মুজিবনগরে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন

“কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করি কৃমি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি” “আপনাদের স্বাস্থ্য আমাদের অঙ্গীকার” এই প্রতিপাদ্যে মুজিবনগরে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকালে মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, ঢাকা মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফাইলেরিয়াসিস, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও খুদে ডাক্তার কার্যক্রম রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার বাস্তবায়নে এবং মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে, জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ২২ জানুয়ারী থেকে ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ পালনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে দিয়ে কৃমিনাশক সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলিফ হোসেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইন্সপেক্টর আব্দুল হাই।

২২শে জানুয়ারী রবিবার থেকে ২৮শে জানুয়ারী শনিবার এই ৭ দিন উপজেলার ৫ বছর থেকে ১৬ বছর বয়সী সকল শিশুকে একটি করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।




দামুড়হুদায় ডায়াবেটিক সমিতির ত্রি বার্ষিক সম্নেলন 

দামুড়হুদা ডায়াবেটিক সমিতির ত্রি বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন ২০২৩-২০২৫ অনুষ্টিত হয়েছে।

এ ডায়াবেটিক সমতির সভাপতি হয়েছেন মাহাফুজুর রহমান মনজু সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফজলুর রহমান।

শনিবার বেলা ১২ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার অডিটোরিয়াম হল রুমে ডায়াবেটিক সমতির ত্রি বার্ষিক ও সাধারন সভা নির্বাচন অনুষ্টিত হয়।

এ সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমান মনজুর সভাপতিত্বে,আলোচনা করেনএ্যাড ভোকেট আবু তালেব,দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ এখলাছ উদ্দীন সুজন, সোহেল আকরাম,  কামাল উদ্দিন।

দামুড়হুদা ডায়াবেটিক সমিতির ১২ সদস্যর এ কমিটি গঠন করে।তারা হলেন সহ সভাপতি হাজী শহীদুল ইসলাম,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এখলাছ উদ্দিন সুজন,রফিকুল ইসলাম তনু,কোষাধাক্য সোহেল আকরাম,যুগ্ন,কোষাধাক্য আঃ কাদির,সদস্য জহিরুল ইসলাম, আবুল কাশেম,আজাদ হোসেন, আজিবর রহমান প্রমুখ।




হরিনাকুণ্ডুতে ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধিত এসপি কাজী মনিরুজ্জামান

খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ট পুলিশ সুপার ও সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান (জাহিদ) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুলিশের সর্বোচ্চ সম্মান সূচক পিপিএম (সেবা) পদক প্রাপ্ত হওয়ায় ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বরেণ্য সন্তানকে নিজ জন্মস্থানের বন্ধুমহল, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মহলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

গতকাল  শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় উপজেলার একতারা মোড়ের একটি মিলনায়তনে মানবাধিকার ও গনমাধ্যম কর্মী অধ্যাপক মাহবুব মুরশেদ শাহীনের সঞ্চালনায় এবং বন্ধু মহলের এম. নজরুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ এম. মোক্তার আলী, অধ্যক্ষ এম.শরিফুল ইসলাম ও এম. শহিদুল ইসলাম,এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিষ্ট্রার এম. জামাল উদ্দীন, থানার অফিসার ইনচার্জ এম. সাইফুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জামাল উদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক এটিএম শরিফুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক নিয়ামত আলী, মাসুদুল হক, জামাল উদ্দীন, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন গনমাধ্যম নেতৃবৃন্দ, মানবাধিকার কর্মী, বনিক সমিতির প্রতিনিধি, ফারিয়ার রাশেদ মোশাররফ, বন্ধু মহলের কবি গোলাম সরোয়ার, রাব্বুল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সংবর্ধিত অতিথি হরিনাকুণ্ডুর বরেণ্য সন্তান এসপি কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম তার বক্তৃতার শুরুতে বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সাথে সাথে ১৫ আগষ্টের নির্মম হত্যায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ অন্যান্য শাহাদত বরণকারী, ৩রা নভেম্বর জেলখানায় নিহত জাতীয় চারনেতা, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শাহাদত বরণকারী ত্রিশলক্ষ শহীদ, দুইলক্ষ সম্ভ্রম হারা মা বোনসহ জাতির গর্বিত সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

