারদের মন গলাতে বানের পানির মতো খরচ করা হয়ে থাকে টাকা। দীর্ঘদিনের এ ধারাবাহিকতা কমতি থাকবে না এবারের নির্বাচনেও। ভোটের বাকি মাত্র ১২ দিন। নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী আলোচনা, প্রচারণা, দৌড়-ঝাপ, সংগঠন অফিসগুলোতে ভোটারদের আনা-গোনা, সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে সংগঠন কার্যালয়গুলো কর্মী-সমাবেশের পাশিপাশি হচ্ছে ভুড়ি ভোজনের আয়োজন। সেই সাথে প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের মুহুমুহু স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠছে কেরুজ ক্যাম্পাস এলাকা। আর সন্ধা নামার পরপরই প্রার্থীরা ভোটার ও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে স্লোগান তুলে দিচ্ছে মহড়া। দেখানো হচ্ছে দল ভারির শো-ডাউন। নেপথ্যে রয়েছে বহু রহস্য। অনেকেই মন্তব্য করে বলেছে, কি মধু আছে এতে। কেরুতে নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রধান হাতিয়ার কি মদ বিক্রয় কেন্দ্রেরগুলোর এজেন্টরা? শ্রমিক নেতাদের সংগঠন কার্যালয়গুলো সারাবছর জনমানবহীন থাকলেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমজমাট অবস্থায় পরিণত হওয়ার নেপথ্যের রহস্যই বা কি? তবে সাধারন সভাকে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার সকাল থেকেই সংগঠনগুলো ছিলো কর্মী, সমর্থক, ভোটার ও বহিরাগতদের ভীড়। প্রত্যেক সংগঠন থেকে বিশাল র‌্যালি সহকারে সভাস্থলে যোগদান করা হয়।

এ নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন, ফিরোজ আহমেদ সবুজ সংগঠনের কর্ণধর বর্তমান পরিষদের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ, তৈয়ব সংগঠনের কর্ণধর সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী। সাধারণ সম্পাদক পদে মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন মাসুদ সংগঠনের কর্ণধর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, মনিরুল ইসলাম প্রিন্স সংগঠনের কর্ণধর সাবেক সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স ও জয়নাল আবেদীন নফর সংগঠনের কর্ণধর সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী জয়নাল আবেদীন নফর।

আসন্ন এ নির্বাচনে পরিবর্তন আসছে পরিষদের সদস্য সংখ্যায়। তথ্যনুযায়ী কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের বর্তমান পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা ১৩ জন। বছর দুয়েক আগে ২৫ সদস্যের কমিটির পরিবর্তন করে তা ১৩ সদস্যে করা হলেও তা পরিবর্তন করা হয়েছে সম্প্রতি। শ্রম অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পরিবর্তন করে ফের ২৫ সদস্যের কমিটি নির্ধারন করা হয়েছে।

ফলে এবারের নির্বাচনে ২৫টি পদের বিপরীতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবে প্রার্থীরা। কেরুজ চিনিকলে এক সময় দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক ছিল। সে সময় শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ছিল। যখন শ্রমিক কমে গেল তখন কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নে এক জন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও ৯ জন সদস্য করে ১৩ জন বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। ১লা সেপ্টেম্বর-২২ শ্রম আইন বিধি মোতাবেক ১৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বলা হয়েছে কোন প্রতিষ্ঠানে ৮০১ থেকে ১৫’শ জন কর্মকর্তা কর্মচারী থাকলে শ্রমিকদের স্বার্থে সভাপতি ১ জন, সহ-সভাপতি ২ জন, সাধারণ সম্পাদক ১ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ২ জন, কোষাধ্যক্ষ ১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন, প্রচার সম্পাদক ১ জন দপ্তর সম্পাদক ১ জন ও সদস্য ১৫ জন করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের কমিটি গঠন যাবে। সে লক্ষে আয়োজিত গেট মিটিং সভায় উপস্থিত নের্তৃবৃন্দ সহ সকলে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের মতামত প্রকাশ করেন। সে মোতাবেক এবারের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির পরিবর্তে ২৫ সদস্যর কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে। সে অনুযায়ী ২৫ পদের বিপরীতে এবারের নির্বাচনে পুরাতনের পাশাপাশি নতুন মুখের দেখা মিলেছে।

