দেবের সঙ্গে সিনেমায় জুটি বাঁধা হলো না ফারিণের

অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের কলকাতার একটি সিনেমায় দেবের বিপরীতে অভিনয় করার কথা ছিল। নির্মাতা অভিজিৎ সেনের পরিচালনায় আগামী নভেম্বর মাসে কলকাতা ও যুক্তরাজ্যে শুটিং শুরুর কথা ছিল। কিন্তু সিনেমাটিতে আর থাকছেন না ফারিণ।

বিষয়টি সম্পর্কে ফারিণ বলেন, ‘নানা অনিশ্চয়তার কারণেই সিনেমাটি থেকে সরে এসেছি। ছবির প্রযোজক অতনু রায় চৌধুরীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলাপ করার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপাতত সিনেমাটিও হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী সরকার পতনের পর বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভিসা পেতে সময় লাগছে। নির্ধারিত নভেম্বর মাসে শুটিং শুরু করা না গেলে সমস্যা। কিন্তু সঠিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভিসা পাওয়াও অনিশ্চিত। এসব কারণে ছবিটিতে কাজ করা হচ্ছে না।’

এর আগে ‘পাত্রী চাই’ নামে কলকাতার আরেকটি ছবিতে কাজের কথা ছিল ফারিণের। সেটিও গত বছর বাতিল হয়েছে। পরপর দুটি ছবিতে কাজ বাতিল হওয়াকে কাকতালীয় বলছেন ফারিণ।
সূত্র: ইত্তেফাক




জাতপাতহীন জাতীয় সংগীত

এ দেশে ‘জাতীয়’ শব্দটি গোড়াগুড়িই বালখিল্যতার পর্যায়ে রয়ে গেছে। ধারণাগত সংকট থেকে উত্তোরিত না হতে পারাই শব্দটির যথার্থ প্রায়োগ হয়নি। “তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি” শ্লোগানটি জাতীয় সংহতি সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছে। বহুভাষী নানা সংস্কৃতির সাথে বাঙালির মেলবন্ধন গড়ে না ওঠা এর কারণ। সংখ্যাঘনিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেশ গড়ে তুলতে চাইলে জাতীয়তাবাদও ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের মতোই আগ্রাসী প্রতিবেশ তৈরি করে, করেছেও তাই।

আদর্শ উদার মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে এখানে সবপক্ষ সুবিধাজনকভাবে নির্বিকার থেকেছেন। খুব শক্তিশালী প্রগতিশীল চিন্তাকাঠামোর দীনতা, রাজনীতিকদের দ্বিধাবিভক্তি এবং জনগণের অযোগ্যতা জাতীয় ঐক্য গঠনে বিপত্তির প্রধান কারণ।
জাতীয় ফল কাঁঠাল কয়জনের ভালো লাগে কিংবা জাতীয় ফুল শাপলা কাদের ভালো লাগে তা জানা নেই। তবে এটা জানা যে, যা সুলভ এবং সৌন্দর্যসুষমায় পরিপুষ্ট তা-ই জাতীয় জীবনর অংশ হয়ে ওঠে। কিন্তু জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে আমরা কথা বলিনা। সন্দেহ নেই ইলিশ স্বাদে-গন্ধে অতুল কিন্তু সুলভ কি? প্রাপ্তির তীব্রতা সত্ত্বেও জাতীয় এই অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।