নিজ এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক এই সংবর্ধনা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করায় আয়োজকদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। হরিনাকুণ্ডু থেকে মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে, আত্মহত্যা, দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সচেতন নাগরিক সমাজকে পুলিশের সহায়তা করার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা থেকে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নিজ নিজ অঙ্গন থেকে ভূমিকা রাখার মধ্য দিয়ে একটি উন্নত দেশ গঠন সম্ভব বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

এসপি মনিরুজ্জামান অনুষ্ঠান স্থলে পৌছালে বিভিন্ন পেশাজীবী মহলের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করা হয়। এছাড়া তাকে সংবর্ধনা ক্রেষ্ট উপহার দেওয়া হয়।




ডা.এস এ মালেকের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ বঙ্গবন্ধু পরিষদের স্মরণ সভা

বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রাণশক্তি ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে ঝিনাইদহে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ঝিনাইদহ জেলা শাখার আয়োজনে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র জননেতা সাইদুল করিম মিন্টু।

ঝিনাইদহ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডক্টর এ.এইচ.এম আকতারুল ইলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক আবেদ আলী।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বিশ্বাস, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও সরকারি কৌশুলি (জি. পি) অ্যাড. বিকাশ কুমার ঘোষ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আশফাক মাহামুদ জন, ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাহিত্য সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ঝিনাইদহ জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পিন্টু লাল দত্ত। আলোচনা শোষ মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন জামে মসজিদের ইমাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এবং তাঁর আদর্শ ও সততার ধারক ও বাহক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন তো বটেই, দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রসার ও বিস্তারের অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

বক্তারা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ-ঝিনাইদহ জেলার অগ্রযাত্রা ও কার্যক্রমে মহান ব্যক্তিত্ব ডা. এস এ মালেকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদানকে আজকের এই স্মরণসভায় শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন।




হরিণাকুণ্ডুতে মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ১

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন গুরতর আহত হয়েছে।

শনিবার বিকেলে উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের বড়দোপ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানাধীন রশুনপুর গ্রামের মনিরুদ্দীন মটরসাইকেল যোগে হরিণাকুণ্ডুর দিকে আসছিল। ঘটনাস্থলে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইঞ্জিন চালিত ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মটরসাইকেল চাকল আহত হলে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আমিনুল ইসলাম জানান তার ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। এই অবস্থার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।




গাংনীতে ট্রলি প্রতিযোগিতা নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষে আহত ১০

মেহেরপুর গাংনীর সাহারবাটি গ্রামে পাওয়ার ট্রলি প্রতিযোগিতা নিয়ে সৃষ্ট দুপক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুই জনকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়ায় রেফার করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে সাহারবাটি মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গাংনী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে ।

আহতরা হলেন – ধর্মচাকী গ্রামের আরোজ উল্লাহর ছেলে রহমতুল্লাহ(২০), মৃত সাবদুলের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৫৫), জহুরুল ইসলামের দুই ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৩), সাইদুল ইসরাম (২৫), একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩০), বুলু মিয়ার ছেলে জাহিদ হোসেন (২৬), মাজহারুল ইসলামের ছেলে বুলু মিয়া (৪৫)। এদের মধ্যে জহুরুল ইসলামের দুই ছেলেকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন গাংনী হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন আহত ব্যক্তি জানান , সাহারবাটি গ্রামের বালির মাঠে পাওয়ার ট্রিলার ট্রলি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সাহারবাটি গ্রামবাসী। এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন এলাকার ৬৪ জন কৃষকরা অংশ গ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমী এ প্রতিযোগিতায় হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হয়। কার পাওয়ার ট্রিলারের কত শক্তি তা পরীক্ষার মধ্য  দিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন দর্শকরা। প্রতিযোগিতার শেষের দিকে কমিটির লোকজনের সাথে ধর্মচাকী ও হিজলবাড়ীয়া গ্রামের প্রতিযোগিদের বিতর্ক শুরু হয়। কমিটির কর্মকাণ্ড বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে মাঠ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ধর্মচাকী গ্রামের প্রতিযোগিতারা। আর এতেই শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। এতে আহত হন ওই ১০ জন।

এদিকে বিপুল সংখ্যক মানুষের মানুষের মধ্যে এমন সংঘর্ষে দ্বিগবিদিক ছুটতে থাকেন উৎসুক মানুষ। মঞ্চে উপস্থিত জন প্রতিনিধিরাও বিষ্মিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষ থামাতে সক্ষম হন। এর মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতাও স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

