গিনেস বুকে ইলন মাস্কের লজ্জার রেকর্ড

টুইটার চিফ ইলন মাস্ক বছরের শুরুতে লজ্জার রেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে নাম লেখালেন! এহেন ‘নজির’ যে তিনি গড়বেন, তা হয়তো তার বড় শত্রুও ভাবেননি। কিন্তু সত্যিটা ভাবনার থেকেও বড় হয়ে দাঁড়াল। টুইটার কিনে বিপুল অর্থ খুইয়ে রেকর্ড গড়লেন মার্কিন ধনকুবের। ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি লোকসান করে ইতিহাস তৈরি করেছেন মাস্ক।

গত শুক্রবার এমন খবরই প্রকাশ্যে আনে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালের নভেম্বরের পর থেকে অন্তত ১৮২ বিলিয়ন ডলার লোকসান করেছেন মাস্ক। অন্য সূত্রের আবার দাবি, হিসাবের অঙ্কটা প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ২০ হাজার কোটি টাকা!

জানা গেছে, ২০২১ সালের নভেম্বরের আগে মাস্কের মোট সম্পত্তির মূল্য যেখানে ৩২০ বিলিয়ন ডলার ছিল, সে মাসের পর থেকে নামতে নামতে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এসে তা দাঁড়িয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন ডলারে। এর থেকেই মাস্কের বিপুল লোকসানের অঙ্কটা অনেকটাই স্পষ্ট।

এর একটি কারণ তার কোম্পানি টেসলা স্টকের খারাপ পারফরম্যান্স। একটি সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, টুইটার কেনার জন্য প্রথম দফায় টেসলার ৭ বিলিয়ন ডলার, পরে ৪ বিলিয়ন ডলার এবং পরে আরও ৩.৫৮ বিলিয়ন ডলার স্টক বিক্রি করেছেন মাস্ক। এ বিপুল অর্থ খুইয়েই লজ্জার রেকর্ড করে গিনেস বুকে নাম তুলেছেন তিনি। আর এর সঙ্গেই বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হওয়ার তকমাও হারিয়েছেন। বিশ্বের ধনীতমদের শীর্ষে ফ্রান্সের বার্নার্ড আরনল্ট। তার সম্পত্তির মূল্য ১৯০ বিলিয়ন ডলার।

সূত্র:যুগান্তর




আমার হৃদয় আবেগে পূর্ণ: সানিয়া মির্জা

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়ে গ্র্যান্ডস্ল্যাম ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার। আর ক্যারিয়ারের শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যামও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। আগেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সানিয়া । তবে শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেলার আগে আরও একবার স্মৃতিচারণ করলেন টেনিসযাত্রার। টুইটারে দিলেন আবেগঘন বার্তা।

সানিয়া জানিয়েছেন, ছয় বছর বয়স থেকে তার লড়াই শুরু হয়েছিল। কঠিন পরিস্থিতিতে তার পরিবার সবসময় পাশে থেকেছে। তাকে স্বপ্ন দেখার সাহস জুগিয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সানিয়া। গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতার স্বপ্ন দেখেছিলেন হায়দরাবাদের ছোট্ট মেয়েটি।

অনেক বাধা, প্রতিকূলতা পেরিয়ে সেই স্বপ্নপূরণ করেন। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়ে গ্র্যান্ডস্ল্যামের যাত্রা শুরু করেছিলেন। ১৮ বছর পর সেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেই শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেলতে নামবেন সানিয়া। আর তাকে শেষ টেনিস খেলতে দেখা যাবে ফেব্রুয়ারি মাসে দুবাইয়ে।

টুইটারে সানিয়া লেখেন— যখন আমি আমার ক্যারিয়ারের দিকে ফিরে তাকাই, অনুভব করি যে আমি শুধু গ্র্যান্ডস্ল্যাম টুর্নামেন্টে হাফসেঞ্চুরিই করিনি, এর মধ্যে কয়েকটি জিততেও সক্ষম হয়েছি। দেশের হয়ে পদক জেতা আমার জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তেরঙ্গাকে সারাবিশ্বে সম্মানিত হতে দেখা আমার জন্য সম্মানের।

সানিয়া লেখেন, যখন আমি ১৮ বছর পর আমার শেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং তার পর ফেব্রুয়ারিতে দুবাই ওপেনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন আমার হৃদয় আবেগে পূর্ণ। আমি গর্ববোধ করছি। আমি যা কিছু অর্জন করেছি এবং আমার ২০ বছরের পেশাগত জীবনে যে স্মৃতিগুলো তৈরি করেছি, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার জন্য সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত হলো— আমি যখনই জিতেছি, তখনই আমার দেশবাসীর হৃদয়ে আনন্দ দেখেছি।