গত নির্বাচনে দর্শনা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১০৮৮। দেশের ৬টি চিনিকল বন্ধ হওয়ায় বিভিন্ন মিলের শ্রমিক-কর্মচারী কেরুজ চিনিকলে যোগদান করেছে ২৭০ জন। ফলে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩৫৮ জনে দাঁড়ালেও চুরান্তভাবে কমবে। গত ২ বছরে বহু ভোটার অবসর গ্রহণ ও মৃত্যুজনিত কারনে কমেছে। ফলে এবার সম্ভাব্য ১৩০০ ভোটার হতে পারে।

গত ২০২১ সালের ৮ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের নের্তৃবৃন্দ এবার ১ মাস ৫ দিন আগেই নির্বাচনের দিন নির্ধারন করে ২২ জানুয়ারি নিয়ম মাফিক সাধারণ সভা এবং ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। ইতমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সাধারন সভার ও শুধুমাত্র আর বাকী থাকলো ভোট গ্রহণের দিন। কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন মূলত বড় পদ ২টি। তা হচ্ছে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদই মুল পদ হিসেবেই গণ্য করা হয়ে থাকে। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান ক্যাবিনেটের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ ও সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী। এবারের নির্বাচনে সহ-সভাপতি ও সহ- সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে কয়েকটি পদ। এছাড়া সহ-সভাপতি ও যুগ্মসম্পাদকসহ সদস্য পদে অসংখ্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।




জেলার শ্রেষ্ঠ এস আই আলমডাঙ্গা থানার জামির হোসেন

সাজাপ্রাপ্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল ও মামলা তদন্তে বিশেষ অবদান রাখায় চুয়াডাঙ্গা জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক নির্বাচিত হয়েছেন আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামির হোসেন।

রবিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনস হল রুমে আয়োজিত মাসিক কল্যাণ সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই জামির হোসেনের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি তার এ অভূতপূর্ব সাফল্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এস আই জামির হোসেন বলেন, ‘আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি একটি আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পুলিশ ও জনতার মেলবন্ধন অত্যন্ত জরুরি।

যে কোনো পুরস্কারই কাজে উৎসাহ বাড়ায়। পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’




গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুলের গণসংযোগ

শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার এই শ্লোগান কে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন,সাফল্য ও নৌকায় ভোট প্রার্থনায় গাংনী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ করেছেন গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল।

রোববার সকাল থেকে সারাদিন গাংনী উপজেলার সাহারবাটি,বামন্দী ও ধানখোলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ ও বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গনসংযোগ করেন।

এসময় তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার মুখে নয়, কাজে বিশ্বাসী। বিগত নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে নির্বাচনী ওয়াদা করেছিলেন তা সিংহভাগ বাস্তবায়ন করেছেন । বাস্তবায়নকৃত কাজের মধ্যে পদ্মা সেতু, শ্রমিকদের মুজুরী বৃদ্ধি, বিনা মুল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণ, দারিদ্রতা হ্রাস, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, ও মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি, গরীব ছাত্র ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণ, শিক্ষকদের চাকুরী জাতীয় করণ, মেট্রোরেল চালু, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান। নারীর ক্ষমতায়ন, গ্রামীন রাস্তা ঘাট, কালভাট ব্রীজ নির্মান, মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, হতদরিদ্র মানুষের জন্য গৃহনির্মান, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলমান, সারা দেশে ব্যাপী বিদ্যুৎ এর ব্যাপক উন্নয়ন, কৃষিতে সফলতা, অনলাইন সেবা প্রদান, , নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দান, বেকার যুবক ও যুবতীদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা সহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে সাফল্য তুলে ধরেন তিনি।

এসময় আওয়ামীলীগ ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন। আসন্ন আগামী জাতীয় নির্বাচনে মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের জন্য তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে সহযোগীতা এবং আওয়ামীলীগের নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।




