রুক্মিণীকে ভুলে কৌশানিকে বিয়ে করছেন দেব?

দেবের হাতে মালা। তার সঙ্গীর হাতেও মালা। কিন্তু সেই সঙ্গী রুক্মিণী মৈত্র নন। অন্য কেউ। প্রজাপতি ছবিতে তার সঙ্গে যার বিয়ে ঠিক হয়েছিল, সেই কৌশানি মুখোপাধ্যায় তার সঙ্গে আছেন।

তবে কি রুক্মিণীকে ভুলে দেব কৌশানিকে বিয়ে করছেন? না না, একদমই সেটি নয়; আদতে দেব কৌশানি তাদের ছবির একটি দৃশ্যের ছবি পোস্ট করেছিলেন।

দেব রোববার টুইটারে দুটি ছবি পোস্ট করেন তার ও কৌশানির। তাদের দুজনের হাতেই মালা ধরা। তবে তাদের বিয়ে নয়। অন্য কারও বিয়ে। অন্তত তেমনই অভিনেতার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দুটো ছবি পোস্ট করে দেব লেখেন— আমি জানি, আমি জানি এই দৃশ্য ছবি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাও… আপনারা কি গেস করতে পারছেন আমরা কাদের বিয়ের প্ল্যান করছি? না সেটি বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি, মিঠুন চক্রবর্তী ও মমতা শঙ্করের বিয়ের! থুড়ি গৌর ও কুসুমের।

আসলে এই ছবিতে দেখা যায় প্রথমদিকে দেব বাবার বিয়ের প্রস্তাব মেনে নিতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত বাবার কলেজের বন্ধু কুসুমকে মেনে নেন মা হিসেবে। পরিস্থিতি তাকে বুঝিয়েছিল এবং তার সঙ্গেই বাবার বিয়ে দিতে চান। আর কুসুমের মেয়ে কৌশানি তো আগে থেকেই রাজি ছিল। ফলে এই ছবিতে গৌর ও কুসুমের বিয়ে দেখানো হয়েছিল। মানে শুটিং করা হয়েছিল। কিন্তু মূল ছবি থেকে সেই দৃশ্য বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই অজানা গল্পই তুলে ধরেন এ ছবির মাধ্যমে।

শুধু তাই নয়, দেব তার এই টুইটে নিজের ছবির প্রচারও করে দেন। তিনি বলেন, এখনো সিনেমা হলে প্রজাপতি চলছে। আদতে চলছে না, রীতিমতো ঝড়ো ব্যাটিং করছে এই ছবি। বক্স অফিসে এখনো বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছে এটি। ১ জানুয়ারি ছবিটি সব রেকর্ড ভেঙে এক কোটি টাকার ব্যবসা করে। দেব-মিঠুনের রসায়ন যে হিট সেটি বলা যায়।

দেবের শেয়ার করা ছবিতে তাকে একটি নীল পাঞ্জাবি পরে থাকতে দেখা গেছে। অন্যদিকে কৌশানির পরনে ছিল মেরুন রঙের শাড়ি ও ম্যাচ করা ব্লাউস। দুজনের হাতেই রজনীগন্ধার মালা। একটি ছবিতে তারা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসছেন। আরেকটিতে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হাসছেন।

সূত্র: যুগান্তর




আলমডাঙ্গায় প্রোডিউসার গ্রুপ ও লাইভস্টক ফার্মারস ফিল্ড স্কুলের উপকরণ বিতরণ

প্রোডিউসার গ্রুপ ও লাইভস্টক ফার্মারস ফিল্ড স্কুলের উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলা প্রাণীসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে এ উপকরণ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহীল কাফি। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,’ প্রত্যেক মানুষ নিজ কর্মের মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে যেতে হবে। সরকারের দেওয়া সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাণীসম্পদকে আরো প্রসস্ত বিস্তার করতে হবে। পশু পালনের মাধ্যমে পরিবারের পাশাপাশি সমাজে উন্নতি করা সম্ভব। সকলে চাকুরির পিছনে না ছুটে উদ্যোক্ত হতে হবে। এতে আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাণী সম্পদের মাংসের ঘাটতি পুরণে ব্যাপক ভুমিকা পালন করবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহম্মেদ ডন, প্রাণী সম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার আতিকুর রহমান, আরো উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বাইজিদ খন্দকার।




অস্ট্রেলিয়ার পর শ্রীলংকাকেও হারাল বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়ার পর শ্রীলংকাকেও হারাল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সের পথে একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। এবার শ্রীলংকাকে ৯ রানে হারাল তারা।

রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার আফিয়া প্রত্যাশা এবং মিষ্টি সাহা মিলে গড়েন ৭৫ রানের জুটি। এ সময় ৪৩ বলে ৫৩ রান করে আউট হন আফিয়া প্রত্যাশা। ৭৯ রানের মাথায় রানআউট হন মিষ্টি সাহা। তিনি ২৪ বলে খেলেন ১৪ রানের ইনিংস।

এরপর দিলারা আক্তার এবং স্বর্ণা আক্তার মিলে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। ২৭ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন দিলারা আক্তার। শেষপর্যন্ত মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তুলতে সমর্থ হয় শ্রীলংকা। দলের হয়ে ৫৪ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক ভিসমি গুনারত্নে। এছাড়া ৪৪ বলে ৫৫ রান করেন দেওমি ভিহাঙ্গা। ৯ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।




আর হবে না জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী পাবলিক/বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা না থাকায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব আক্তার উননেছা শিউলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০২৩ এবং তার পরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হলে তার অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী জেএসসি ও জেডিসি পাবলিক/বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বিধায় ২০২২ ও ২০২৩ এবং পরবর্তীতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী উপরিউক্ত প্রস্তাব সানুগ্রহ অনুমোদন করেছেন।

বর্ণিতাবস্থায়, উল্লিখিত বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো, বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




আলমডাঙ্গার কেশবপুরে ৩শ গ্রাম গাঁজাসহ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

আলমডাঙ্গার কেশবপুর থেকে ৩’শ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওসমানপুর ফাঁড়িপুলিশ মাদকদ্রব্য অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

মাদক বিক্রেতা উপজেলার হারদি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মৃত রবগুল মাঝির ছেলে ছইরুদ্দিন মাঝি।

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মৃত রবগুল মাঝির ছেলে ছইরুদ্দিন মাঝি। দীর্ঘদিন যাবৎ পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে রমরমা গাঁজার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ইতো পূর্বে পুলিশের নিকট আটক হলেও জামিনে পূণরায় আবারো গাঁজা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। সোমবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে ওসমানপুর ফাঁড়িপুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই খসরু আলমের নেতৃত্বে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নিজ বাড়ির থেকে ছইরুদ্দিন মাঝিকে আটক করে। পরবর্তীতে তার শরীর তল্লাশি করে ৩শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।

এঘটনায় ছইরুদ্দিন মাঝির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।




গাংনীতে অবৈধ মাটি কাটার ধুম: আদালতের স্বপ্রণোদিত মামলা

গাংনীতে প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে চলছে মাটি কাটার ধুম শিরোনামে স্থানীয় পত্রিকায় একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। রিপোর্টটি গাংনী আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্’র নজরে এলে তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি)  দুপুরে আদালত এই আদেশ প্রদান করেন। আদেশে গাংনী থানার এস, আই মো: শাহীন মিয়াকে তদন্তপূর্বক আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

প্রকাশিত সংবাদটি সঠিক হয়ে থাকলে তা বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী একটি অপরাধ যার জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর সাজা এবং ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা ৪ অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেল লাইন অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে উন্মুক্ত স্থান থেকে কোন বালু বা মাটি উত্তোলন করা নিষিদ্ধ।

এর আগে ধর্মচাকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের পাশে একটি বিল যা ধর্মচাকী বিল নামে পরিচিত সেখান থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে মর্মে উল্লেখ করা হয়। এতে স্কুল সময়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে বিঘ্ন ঘটছে এবং খেলার মাঠের ক্ষতি হচ্ছে তথা জনভোগান্তি ও জনউপদ্রবের কারন হচ্ছে বলেও বলা হয়। এমনকি মাটি কাটার কারনে স্কুল ও খেলার মাঠ ভেঙে পড়ার আশংকার কথাও পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়ে।

জনস্বার্থ বিবেচনায় গাংনী আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯০(১)(গ) ধারা অনুযায়ী স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। আগামী ২৩ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।




মেহেরপুরের দুইটি মডেল মসজিদের উদ্বোধন

সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরে দুটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।

 আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, মেহেরপুর ইসলামীক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনির, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভু রাম পাল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড ইয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিউজা উজ জান্নাহ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওবায়দুল্লাহ, জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আনিসুজ্জামান ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের আহ্বায়ক হাসানুজ্জামান মালেক।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী অফিসের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়ি এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব

মেহেরপুরে কয়েকদিনের বৈরী আবহাওয়ার কারণে আশংকাজনকহারে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া ও স্বাসকষ্ট জনিত রোগ। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। আবু জায়েদ নামের এক শিশু ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ডায়রিয়া রোগিদের জন্য খাবার স্যালাইন সংকট না থাকলেও রয়েছে কলেরা স্যালাইন সংকট।

গত এক মাস ধরে ওষুধ সংকট থাকলেও চাহিদা অনুযায়ি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি। ফলে বাইরে থেকে রোগিদেরকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বেড়েছে বলে হাসপাতাল সুত্র জানিয়েছে। তবে মারা যাওয়া শিশুর পরিবার ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানালেও বিষয়টি অস্বিকার করেছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ি, মেহেরপুর জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৮৮ জন শিশু বৃদ্ধ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে বহিঃবিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন আরো ২০০ জন। এর মধ্যে মেহেরপুর সদরে ৫৩জন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ জন ও মুজিবনগরে ৬জন ভর্তি রয়েছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু। ভর্তিকৃত শিশুদের অধিকাংশরই বয়স পাঁচ বছরের নিচে। গত কয়েকদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

জানাগেছে, গত শনিবার সন্ধায় অবু জায়েদ (২বছর) বয়সের এক শিশু জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। আবু জায়েদ গাংনীর ভাটপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

মৃত আবু জায়েদের মা তামান্ন খাতুন জানান, এক সপ্তাহ আগে তার ছেলের বমি ও পাতলা পায়খানা নিয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তিনদিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে উঠলে আবু জায়েদকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন। দুএকদিন যাবার পরে শুক্রবার রাত থেকে আবারও পাতলা পায়খানা, বমি ও জ্বর শুরু হয়। শনিবার সকালে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দেয়া হয় ডায়রিয়ার চিকিৎসা। অবস্থা ক্রমশ অবনতি হলে সন্ধায় তাকে রেফার্ড করা হলে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আবু জায়েদকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। শিশু মৃত্যুর বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হলেও শিশুটি অন্যান্য সমস্যা যেমন জ্বর ও খিচুনি ছিল যার কারনে তার কনভারসেশন হয়ে মারা যেতে পারে।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গা নেই। রোগিদের ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। এদেরকে চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্স । শিশু রোগিদের আর্তচিৎকারে হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। রোগির স্বজনরা জানালেন, হাসপাতাল থেকে খাবার স্যালাইন দেয়া হলেও বাইরে থেকে কলেরা স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। গত দুই মাস যাবত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে কলেরা স্যালাইনের সংকট রয়েছে। বারবার চাহিদা দিলেও আজো কলেরা স্যালাইন সরবরাহ করছেন না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমনটি জানান স্টোর কীপার দবির উদ্দীন। তিনি আরো জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় ৩০০টি কলেরা স্যালাইন মজুদ ছিল জরুরী সেবার জন্য। সেগুলো ওয়ার্ডে দেয়ার পর আর কোন স্যালাইন অবশিষ্ট নেই। অল্প কিছু আছে তা অঞ্চল ভিক্তিক মহামারী মোকাবেলার জন্য রাখা হয়েছে।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি শিশু আড়পাড়া গ্রামের জান্নাতুল মাওয়ার বাবা সাবাদুল জানান, গত শনিবার ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হবার পর থেকে খাবার স্যালাইন দেয়া হয়। কিন্তু বাইরে থেকে কলেরা স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। এখানে ডাক্তাররা রোগিদের প্রতি যত্নবান না। তবে নার্সদের কাছ থেকে কাঙ্খীত সেবাটি পাওয়া যাচ্ছে না। একই কথা জানালেন ইসলামপুরের শামীমার বাবা শাহিন আলম। চৌগাছা গ্রামের দুই বছর বয়সি মাসুমা ভর্তি রয়েছেন দুদিন।

তার বাবা আমানুর জানান, ভর্তির পর খাবার স্যালাইন হাতে ধরিয়ে দিয়ে হাসপাতালের লোকজনের দায়িত্ব শেষ। রোগির অবস্থা খারাপ হলে বাইরে থেকে কলেরা স্যালাইন কিনতে হাতে স্লীপ ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। নার্সরা রোগির খোঁজ খবর নিলেও ডাক্তারদের দেখা মিলছে না। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