জাতীয় এমন নানা বিষয়ে আমরা দ্বিধান্বিত, প্রতিটি গর্বদীপ্ত আন্দোলন সংগ্রামের ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত, ঐতিহাসিক মুজিবনগর নিয়ে দ্বিধান্বিত, স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্কে দ্বিধান্বিত, জাতীয় নেতা ও কবি মান্যতায় দ্বিধান্বিত, জাতীয় সংগীতের ক্ষেত্রেও দ্বিধান্বিত। যেটি এই সময়ের নানা সংটের একটি। জাতীয় সংগীত নিয়ে বলার আগে জাতীয় কবি নিয়ে জমে থাকা প্রশ্নপীড়নের উপশম চেষ্টা প্রাসঙ্গিক হবে। কাজী নজরুল ইসলাম কেন আমাদের জাতীয় কবি? এমন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কোন বিবেচনাগুলো প্রাধান্য পেয়েছে তা ভাবা দরকার। কবি জন্মসূত্রে ভারতীয়। একজন ভারতীয় কীভাবে একটি স্বাধীন দেশের জাতীয় কবি হন। তর্কশর্তে ধরে নিলাম তাঁকে সম্মান জানিয়ে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। যদিও তাঁর নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। অনেকে বলতে পারেন, তাঁর সংগীত কবিতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা, মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের গানওতো আমাদের প্রেরণার একটি প্রবাহ , প্রেরণা দিয়েছে সলিল চৌধুরী অসংখ্য গানও। তাহলে কোন বিবেচনায় নজরুল জাতীয় কবি? নজরুল সাহিত্যের কোন পর্ব আমাদের জাতীয় জীবনকে প্রভাবিত করে? হামদ নাত গজল পর্ব, শ্যামা সংগীত পর্ব, খৃস্টানদের জন লিখিত দীর্ঘ প্রার্থনা পর্ব, মানবতা পর্ব, নাস্তিক্যবাদী পর্ব? নাকি সামগ্রিক নজরুল আমাদের জাতীয় জীবনের প্রভাবক?

দাঁড়াবার জাতীয় ঐক্য পাটাতন তৈরি না করে জাতীয় কবি নির্বাচন রাজনৈতিক দুর্বলতা। নজরুলকে জাতীয় কবির মর্যাদা দানে কার লাভ হয়েছে জানা নেই, তবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নজরুল ইসলাম। যে নজরুল গাইতে পারেন, “মোর অন্তরের হেরা গুহায় আজো তোমার ডাক শোনা যায় ” সেই নজরুল দ্বিধাহীনভাবে গাইছেন, ” গাহ নাম অবিরাম কৃষ্ণনাম কৃষ্ণনাম মহাকাল যে নামের করেন প্রাণায়াম। “

আরোহ -অবরোহের উচ্ছলতায় কাজী নজরুলের সৃষ্টি কোনো বিশেষ গোত্রগাঁথা নয় বরং মানুষের অনুভূতি বয়ানের প্রতিনিধিত্ব করেছ। মানুষ নজরুল এখানে মূখ্য।

সেই সাথে আমরা জাতি হিসেবে নজরুলকে মানুষ নজরুল, রবীন্দ্রনাথকে মানুষ রবীন্দ্রনাথ ভাবতে পারছি কিনা সেটাও বিবেচ্য।

জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি এই সময়ের নানা সংকটের একটি। পরিবর্তনের প্রস্তাব প্রথম আসে’৭৫ এর ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ড পরবর্তী খন্দকার মোশতাক আহমেদের শাসনকালে, শাহ আজিজুর রহমানের প্রস্তাবনায় ১৯৭৯সালে জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রপতি। ২০০২ সালে জামায়াত নেতা গোলাম আযম ও আলি আহসান মুজাহিদের প্রস্তাবনায়। সবশেষ ২০২৪ এর ছাত্র – জনতার গণ অভ্যুত্থানে হাসিনার পতনের পর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি” গানটির বিকল্প ভাবছেন কয়েকটি পক্ষ – তারা সোনার বাংলার বিকল্প হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন দীজেন্দ্রলাল রায়ের “ধন ধান্যে পুস্পে ভরা ” গীতিকার মনিরুজ্জামান মনিরের ” প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ ” আর মুহিব খানের “ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি সোনার চাইতে খাঁটি “। আরও কয়েকটির প্রস্তাবনাও শোনা যাচ্ছে। পরিবর্তনের পক্ষে তারা ইরাক জার্মানি পাকিস্তান নেপালের নজির টানছেন। আপাতচিন্তায় আমার সোনার বাংলা কেনো পরিবর্তিত হওয়া উচিত তার আলোচনাও চলছে। বলা হচ্ছে , যেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের বহুপূর্বে বঙ্গভঙ্গ রদকে কেন্দ্র করে রচিত তাই এটি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে না। এবং এটিতে দুই বাংলার একত্র হবার ভয়ানক লক্ষণ রয়েছে। গানটিতে কোথাও বাংলাদেশ শব্দের ব্যবহার নেই আছে বাংলা শব্দের । সনাতনীরা তাদের দেবীকে যেমন “মা” বলে সম্বোধন করে থাকে। এখানেও ” মা তোর বদনখানি মলিন হলে” চরণটিতে সেরকমই পৌত্তলিকতার স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে।

