তিন সংস্করণের জন্যই প্রস্তুত জাকির

জাকির হাসান ঘরোয়া ক্রিকেটে উজ্জ্বল এক নক্ষত্র অনেক দিন ধরেই। ২০১৫ সালে অভিষেকের পর প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা হয়েছে ৬৯টি। এরপর সবশেষ ভারতের বিপক্ষে গায়ে জড়াতে পেরেছেন টেস্ট জার্সি। দীর্ঘদিন খেলার অভিজ্ঞতা তাকে কতটা শাণিত করে তুলেছে, সেই প্রমাণ দিয়েছেন অভিষেক সিরিজে সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে। তবে সে শুধু ধর্য্য দিয়ে নয়, টি-টোয়েন্টিতেও মারকুটে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী তা বোঝালেন গত শনিবার বিপিএল ম্যাচে।

ক্ষুদ্র ফরম্যাটে যখন বাংলাদেশ ব্যাটার খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত সেসময় বিপিএলে মারকুটে ব্যাটিং দেখিয়ে আলোচনায় চলে আসলেন জাকির হোসেন। আসরের চতুর্থ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন জাকির। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে যখন ব্যাটিংয়ে আসেন তখনো সিলেটের প্রয়োজন ছিল ৫০ বলে ৯৩ রান। এমন সময় ব্যাটিংয়ে এসে শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন জাকির। আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ১৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংস।

জাকিরের এমন দানবীয় ব্যাটিং মনে ধরেছে সিলেট দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্বে থাকা সাবেক টাইগার পেসার নাজমুল হোসেনের। গতকাল রবিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই পেস বোলিং কোচ জানিয়েছেন, জাকির তিন ফরম্যাটেই ক্রিকেট খেলতে প্রস্তুত।

নাজমুল বলেন, ‘দেখুন কালকে যে ইনিংসটা খেলেছে জাকির…. আমি আমার খেলোয়াড়ী জীবনে বা অনেক দিন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি, এরকম ইনিংস রান তাড়ার ম্যাচে খুবই কম দেখেছি। যেটা ও গতকালকে করেছে। দেখুন, আমাদের খেলার যে মোমেন্টামটা ছিল সেটা কিন্তু ওর ইনিংসটা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি আশা করব, ও যদি এই মোমেন্টামটা ধরে রাখতে পারে তাহলে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জন্য বড় সম্পদ হতে পারে।’

লম্বা সময় ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরম করছেন জাকির। সিলেট বিভাগের হয়ে খেলার কারণে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন নাজমুল। নিজেদের মধ্যে হওয়া কথোপকথনও সামনে এনেছেন তিনি। নিজেকে তিন সংস্করণের জন্যই প্রস্তুত করতে চান বলে নাজমুলকে জানান জাকির। এদিকে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে রান পাওয়ায় জাকিরের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বলে মনে করেন সিলেটের বোলিং কোচ।

নাজমুল বলেন, ‘দেখুন, অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। আমি জাকিরকে সবশেষ দুই-তিন বছর ধরে দেখছি, যেহেতু ও সিলেট বিভাগের হয়ে খেলছে। ও কিন্তু ওর ব্যাটিং নিয়ে খুবই চিন্তা করে এবং ও নিজেকে সেভাবেই তৈরি করছে, যাতে তিন সংস্করণেই খেলতে পারে। আমি ওর সঙ্গে অনেক দিন কথা বলেছি, যে আসলে তোমার পরিকল্পনা কি? ও যেটা বলেছে তা হলো, আমি যেহেতু ক্রিকেট খেলব তিন সংস্করণেই খেলতে চাই।’

সূত্র: ইত্তেফাক




হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ড মামলায় শোন এ্যারেস্ট সাংবাদিক জনি

ক্যামেরা ছিনতাই, প্রতারণা মামলার আসামি এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মিজানুর রহমান জনিকে হোটেল আটলান্টিকার ঘটনায় মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার মঞ্জুর করেছে আদালত।

গতকাল রবিবার দুপুরে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তারিক হাসানের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আশরাফ আলী গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানালে বিজ্ঞ বিচারক মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আশরাফ আলী জানান, হোটেল আটলাণ্টিকা কাণ্ডে মিজানুর রহমান জনির সমপক্ততা তুলে ধরে আদালতে শোন এ্যারেস্টের আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত শুনানী পর্যবেক্ষন শেষে তার শোন এ্যারেষ্ট মঞ্জুর করেছেন।

হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডে ব্লাকমেইলার চার সাংবাদিকের অন্যতম মিজানুর রহমান জনি। এ নিয়ে আসামি প্রিয়া খাতুন ও ছন্দা পৃথক পৃথক ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জনিকে অভিযুক্ত করেন। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে জনি আত্নগোপনে ছিলেন।

অপরদিকে, সাংবাদিক মোঃ মিজানুর রহমান জনি-কে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা গত ১৮ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে গ্রেফতার করে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটা টিম তাকে এনটিভি মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধির ক্যামেরা ছিনতাই ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করে।

