সিদ্দিকের বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ মিমের

ভালোবেসে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে বিয়ে করেছিলেন মডেল-অভিনয় শিল্পী মারিয়া মিম। তবে তাদের ভালোবাসার টেকেনি৷ প্রথম সন্তান আরশ হোসেন জন্ম নেওয়ার কয়েক বছর পরই তারা আলাদা হয়ে যান।

সম্প্রতি সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন মিম। মিমের অভিযোগ— সিদ্দিক আরশকে নিজের কাছে রাখতে কূটকৌশল অবলম্বন করছেন।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন মিম। তিনি লিখেন— আরশের পরীক্ষা শেষ হওয়ার কারণে কয়েক দিনের জন্য ওর বাবার বাসায় গিয়েছিল। এটা যেতেই পারে বেড়াতে, স্বাভাবিক। যখন আমি আরশকে বাসায় নিয়ে আসি, তখন বোঝা যায় ওকে ব্রেন ওয়াশ করা হয়েছে। এটি আবার দু-তিন দিন পর ঠিক হয়ে যায়। আবার সব কিছু নরমাল হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আরশ যখন ওই বাসায় যায়, তখন ওর মাথায় দেওয়া হয় ১২ বছর হলে তোমাকে কোর্টে নেবে তখন তুমি বলবা বাবার কাছে থাকব। এসবই এই ছোট বাচ্চাকে বলা হয়।

এখন আমার কথা হলো— এত কষ্ট করে বাচ্চা লালন করছি আমি, স্কুল থেকে শুরু করে সব কিছু ভরণপোষণ আমি করি। আমি বড় করছি আর সে বড় করে নিয়ে যাবে ১২ বছর হলে। আমি এখন মামলা দেব যে, বাচ্চা নিয়ে ব্রেন ওয়াশ করে পাঠানো হয়। যখনই বাসায় যায় তখনই এমনটি করে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।

জানা গেছে, মিম এখন এই অভিযোগে সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবেক স্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অভিনেতা সিদ্দিকের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ মে অভিনেতা সিদ্দিকের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন মারিয়া মিম। পরের বছরের ২৫ জুন তাদের কোলজুড়ে পুত্রসন্তান আসে। ২০১৮ সাল থেকে মডেলিং ও অভিনয় ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছা পোষণ করেন মিম। কিন্তু সিদ্দিক তাতে রাজি হননি। তিনি চাইতেন, ছেলেকে সময় দিক মিম, পাক্কা গৃহিণী হয়েই থাক। এ নিয়ে ঝামেলা বাধে দুজনার। ২০১৮ সালে তারা আলাদা হয়ে যান। বর্তমানে মিমের কাছেই থাকে তাদের একমাত্র সন্তান।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনীতে হেরোইনসহ একজন আটক

মেহেরপুরের গাংনীতে ৫ গ্রাম হেরোইনসহ আশরাফুল আলম(৪২) নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার(১৭ জানুয়ারী) বিকাল ৫টার দিকে তেতুঁলবাড়িয়া হাজিপাড়া মসজিদের সামনে থেকে গ্রপ্তার করে।আশরাফুল আলম গাংনীর খাসমহল গ্রামেন নফল মালিথার ছেলে।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, হেরোইন কারবারি আশরাফুল আলম হেরোইন নিয়ে অবস্থান করছে মর্মে খবরের ভিত্তিতে এসআই মাসুদ ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালায়। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে হেরোইন পাওয়া গেলে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ বুধবার মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হবে।




গাংনীতে এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

মেহেরপুরের গাংনীতে এশিয়ান টেলিভিশনের ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় গাংনী এ্যাডভান্স মেডিকেয়ার হল রুমে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই অনুষ্ঠান পালিত হয়।

এশিয়ান টেলিভিশনের গাংনী উপজেলা প্রতিনিধি মিনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনীর কৃতি সন্তান স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ডা. এএসএম নাজমুল হক সাগর।

অনুষ্ঠানের শুরুতে দৈনিক আমাদের সূর্যদোয় পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক জুলফিকার আলী কাননের সঞ্চালনায় এশিয়ান টেলিভিশনের দীর্ঘ ১০ বছরের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে কেক কাটার মধ্য দিয়ে এশিয়ান টেলিভিশনের ১০ম বর্ষপূর্তি পালন করা হয়।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী প্রেস ক্লাবের সভাপতি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, আরটিভি’র জেলা প্রতিনিধি মাজেদুল হক মানিক, একাত্তর টিভির সাংবাদিক মজনুর রহমান আকাশ, বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান, মেহেরপুর রিপোর্টাস ক্লাবের সহ-সভাপতি আল আমিন হোসেন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি জুরাইস ইসলাম, গেøাবাল টিভি’র জেলা প্রতিনিধি রাব্বি আহম্মেদ, বিডি২৪লাইভ ডটকমের জেলা

