চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৪

চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশি অভিযানে আটক করা হয়েছে ৪ ডাকাতকে।

এসময় তাদের নিকট থাকা দেশীয় অস্ত্র-গ্রীলকাটার ও প্লাষ্টিকের রশি উদ্ধার করেছে। গতকাল  রোববার দিবাগত রাতে তিতুদহের গ্রীসনগর গ্রাম হতে তাদেরকে আটক করে। আটককৃত ডাকাত দলের সকলের বাড়ি জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর -মদনা ইউনিয়নে।

জানাগেছে, গতকাল  রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম লুৎফর রহমানের নের্তৃত্বে দর্শনা থানাধীন তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই এএম আনোয়ারুল ইসলাম সাঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স নিয়ে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গ্রীরিসনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পূর্ব পাশে পানির ট্রাংকির সামনে।

এ সময় উক্ত স্থান হতে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহন করা কালে ৪ জন ডাকাতকে আটক করে।

আটককৃত ৪ ডাকাত চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সড়াবাড়ীয়া উত্তরপাড়ার মৃত মজিবর রহমান ওরপে মল্লিক শাহর ছেলে শাহাবুদ্দিন ওরফে বদ্দি (৩৬) একই গ্রামের মসজিদপাড়া পাড়ার সিরাজ হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান (২৫), শাহপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে ইমদাদুল হাসান (২৩) ও ইউনিয়নের মদনা গ্রামের উত্তরপাড়ার কাওছার আলীর ছেলে আব্দুল আলীম (২২)। আটক হওয়া ডাকাতদের নিকট হতে উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে অনুমান ১ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা ১টি লোহার দা, অনুমান ১ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা ৩টি কাঠের বাট যুক্ত হাসুয়া, কালো বাট যুক্ত লোহার তৈরি গ্রীল কাটার ১ টি, বাঁশের বাট যুক্ত লোহার হাতুড়ি ১ টি, ১ টি প্লাস ও ১০ ফুট সাদা প্লাষ্টিকের রশি।

আটককৃত ৪ ডাকাত সহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ দর্শনা থানা পুলিশ ৪ জনকে ডাকাতি মামলায় চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




মুজিবনগরে জমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত

মুজিবনগরে আনন্দবাস ও জয়পুর গ্রামে জমির দখল নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছে। সোমবার বিকেলে আনন্দবাস গ্রামের আলতাচরা বন্দের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, আনন্দবাস গ্রামের মৃত আহমেদ আলীর ছেলে আলাউদ্দীন এবং ত্বক্কেল খাঁ দুই ছেলে মুনতাজ আলী ও হায়দার আলী এবং জয়পুর গ্রামের মৃত কদম আলীর ছেলে আনছার আলী, মৃত  মিরাজ আলীর ছেলে আক্কাস আলী, মৃত  দিদার বক্সের ছেলে নোয়াজ্জেম।

এদের মধ্যে আনছার আলীর হাতের আঙ্গুলের শিরা কেটে যাওয়ায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার বিকেলে আনন্দবাস গ্রামের আলতাচরা বন্দের মাঠে এ জমিতে আলাউদ্দীনসহ তিন চার জন ধান রোপনের জন্য জমি প্রস্তুতি করছিল। এমন সময় জয়পুর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঐ জমি দখল নেওয়ার জন্য যায়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আলাউদ্দিন কে বলে এই জমি মাদ্রাসার নামে আছে। আপনারা কেন এখানে চাষ করছেন। এই বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের ছয় জন গুরুতর আহত হয়। এদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে আনন্দবাস গ্রামের আলাউদ্দিন বলেন,১৯৮২ সালে আবুবক্কর খা,তোয়াক্কেল আলী খা এবং নাজিমুদ্দীন খা জয়পুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেন এর কাছ থেকে রেকর্ড মূলে ৪০ শতক জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে এই জমি দীর্ঘদিন ধরে আমরা চাষাবাদ করে আসছি। মেহেরপুর কোর্টে এ বিষয়ে মামলা আছে। গত কয়েকদিন আগে জয়পুর এবতেদায়ি মাদ্রাসা কর্তিপক্ষ জমি মাদ্রাসার দাবি করে জোর পূর্বক দখল করে।