গত ২২ এ নভেম্বর মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজে বাদি হয়ে একটা মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক রেজ আন উলবাসার তাপস। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানা পুলিশকে এফআরআই এর নির্দেশ দেন।




কালীগঞ্জের মাঠ থেকে  স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ^রবা এলাকার একটি মাঠ থেকে তাপস বিষ্ণু (৫৫) নামে স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার সকাল ১১ টার দিকে কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের ঈশ^রবা এলাকার জামতলা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। চাঁচড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপস বিষ্ণু উপজেলার গোপালপুর এলাকার সুনীল বিষ্ণুর ছেলে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, শনিবার রাত থেকে তাপস বিষ্ণু ঈশ^রবা জামতলা এলাকার দোকানে চা-নাস্তা খেয়েছেন। রাত ৯ টার পর থেকে তাকে আর এলাকায় দেখা যায়নি। সকালে কৃষকরা জমিতে পানি দিতে গিয়ে কাঁদার মধ্যে তাকে পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে।

তাপস বিষ্ণুর ভাই বিদ্যুৎ বিষ্ণু জানান, শনিবার দুপুর থেকে তার ভাই নিখোঁজ ছিলেন। অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রোববার সকালে ভাইকে খুঁজতে তিনি কালীগঞ্জ শহরে আসেন। এরপর খবর পান ঈশ^রবা গ্রামের মাঠে একজনের লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ শনাক্ত করেন। তার ভাই দীর্ঘদিন মানসিক রোগে ভুগছিলেন।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।




১৩ হাজার টাকার মধ্যে তিন স্মার্টফোন

নতুন বছরে নতুন স্মার্টফোন কিনতে চান অনেকে। এ জন্য প্রায় সবাই কম দামে ভালো মানের স্মার্টফোনের খোঁজ করেন। বিষয়টি মাথায় রেখে বিভিন্ন স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দেশের বাজারে ১৩ হাজার টাকার নিচে বেশ কয়েকটি ভালো মানের স্মার্টফোন বাজারজাত করছে। দাম তুলনামূলক কম হলেও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনগুলো দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রায় সব কাজই করা যায়। ১৩ হাজার টাকার নিচে ৩ স্মার্টফোনের খোঁজ দেখে নেওয়া যাক—

রেডমি ১০ এ

অ্যান্ড্রয়েড ১১ অপারেটিং সিস্টেমে চলা ৬.৫৩ ইঞ্চি পর্দার ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অক্টাকোর প্রসেসর। ৪ গিগাবাইট র‍্যাম ও ৬৪ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটির পেছনে ১৩ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা রয়েছে। সেলফি তোলার জন্য রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি–সুবিধা থাকায় চার্জ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। আঙুলের ছাপ শনাক্তকরণ সেন্সর–সুবিধার ফোনটির দাম ১২ হাজার ৯৯৯ টাকা।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৪

স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সিরিজের স্বল্প বাজেটের ফোন হচ্ছে গ্যালাক্সি এ০৪। অ্যান্ড্রয়েড ১২ অপারেটিং সিস্টেমে চলা ৬.৫ ইঞ্চি পর্দার এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে অক্টাকোর প্রসেসর। ৩ গিগাবাইট র‍্যাম ও ৩২ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটির সামনে ও পেছনে রয়েছে ৫০ ও ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি–সুবিধার ফোনটির দাম ১২ হাজার ৯৯৯ টাকা।

রিয়েলমি সি৩৩

অ্যান্ড্রয়েড ১২ অপারেটিং সিস্টেমে চলা ৬.৫ ইঞ্চি পর্দার এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে অক্টাকোর প্রসেসর। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি–সুবিধার ফোনটি ১০ ওয়াট চার্জিং প্রযুক্তি সমর্থন করায় দ্রুত চার্জ হয়। ৩ গিগাবাইট র‍্যাম ও ৩২ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটির সামনে ও পেছনে রয়েছে ৫০ ও ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। দাম ১২ হাজার ৯৯৯ টাকা।

সূত্র: প্রথমআলো




মানিকগঞ্জে নিয়োগ দেবে আকিজ টেক্সটাইল মিলস

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আকিজ গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্টান আকিজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘অফিসার’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন।

পদের নাম

অফিসার।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

স্বীকৃত যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস প্রাথীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

কর্মস্থল

মানিকগঞ্জ।

বেতন

সাপেক্ষে। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীদের বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

১৫ জানুয়ারি, ২০২৩।

সূত্র: বিডিজবস।




মেহেরপুরে ইটভাটার কাদামাটি সড়কে, আদালতের স্বপ্রণোদিত মামলা

মেহেরপুরের সড়কগুলো ইটভাটার কাদামাটিতে পথচারীদের দূর্ভোগ হওয়ায় আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গত ৩ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। রিপোর্টটি মেহেরপুর আমলী ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে এলে তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গতকাল শনিবার দুপুরে মামলার শুনানি মেহেরপুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্ এই আদেশ প্রদান করেন। আদেশে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তপূর্বক আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার, পিবিআই, কুষ্টিয়াকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। একই সাথে অবৈধ ইট ভাটার বিষয়ে উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়াকে স্বতন্ত্র প্রশাসনিক তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