দামুড়হুদায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের উপসহকারী সার্জন না হয়েও করছে অপারেশন প্রতিনিয়ত 

দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের উপসহকারী প্রাণী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সার্জন না হয়েও নিয়মিত বড় ধরনের অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিনিয়ত তিনি গবাদিপশুর অপারেশন করে চলেছেন। কোন অদৃশ্য শক্তির বলে সে একের পর এক কৃষকের গরুর ভুল চিকিৎসা দিয়ে আসছে জানানেই কারো।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে দরিদ্র কৃষক আঃরহমানের একটি লাল রঙের এড়ে গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের উপসহকারী প্রাণী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের স্বরনাপন্ন হন। ওই কর্মকর্তা দরিদ্র কৃষকের বাড়ি গিয়ে গরুটিকে ক্ষতস্থানে অস্ত্রপাচার করতে হবে আর এজন্য খরচ হবে মোটা অংকের টাকা। গত আনুমানিক ৩মাস আগে গরুটি সুস্থ হয়ে না উঠলে চিকিৎসক নজরুল ইসলামের কাছে যান দরিদ্র কৃষক আঃরহমান। সেসময় দরদাম ঠিক হবার একপর্যায়ে প্রাণী চিকিৎসক নজরুল ইসলাম দরিদ্র কৃষকের বাড়ি গিয়ে গরুটির ক্ষতস্থানে ভুল অস্ত্র পাচার করে। এরপর দিনেদিনে গরুটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। ক্ষতস্থানে দগদগে গা দেখা দিয়েছে। গরুটির মালিক বারবার মোবাইলে ওই প্রাণী চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করলেও গরুটির আর চিকিৎসা দিচ্ছেন না। গরুটি দিনদিন শুকিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যধীক টাকা মূল্যের গরুটি মারা যাবে বলে আশঙ্কা করছে গরুর মালিক।

এদিকে, সম্প্রতি সময়ে দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা মোড়পাড়ার আনসার আলির ছেলে দিনমজুর আঃকুদ্দুছের একটি ৮মাসের গাভী গরুর শরীরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভুল অস্ত্রপাচার করে। গাভীটির শরীরে অস্ত্রপাচারের দিন রাতে গাভীটি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভুক্তভোগী আঃকুদ্দুছ বারবার মোবাইল করে উপসহকারী প্রাণী চিকিৎসক নজরুল ইসলাম কে। বারবার কল দেয়ার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এর কয়েকদিন পর গাভী গরুটি মারা যায়। ভুক্তভোগী আঃকুদ্দুছ বাদী হয়ে উপসহকারী নজরুল ইসলামের নামে লিখিত অভিযোগ করে থানা সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে। যা বেশ কয়েকটি গণ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের উপসহকারী প্রাণী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আমি অনেক দিনআগেই পুরাতন বাস্তপুরের আঃরহমানের গরুর অপারেশন করেছি। সেই সময় তাকে বলেছিলাম গরুটি বিক্রি করে দিতে। আর তার কাছ থেকে চিকিৎসা বাবদ, ১ হাজার বার শ টাকা নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমি মেলা অপারেশন করেছি হবে তো। চিৎলায় আমার চিকিৎসা দেয়া গরুটি মারা যাওয়ার ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। এখন তাদের গরু যদি ভালো না হয় তাহলে অন্য কারো দিয়ে চিকিৎসা করাক। ওরা মনে করেছে চিৎলার ঘটনায় হেমারিং হয়েছে হয়তো ওরাও অভিযোগ করলে আসমান থেকে একটা গরু চলে আসবে। তবে করুক,রিপোর্ট করিয়ে আসমান থেকে গরু নিয়ে আসুক।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তাসলিমা খাতুন বলেন, অপারেশন তো ওনার করার কথা না। আমাদের তো ভেটেনারি সার্জন নাই হয়তো সেজন্য উনি কিছু চিকিৎসা করে সাপোট দেন। এখন তো অনেকেই শিখে চিকিৎসা দিচ্ছে। সবাইকে তো আর ওভাবে রোধ করা সম্ভব না। তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে এধরণের একটি অভিযোগের পেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। যদি ভুক্তভোগী খামারি লিখিত অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