প্রতনিধি জাহিদ মাহমুদ, লাখো কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি রফিকুল আলম বকুল, মেহেরপুর চোখের বার্তা সম্পাদক মীর শামীম, দৈনিক স্বাধীন মত পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল আলিম, সাবেক ছাত্র নেতা ও শিক্ষক রকিবুল ইসলাম, কৃষক লীগের গাংনী উপজেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান পলাশ, গাংনী থানা ওসি’র প্রতিনিধি সেকেন্ড অফিসার এসআই মাসুদ, মাহি ক্লিনিকের পরিচালক উম্মে সালমা, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবীব, মেহেরপুর টিভির এ্যাডমিন তানজিজুর রহমান তপন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা এশিয়ান টেলিভিশন, এশিয়ান টেলিভিশনের গাংনী উপজেলা প্রতিনিধি মিনারুল ইসলামসহ এশিয়ান টেলিভিশনের সকল কলাকৌশলীদের স্বার্বিক মঙ্গল কামনা করেন।




মেহেরপুরে শুভসংঘের নতুন কমিটির অভিষেক ও পরিকল্পনা সভা

মেহেরপুরে প্রতিমাসে অন্তত একটি করে ভালো কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো নতুন কমিটির অভিষেক ও পরিকল্পনা সভা।

আজ  মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকা অফিসের হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কালের কন্ঠ শুভসংঘ মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আহমেদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কালের কণ্ঠ জেলা প্রতিনিধি শুভসংঘর জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা ইয়াদুল মোমিন, সাংবাদিক মাহাবুব চান্দু, রেজ আন উল বাসার, শহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম।

শুভ সংঘের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ পলাশের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহ সভাপতি বশির উদ্দিন, রফিকুল আলম বকুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল ইকরাম সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাদশা খান, নারী বিষয়ক সম্পাদক মৌসুমী খাতুন।

সভাপতি নতুন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত সকলকে পরিচয় করিয়ে দেন।

নতুন কমিটিতে অন্যদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদ আল মাসুম শেখ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, কোষাধ্যক্ষ আসিফ ইকবাল শুভ, দপ্তর সম্পাদক নাসিম হাসান, প্রচার সম্পাদক উবায়দুল্লাহ, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসির ইউসুফ ইমন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নাফিউল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য আরিফুল ইসলাম, ছানোয়ার হোসেন, আবু রায়হান নিরব, তামান্না তানভীর, তাহসিন হাদি ধ্রুব, সৈকত আহম্মেদ, তানজিমুল ইসলাম, সাগর আলী, আকাশ আলী, জাহিদুল ইসলাম।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

নূরুল আহমেদকে পুনরায় সভাপতি করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠন শেষে মঙ্গলবার অভিষেক ও পরিকল্পনার সভার দিন নির্ধারণ করা হয়। পরিকল্পনা সভা শেষে মধ্যাহ্নভোজের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শেষ হয়।




বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা সদরপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিয়েছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞান ক্লাস নেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় আধাঘণ্টা ক্লাস নেন তিনি। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণা ও শিক্ষামূলক বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক।

ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, হৃদয় দিয়ে পড়তে হবে। প্রচণ্ড মন খারাপ হলে বই পড়বে। কাউকে কষ্ট দেবে না। কখনো হতাশ হবে না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। যেটা ভালো লাগে না, সেটা করবে না। তোমরা চাইলেই দেশটা পরিবর্তন করে দিতে পারো। তাই পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, বড় লোক নয়, বড় মানুষ হও। আগামী প্রজন্মকে প্রকৃত শিক্ষা দান, দেশ ও মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এবং তাদের সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে মানসম্মত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানসম্মত শিক্ষা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা যেমন আমাদের মাকে ভক্তি, শ্রদ্ধা করি ও ভালোবাসি, তার প্রতি দায়িত্ব পালন করি। একইভাবে মাতৃভূমিকে মা হিসেবে দেখতে হবে। আর মানুষকে ভালোবাসতে পারলে সোনার মানুষ হওয়া সম্ভব হবে।

শিক্ষার্থী রাসেল হাসান বলে, ডিসি স্যারকে শিক্ষক হিসেবে পেয়ে আমরা আনন্দিত। তিনি আমাদের ক্লাস নেবেন কখনো কল্পনাও করিনি। স্যার অনেক সুন্দর ও সহজভাবে আমাদের সাধারণ জ্ঞান বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমাদের লেখাপড়া শিখে বড় হওয়ার উৎসাহ দিয়েছেন।