এ বিষয়ে আমরা মুজিবনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানায় গতকাল রবিবার বিকেলে থানায় এ বিষয়ে দুই পক্ষকে ডাক করে মীমাংসার জন্য বসে কিন্তু সঠিক মীমাংসা না হওয়ায় আমরা বলি যে আমরা মূর্খ মানুষ জমির কাগজ সম্পর্কে কম বুঝি আদালতে মামলা আছে আদালত যদি আমাদের কাগজ সঠিক না বলে আমরা জমি ছেড়ে দিব এই বলে আমরা চলে আসি। আজ আমরা জমিতে ধান রোপনের জন্য চাষ করছিলাম এ সময় বিকালের দিকে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ ৩০/৪০ জন লোক বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সড়কি নিয়ে জমি দখলে আসে। এ সময় আমি তাদেরকে বললাম, আপনাদের কাগজপত্র যদি ঠিক থাকে এবং আমার কাগজটা যদি ভুল প্রমাণিত করতে পারেন তাহলে আমরা জমি ছেড়ে দেব।

এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে মারধর শুরু করে মাথায় আঘাত করে আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমাকে রক্ষার জন্য অন্যরা এগিয়ে আসলে তাদের কেও লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে। এ সময় আমাদের পাড়ার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জয়পুর ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুস সামাদ বলেন, জমির কাগজপত্র খাজনা খারিজ সবই মাদ্রাসার নামে কিন্তু জমি চাষ করতে গেলে অপরপক্ষ জোর পূর্বক জমি চাষ করতে বাধাঁ দেয়। গত কয়েকদিন আগে জমির দখল নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল এত উভয় পক্ষ মুজিবনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার বিকেলে উভয় পক্ষকে নিয়ে এসআই হেকমত থানায় বসে এসময় আমরা আমাদের সমস্ত কাগজপত্র দেখায় কিন্তু তারা একটি দলিল ছাড়া কিছুই দেখাতে পারেনি। কাগজপত্র না দেখাতে পারার কারণে সেখানে প্রতীয়মান হয় যে জমিটা আসলেই মাদ্রাসার তখন এস আই হেকমত তাদেরকে বলে যে জমি যেহেতু একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের এবং কাগজ পত্র তাদের সেহেতু জমিটা আপনারা ছেড়ে দেন। ওই জমি যেহেতু মাদ্রাসার সমস্ত কাগজপত্র আছে সেহেতু জমিতে আপনারা আর যাবেন না।

সোমবার বিকেলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সহ গ্রামবাসী জমিতে ধান লাগানোর জন্য যাই এ সময় অপরপক্ষ লাঠি সোটা ও ধারালে অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপরে হামলা করে এ সময় আমাদের পাঁচ জন আহত হয় আমরা তাদেরকে উদ্ধার করে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসে এ বিষয়ে মুজিবনগর থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি, দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে এই বিষয়ের উপর গতকাল থানাতে বসা হয়েছিল। কিন্তু উভয় পক্ষ কোন সমঝোতায় না আসায় এবং কোর্টে এ বিষয়ে মামলা থাকায় দুই পক্ষকে বলা হয় যে জমি নিয়ে কোন ঝামেলা না করার জন্য।
আজকে দখল দিয়ে মারামারি হয়েছে শুনেছি এবং কয়েকজন আহত হয়েছে এটাও শুনেছি তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




এক ল্যাপটপ দুই মনিটর

একটি নয়, দুটি পর্দা রয়েছে এই ল্যাপটপে। শুধু তা–ই নয়, পর্দা দুটিতে একসঙ্গে আলাদাভাবে কাজও করা যায়। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই এক ল্যাপটপ তৈরি করেছে লেনোভো। যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শোতে (সিইএস) ইয়োগা বুক ৯ আই মডেলের এই ল্যাপটপ প্রদর্শন করেছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি।

ইন্টেলের ১৩ প্রজন্মের কোরআই সেভেন প্রসেসরে চলা এ ল্যাপটপের দুটি পর্দার দৈর্ঘ্যই ১৩ দশমিক ৩ ইঞ্চি। ২ দশমিক ৮কেও এলইডি পর্দাগুলো একসঙ্গে বা আলাদাভাবে ব্যবহার করা যায়। চাইলে উলম্বভাবেও ব্যবহারের সুযোগ মিলবে। ১৬ গিগাবাইট র‍্যাম সুবিধার ল্যাপটপটির ধারণক্ষমতা এক টেরাবাইট।

এইচডি ওয়েব ক্যামেরাযুক্ত এই ল্যাপটপে একাধিক স্পিকারও রয়েছে। ফলে কাজ করার সময় স্বচ্ছন্দে গান শোনা যায়। শক্তিশালী ব্যাটারি সুবিধার ল্যাপটপটি এক চার্জ ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা সম্ভব। আগামী জুনে ল্যাপটপটি বাজারে আনা হতে পারে। ল্যাপটপটির দাম ২ হাজার ১০০ ডলার।
সূত্র: এনডিটিভি