এমন কিছু অসার অযৌক্তিক উদ্দেশ্যপীড়িত বয়ান হাজির করেছেন তারা, যা কুতর্ক ছাড়া কিছু নয়। দেশকে মা ডাকা আর মাতৃভূমি বলার মধ্যে কোনো ভিন্নতা আছে কি?

বঙ্গভঙ্গ বাঙালির অশ্রুকুমকুম দু:খগাঁথা। ধর্মজালে সৃষ্টি হওয়া পাকিস্তান ২৩ বছরের দু:শাসনে দু:স্বপ্নে বঙ্গভঙ্গের অভিশাপকেই কেবল উসকে দিয়েছে।

অনেকের দাবি বাংলাদেশের কোনো লেখক কবির লেখা গানই হোক জাতীয় সংগীত। তাদের জেনে রাখা উচিত বাংলাদেশ মানেই ১৯৭১ পরবর্তী বাংলাদেশ নয়। ৭১ একটি চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তারও অনেক আগে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি। পলকে পলকে বাংলাদেশ তৈরির স্বপ্নকল্প, পর্বে পর্বে এসেছে বাঙালির গর্বদীপ্ত উদ্ভাসন।

আমরা কি ভুলে যাব পাল রাজাদের দৌরাত্মে ফুঁসে ওঠা চর্যাপদের বৌদ্ধভিক্ষু বাঙালি কবিদের? যারা শাসকের ভয়ে ছাড়েননি মাতৃভাষা বাংলাকে। আমরা কি ভুলে যাবো মুকুন্দরাম আলাওল বিদ্যাপতি আবদুল হাকিম সুভাষচন্দ্র বসু শেরে বাংলা ভাসানী জগদীশচন্দ্র বসু তিতুমীর শেখ মুজিব রবীন্দ্রনাথ বা নজরুলকে? যারা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর, চিন্তার মানচিত্রের কারিগর।

১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ২১ দফা, ৬ দফা বাঙালির চরিত্র গঠনের নীতিমালা, বাংলাদেশ তৈরির রূপকল্প।

প্রস্তাবিত যে তিনটি গানের কথা বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে আপাতদৃষ্টিতে সেগুলো দেখে নেয়া যাক। ” ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি সোনার চাইতে খাঁটি ” সামান্য নন্দন তাত্ত্বিক জ্ঞানসম্পন্ন যে কেউ ভীষণ হোঁচট খাবেন প্রথম লাইনেই। না আছে শব্দ চয়নের মুন্সিয়ানা, না আছে বাক্যবিন্যাসের নিজস্বতা। গানটিতে ব্যবহৃত সুজলা সুফলা শব্দদ্বয় বঙ্কিমচন্দ্র সৃষ্ট শব্দসৌকর্য। শুধু শব্দ নয় রয়েছে আলোচিত – সমালোচিত ব্যক্তিদের উপস্থিতি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কর্মকাণ্ডের জন্য শেখ মুজিব সমালোচিত। জিয়াউর রহমানও তাঁর শাসনকাল নিয়ে সমালোচিত, প্রশ্নপীড়িত।
জাতীয় সংগীতে ব্যক্তি উপস্তিতি সমালোচনার জন্ম দেয়, ভবিষ্যতে আরো ব্যক্তি সন্নিবেশের দাবি ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করে। সাধারণত ব্যক্তি উপস্তিতি ঘটানো হয়ে থাকে রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বা গোষ্ঠীগত ভারসাম্য বিবেচনায়, যা ক্ষতিকর। এবার দেখা যাক “প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ ” গানটি। এটি দেশপ্রীতির এক শুদ্ধতম নমুনা, প্রবাহিত হয়েছে কথা ও সুরের অনন্য প্রস্রবণ। কিন্তু গানটিতে হৃদয়ের বিগলনের চেয়ে ফল্গুউচ্ছ্বাস প্রকাশ পেয়েছে বেশি। আমার সোনার বাংলা মানুষের হৃদকম্পের সাথে অনায়াসে মিশে যায়। প্রকৃতি নির্ভর জাতির বিশুদ্ধ বয়ান দেশমাতার প্রতি বিনম্র নিবেদনে নতজানু হয়। প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশে তা সম্ভব নয়।