প্রতিযোগিতার আয়োজন কমিটির সদস্য স্থানীয় আব্বাস আলী মেম্বার জানান,আমাদের কারো সাথে সংঘর্ষ বা মারামারি হয়নি । প্রতিযোগিতা শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তার মধ্যে কে বা কারা হট্টগোল শুরু করলে আমরা যে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে সকলে বাড়ি ফিরে যাই। স্থগিত হওয়া খেলাটি পুনরায় হবে বলে জানান তিনি।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জনান, এমন বিষয়ে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




গাংনীতে সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরের গাংনীর ছাতিয়ান গ্রামে ভুয়া কমিশন করে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শাহিন নামের এক ব্যাক্তি। শনিবার বিকেলে ছাতিয়ান ব্রিক ফিল্ডে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তার পিতা সাবেক সেনা সদস্য জবেদ আলী স্ট্রোক জনিত কারণে প্যারালাইজ্ড ও বাকশক্তিহীন। চিকিৎসার কথা বলে তার বৈমাত্রিক বোন সেলিনা খাতুন ও লিলি খাতুন ভুয়া কমিশন করে গত ১৬-১০-২০২২ ইং তারিখে গাংনী সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নেয়। যার দলিল নং- ৮০৭৯/২২। দলিলে সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মাঠ কবর স্থান ও বাড়িঘর। আর এতে সনাক্তকারী হিসেবে রয়েছেন জনৈক তরিকুল ইসলাম।

শাহিন আরো জানান, তার পিতা জবেদ আলী একজন শিক্ষিত ও সামরিক বাহিনীর সদস্য। কোন কমিশন করতে হলে নিজ বাসস্থানে উপস্থিত হয়ে ও তার সকল ওয়ারিশদের সম্মতিতে ভাগ বন্টন হতে হবে। অথচ বাসস্থানে উপস্থিত না হয়ে কোন তদারকি ও তদন্ত ছাড়াই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বঞ্চিত করে কমিশন করে রেজিস্ট্রি করেছেন সাব-রেজিস্টার। এতে জবেদ আলীর স্ত্রী ও তার দুই সন্তান সম্পদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা সম্পত্তি ফিরে পেতে ও ভুয়া দলিল বাতিলের আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি মেম্বর হাফিজুল জানান, জবেদ আলীর দুই স্ত্রী। জবেদ আলী অসুস্থ হবার পর উভয় স্ত্রীর সন্তানরা চিকিৎসা করছেন। চিকিৎসার জন্য দুই মেয়ে তার বাবাকে তাদের জিম্মায় রেখে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে কমিশন করে সব সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে। এটি অন্যায় ও বড় ধরণের অপরাধ। সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার পর দুই বোন ও তার লোকজন স্ত্রী ও দুই ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করছেন ও নানা ভাবে হুমকী দিচ্ছেন। ওই দুই বোনের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কোন কর্ণপাত করেনি তারা।

গ্রামবাসিরা জানান, জবেদ আলী ছিলেন একজন শিক্ষিত ও মার্জিত ব্যক্তি। সে তার কোন সন্তানকে বঞ্চিত করতে পারেন না। এখন তিনি কথা বলতে না পারায় সুযোগটি হাতিয়ে নিয়েছেন তার সুচতুর দুই মেয়ে। কমিশনও প্রশ্নবিদ্ধ। আসল দলিলে জবেদ আলীর স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও টিপ সহি দেয়া রয়েছে। তা ছাড়া জবেদ আলী কোন কথা বলতে পারেন না। হলফ নামায় তার দুই সন্তান ও এক স্ত্রীর নাম দেয়া নেই। ওয়ারিশ পত্রটিও সঠিক নয় বলে দাবী করেছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসি উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনা জয়নগর সীমান্তে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার-৫,পলাতক ৭

চুয়াডঙ্গার দর্শনা জয়নগর সীমান্তে ভারতের ভৃখন্ডের ১শ গজ দৃরে বাংলাদেশের ৭৬/৪ এস পিলারের নিকট ফেনসিডিল নিয়ে চোরাচালানী দু গ্রপের সংঘর্ষে ৯২ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ জনকে আটক করেছে বিজিবি। গুরুতর আহত হয়েছে দুই গ্রপের মিনারুল ও আরিফসহ ২জন। মিনারুল গুরুতর আহত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।