এছাড়াও তিনি মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস, সদরপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং মিরপুর পৌরসভা পরিদর্শন করেন।

মিরপুর উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, ডিসি স্যার গতকাল মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস, সদরপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং মিরপুর পৌরসভা পরিদর্শন করেন। একই সাথে আকস্মিক আমলা সদরপুর উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে লেখাপড়ার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এরপর শিক্ষকদের সঙ্গে স্কুলের নানা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। তার এ ধরনের উদ্যোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হবে বলে মনে করেন এই শিক্ষক।




আলমডাঙ্গা নতিডাঙ্গায় আবারো সাদা কাপনের কাপড় ও চিরকুটের দোকানিকে হুমকি

আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গায় ১ মাস পার না হতেই আবারো কাফনের কাপড়সহ চা দোকানিকে হুমকি স্বরূপ চিরকুট পাঠিয়েছে দুর্বৃত্তরা। নতিডাঙ্গা আবাসনস্থ নিজ চায়ের দোকানে বাজারের ব্যাগের ভিতর সাদা কাফনের কাপড় ও চিরকুট দেখতে পায়। এঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। জামসেদ আলী বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।

ভুক্তভোগী উপজেলার নতিডাঙ্গা গ্রামের মৃত সিদ্দিক আলীর ছেলে জামসেদ আলী।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসনের বাসিন্দা মৃত সিদ্দিক আলির ছেলে জামসেদ আলির সাথে কাবিলনগর গ্রামের বিশারত আলির ছেলে মিল্টুন আলি, মিল্টনের স্ত্রী লিমা খাতুন, মৃত নুরি মালিথার ছেলে হালিম মালিথা, হালিম মালিথার স্ত্রী তানিয়া খাতুনের সাথে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে।

গত কয়েকদিন পূর্বে তারা মারপিট করার হুমকি দিয়ে আসছে। এমন ঘটনার পর আজ মঙ্গলবার সকালে জামসেদ আলি তার চায়ের দোকানের মধ্যে বাজারের ব্যাগ দেখতে পায়। ব্যাগের মধ্যে হুমকি স্বরূপ সাদা কাফনের কাপড় ও চিরকুট পায়। এতে লেখা আছে ” জোমসেদ তুমি হালিমদের কিছু বলবা না হালিমদের কিছু বললে তুমার সমস্যা হবে”। এমন চিঠি ও সাদা কাফন রাখার ঘটনায় জামসেদ বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।




মুজিবনগরের ৯ ইটভাটাকে ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, একটি বন্ধ

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ৯টি ইট ভাটায় অভিযান চালিয়ে ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আয়ান ব্রিকস নামের একটি ইট ভাটার আংশিক উচ্ছেদ করে ভাটা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিফুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলাজুড়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মুজিবনগর উপজেলার ভবানীপুরে রফিকুল ইসলামের গাজী ব্রিকসে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, ফারুক হোসেন এর জবা ব্রিকসে২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, গোপালনগর গ্রামের মোজাম্মেল হকের বিবিই ব্রিকসে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, মোনাখালী গ্রামের এমএনবি ব্রিকসে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, গৌরীনগরের তৌফিকুল বারীর, মুকুল ব্রিকসে ২ লক্ষ টাকা, দারিয়াপুরে রোকনুজ্জামানের হীরা ব্রিকসে ২ লক্ষ টাকা, নুরুল ইসলামের ডালিম ব্রিকসে ২ লক্ষ টাকা, মোনাখালীর মোঃ লাভলুর এমএনসি ব্রিকসে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, একই এলাকার মোঃ আব্দুর রশিদের শাপলা ব্রিকসে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিফুর রহমান জানান, মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটাতে অভিযান পরিচালনাকালে ভাটাগুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকা, অবাধে কাঠ পোড়ানো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিকট স্থানে এবং ফসলী জমি ধ্বংস করে ইটভাটা তৈরি করার অপরাধে মুজিবনগর উপজেলার নয়টি ইটভাটার কাছ থেকে ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।এ সময় মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ বাজারে অবস্থিত আয়ান বিক্সকের আংশিক উচ্ছেদ করে ভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান- এই অভিযান পর্যায়ক্রমে জেলার সব উপজেলায় চলবে। তিনি জানান-আদালত ইটভাটার মাটি পড়ে সরকারী রাস্তার ক্ষতি, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি, সড়ক চলাচলকারীদের জন্য জীবনের হুমকী বিষয়টিকে দন্ডবিধির ২৯০ ও ৪৩১ ধারা অনুযায়ী ফৌজদারী অপরাধ হিসাবে গণ্য করেছেন। সেই সাথে জেলায় অধিকাংশ ইটভাটা লাইসেন্সবিহীন, অবৈধ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকা সংলগ্ন এবং ফসলী জমি ধ্বংস করে স্থাপন হওয়ার বিষয়টি ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ধারা ৪ ও ৮ এর লঙ্ঘন এবং উক্ত আইনের ধারা ১৪ ও ১৮ অনুযায়ী অর্থদন্ড ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করেছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক আতাউর রহমান বলেন, মেহেরপুর জেলায় ৯৩টি ইট ভাটার মধ্যে ১টি মাত্র ইটভাটার পরিবেশের ছাড়পত্র রয়েছে। অবৈধ এই সমস্ত ইটভাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে তালিকা দিয়েও ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই অভিযান শুরু হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইটভাটা মালিক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পরিবেশের অধিদপ্তরের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না। জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলকে প্রতিবছর মোটা অংকের টাকা দিয়ে ইটভাটা গুলো চালাতে হয়। পরিবেশ লাইসেন্স দিলে আমাদের নিতে সমস্যা নেই। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা করি। লক্ষ লক্ষ টাকা ভ্যাট ও ট্যক্স দিই। এরপরেও প্রতিবছর এভাবে আমাদের জরিমানা করা হয়।

