গাংনীর বামন্দীতে ফিউচার একাডেমি কোচিং সেন্টারের উদ্বোধন

গাংনীর বামন্দীতে ফিউচার একাডেমি নামে একটি কোচিং সেন্টারের আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু করেছে।

শনিবার বিকেলে বামন্দী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জননী সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় ফিউচার একাডেমি কোচিং সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে।

বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মাসুমের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বামন্দীর ইটাভাটা ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম লাল্টু, শিক্ষক জান্নাত আলী, শিক্ষক হেলালুর রহমান, ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ, বিডিএস বাংলা একাডেমির পরিচালক মুনতাজ আলী সহ স্থানীয় শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকরা। কোচিং সেন্টারটি এগিয়ে নিতে পরিচালক ফাহিম এজাজ সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। ৫ম শ্রেণী থেকে ১০ শ্রেণীর জন্য এক আদর্শ কোচিং সেন্টার হিসেবে কাজ করবে।




মেহেরপুরের সি এম সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন

মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিলে সি এম সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে ।

শনিবার দুপুরে  সি এম সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

পরে  সি এম সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদ ওমর রুমির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, পিপিএম, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন,  বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ মেহেরপুরের সভাপতি প্রফেসর আব্দুল মালেক, সি এম সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ আব্দুল্লাহ।




‘শনিবার বিকেল’ মুক্তিতে বাধা নেই

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকা বহুল আলোচিত ‘শনিবার বিকেল’ ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনে এখন আর কোনো বাধা নেই। শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিক ও আপিল বোর্ড সদস্য শ্যামল দত্ত গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আজ শনিবার নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ ছবিটি নিয়ে আপিল বোর্ডের শুনানি হয়। আপিল কমিটির সদস্যরা সিনেমার নির্মাতা–প্রযোজকের বক্তব্য শোনেন। এরপর সিনেমাটি নিয়ে মতামত দেন, ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিতে কোনো বাঁধা নেই।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে সভাপতি ও সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে গঠিত সাত সদস্যের সেন্সর আপিল কমিটিতে সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট অভিনয়শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম, অভিনেত্রী সুচরিতা ও সাংবাদিক শ্যামল দত্ত সদস্য হিসেবে এবং সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সদস্যসচিব হিসেবে ছিলেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুরের গাংনীতে কৃষক জগত আলী হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গাফ্ফার বিশ্বাস(৫০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার(২১ জানুয়ারী) ভোরে উপজেলার হেমায়েতপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে গাংনী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত গাফফার বিশ্বাস গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের মৃত আব্দুল রহমানের ছেলে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজ্জাক জানান, দীর্ঘদিন ধরে জগত আলী ও গাফফার বিশ্বাস এর মধ্যে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।গত বছরের ৩০ অক্টোবর ফজরের নামাজ শেষে জগত আলী তার জমিতে কৃষি কাজের জন্য যান। সুযোগ বুঝে গাফ্ফার বিশ্বাস নিড়ানি( কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র) দিয়া আঘাত করে। এ সময় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জগত আলীর। পরের স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

সে সময় পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জগত আলীর মৃত্যু হয়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের তথ্য নিশ্চিত হয় পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই গাফ্ফার বিশ্বাস পলাতক ছিল।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান,জগত আলীর স্ত্রী হালিমা খাতুন পরদিন গাংনী থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন নামে একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন।যার মামলা নং-২,তারিখ-০১-১১-২২।




হোয়াটসঅ্যাপে অনাকাঙ্ক্ষিত বার্তা ঠেকাতে নতুন সুবিধা

হোয়াটসঅ্যাপে অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে পাঠানো বিভিন্ন বার্তার কারণে মাঝেমধ্যেই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। সমস্যা সমাধানে এক ক্লিকেই অচেনা ফোন নম্বর থেকে পাঠানো বার্তা আটকে দেওয়ার (ব্লক) সুবিধা চালু করছে অ্যাপটি। নতুন এ উদ্যোগের আওতায় হোয়াটসঅ্যাপের নোটিফিকেশন বারে থাকা অপরিচিত ব্যক্তিদের পাঠানো বার্তা নির্বাচনের পর ব্লক অপশনে ক্লিক করলেই নম্বরটি ব্লক হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস অপশনে প্রবেশের পর নম্বর ব্লক করার জন্য বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। নতুন এ সুবিধা চালু হলে হোয়াটসঅ্যাপে দ্রুত নম্বর ব্লক করা যাবে।