দর্শনার কুন্দিপুরে আদালতের নির্দেশে বসতঘর উচ্ছেদ 

আশ্রহীন মানুষের আশ্রয়স্থল করতে নানা কর্মসুচি বা¯ত্মবায়ন করে চলেছে সরকার। এ কর্মসুচির মধ্যে জমি আছে ঘর নেই, আবার জমি ঘর কোনটায় নেই। সে সকল ছিন্নমূল মানুষের জন্য জমি ও ঘর তৈরী করে দিচ্ছেন সরকার। ঠিক তখনি চুয়াডাঙ্গার কুন্দিপুর গ্রামে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে একটি পরিবারের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফলে খোলা আকাশের নিচে মানবতের জীবন যাপন করছে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিবার।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কুন্দিপুর গ্রামের কপিল উদ্দিনের ছেলে ভারত ওরফে দিল মোহাম্মদরে সাথে ১৭ নং নেহালপুর মৌজার মাদার ম-লের ছেলে মোফাজেলের সাথে বসত ভিটার ৩ কাটা জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলে আসছিলো। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক কাগজপত্র পর্যালচনা করে মামলার বাদী ভারতের পড়্গে ডিগ্রী জারি করেন। সেই সাথে জমিতে থাকা সকল প্রকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ উচ্ছেদের নির্দেশ প্রদান করেন। তারি আলোকে গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে জেলা জজ আদালতের নাজির নজরম্নল ইসলামসহ হাবিবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম দর্শনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় নালিশি জমিতে থাকা সকল প্রকার স্থপনা ভেঙ্গে ফেলেন। উচ্ছেদের ফলে ৫ সদস্য বিশিষ্ট মোফাজেলের পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেয়।

মোফাজেলের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ১৭ বছর এই ভিটাই বসবাস করছি। আমাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে এমন কোন নোটিশ পায়নি। সকালে হঠাত করে দেখি আদালতের লোকজন এবং পুলিশ এসে সবকিছু ভাঙ্গা শুরু করে দিয়েছে। আমরা মূর্খ মানুষ এতকিছু বুঝি না। আর ৪-৫ দিন পর আমার বড়মেয়ের বাচ্চা হবে। এখন তিন মেয়ে নিয়ে কোথায় উঠব জানিনা। জমিজমা বলতে জীবনের সকল উর্পাজন দিয়ে এই বসত ভিটা টুকই কিনে ছিলাম। আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে আসা জজ আদালতের নাজির নজরুল ইসলাম বলেন, আইনি বিষয় আইনগত ভাবেই মোকাবেলা করতে হয়। আমরা বিজ্ঞ আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতেই এসেছি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা গ্রামের অনেকেই বলেন, সত্য মিথার বেড়া জালে পড়ে মোফাজলেেক বসত বাড়ি ছাড়তে হচ্ছে। তবে ঘটনাটি অমানবিক ও দু:খজনক।




দামুড়হুদা লোকনাথপুরে ট্রাক-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশুসহ আহত-৫

দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুরে ট্রাক ও ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইজিবাইকে থাকা শিশুসহ পাচ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত. জালাল উদ্দিনের ছেলে (ইজিবাইক চালক) সাইফুল ইসলাম (৩৭), দামুড়হুদার রুদ্রনগর গ্রামের জমির উদ্দিনের স্ত্রী শুকতারা বেগম (৪০), কাদিপুর গ্রামের মৃত. আলী হোসেনের ছেলে রোকন (৩০), রোকনের ছেলে রুহিন (৫) ও একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে জিহাদ আলী (১৮)।

রবিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া তিনজনকে ভর্তি করে অপর দুইজন ব্যক্তিকে গুরুত্বর আহত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ডঃ মখলেছুর রহমান তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা থেকে ইজিবাইকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে নিজ কাজের জন্য দর্শনায় যাচ্ছিল। এই সময় লোকনাথপুর বাজারে পৌছালে বিপরীত থেকে আসা ( যার নং কুষ্টিয়া -ট ১১-০২৮০) একটি ট্রাক এসে ইজি বাইকের সামনাসামনে ধাক্কা মারে । এতে ইজিবাইক চালক সহ যাত্রীরা ছিটকে পাকা রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে দর্শনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ট্রাক ড্রাইভার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও ট্রাকটি দামুড়হুদা মডেল থানা হেফাজতে নেন পুলিশ।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, দূরঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থানে যায়,আহত ৫ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রের্ফাড করা হয়েছে।ট্রাকটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর জাহান রুমি বলেন, তাদের শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত কিনা এখনি বলা সম্ভব নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। সার্জারি কনসালটেন্ট চিকিৎসক পরবর্তী চিকিৎসা দেবেন। ২৪ ঘন্টা না যাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।




ঝিনাইদহের বিশিষ্ট আইনজীবী নওশের আলীর ইন্তেকাল

ঝিনাইদহ জজ কোর্টে বিশিষ্ট আইনজীবী নওশের আলী (৮৫) ইন্তেকাল করেছেন। ( ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহীর রাজিউন)।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকার নিউরোসাইন্স হাসপাতলে বাধ্যর্ক জনিত অসুস্থতার কারণে চিকিৎসরত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন।

তিনি হরিণাকুন্ডু উপজেলার শিংগা গ্রামের মরহুম ভিকু বিশ্বাসের সান্তান। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ শহরের মদন মহন পাড়ায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন। তিনার বড় ছেলে আলী রেজা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞ বিচারপতি, মেজ ছেলে ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং ছোট ছেলে ঝিনাইদহ জজ কোর্টের আইনজীবী। মরহুম এ্যাড. নওশের আলী ঝিনাইদহ আইন অঙ্গনের এক উজ্জল নক্ষত্র। তাঁর এই মৃত্যুতে ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতি এক বিশিষ্ট আইনজীবীকে হারালো।

মৃত্যুকালে তিনি তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি, ঝিনাইদহ জজ কোর্টের জেলা জজ নাজিবুদৌলা, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শোক জানিয়েছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। বাদ মাগরীব ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মরহুমের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে ।




বন্ধ হলো গুগল ভয়েসের স্মার্ট রিপ্লাই

নতুন হালনাগাদে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের জন্য স্মার্ট রিপ্লাই সুবিধা বন্ধ করেছে গুগল। ফলে গুগল ভয়েসের নতুন হালনাগাদে এ সেবা আর ব্যবহার করতে পারবেন না স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্মার্ট রিপ্লাই সাজেশন চালু করেছিল গুগল।

এক বিবৃতিতে গুগল এ সুবিধা বন্ধের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, এখন থেকে গুগল ভয়েসের স্মার্ট রিপ্লাই আর ব্যবহার করা যাবে না। তবে এটি বন্ধের নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানায়নি গুগল।

গুগল ভয়েসের স্মার্ট রিপ্লাইয়ের মাধ্যমে ট্যাপ করে তৎক্ষণাৎ প্রত্যুত্তর জানানোর সুযোগ ছিল। সর্বশেষ বার্তা বিবেচনায় নিয়ে তিন পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যুত্তর বা রিপ্লাইয়ের পরামর্শ (সাজেশন) দিত এ সুবিধার ফিচারটি। গুগল মেসেজের টাইপ আ মেসেজ সেকশনে ‘স্মার্ট রিপ্লাই’ দেখা যেত। তবে গুগল সার্চ, জিমেইল এবং গুগল মেসেজে স্মার্ট রিপ্লাই সেবা ব্যবহার করতে পারছেন ব্যবহারকারীরা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




কোটচাঁদপুরে অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

দরিদ্র,অসহায় ও দুস্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সাফদারপুর বাজার পরিচালনা কমিটি ও বণিক সমিতির উদ্যোগে রবিবার বিকালে সমিতির কার্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাজার পরিচালনা কমিটি ও বণিক সমিতির সভাপতি আয়েছ উদ্দিন মিয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বনিক সমিতির সহ-সভাপতি শাহাবুল হক। শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম। সার্বিক সহযোগিতা ছিলেন বনিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন মাস্টার, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল লতিফ লতা,ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম,ফিরজ,সোহাগ প্রমুখ । সে সময় ৬০ জন এলাকার অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়।