কর্তব্যরত সেবীকারা জানান, রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। খাবার স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। কলেরা স্যালাইন সরবরাহ না থাকায় রোগীদের স্বজনকে বাইরে থেকে কিনতে বলা হচ্ছে। বয়ষ্করা খাবার স্যালাইন খেতে পারছে তাই তাদের বাইরে থেকে কলেরা স্যালাইন কেনা লাগছে না। কিন্তু শিশুরা খাবার স্যালাইন খেতে অনীহা করে । বাধ্য হয়েই কলেরা স্যালাইন কিনতে বলা হচ্ছে।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী জানান, রোগীদের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা। স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে তিনি জানান, কয়েকমাস যাবত কলেরা স্যালাইন সংকট রয়েছে। চাহিদা দেয়ার পরও কোন জবাব মেলেনি। তবে ডাক্তারদের অবহেলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে জানান, চিকিৎসক সংকটের কারণে অনেক সময় সেবা দেয়ায় বিঘ্ন ঘটে।

মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তৌফিকুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। সেবা দানে কোন সমস্যা হচ্ছে না।

মেহেরপুর সিভিল সার্জন জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী জানান, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা ও কুয়াশার কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত খাবার ও কলেরা স্যালাইন রয়েছে। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন কলেরা স্যালাইন নেই তা দেখা হচ্ছে। রোগীদের স্বাস্থ্য সেবায় ডাক্তারদের কোন অবহেলা নেই। তবে কোথাও কোথাও ডাক্তার সংকটের কারণে সেবা দেয়াটা একটু কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে বলেও জানান তিনি।




প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করবেন না এই আটটি অ্যাপ

প্রযুক্তির অগ্রগতির একটি বড় চমৎকার যে এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, তা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করতে বাধ্য। মেশিন বা ডিভাইস থেকে শুরু করে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ছাড়াও বলতে গেলে এখন সারা দুনিয়ায় এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেওয়া হয় না। আর এই প্রসঙ্গে যার নাম না নিলেই নয়, তা হল চ্যাট জিপিটি — এই মুহূর্তের জনপ্রিয় এআই টুল।

ওপেনএআই স্টার্টআপ নির্মিত এই এআই ভিত্তিক প্রোগ্রাম বা টুলটি চ্যাটবটের আকারে রেসিপি থেকে শুরু করে ফটোগ্রাফি টিপস প্রায় সমস্ত ধরণের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। সেই প্রেক্ষিতে এটিকে নতুন ভার্চুয়াল ব্যবহৃত জিনিসকে হাতিয়ার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হয়। সেই জালিয়াতির চক্র থেকে রেহাই পায়নি এই চ্যাট জিপিটি টুলও।

আসলে ওপেনএআই কোম্পানি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই এআই ভিত্তিক কোনো অ্যাপ (Android বা iOS উভয়ের জন্যই) লঞ্চ করেনি। অথচ গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর, দুই জায়গাতেই এই নামের ভুয়া অ্যাপ রয়েছে, যা এর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। এমনকি এই অ্যাপগুলির মধ্যে কিছু কিছু অ্যাপ এক লাখেরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনাদের এই ধরণের ভুয়া অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে সতর্ক করতে আজ আমরা ৮টি চ্যাটজিপিটি।

প্লে স্টোরে ঘাপটি পেতেছে এই ৮টি অ্যাপ, যেগুলো ভুলেও কখনো ডাউনলোড করবেন না:

১. GPT AI Chat ~ Chatbot Assistant: এই ভুয়া চ্যাটজিপিটি অ্যাপটি মোবটেক কোমপানির দ্বারা নির্মিত এবং এটি ইতিমধ্যে ৫০ হাজার বারেরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এই অ্যাপটি যেকোনো বিষয় কভার করার দাবি করে এবং একাধিক ভাষায় কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইউজারদের উন্নত অভিজ্ঞতা পেতে প্রলুব্ধ করে।

২. ChatGPT 3: Chat GPT AI: একমেন-এর তৈরি এই অ্যাপটি ইউজারদের একটি এআই মডেল বেছে নিয়ে তা দিয়ে কী কী করা যায়, সেই সম্পর্কে পরীক্ষার সুবিধা দেওয়ার কথা বলে। এমনকি এটি থেকে এআই চ্যাটবটের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করা যায়, সে সম্পর্কেও বিস্তারিত জানা যায় বলে দাবি রয়েছে।

৩. Talk GPT ~ Talk to ChatGPT: এই অ্যাপটি এক লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে এবং এর ডেভেলপার টুইটসঅনগো কোম্পানি। ইউজাররা নিজস্ব ভয়েস ব্যবহার করে সরাসরি এই অ্যাপে প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অ্যাপটি নাকি মানুষের মতো ভয়েসে তার উত্তর দেবে।