সূত্র: যুগান্তর




নীতি ও নৈতিকতার শিক্ষা প্রাথমিক থেকেই শিশুরা পেয়ে থাকে —- প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি

মেহেরপুরে রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুেলার জাতীয়করণের ১০ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

গতকাল শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি মেহেরপুর মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ কমর উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফারহাদ হোসেন এমপি।

এসময় তিনি বলেন, একটি শিশুর লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষার অবদান সব থেকে বেশি। নীতি ও নৈতিকতার অনেক বিষয়ে আছে যেগুলো প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে ছোট্ট শিশু মনে কিভাবে তৈরি করতে হয় আপনারা তাদেরকে সে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। কিভাবে বড়দের সম্মান করতে হয়, কিভাবে কথা বলতে হয়। বাবা মায়ের হক কি আছে, বাবা মার সাথে কথা কিভাবে বলতে হয়। একই সাথে ইতিহাসের কিছু বিষয় ও জীবনে যারা সফল হয়েছে তাদের জীবন কেমন ছিলো এবং লেখাপড়ার বিষয়ে ব্যাপকভাবে আগ্রহ করে গড়ে তোলাই কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষার মূল লক্ষ্য।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রাফিউল আলম পিপিএম, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভূপেশ রঞ্জন রায়, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ মেহেরপুরের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, বাংলাদেশ প্রাথমিক কল্যাণ সমিতি মেহেরপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান হাবিব। সঞ্চালনা করেন কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেসুর রহমান। আলোচনা সভায় মেহেরপুর প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির শিক্ষকরা অংশ নেন।




দর্শনায় সাধারন সম্পাদক প্রার্থী নফরের সাংগঠনিক কার্যালয়ের শুভ উদ্ধোধন

দর্শনায় কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী জয়নাল আবেদীন নফরের সাংগঠনিক কার্যালয়ের শুভ উদ্ধোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল ৪ টায় দর্শনা কেরুজ পৃজা মন্দিরের পাশে এ সাংগঠনিক কার্যালয়ের শুভ উদ্ধোধন অনুষ্টিত হয়।

এ উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ডিষ্টিলারী বিভাগের ফিটার আনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন দর্শনা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী জয়নাল আবেদীন নফর, তিনি বলেন আমি নতুন প্রার্থী হলেও সকলে আমাকে চেনেন বা জানেন। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে শ্রমিকদের স্বার্থে যা,যা করার দরকার আমি তাই করবো। এ মিলে নিয়োগ প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনবো এবং এ মিলের শ্রমিকরা বহুদিন ধরে চুক্তি ভিত্তিক হিসাবে কাজ করছে তাদের চাকুরী স্থায়ী করনের ব্যাবস্থা করবো। আমি ক্ষমতায় এলে শ্রমিকদের সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করবো।

এ সময় পরিবহন বিভাগের ইয়াসির আরাফাত মিলনের উপস্থাপনায় শ্রমিকদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন, বিদুৎ বিভাগের মনিরুল ইসলাম ঝন্টু, কেরু বিভাগের সুপার ল্যাবের সোলাইমান কবির, পরিবহন বিভাগের সাবেক মেম্বার বাবুল আক্তার, পরিবহন বিভাগের সানোয়ার হোসেন, পরিবহন বিভাগের সাইফুল ইসলাম হুকুম, পরিবহন টারবাইনের আব্দুল হান্নান, পরিবহন বিভাগের ওয়েল্ডার সাগর হোসেন, আব্দুল মজিদ, ইক্ষু বিভাগের জুলহাস, ফার্মের করনিক রশিদুল, আকরাম হোসেন, খদিমুল বাসার শাবান, ইলেকট্রিশিয়ান আব্দুল করিম, সাবেক সহসভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক ফারুক আহম্মেদ, প্রমুখ।




জীবননগরে শীতার্থ মানুষের মাঝে উদ্দীপ‌ন এন‌জিওর কম্বল বিতরণ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগ‌র উপ‌জেলার আন্দুলবা‌ড়িয়ায় বেসরকা‌রি সামা‌জিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান উদ্দীপন (এন‌জিও) শীতার্থ মানুষের মা‌ঝে কম্বল বিতরণ করেছে।

শুক্রবার (১৩ জানুয়া‌রি) বিকেল সাড়ে ৪ টায় সংস্থার স্থানীয় কার্যালয়ে এই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান অনু‌ষ্ঠিত হয়।