সূত্র: এনডিটিভি




তিন ফরম্যাটেই সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে আয়ারল্যান্ড

তিন ম্যাচের ওয়ানডে দিয়ে আগামী মার্চে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এরপর আইরিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি এবং এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান নাদেল চৌধুরী ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন এসব তথ্য।

সূচি অনুযায়ী আগামী ১৮ মার্চ থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পরের দু’টি ওয়ানডে হবে ২০ এবং ২৩ মার্চ। ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ হবে হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

সিলেটে ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে নাদেল বলেন, ‘হ্যা, সিলেটে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আয়ারল্যান্ডের সফর শুরু হবে। এজন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।’

ওয়ানডে শেষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ২৬, ২৮ এবং ৩০ মার্চ টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে।

৪ এপ্রিল থেকে ৮ এপ্রিল একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০টি ওয়ানডে ও ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। তবে এখন পর্যন্ত আইরিশদের সঙ্গে কোন টেস্ট খেলেনি টাইগাররা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৭টি জয় ও টি-টোয়েন্টিতে ৩টি জয় আছে বাংলাদেশের।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য সূচি :

ওয়ানডে
১৮ মার্চ : প্রথম ওয়ানডে, সিলেট
২০ মার্চ : দ্বিতীয় ওয়ানডে, সিলেট
২৩ মার্চ : তৃতীয় ওয়ানডে, সিলেট

টি-টোয়েন্টি
২৬ মার্চ : প্রথম টি-টোয়েন্টি, চট্টগ্রাম
২৮ মার্চ : দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি, চট্টগ্রাম
৩০ মার্চ : তৃতীয় টি-টোয়েন্টি, চট্টগ্রাম

টেস্ট
৪-৮ এপ্রিল, একমাত্র টেস্ট, মিরপুর

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় বসন্তের আগমনে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের সোনালী মুকুল

দামুড়হুদা উপজেলায় বসন্তের সাথে সাথে আম গাছগুলোতে দেখা মিলছে প্রচুর আমের মুকুল ৷ মুকুলের মৌ- মৌ গন্ধে মুখরিত দামুড়হুদা উপজেলার গ্রাম – গন্জ। মুকুল থেকে চলছে মৌমাছির মধু সংগ্রহের উৎসব ৷

উপজেলার সদর সহ সকল গ্রামের আম গাছগুলতে মুকুলে ভরপুর। উপজেলার আম গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। বাতাসে মুকুলের মৌ মৌ সুবাস বইছে। গাছে গাছে এখন আমের মুকুল শোভা পাচ্ছে। মুকুল গুলো যেনো নষ্ট না হয় সেজন্য ইতোমধ্যে বাগান মালিকরা বাগান পরিচর্যার ব্যস্ত সময় পার করছেন।শোনা যাচ্ছে কোকিলের মিষ্টি সুরের কুহু কুহু ডাক আর মৌমাছির গুণ গুণ গানের গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। বসন্তের স্নিগ্ধতার মাঝেও শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালি মুকুল।উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বাগান সহ কিছু কিছু বাড়ির উঠানে আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। বাতাসে মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ।

গাছের আমপাতার সবুজ বিছানায় মুকুলের সোনালি রেণু যেন ফুলশয্যা সাজিয়েছে ফাগুনকে। সেই সঙ্গে বিদায় নিচ্ছে শীতকাল। তবে আবহাওয়ার ওপর আমের ফলন নির্ভর করে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ফলন ভালো হবে বলে মনে করছেন আম চাষিরা।

বাগান মালিকরা জানান, আগাম মুকুল দেখার পর তারা অনেক খুশি। এই মুকুল টিকে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। তবে ঘন কুয়াশা থাকলে মুকুল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

দামুড়হুদার জয়রামপুর মল্লিক পাড়ার আম ব্যবসায়ী কাওছার আলী বলেন , গতবছর ১২ বিঘা জমিতে আম বাগান ছিলো যা ঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়,তাতে করে আমি গত বছর মোটা অংকে লচে ছিলাম। এ বছর লাভের আশায় গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে ৬ দাগে ১৭ বিঘাা জমির আম বাগান নিয়েছি। বর্তমানে আম গাছে যাতে কনো পোকার আক্রমণ বা মুকুল নষ্ট না হয় সেজন্য ঔষধ দিয়ে পরিচর্যা করছি। মুকুলের পরিমাণ মোটামুটি ভালো আছে ৷ আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত ভালো থাকলে এ বছরে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হতে পারবো।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, আমরা সবসময় আম চাষীদের সকল ধরণের পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করছি ৷ প্রয়োজনে আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি। এবছরে উপজেলাতে ৭৯৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।




আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব ইজতেমা দ্বিতীয় পর্ব শুরু

গতকাল শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিচ্ছেন দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা।

গতকাল শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।

ময়দানে অবস্থানরত বিদেশিদের জন্য মূল বয়ানটি আবার তাদের নিজ নিজ ভাষায়ও তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হয়।

আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্ব শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গত বুধবার থেকেই দলে দলে তাবলীগের মানুষরা ইজতেমা ময়দানে এসে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দলে দলে মাঠের ভেতরে ঢুকে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। মানুষের উপস্থিতিতে ইজতেমা ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে।

ইজতেমা ময়দানে বিদেশি মেহমানদের জন্য পশ্চিম-উত্তর দিকে আলাদা তাবু নির্ধারিত রয়েছে। সেখানে আধুনিক সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষদের অবস্থানের জন্য দ্বিতীয় পর্বে পুরো ইজতেমা ময়দানকে জেলা ওয়ারী ৮৫টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার জুম্মা নামাজের জন্য লাখো লাখো মুসল্লী অংশ নিতে সকাল থেকে জমায়েত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজ পরিচালনা করেন মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী। বাস, ট্রাক, ট্রেন বা পায়ে হেঁটে টুপি-পাঞ্জাবি পরিহিত তাবলীগ জামাতের অনুসারীরা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসছেন। মানুষের এ স্রোত এখনও অব্যাহত রয়েছে। রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ আগমন অব্যাহত থাকবে।

আম বয়ানে শুরু ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব
খাবার ও গোসলের বিরতি দিয়ে রোববার পর্যন্ত চলবে ঈমান-আমলসহ তাবলীগের ছয় উসুলের বয়ান। সেদিন হেদায়তী বয়ান শেষে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত।

কুষ্টিয়া থেকে ইজতেমায় যোগ দিতে আসা শামস সুমন বলেন, দশ বছর আগে একবার এসেছিলাম। আবার গতকাল সকালে রওনা হয়ে রাতে ইজতেমার মাঠে যোগ দিয়েছি। তিনি বলেন, মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন থেকে একটি বাসযোগে ৫০ জন এই ইজতেমায় এসেছেন। দ্বীন ও ইসলাম বিষয়ে নানান আলোচনায় মশগুল ছিলাম সারাদিন।

বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সুরা সদস্য মাওলানা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সাল থেকে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ না দিলেও এবার দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় যোগ দিতে তার ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী, মাওলানা সাঈদ বিন সাদ কান্ধলভী, মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভী এবং মেয়ের জামাতা মাওলানা হাসান বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে এসে যোগ দিয়েছেন।

মাওলানা সাদ-এর তিন ছেলেই ইজতেমায় বয়ান করেন।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বলেন, গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজ ও বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী। গতকাল শুক্রবার দুপুর সোয়া একটার দিকে জুম্মার খুৎবা দেওয়া হবে, বলেন তিনি। এদিকে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ভালভাবে শেষ করতে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য ইজতেমায় কাজ করছেন। ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ইজতেমা ময়দানকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, সংরক্ষিত ইতিহাস অনুসারে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভি (রহ.)-এর হাত ধরে ১৯২৭ সালে উপমহাদেশে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজের সূচনা হয়। মাওলানা আবদুল আজিজের মাধ্যমে ১৯৪৪ সালে বাংলাদেশে তাবলিগের কাজ শুরু হয়। তাবলিগ জামাতের কাজ প্রসার লাভ করলে তাবলিগ জামাতের অনুসারীদের এলাকাভিত্তিক সম্মেলনের সূচনা করেন মাওলানা ইলিয়াস (রহ.)। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর দুই পাকিস্তান ও ভারতে সম্মিলিত ইজতেমার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাংলাদেশের কাকরাইল, ভারতের ভুপাল এবং পাকিস্তানের রাইভেন্ডে ইজতেমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক অন্যান্য কারণে প্রথম থেকেই বাংলাদেশের ইজতেমার আয়তন অন্য দুই দেশের চেয়ে বেশি ছিল। ফলে ক্রমেই তা প্রাধান্য লাভ করতে থাকে এবং বিশ্ব ইজতেমায় রূপ নেয়।