৪. GPT Writing Assistant, AI Chat: জিপিটি রাইটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপটি মিক্স অ্যাপ ডেভেলপারের তৈরি যা গুগল প্লে স্টোর থেকে ৫০ হাজারের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এটি এআই টুলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ৩ সেকেন্ডের মধ্যে ইমেইল, প্রবন্ধ এবং নিবন্ধ লিখতে সাহায্য করার দাবি করে। এছাড়াও এতে একাধিক টেমপ্লেট উপলব্ধ যা ব্যবহারকারীদের সিভি এবং সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাপশনের বায়ো লিখতে সাহায্য করে।

৫. Aico ~ GPT AI companion: এআইকো ডেভেলপার তাদের এই অ্যাপটিকে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী ভয়েসযুক্ত এআই চ্যাট অ্যাপ’ বলে থাকে। এটি রিয়েল-টাইম ভয়েস চ্যাট, জিপিটি এআই-৩ ফিচার সমর্থন করে এবং একাধিক ভাষায় কথা বলতে পারে। অস্বস্তির বিষয় এটাই যে, এই অ্যাপটি এক লাখেরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এবং এতে ইন-অ্যাপ পারচেজ অপশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

৬. PersonAI ~ Advanced chatbot: সমগোত্রীয় এই অ্যাপটি এক লাখেরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে এবং এটি তৈরি করেছে স্মার্টফাই সলিউশন। ডেভেলপাররা এই অ্যাপটিকে বিনোদন বিভাগে প্রচারের জন্য রেখেছে যা ইউজারদের বিজ্ঞাপন দেখার জন্য ‘পুরস্কার’ প্রদান করে। এতেও রয়েছে ইন-অ্যাপ পারচেজ অপশন।

৭. Emerson AI ~ Talk & Learn: কুইকচ্যাটডটএআই প্রকাশিত এই অ্যাপটিতে বিশেষ সুবিধার জন্য ইন-অ্যাপ পারচেজ অপশন আছে। এটিও ৫০,০০০-এর বেশি ডাউনলোড হয়েছে।

৮. Chatteo ~ Chat with AI: প্লে স্টোর থেকে এটি ১ লাখেরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এটি ওপেনএআই জিপিটি-৩ -এর প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এবং এটি বিভিন্ন ভাষা সমর্থন করে দীর্ঘতর উত্তর দেয়। তবে এটি আদতে তৈরি করেছে বিট্টা অ্যান্ড টেস্টা।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেসি নেইমার এমবাপ্পে ও হাকিমিকে নিয়েও হারল পিএসজি

শেষ কয়েক ম্যাচে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া পিএসজি রোববার রাতে লিগ ওয়ানে রেনের কাছে হেরেছে ০-১ গোলে। চলমান লিগে সবশেষ তিন ম্যাচের দুটিতেই হারল ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল। একই সঙ্গে রেনের মাঠে লিগে এ নিয়ে সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতে হারের তিক্ত স্বাদ পেল প্যারিসের দলটি, অন্যটি হয়েছিল ড্র। খবর সিবিএস স্পোর্টসের।

এদিন লিওনেল মেসি ও নেইমারকে শুরুর একাদশে রাখা হলেও ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে বিরতির পর মাঠে নেমে দলকে ম্যাচে ফেরানোর দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেন ফরাসি এ তারকা। ২০তম মিনিটে গোলের জন্য প্রথম শট নিতে পারে পিএসজি। বক্সের সামনে থেকে মেসির বাঁ পায়ের সেই শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

এর আগে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬তম মিনিটে জোড়া পরিবর্তন আনেন গালতিয়ে। উগো একিতিকে ও নর্দি মুকিয়েলের জায়গায় নামান এমবাপ্পে ও আশরাফ হাকিমিকে। দুই মিনিট পর আরেকবার পিএসজির ত্রাতা গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা। মাইয়ের ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি। ৬৫তম মিনিটে তিনি আর পারেননি। বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে সতীর্থের কাট-ব্যাকে বাঁ পায়ের শটে রেনকে এগিয়ে নেন হামারি ত্রাওরে।

পুরো ম্যাচে গোলের জন্য পিএসজির সমান ৮টি শট নিয়ে ৬টিই লক্ষ্যে রাখে রেন। এই পরিসংখ্যানেই ফুটে উঠেছে দুই দলের ম্যাচের তফাৎ।

সূত্র: যুগান্তর