তৃতীয় যে প্রস্তাবনা, “ধনধান্যে পুস্পে ভরা ” এটি একটি অহমিকা ঠাসা আগ্রাসী গান, “সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি” এই একটি লাইন বাঙালিকে দীর্ঘদিন তৃপ্তি যুগিয়ে এলেও আসলেই কি আমার দেশ সকল দেশের রাণী? প্রশ্ন থেকেই যায় তার সক্ষমতা নিয়ে। অতিরঞ্জন সত্ত্বেও গানটি গায়কী উচ্ছলতা তৈরি করে।

আমাদের জাতীয় সংগীত কেমন হবে তা নির্ধারিত হবে আমরা জাতি হিসেবে কোন অবস্থানে নিজেদের দেখতে চাই, কোন মাত্রায় নিজেদের নিয়ে যেতে চাই। প্রতিটি সভ্য জাতির থাকে ইতিহাস ঐতিহ্যে মিলিত গতিপ্রবাহী এক সুনির্দিষ্ট গন্তব্য যাত্রা। যখন আমাদের সকল ইতিহাস ঐতিহ্য জাতপাতের ঊর্ধ্বে রেখে সুন্দর আগামীর যাত্রায় সকলে সমস্বরে গেয়ে উঠবে , ” আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি “। কেবল তখনই জাতীয় সংগীত নয়, বাংলাদেশ হয়ে উঠবে জাতপাতহীন বিশ্বের প্রতিনিধি।

লেখক: শিক্ষক, কবি ও উপস্থাপক




সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে একযোগে সম্প্রচার করা হবে।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর ৬ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর গত ৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. ইউনূস।

শপথ নেওয়ার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও তার সদস্যরা নিজ নিজ কর্তব্য পালন করার মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে উপভোগ করবেন। দেশকে গৌরবের শীর্ষে নিয়ে যাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী সরকার দূর হয়ে গেছে। কাল সূর্য ‍উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের, সুবিচারের, মানবাধিকারের, নির্ভয়ে মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা দল-মত নির্বিশেষ সবাই উপভোগ করবে- এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

সূত্র: কালবেলা




মৈত্রী সফরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি দল

আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গায় ছাত্র-জনতা মৈত্রী সফরে আসছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবে চুয়াডাঙ্গার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

জানাগেছে, জনমত গঠনসহ স্থানীয় ছাত্র-জনতার কথা শোনার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা সফরে যাচ্ছে প্রতিনিধি দল। খুলনা বিভাগের ১০জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে খুলনা বিভাগের দশ জেলায় প্রতিনিধিরা একদিন করে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবেন।

এরমধ্যে, স্থানীয় সমন্বয়কদের সাথে মতবিনিময়, শহীদ পরিবার ও গুরুতর আহতদের সাথে সাক্ষাৎ, স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় উল্লেখ যোগ্য কর্মসূচী বলে জানা গেছে। ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্যাডে খুলনা বিভাগের দায়িত্ব দেয়া ১০জন হলেন, ওয়াহেদ উজ্জামান, আকরাম হোসাইন রাজ, আশরেফা খাতুন, আবু বকর খান, ফারহানা ফারিনা, মুইনুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ দত্ত, তৌহিদ ইসলাম শুভ, মো. বাবু খান ও জান্নাত।

চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফর উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। আজ বুধবার বিকেল ২টায় চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে একটি জনসভা ও একটি ইনডোর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। জন সভায় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেবেন। মতবিনিময় সভায় রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, নেতৃত্বস্থানীয় ও সুধিজনেরা উপস্থিত থাকবেন।




শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যে মূল হোতা সাবেক মনি মেম্বার ও সুনীল মাস্টার

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের কুকিয়াচাঁদপুর প্রতিবন্ধী স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ভারে স্কুল নিজেই হয়ে গেছে প্রতিবন্ধী। কিছু টিন আর ভাঙ্গাচুরা ছাপড়া ছাড়া আর কিছুই চোখে বাধেনা। শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত মূলহোতারা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। শিক্ষক নিয়োগের নামে তাঁরা হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, কুকিয়াচাঁদপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের নামে একই গ্রামের মৃত কিয়ামদ্দিনের ছেলে মনি সাবেক মেম্বার (৫৫) ও মৃত মুরালী মহন সাহার ছেলে সুনীল মাস্টার (৪৭) মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনা-নেওয়ার জন্য ভ্যান ক্রয়ের নামে কয়েকজন ভ্যানচালকের কাছ থেকেও হাতিয়ে নিয়েছেন জন প্রতি ৫০ হাজার টাকা। সুনীল মাস্টার এবং মনি মেম্বার গড়ে তুলেছে তাদের সন্ত্রাসী কায়দার রাজত্ব বড় নেতা বনে গেছে নিজ এলাকায় ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে দেয়া হচ্ছে ভয়-ভীতি সহ অনেক হুমকি ধামকি। এই বিষয়ে সুনীল মাস্টার ও মনি মেম্বার এর সাথে মুঠো ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করল তারা ফোন রিসিভ করেনি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারগুরো একেবারে পথে বসে গিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।




চুয়াডাঙ্গা জেলা রেজিস্ট্রারের অফিসে হামলার প্রতিবাদে দামুড়হুদায় মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা জেলা রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেবের দপ্তরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে দামুড়হুদা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিস ও দামুড়হুদা উপজেলা দলিল লেখক সমিতি মানববন্ধন করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ শমশের আলী, দলিল লেখক সাইদুর রহমান, আঃ মজিদ, রেজাউল হক, সাজিদ হাসান সোহাগ, নকল নবিশ লিটন, সহ শতাধিক দলিল লেখক ও সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারীবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জেলা রেজিস্ট্রারের অফিসে সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার দাবী করে বলেন, অনতিবিলম্বে যদি এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।




একই রাতে ধরাশায়ী চার লাতিন পরাশক্তি

দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন-কনমেবলের অধীনে ১০ দল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে ১০ দল একে অপরের মুখোমুখি হয় দুবার করে। ফলে প্রতিটি দলকে খেলতে হয় ১৮টি করে ম্যাচ। একই রাতে মুখোমুখি হয় ১০ দল, এতে ম্যাচ হয় ৫টি।

লাতিন সময় মঙ্গলবারের (১০ সেপ্টেম্বর) রাতটিও এর ব্যতিক্রম নয়। এতে রাতে হওয়া পাঁচ ম্যাচের চারটিতে ধরাশায়ী হয়েছে লাতিন আমেরিকা ফুটবল অঞ্চলের চার পরাশক্তি আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি ও উরুগুয়ে।

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লিওনেল মেসিহীন আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় কলম্বিয়া। এতে প্রতিশোধ নেওয়া হয় কোপা আমেরিকা কাপে ফাইনালে হারের। কলম্বিয়ানদের কাছে এ হারে থেমে যায় আর্জেন্টাইনদের টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার জয়যাত্রা। এ বছর এটি লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের প্রথম হার। আর স্কালোনির অধীনে ৭৯ ম্যাচে এটি আর্জেন্টিনার সপ্তম হার।

এরপর ধরাশায়ী হয়েছে লাতিন ফুটবলের আরেক পরাশক্তি ব্রাজিল। হারের কষ্টটা সমানভাবে উপলব্ধি করছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার পর প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে ফিরেছে ব্রাজিল।

আর্জেন্টাইনদের মতো প্রতিশোধের শিকার ব্রাজিলিয়ানরাও। কোপা আমেরিকায় গ্রুপপর্বের ম্যাচে সেলেসাওদের একমাত্র জয়টি এসেছিল প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। তাও ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে।