 শনিবার (২১ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে জয়নগর সীমান্তের ন্যাড়া বটতলা নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবি সৃত্রে জানাগেছে শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে জয়নগর সীমান্তের ৭৬/৪-এস এর নিকট জয়নগর ন্যাড়া বটতলা এলাকায় চোরাকারবারী দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি সংঘটিত হচ্ছে। এমন খবর পেয়ে ৬ বিজিবির দর্শনা আইসিপি’র কমান্ডার সুবেদার মোঃ নওশের আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে গমন করে।

এ সময় বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে চোরাচালানী জিয়ারুল ইসলাম এর নিকট হতে ৫০ বোতল এবং হাসমত আলীর নিকট হতে ৪২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে।ঘটনাস্থল থেকে ফেনসিডিলসহ জিয়ারুল (২১), পিতা- ইজাজুল, মোঃ হাসমত আলী (৩৫), পিতা- মৃত আলামিন শেখ, মাহবুব (২৬), পিতা- দিল মোহাম্মদ, লাল্টু শেখ (৩৬), পিতা- আইয়ুব আলী, মিনারুল (২৩), পিতা- আজল, ৫ জনই দর্শনা পৌরসভার জয়নগর,গ্রামে বাড়ি।পলাতক হিসাবে মামলা হয়েছে ছাব্বির (১৯), পিতা, আক্তার, মজিদ (৩৮), পিতা- মৃত দাউদ, ইজাজুল (৪৫), পিতা-মৃত দাউদ, আরিফ (২৫), পিতা- হানিফ, আক্তার (৩০) পিতা-মৃত ভোলা সোহেল (২৫), পিতা- ফকির পলাশ, (৩২) পিতা- ছোট ফরিক, ,উভায়ের বাড়ি জয়নগর ও সুলতানপুর গ্রামে।

এ ঘটনায় দর্শনা বিজিবির আইসিপি কমন্ডার নওশের আলী বাদি হয়ে আটককৃত ৫ জনসহ পলাতক হিসাবে ৭ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মাপমলা দায়ের করেছে।

এ ঘটনায় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ এইচ এম লুৎফুল কবির, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমার থানায় এজাহার দিতে এসেছে কত জনের নামে মামলা হয়েছে তা এজহার দেখে বলতে পারবো।তবে এ রিপোর্ট লেখা পযন্ত মামলার প্রস্ততি চলছে।




মুজিবনগরে ভবরপাড়া গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়ন পরিদর্শনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়ন পরিদর্শন ও গনসংযোগ করেছে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন তার নির্বাচনী এলাকার ভবরপাড়া অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য পায়ে হেঁটে পুরো গ্রাম ঘুরে দেখেন এবং সাধারন জনগনের সাথে কথাকপোথন করেন।

এ সময় গ্রামের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

পরিদর্শনকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবার রহমান মধু, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুস্তাকিম হক খোকন,জেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, বাগোয়ান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন, বাগোয়ান ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য সিবাস্তিন মল্লিক, সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় জাকের পার্টির ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় দাওয়াতী মিশন অনুষ্ঠিত

বিশ্বওলী খাজা বাবা ফরিদপুরী মহা পবিত্র বিশ্ব উরস শরীফ -২০২৩ বিশ্ব ইসলামী মহাসম্মেলন উপলক্ষে  শনিবার বিকাল ৩ টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা হাইস্কুল রুমে জেলা ছাত্রফ্রন্টের আয়োজনে দাওয়াতী মিশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আজগর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রফন্ট্রের সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন প্রধান ফয়জুল বারী।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মিশন প্রধান ছাত্রফ্রন্টের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান,কেন্দ্রীয় ছাত্রফ্রন্টের প্রযুক্তি সম্পাদক রহুল কুদ্দস।জেলা যুব ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক আঃমজিদ।

চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি শাহরিয়ার আলমের সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাকের পার্টির দামুড়হুদা থানা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আনিসুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আঃ হাই, জীবনগর থানা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি কবির, দামুড়হুদা থানা ছাত্রফ্রন্টের সাধারন সম্পাদক আরিফ, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ছাত্রফ্রন্টের সাধারন সম্পাদক শাওন সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।