উদ্দীপন এন‌জিওর আন্দুলবা‌ড়িয়া শাখা ব‌্যবস্থাপক আল আসমাউল হুসনার সঞ্চালনায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অ‌তি‌থি হিসেবে উপ‌স্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানের দর্শনা আঞ্চ‌লিক ব‌্যবস্থাপক (আরএম) বিপ্লব কুমার পোদ্দার।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাতর চুয়াডাঙ্গার জীবননগ‌রের আন্দুলবা‌ড়িয়া গরীর অসহায় দুস্থ মানুষ এসব মানুষ কস্বল পেয়ে খুব খু‌শি ও আন‌ন্দিত হয়ে উদ্দীপন এন‌জির প্রতিকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।




প্রতিবন্দী হয়েও এগিয়ে চলেছেন কোটচাঁদপুরের আরাফাত মাল্লিক

হাতের আঙ্গুল না থাকায় দুই হাত দিয়েই লিখতে হয় আরাফাত মল্লিক(১১)কে। এরপরও ক্লাসে সব সময় প্রথম হয়েছেন সে। লেখা-পড়া করে জীবনে সরকারি বড় কর্মকর্তা হবার ইচ্ছে তাঁর। আরাফাত কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর নন্দী পাড়ার আলামিন মল্লিকের ছেলে।

আরাফাত মল্লিকের পিতা আলামিন মল্লিক বলেন,জন্মের দিনই বুঝতে পেরে ছিলাম আরাফাত শারিরীক প্রতিবন্দী। ওই অবস্থায় দেখার পর প্রথমে কিছুটা মন খারাপ হয়েছিল। তবে ভেঙ্গে পড়িনি। বিশেষ করে তাঁর মা ছিলেন আরো শক্ত অবস্থায়। আর সব সবার সন্তানের তুলনায় আরাফাতকে একটু আলাদা ভাবেই বড় করতে হয়েছে আমাদের।

তিনি বলেন, আরাফাত একটু বড় হয়ে স্কুল যাওয়ার মত হলে,তাকে বলুহর দক্ষিণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। ওই সময় শুধু আরাফাতের রোল হয় একটু বেশি।

এরপর থেকে সে কোন দিন ২ নাম্বার হন ক্লাসে। এরজন্য অকান্ত পরিশ্রম করেছেন তাঁর মা সেলিনা খাতুন। আজ তাঁর বয়স ১১ বছর। বর্তমানে সে কোটচাঁদপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্র। সে ৫ম শ্রেনীতে বৃত্তি পরিক্ষাও অংশগ্রহণ করেছেন। আরাফাত বৃত্তি পাবেন বলে জানিয়েছেন আমাকে।

তিনি আরো বলেন,কাজের ফাঁকে একদিন আরাফাত আমাকে জিজ্ঞাসা করেন,বাবা সরকারি বড় পদ কি।আমি ওই সময় তাকে বলেছিলাম,জেলা প্রশাসক,এসপি,ইউএনও। ওই সময় সে আশা প্রকাশ করে ছিল সরকারি বড় কর্মকর্তা হওয়ার।

আলামিন মল্লিকের দুইটি সন্তান। এরমধ্যে আরাফাত মল্লিক বড় আর ছোট মেয়ের বয়স ৯ মাস।
জানা যায়,আলামিন মল্লিক বিএ পাস আর তার মা সেলিনা খাতুন এসএসসি পাস। তারা শিক্ষিত হয়ে ও কোন চাকুরী না করে,পিতা আলামিন মাঠে কৃষি কাজ বেচে নিয়েছেন। আর মা সেলিনা খাতুন গৃহিনী। তারা ছেলে মেয়েদের মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলে নিজেদের ইচ্ছে পূরন করতে চান।

আরাফাত মল্লিক বলেন,ছোট বেলা থেকে দুই হাতে লিখে অভ্যাস হয়ে গেছে। তেমন কোন সমস্যা হয় না।সবার মত লিখতেও পারি। বড় হয়ে কি হতে চাও এমন প্রশ্নে,সে বলেন,লেখা পড়া শিখে সরকারি দপ্তরের বড় কর্মকর্তা হতে চাই।




রোনালদোর চতুর্থ স্ত্রী হতে চলেছেন তরুণ মডেল সেলিনা

ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদোর সঙ্গে টানা আট বছর চুটিয়ে প্রেম করছেন সেলিনা। তরুণ মডেল ও অভিনেত্রীকে বিয়ে করতে চলেছেন তিনি।