এর আগে গত ৭ জানুয়ারি মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-১ম আদালতের বিচারক এস এম শরিয়ত উল্লাহ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ সহ ইট ভাটার মাটি পড়ে সরকারী রাস্তার ক্ষতি, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি, সড়ক চলাচলকারীদের জন্য জীবনের হুমকী বিষয়টিকে দন্ডবিধির ২৯০ ও ৪৩১ ধারা অনুযায়ী ফৌজদারী অপরাধ হিসাবে গণ্য করে স্ব-প্রণোদিত আদেশ জারী করে ২৩ জানুয়ারীর মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল পূর্বক ব্যবস্থা নিতে বিশেষ পুলিশ সুপার, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুষ্টিয়াকে এবং উপ-পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়াকে নির্দেশ দিয়েছেন।




শৈলকুপায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দু’গ্রুপের সংর্ঘষে আহত ৭

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দু’গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। এসময় বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার রাতে শৈলকুপা উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের নুন্দিরগাতী গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষে আহত পল্লী চিকিৎসক নির্মল কুমার জানান, দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দুটি দলের কোন্দল বিরাজ করছিল। তিনি বলেন, এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাতে তার উপর হামলা করে প্রতিপক্ষরা। নির্মল কুমার বিশ্বাস মাগুরা জেলার শ্রীপুর তার কর্মস্থল থেকে রাতে বাড়ী ফেরার পথে নুন্দিরগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় পৌছালে প্রতিপক্ষরা তার উপর হামলা চালায়। পরে বাড়ি ভাংচুর, নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হিন্দু সম্প্রদায়ের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে বিপ্লব কুমার, সঞ্জয় কুমার, বাধন কুমার, নির্মল কুমার, স্মৃতি রাণী, সুবাস কুমার ও বিশ্বজিৎ কুমার গুরুত্বর আহত হন। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মাগুরা সদর হাসাপাতালে ভর্তি কনরা হয়ছে। এরমধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সুবাস কুমার নামে এক জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে গ্রামটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেছে পল্লি চিকিৎসক নির্মল কুমার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, তদন্থ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




মানুষের বিনোদনের খোরাক এখন কোটচাঁদপুরের ২২ মাথার খেজুর গাছ

একটি গাছে স্বাভাবিক ভাবে,একটি মাথায় হয়। তবে এর বেশি হলে,সেটা অস্বাভাবিক। এমনিই একটি গাছের সন্ধ্যান মিলেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার পল্রীতে। এটি একটি খেজুর গাছ। গাছটি ২২ টি মাথা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। যা এখন মানুষের বিনোদনের খোরাক হয়ে দাড়িয়েছে।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার বহরমপুর গ্রাম। এ গ্রামের পাশ দিয়ে গেছে (ইউএসআইডি) আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে নির্মিত সড়ক। বর্তমান যার নাম করন হয়েছে আমেরিকান সড়ক।
এ সড়কের পাশের মাঠে জন্মেছে অস্বাভাবিক সেই ২২ মাথার খেজুর গাছ। গাছটির বর্তমান বয়স ৩০ বছর,এমনটাই জানালেন স্থানীয়রা।