ঢাকায় নিয়োগ দেবে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘অফিসার / সিনিয়র অফিসার’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

অফিসার / সিনিয়র অফিসার – ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

স্বীকৃত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিষয়ে এমবিএ অথবা এমকম পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। সিএ (সিসি) সম্পন্ন প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। প্রার্থীর তিন বছরের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়াও প্রার্থীর মাইক্রোসফট অফিসে অভিজ্ঞতা, বাংলা ও ইংরেজিতে যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে।

কর্মস্তল

ঢাকা (মহাখালী)।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীদের সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, জীবনবৃত্তান্ত নিম্নোক্ত ঠিকানায় পাঠাতে হবে। অথবা ই-মেইল করতে পারবেন (info.hr@radiant.com.bd) এই ঠিকানায়। ই-মেইলের সাবজেক্টে পদের নাম ‘অফিসার / সিনিয়র অফিসার – ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস’ উল্লেখ করতে হবে।

ঠিকানা : রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ২২/১ ধানমণ্ডি , রোড ২, ঢাকা-১২০৫।

আবেদনের শেষ তারিখ

২১ জানুয়ারি, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




আলমডাঙ্গার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রবিউলের ৭ বছর দাদাগিরি

আলমডাঙ্গার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ভুয়া জন্মসনদ দিয়ে লাইসেন্স বানিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে দলিল লেখক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে । সে কুষ্টিয়া জেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।

দীর্ঘদিন যাবৎ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সমিতি ও দাপ্তরিক কর্মচারীদের আর্থিক আতাতের মাধ্যমে দলিল লেখকের কাজ চালিয়ে আসছে। ভুয়া নাগরিক ও জন্মনিবন্ধন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে লাইসেন্স নিয়েছে বলে অনেক দলিল লেখক অভিযোগ করেন।

স্থানীয় দলিল লেখকেরা অভিযোগ করে বলেন , গত ৭/৮ বছর পূর্বে আলমডাঙ্গার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকের কাজ শুরু করেন রবিউল। সে নিজের বাড়ি কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামে দাবি করে ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহ করেন।

ভুয়া তথ্য ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা (ডিআরও) অফিসে দলিল লেখকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। তৎসম্পর্কে যাচাই-বাছাই না করে লাইসেন্স প্রদান করে ডিআরও অফিস।

এ নিয়ে বিগত দিন দলিল লেখকেরা প্রতিবাদ করলেও তা অদৃশ্য কারণেই ধামাচাপা পড়ে। এনিয়ে বিগত দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও (ডিআরও) বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করলেও রবিউলের লাইসেন্স পূর্ণবহাল থাকে।

ভুয়া দলিল লেখক রবিউল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে বাড়ি। তবে, দীর্ঘদিন যাবৎ আমি আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকের কাজ করি। আমি আসাননগরে বসবাসের কারনে তখনই কাগজপত্র দিয়ে লাইসেন্স করেছি।

তিনি আরো জানান, এখনো ভোটার ও নাগরিক মীরপুর থানার আমবাড়িয়া ইউনিয়ন। দলিল লেখক রবিউলের নিকট লাইসেন্সের নাম্বার জানতে চাইলে সে দেখাতে পারেনি।

এবিষয়ে আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমজেদ হোসেন জানান, কোনো দলিল লেখক ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদে লাইসেন্স পাবে না। যদি কেউ তার তথ্য গোপন রাখে তাহলে দলিল লেখক বরাবর দলিল রেজিস্ট্রি না করার জন্য দরখাস্ত প্রদান করা হবে।

তিনি আরো বলেন, রবিউলের বিষয়ে আমাদের নিকট কোন তথ্য নেই। আমি খোজখবর নিয়ে দেখছি। ঘটনার সত্যতা পেলে সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে ৮ আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের ২৪ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলায় ৮ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

রবিবার সন্ধা থেকে আজ সোমবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গোভীপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে তাজিবুর রহমান।

আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলায় ৩ জন এরা হলো বামনপাড়া গ্রামের মীর হারুনের ছেলে মীর বাপ্পি (২৬), পৌর কলেজ পাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে লালন শেখ, ফৌজদারী পাড়ার শিহাবের ছেলে স্বাধীন।