এবার নিজেদের মাঠে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ১-০ গোলে হারিয়ে, সে হারের প্রতিশোধ নেয় প্যারাগুয়ে। এর আগে শেষবার আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল একই রাতে হেরেছে গত বছর নভেম্বরে। ২০২৩ সালের উরুগুয়ের কাছে হেরে ছিল আর্জেন্টিনা। আর ব্রাজিলকে হারিয়ে ছিল কলম্বিয়া।

আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের মতো এ রাতে হেরেছে চিলি। সাবেক কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা বলিভিয়ার কাছে হেরেছে ২-১ গোলে। কনমেবলের দশ দলের মধ্যে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সবার নিচে বলিভিয়া (৮৩তম)। ঘরের মাঠে ৪৯তম স্থানে থাকা চিলিকে ২-১ গোলে হারায় তারা।

একটা জায়গায় স্বস্তি উরুগুয়ের। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ও চিলির মতো হারতে হয়নি মার্সেলো বিয়েলসার দলকে। প্রতিপক্ষের মাঠে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে উরুগুয়ে। আগের ম্যাচে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ।

এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার কারণে একাদশে নেই বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার। এ অবস্থায় প্রতিপক্ষের মাঠে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ড্র করাকে বাজেভাবে দেখছেন না উরুগুয়ের সমর্থকরা। এ রাতে একমাত্র জয় পাওয়া দল ইকুয়েডর। পেরুকে ১-০ গোলে হারায় তারা।

সেপ্টেম্বরে আর কোনো ফিফা উইন্ডো নেই। আবার অক্টোবরের ফিফা উইন্ডোতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে অংশ নেবে কনমেবলের দলগুলো। এই উইন্ডোতে পয়েন্ট টেবিলে বেশ রদবল হয়েছে।

অষ্টম রাউন্ড শেষে কলম্বিয়ার কাছে হারলেও ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়তে উঠে এসেছে কলম্বিয়া। এরপর যথাক্রমে রয়েছে- উরুগুয়ে (১৫), ইকুয়েডর (১১), ব্রাজিল (১০), ভেনেজুয়েলা (১০), প্যারাগুয়ে (৯), বলিভিয়া (৯), চিলি (৫) ও পেরু (৫)।

লাতিন মহাদেশের দশ দল থেকে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ ছয়টি। আর সপ্তম দলকে খেলতে হবে প্লে অফ ম্যাচ।
সূত্র: কালবেলা




পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ, এক দিন হবে ২৫ ঘণ্টায়

ঘড়ির কাঁটায় ২৪ ঘণ্টাকে এক দিন হিসাবে গণনা করা হয়। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদ ধীরে ধীরে দূরে সরে যাওয়ায় মহাকর্ষীয় প্রভাবের কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি কমে যাচ্ছে। এর ফলে পৃথিবীর দিনের সময় ধীরে ধীরে বাড়ছে। দিনের সময় বাড়ার এই হার সেকেন্ডের ভগ্নাংশতম হওয়ায় সাধারণভাবে বোঝা যায় না।

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আবারও জানালেন, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব বাড়ছে এবং তা এভাবে বাড়তে থাকলে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়বে। তবে তা কয়েক মিনিট নয়, পুরো ১ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা থেকে বেড়ে হবে ২৫ ঘণ্টা। যদিও সেই দীর্ঘ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে প্রায় ২০ কোটি বছর।