দীর্ঘ দিন ধরে গাছটি তাঁর ২২ টি মাথা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। এ খবরটি এখন এলাকা ছাড়িয়ে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারনে অনেক জায়গার মানুষই গাছটি এক নজর দেখতে ছুটে আসেন কোটচাঁদপুরের পল্লীর ওই গ্রামে।

যা এখন মানুষের বিনোদনের খোরাক হয়ে দাড়িয়েছে। এই গাছটি মালিক ওই গ্রামের ডাক্তার সলেমান মুন্সীর।
তিনি বলেন,খেজুর গাছটি আমার পিতা আবু তালেব মুন্সি লাগিয়েছিল। পাশে আরো খেজুর গাছ ছিল। ওই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হত। গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে বেশ আগে। তবে অস্বাভাবিক ওই খেজুর গাছটি রেখে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন,গাছটির বয়স ৩০ বছর হবে। বয়স হলেও গাছটি রেখে রাখা হয়েছে। কারন গাছটি এখন এলাকার ঐতিহ্য বহন করছে। এলাছা মানুষের বিনোদনের খোরাক হয়ে দাড়িয়েছে।

বহরমপুর গ্রামের কৃষক জুয়েল জানান, এই গাছটিতে অতিরিক্ত সাপ থাকতো। এ কারনে গাছ থেকে আর রস সংগ্রহ করা হত না। এ ছাড়া সাপের কারনে গাছটিতে খেজুর হলেও সেগুলো পাড়া হত না। গাছেই ফল পেকে নষ্ট হয়ে যেত। এভাবেই প্রথমে একটা দুইটা করে মাথা হতে থাকে। এক সময় তা ২২ মাথায় রুপ নিয়েছেন।

ওই গ্রামে ঢাকা থেকে আসা আত্মীয় দর্শণার্থী শিপন জানান, এমন গাছ বিরল। ব্যতিক্রমী নিদর্শন। এই গ্রামে আসলেই একবার হলেও এ গাছটি দেখতে ছুটে আসি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছটি এক নজর দেখতে অনেকেই আসেন ।

তিনি বলেন, ২২ মাথার খেজুর গাছটি,দেখে মনে হয় কোন শিল্পী নিপুন হাতে গাছের মাথা গুলো সাজিয়ে রেখেছেন। অবাক করার বিষয় গাছটির মূলের চেয়েও ২২গুন মাথা নিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে আছে। প্রকৃতির এক বিচিত্র সৃষ্টি এই খেজুর গাছটি।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসীন আলী বলেন, এটি হরমন জনিত কারণে,এক বীজপত্রি উদ্ভিদে একাধিক শাখা প্রশাখা হতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে সেটিই ঘটেছে। তবে এ ধরনের ঘটনা খুবই কম দেখা যায়।




দামুড়হুদায় ৬ বিজিবি’র অভিয়ানে হুন্ডি বাংলাদেশীর ৫০ লাখ টাকা উদ্ধার

চুযাডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর- কুতুবপুর সীমান্তে ৬ বিজিবি চোরাচালানী বিরোধী অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশী হুন্ডির প্রায় ৫০ লাখ টাকা আটক করেছে। তবে এঘটনায় আটক করতে পারেনী কোন চোরাচালানীকে। টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।

জানাগেছে গতকাল  (১৬ জানুয়ারী) সোমবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে মুন্সিপুর সীমান্ত ফাঁড়ি ৬ বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালায় মুন্সিপুর সীমান্তের এমপি ঘাট মোড়ে।

এ সময় মুন্সিপুর সীমান্ত ফাঁড়ির মুন্সিপুর বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আলা উদ্দিন এর নেতৃত্বে নিয়মিত রাত্রীকালীন সশস্ত্র টহল দল সীমান্তে টহল পরিচালনা করতে থাকে।মুন্সিপুর সীমান্তের মেইন পিলার ৯৩ হতে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মুন্সিপুর গ্রামের এমপির ঘাট নদীর পাড় নামক স্থানে এ্যাম্বুশ করে।সেখান থেকে দুই জন চোরাচালানী প্লাষ্টিকের ব্যাগ বহন করে ভারত হতে বাংলাদেশে আগমন করছে।

এ সময় বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। ৬ বিজিবি’র ক্যাম্প কমন্ডার নায়েব সুবেদার আলা উদ্দীন ব্যাগ খুলে বাংলাদেশী হুন্ডির ৫০ লাখ টাকা উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ৬ বিজিবির পরিচালক শাহ মোঃ ইশতিয়াক, বলেন উদ্ধার হওয়া টাকা চুয়াডঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা করা হয়েছে।দামুড়হুদা থানায় অজ্ঞাত দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান এ ঘটনায় আমার থানায় কোন মামলা হয়নি।