এছাড়াও  সিআর মামলায় দুইজন মহিলাসহ ৪ জন আসামি এরা হলেন সুবিদপুর শিশির পাড়া মালার স্ত্রী মোছা: শ্যামলী খাতুন,ঝাউবাড়ীয়া স্কুলপাড়ার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী বুলবুলি খাতুন,আমদাহ গ্রামের ছাকু মন্ডলের ছেলে মো: আজাদ, মেহেরপুর র্কোটপাড়ার হয়রত আলীর ছেলে মো: সোহেল কে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম নির্দেশে এসআই সঞ্জিব,এএস আই শাকিলসহ পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে অংশ নেন।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের আজ সোমবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে ।




কুষ্টিয়ায় ভেজাল সার বাজারজাত করায় মালিকের জেল-জরিমানা

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ভেজাল ও নিম্নমানের সার বাজারজাত করায় মিলন আহমেদ (৩২) নামে এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তাকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হারুন অর রশিদ এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মিলন ২০২০ সালে স্থানীয় থানাপাড়া এলাকায় ম্যারিকো অ্যাগ্রোভেট নামে সার মোড়কজাত করার লাইসেন্স নেন। সেখান থেকে তিনি নিম্নমানের ভেজাল সার বাইরে থেকে সংগ্রহ করে মোড়কজাত করেন। এরপর সেটি বাজারে বিক্রি করে আসছিলেন।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরও জানান, সারের বিষয়ে সন্দেহ হলে সেটি ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষা করে ভেজাল শনাক্ত হয়। ভেজাল সারের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ইউএনও জানান, সার ব্যবস্থাপনা আইনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় অভিযুক্ত মিলন আহমেদকে সাত দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।




ভগ্নদশা মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের

শিক্ষক সঙ্কট, লাইব্রেরিয়ান নেই, হিসাবরক্ষক নেই, কর্মচারীও নেই তিন চতুর্থাংশ। নেই আর নেই এ ভগ্নদশায় চলছে জেলার মহিলা শিক্ষার একমাত্র শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ। কলেজের ৬টি বিভাগে কোনও শিক্ষক নেই, বিজ্ঞান অনুষদের তিনটি বিভাগের একটিতেও নেই কোন প্রদর্শক ( ডেমোনেস্ট্রটর), এছাড়া অফিস সহকারীর ১৪টি পদের মধ্যে আছেন চারজন, সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদ থাকলেও শুন্য রয়েছে, নেই হিসাবরক্ষকও।

এতসব নেইয়ের মাঝে আরো যেটি নেই তা হলো ঠিকমত ক্লাস। ফলে শিক্ষার্থীদের অন্য কলেজের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ে কোনমতে সিলেবাস শেষ করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে উর্দ্ধতন মহলে চিঠি দিলেও শুন্য পদে মিলছে শিক্ষক-কর্মচারী। অতিথি শিক্ষক দিয়ে কোনমতে গণিত ক্লাস করানো হচ্ছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ৬টি বিভাগ যার মধ্যে- ব্যবস্থাপনা, রসায়ন, প্রাণীবিদ্যা, গণিত, ইতিহাস, সমাজকর্ম বিভাগের কোন শিক্ষক নেই। অর্থনীতি বিভাগে অনার্স চালু রয়েছে। কিন্তু চারজন শিক্ষকের স্থলে আছেন ২ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ২ জনের স্থলে আছেন ১ জন, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান ও জীব বিজ্ঞান বিভাগে কোন প্রদর্শক নেই, প্রধান অফিস সহকারী নেই, হিসাবরক্ষক নেই, অফিস সহকারী হিসেবে ১৪টি পদের স্থলে আছে মাত্র ৪ জন। ২৯টি শিক্ষকের পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ২০ জন।

উচ্চ মাধ্যমিক ২য় বর্ষের ছাত্রী ফারমিন আক্তার পৃথি জানান, শিক্ষক সঙ্কটের কারণে কোন সপ্তাহে একদিন ক্লাস হয়, কোন সপ্তাহে হয় না। ফলে নিজগ্রাম মুজিবনগরের মোনাখালী থেকে শুধুমাত্র প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে শহরে আসতে হয়।

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী পিংকি খাতুন, জুলেখা খাতুন জানান, ঠিকমত ক্লাস না হওয়ায় ছাত্রীরাও কলেজে আসে না।

উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করা মেঘলা খাতুন জানান, বিজ্ঞান বিভাগে পড়লেও দুই বছরে কোন দিন প্রাকটিক্যাল ক্লাস পায়নি ডেমোনেষ্ট্রেটর শিক্ষক না থাকায়। দুই বছর ধওে পৌর কলেজের হান্নান স্যারের কাছে গণিত, সরওয়ার স্যারের কাছে রসায়ন আর সাহিদ স্যারের কাছে বায়োলজি পড়েছি। কারণ আমাদের কলেজে কোন শিক্ষক নেই।