প্রিয় মানুষের বিয়ের প্রস্তাবে উচ্ছ্বসিত সেলিনা। তাদের বিয়ে হলে এই সুদর্শনী হবেন ৪৮ বছর বয়সি ব্রাজিলের সাবেক স্ট্রাইকারের চতুর্থ ঘরণী।

রোনালদো ও সেলিনার বিয়ের কথা উঠতেই দর্শকদের আগ্রহ মডেলকে নিয়ে। সেলিনা লকসের বয়স ৩২। তিনি ব্রাজিলিয়ান মডেল।

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ল্যান্স সূত্রে খবর, আট বছর প্রেম করেছেন সেলিনা এবং রোনালদো। চুটিয়ে প্রেম করার পরেই সেলিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন রোনালদো।

রোনালদো যে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন, সেই খবরটি নিজের ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন সেলিনা। তিনি ইনস্টাগ্রামে রোনালদো সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ। আমি রাজি। তোমাকে চিরদিনের জন্য ভালোবাসি।’ রোনালদো সেই পোস্টে লিখেছেন, ‘তোমাকেও ভালোবাসি।’

জানা গেছে, সেলিনা অল্প বয়স থেকেই মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে। তিনি জনপ্রিয় ‘ভোগ’, ‘দিওর’র মতো বেশ কিছু ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ৩২ বছর বয়সি সেলিনার ইনস্টাগ্রামে তার অনুরাগীর সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি।

প্যারিস ফ্যাশন উইকের নিয়মিত মুখ সেলিনা লকস। তার সঙ্গে ২০১৫ সালে পরিচিত হয়েছিলেন রোনালদো। পরিচিত হওয়ার পর স্পেনের ইবিজায় রোনালদোর বাসায় যাতায়াত শুরু করেন সেলিনা। এই জুটি এখনও কোনো সন্তান নেননি।

তবে এর আগে ‘কুয়েম’ সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেলিনা বলেছিলেন, রোনালদোর চার সন্তানকে তিনি নিজের সন্তান হিসেবেই দেখেন, ‘ওরা আমারই সন্তান। বেশ কয়েক বছর আগে রোনালদোর যখন সম্পর্কটা শুরু হলো, ওরা অনেক ছোট ছিল। কাউকে ভালোবেসে সম্পর্ক শুরু করলে তার সবকিছুই মেনে নেওয়া যায়। আমি এই পরিবারকে ভালোবাসি। ওদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে। এই পরিবারকে জিতে নেওয়ায় গর্ব লাগে।’

সূত্র: যুগান্তর




‘পুষ্পা টু’ থেকে বাদ পড়া নিয়ে যা বললেন রাশমিকা

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা রাশমিকা মান্দানা। ক্যারিয়ারে বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

রাশমিকার ‘পুষ্পা’ সিনেমাটি বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছিল। এ পর্যন্ত যতটা যশ-খ্যাতি কুড়িয়েছেন তার সবই দক্ষিণী সিনেমার কল্যাণে। কিন্তু গুঞ্জন উঠেছে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমায় নাকি থাকছেন না রাশমিকা।

‘পুষ্পা টু’ থেকে বাদ পড়ার প্রশ্নে রাশমিকা এতদিন মুখে কুলুপ আঁটলেও, সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই দেখছিলাম, সবাই ভেবেই নিয়েছেন ‘পুষ্পা টু’তে আমি নেই। এটা ভিত্তিহীন এবং গুজব। কারণ, ইতোমধ্যে এই ছবির শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমি। খুব শিগগিরই কাজ শুরু করব আমরা।

অনেক বড় আয়োজনেই এই সিনেমার কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ‘পুস্পা’খ্যাত এই অভিনেত্রী। ছবিতে পুষ্পা রাজের চরিত্রে অভিনয় করবেন আল্লু অর্জুন। প্রেমিকা শ্রীবল্লির চরিত্রে দেখা যাবে রাশমিকাকে। সেই সঙ্গে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করবেন ফাহাদ ফাসিল।

উল্লেখ্য, রাশমিকা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘বারিসু’। গত ১১ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে এটি। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন থালাপাতি বিজয়। ‘মিশন মজনু’ ছাড়াও ‘অ্যানিমেল’, ‘পুষ্পা টু’ সিনেমায় দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে।

এ ছাড়া সম্প্রতি ‘গুডবাই’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে রাশমিকার।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।




গার্ড অব অনার কী মুড়ির মোয়া?

কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে এক দাতা নারীকে গার্লস ইন গাইড সদস্যদের দিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রশিক্ষক মিজানুর রহমান। একই সঙ্গে বিতর্কের মুখে পড়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানও। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষক মিজানুর রহমানকে প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

গত বুধবার বিকালে মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠান প্রধান দাবী করেন, এ অনুষ্ঠানের তার কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি বা তিনি কিছুই জানেন না। তবে অনুষ্ঠানে দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা ওই অনুষ্ঠানে সহযোগীতা করেছেন।

শীতবস্ত্র বিতরণের মত একটি অনুষ্ঠানে বস্ত্রদাতা নারীকে গার্ড অব অনার প্রদানকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। কেউ লিখেছেন, বিশেষ কোন অনুষ্ঠান ছাড়া গার্ড অব অনার প্রদান করা উচিত হয়নি। কেউ লিখেছেন কম্বলের নিচে গার্ড অব অনার বন্দি, কেউ লিখেছেন একজন বিতর্কিত নারীকে কেন গার্ড অব অনার প্রদান করা হলো। আর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও মেহেরপুরের বিভিন্ন সংগঠনের সংগঠকরা মেহেরপুর প্রতিদিনকেও তাদের সংক্ষুব্ধতার কথা জানান।

একটি ফেসবুক পেজে লাইভ ভিডিওতে দেখা গেছে, মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অর্ধশত গার্লস ইন গাইডের মেয়ে ওই নারীকে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে অভিভাদন দিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে নিয়ে আসছেন। পরে রাষ্ট্রিয় গার্ড অব অনারের মত করে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং প্যারেড পরিদর্শন করেন। পরে তিনি মেয়েদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার হিসেবে সোয়েটার ও কম্বল বিতরণ করেন।

এ ব্যাপারে মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানের চুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষক মিজানুর রহমান প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পরে আমাদের বিনা অনুমতিতে মেয়েদের দিয়ে একজন নারীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেছেন। যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এর সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, তিনি যেহেতু মৌখিকভাবে চুক্তিভিত্তিক প্যারেড প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। সে হিসেবে মৌখিকভাবে তাকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। যেহেতু এ ধরণের একটি কাণ্ড তিনি ঘটিয়েছেন, যার কারণে এতে করে যদি আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্যারেডে আমাদের প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে নাও পারে, তাতেও তাকে আর প্রতিষ্ঠানে আসতে দেওয়া হবে না।

মেহেরপুর জেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান বলেন, স্কাউটসে এ ধরণের গার্ড অব অনার প্রদানের কোন বিধান নেই। তারপরও মিজানুর রহমান গার্লস গাইড মেয়েদের দিয়ে এ ধরণের কাজ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেলে জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




তিন সেকেন্ডেই কণ্ঠস্বর নকল করবে মাইক্রোসফটের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

মাত্র তিন সেকেন্ডে অডিও রেকর্ড বিশ্লেষণ করে কণ্ঠ নকল করতে পারবে মাইক্রোসফটের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। প্রযুক্তিটি বিস্ময়কর হলেও এ নিয়ে শঙ্কাও রয়েছে। কেননা, সাইবার অপরাধীরা এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে বলে অনেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

এ প্রযুক্তির নাম ভ্যাল-ই। মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়া মাইক্রোসফটের এ প্রযুক্তি অবশ্য সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। সেই পরিকল্পনাও নেই। তবে উল্টোপিঠে অনেকেই বলছেন, যাঁরা কোনো কারণে কণ্ঠস্বর হারিয়ে ফেলেছেন, তাঁরা নিজের কণ্ঠস্বর শোনার অভিজ্ঞতা পাবেন।

যার কণ্ঠ নকল করা হবে, তার সম্মতি নিয়েই এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে মাইক্রোসফট। ভ্যাল-ই প্রযুক্তিকে ৬০ হাজার ঘণ্টা ধরে ইংরেজি ভাষায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এটি আমেরিকান, ব্রিটিশ ও বিভিন্ন ইউরোপীয় উচ্চারণে কণ্ঠ নকল করতে পারবে। লিখিত পাণ্ডুলিপি থেকে কণ্ঠস্বর তৈরি করবে ভ্যাল-ই।

টুইটারে অনেকেই প্রযুক্তিটি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। অনেকে বলছেন, এ প্রযুক্তি কণ্ঠশিল্পীদের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, প্রয়াত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মতো কণ্ঠস্বর হারানো ব্যক্তিদের জন্য এটি দারুণ উদ্ভাবন।

সূত্র: ডেইলি মেইল