সম্প্রতি নতুন এই গবেষণার তথ্য জানিয়েছে ডেইলি মেইল। গবেষকরা জানিয়েছেন, চাঁদ ধীরে ধীরে দূরে সরে যাওয়ায় মহাকর্ষীয় প্রভাবের কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি কমে যাচ্ছে। এর ফলে পৃথিবীর দিনের সময় ধীরে ধীরে বাড়ছে। দিনের সময় বাড়ার এই হার সেকেন্ডের ভগ্নাংশতম হওয়ায় সাধারণভাবে বোঝা যায় না। এভাবে চাঁদ ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকলে ভবিষ্যতে পৃথিবীতে দিন ২৫ ঘণ্টা পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী স্টিফেন মেয়ার্স বলেন, ‘চাঁদ প্রতিবছর প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার দূরে সরে যাচ্ছে। যার অর্থ, আমাদের গ্রহের চারপাশ অতিক্রম করতে চাঁদের বেশি সময় লাগছে। চাঁদ দূরে সরে যাওয়ার কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতিও কমে যাচ্ছে। এমন এক সময় আসবে, যখন চাঁদ একটি স্থিতিশীল দূরত্বে পৌঁছে যাবে। তখন শুধু আমাদের গ্রহের এক দিক থেকে চাঁদ দেখা যাবে।’

গবেষকরা বলছেন, পৃথিবী থেকে চাঁদের বর্তমান দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। এখন চাঁদ প্রতি বছর প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। চাঁদের এই দূরে চলে যাওয়াই পৃথিবীতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ১৪০ কোটি বছর বছর আগে চাঁদ কাছাকাছি থাকার কারণে পৃথিবীতে ১৮ ঘণ্টায় এক দিন হতো। চাঁদ ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণন ধীরগতির হয়ে যাচ্ছে। চাঁদ যখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, তখন এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সমুদ্রের পানির ওপর টান তৈরি করে, যা আংশিকভাবে পৃথিবীর ঘূর্ণনকে ধীর করে দিচ্ছে। পৃথিবীর জড়তা চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ থেকে শক্তিশালী। পৃথিবী ও চাঁদের টানাটানিতে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। আবার পৃথিবী তার অক্ষের ওপর চাঁদের কক্ষপথের চেয়ে অনেক দ্রুত ঘোরে। এসব কারণে পৃথিবীর গতি ধীরগতির হয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক নারী মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ঘোড়ামারা ব্রিজ সংলগ্ন দশ পকেট ব্রিজের নিকট এ দূর্ঘটনা ঘটে।

পরিচয় সনাক্ত করতে ঝিনাইদহের পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে জানানো হয়েছে। তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে অজ্ঞাত নারীর পরিচয় নিশ্চিত করবেন।

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাড়ি পুলিশ সুত্রে, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ ফাড়িতে রাখা হয়। পরিচয় সনাক্তের জন্য ঝিনাইদহের পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) জানানো হয়েছে।

রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চিত্রা এক্সপ্রেস টেনে কেটে অজ্ঞাত এক নারী মারা গেছে। তার বয়স আনুমানিক ৪০ হতে পারে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে পরিচয় সনাক্তের জন্য পিবিআইকে জানিয়েছি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।




দৈনিক অগ্রযাত্রা প্রতিদিনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি হলেন সাংবাদিক সাকিব

ঢাকা থেকে বহুল প্রচারিত অনুসন্ধানমূলক জাতীয় দৈনিক অগ্রযাত্রা প্রতিনিদিনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেলেন চুয়াডাঙ্গার তরুণ সাংবাদিক সাকিব আল হাসান।

তরুণ সাংবাদিক সাকিব জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন নাগরিক টিভিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্যামেরা পারসন হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

দৈনিক অগ্রযাত্রা প্রতিদিনের চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন নাগরিক টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি হুসাইন মালিক, আরটিভির ইউএই প্রতিনিধি এসএম শাফায়েত, আজকের পত্রিকার চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি মেহেরাব্বিন সানভি, ঢাকা পোস্টের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি আফজালুল হক, বার্তা টুয়েন্টি ফোরের জেলা প্রতিনিধি ফেরদৌস ওয়াহিদ, ঢাকা টাইমসসের জেলা সংবাদদাতা আহসান আলম, মেহেরপুর প্রতিদিনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি সাকিব বিশ্বাস, স্থানীয় দৈনিক সময়ের সমীকরণের নিজস্ব প্রতিবেদক রুদ্র রাসেল, উক্ত পত্রিকার প্রধান কম্পিউটার অপারেটর বিএ জীবন, উক্ত পত্রিকার অনলাইন ইনচার্জ সালিকিন মিয়া এবং জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।