জেলা নারী শিক্ষার বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে ‘মেহেরপুর মহিলা কলেজ’ নামে কলেজটির যাত্রা শুরু হয় প্রায় ৩ একর জমিতে। পরবর্তিতে ১৯৯২ সালে জাতীয়করণের মধ্যে দিয়ে ‘মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ’ নামকরণ হয়। পরবর্তিতে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে

মুজিবনগর আম্রকাননের সমাবেশে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরবর্তিতে ২০১৩-২৪ শিক্ষা বর্ষ থেকে বাংলা ও অর্থনীতি দুটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমানে আরো তিনটি ব্যবস্থাপনা, ইংরেজি ও পৌরনীতি বিষয়ে অনার্স চালুর প্রক্রিয়া চলছে। তবে দিনের পর দিন এভাবে শিক্ষক-কর্মচারী সঙ্কটে ভুগতে থাকলে জেলায় নারী শিক্ষায় ব্যঘাত ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

অন্যান্য শিক্ষকরা এ নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলে কথা হয় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক-কর্মচারী শঙ্কটে ভুগছি। কয়েকদফা চাহিদা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে, কোন সদুত্তর মেলেনি। শিক্ষক-কর্মচারীর শুন্য পদ পূরন না হলে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।




কুষ্টিয়ায় অনুমোদনহীন ৬ ইটভাটাকে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় অনুমোদনহীন ৬টি ইটভাটার মালিককে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভাটার দুই লাখ কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করেন দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলাম।

ভাটাগুলোর মধ্যে আদাবাড়িয়া এলাকার আরইউবি ব্রিকসকে ৫ লাখ, দুখীপুরের আরএনবি ব্রিকসকে ৩ লাখ, কিশোরীনগরের এসআরবি ব্রিকসকে ৩ লাখ, ডাংমড়কা এলাকার এমআরএন ব্রিকসকে ৩ লক্ষ টাকা, এনবিএল ব্রিকসকে ৫ লাখ ও প্রাগপুর মাঠপুর এলাকার বিএনবি ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ইট প্রস্তুত আইন-২০১৩ অমান্য করে ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি ব্যবহার, কাঠ পোড়ানো ও লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় ৬ ইটভাটার মালিককে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, কুষ্টিয়া জেলায় ১৬৮টি ইট ভাটা আছে। যার মধ্যে মাত্র ২২টি বৈধ। বাকি সব অবৈধভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। আর দৌলতপুর উপজেলায় ২৯টি ইটভাটা আছে। এর মধ্যে মাত্র একটি ভাটা বৈধ। অবৈধ এসব ইট ভাটায় প্রতি মৌসুমে লাখ লাখ টন কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। অবৈধ এসব ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।




ভুল টুইট করে ক্ষমা চাইলেন অমিতাভ বচ্চন

টুইট নিয়ে খুব সিরিয়াস বলিউড ‘শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চন। প্রত্যেক টুইটবার্তার শুরুতে নম্বর লিখে টুইট করেন তিনি। এ যেন ব্যতিক্রমী এক টুইট ব্যবহারকারী।

এবার টুইটের সেই নম্বর নিয়েই বাধল বিপত্তি। ভুল নম্বর লিখে টুইট করায় আরেকটি টুইটবার্তায় নম্বর ঠিক করে নিজের ভুলকে ‘ভয়াবহ ভুল’ আখ্যা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।

সাধারণত নম্বর দিয়ে টুইট করেন অমিতাভ। প্রতিটি টুইটে নম্বরের আগে জুড়ে দেন ‘T’। গতকাল রোববার তিনি এক টুইটে লেখেন- ‘T-৪৫১৫-ভয়াবহ ভুল! T-৪৫১৪ এর পর থেকে সব ভুল। যেগুলো T-৫৪২৪, ৫৪২৫, ৫৪২৬…এভাবে গেছে, সেগুলো হবে T-৪৫১৫, ৪৫১৬, ৪৫১৭…এভাবে। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

এ পর্যন্ত অমিতাভের টুইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫১৫। তার পরেই সংখ্যা গুলিয়ে ফেলেন তিনি। ৪৫১৪ নম্বর টুইটের পর ভুল করে এক হাজার বাড়িয়ে লিখে দেন ৫৪২৪।

সূত্র: যুগান্তর