বাংলাদেশে ইজতেমা : ১৯৪৬ সালে প্রথমবারের মতো কাকরাইল মসজিদের ভেতরে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তাবলিগ জামাতের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। দিন দিন লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগাড় গ্রামের কাছে (টঙ্গীর মনসুর জুট মিলের নিকটে) একটি মাঠে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ইজতেমায় বিদেশি কয়েকটি জামাতও অংশ নেয়। এখান থেকেই এর নাম হয় বিশ্ব ইজতেমা। ১৯৬৭ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদের পারে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তুরাগ পারের ১৬০ একর জমি তাবলিগ জামাতের জন্য বরাদ্দ দেয়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা এক পর্বে অনুষ্ঠিত হতো। তবে লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৬ থেকে একাধিক পর্বে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইজতেমা যেভাবে বিশ্ব ইজতেমা : কথিত আছে, বাংলাদেশকে বিশ্ব ইজতেমার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল লটারির মাধ্যমে। তবে তাবলিগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, বিষয়টি তাদের অজ্ঞাত। তাদের দাবি, দেশভাগের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ), পশ্চিম পাকিস্তান ও ভারতে পৃথক ইজতেমার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তখন একই সঙ্গে তিন ভূখণ্ডে ইজতেমা শুরু হয়। তবে অধিকসংখ্যক লোকের অংশগ্রহণ, স্বল্প ব্যয়ভার, ভিসাপ্রাপ্তির সহজতা, সাধারণ মুসলমানের আন্তরিকতা, অনুকূল পরিবেশ, সামাজিক ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের ইজতেমা সারা বিশ্বের তাবলিগ জামাতের অনুসারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ক্রমেই বাংলাদেশ ইজতেমা বিশ্ব ইজতেমায় পরিণত হয়।




দর্শনায় কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী নফরের কর্মী সমাবেশ

দর্শনায় কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী জয়নাল আবেদীন নফরের সাংগঠনিক কার্যালয়ের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার সন্ধায় দর্শনা কেরুজ গীর্জার পাশে অবস্থিত সাংগঠনিক কার্যালয়ের এ কর্মী সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

দর্শনা কেরুজ ডিষ্টিলারী বিভাগের আনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দর্শনা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী জয়নাল আবেদিন নফর।

তিনি বলেন আমি নতুন প্রার্থী হলেও সকলে আমাকে চেনেন বা জানেন। আমি আপনাদের মাঝে এবার প্রার্থী হয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে শ্রমিকদের স্বার্থে যা,যা করার দরকার আমি তাই করবো। শ্রমিক স্বার্থে আমি সবসময় আপনাদের সাথে থাকবো এবং আপনারা আমাকে পাশে পাবেন।

এ মিলে নিয়োগ প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনবো এবং এ মিলের শ্রমিকরা বহুদিন ধরে চুক্তি ভিত্তিক হিসাবে কাজ করছে তাদের চাকুরী স্থায়ী করনের ব্যাবস্থা করবো। আমি ক্ষমতায় এলে শ্রমিকদের সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করবো।

পরিবহন বিভাগের শ্রমিক ইয়াসির আরাফাত মিলনে সঞ্চালনায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মিলহাউজের শ্রমিক শান্তি, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ।




মাকে শেষ দেখা করালো বিজিবি-বিএসএফ

মা বাবা বসবাস করে দামুড়হুদা সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় অংশের চাপড়া থানার নদীয়া জেলার মহোখোলা গ্রামে। দুই মেয়ে থাকেন দামুড়হুদা থানার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে।

অনেক আগেই বাবা- মায়ের সাথে অভিমান করে দুই বোন চলে আসেন বাংলাদেশের দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে। মা ফজিলা বিবি (৭০)জানা যায় শুক্রবার (২০ জানুয়ারী ) ভোর ৬ টার দিকে মারা যায়।

বাবা আব্দার আলি দুই মেয়েকে জানায় তোদের মা মারা গিয়েছে। মাকে শেষ বারেরমত দেখার জন্য স্থানীয় বিজিবি ও বি এস এফ কে অনুরোধ জানান তার পিতা। মানবিক বিষয় বিবেচনা করে উভয় দেশের সৈনিকদের মতামতের ভিত্তিতে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৪টা ১০ মিনিট সময় নির্ধারন করেন।

ঐ সময়ের মধ্যে মেয়ে ডালিমন খাতুন (৫২)ও রাবেয়া খাতুন (৪৬) ভারতীয় অংশে প্রবেশ করে মাকে শেষ বারের মত দেখে চলে আসেন।

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন-৬ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শাহ মো: ইশতিয়াক পি এস সি ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনায বিজিবি- বিএস এফ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।