সংবাদে উল্লেখিত বিষয়টি সত্য হলে তা দণ্ডবিধির ধারা ২৯০, ৪৩১ সহ ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ মর্মে উল্লেখ করে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ সমীচীন মর্মে আদেশে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলায় ১০৩টি ইটভাটার অধিকাংশ অবৈধ এবং আবাসিক এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন জমিতে স্থাপন করা হয়েছে। যা দণ্ডবিধিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

কোনোরূপ ব্যর্থতা ব্যতিরেকে আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার, পিবিআই, কুষ্টিয়াকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।




মেহেরপুরে পল্লী বিদ্যুতের খুটি স্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের সম্প্রসারণ কাজের জন্য নতুন করে মেহেরপুরের অংশে পল্লী বিদ্যুতের খুটি স্থাপনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্দিষ্ট মাপের থেকে কম পরিমানে পোতার অভিযোগ উঠেছে। আর এ অনিয়মের মাধ্যমে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন হাশেম আলী নামের এক ঠিকাদার। তবে পল্লী বিদ্যুতের কর্তৃপক্ষ বলছে সঠিকভাবে কাজ বুঝে নেওয়া হবে।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর- কুষ্টিয়া সড়কের সম্প্রসারণ কাজের জন্য মেহেরপুর থেকে খলিসাকুণ্ডি পর্যন্ত ৫৮৭টি বিদ্যুতের খুটি ও সংযোগ স্থাপনের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রকল্প তৈরি করে। সে অনুযায়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগ পল্লী বিদ্যুতের অনুকুলে ওই টাকা জমা করে। পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি থেকে দরপত্রের মাধ্যমে চার জন ঠিকাদার বিদ্যুৎ খুটি স্থাপনের কাজ পায়। এর মধ্যে হাশেম আলী পিয়াদা মেহেরপুর থেকে বামন্দি পর্যন্ত ৭টা লটে ৪৩৭টি খুটি স্থাপন বাবদ কাজ পেয়েছেন ৭০ লাখ টাকার। এছাড়া তাজুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক ও মামুনুর রশিদ একটি করে লটে ১০ লাখ টাকা করে ৩০ লাখ টাকা কাজ পান। এছাড়া বাকি ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার কাজ পল্লী বিদ্যুৎ নিজস্ব ভাবে সম্পন্ন করবে। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক, তারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে। যে কাজগুলো খুটি স্থাপনের পর শুরু হবে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার দিঘীর পাড়া থেকে মদনাডাঙ্গা পর্যন্ত সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রতিটি খুটিতে নির্দিষ্ট মাপ মত পোতার জন্য চিহৃ দেওয়া থাকলেও কোনটি দুই ফুট কোনটি এক ফুট কম পোতা হয়েছে।ফলে বৃষ্টি বা ঝড়ে খুটিগুলো হেলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক জানিয়েছেন, খুটির নিচে ৩৩ কেভি গ্রাউণ্ডিং প্লেট দেওয়ার কথা থাকলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে গ্রাউণ্ডিং প্লেট গুলো দেওয়া হয়নি। ফলে ঠিকাদার ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা মিলে যার যার মত করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (ই এন্ড সি) প্রকৌশলী নাজমুন নাহার জেরিন জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মেহেরপুরের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় থেকে খলিসাকু্িড পর্যন্ত ৫৮৭ টি নতুন খুটি স্থাপন ও বিদ্যুত সংযোগ স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মাপের খুটি রয়েছে। ২৫ ফুট খটি ৫ ফুট, ৩০ ও ৩৫ ফুট সাইজের খুটি সাড়ে ৫ফুট, ৪০ ফুটের খুটি ৬ ফুট, ৪৫ ফুটের খুটি সাড়ে ৬ফুট, ৫০ ফুটের খুটি ৭ ফুট এবং ৬০ ফুটের খুটি ৮ফুট মাটির নিচে স্থাপন করতে হবে। কোন ঠিকাদার যদি এর ব্যত্যয় করেন তাহলে নতুন করে আবার স্থাপন করিয়ে নেওয়া হবে।

তবে গ্রাউণ্ডিং প্লেটের বিষয়ে তিনি বলেন, ঠিকাদারদের সরবরাহ করা হয়েছে। যখন কাজ দেখে নেওয়া হবে তখন নিয়মানুযায়ী সব দেখে তারপর বিল দেওয়া হবে।

ঠিকাদার হাশেম আলী পিয়াদা তিনিই একাই পেয়েছেন ৭টি লটের ৪৩৭ টি খুটি স্থাপনের জন্য ৭০ লাখ টাকার কাজ। তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুতের নিয়মানুযায়ী খুটি পোতা হয়েছে। তবে যে যে যায়গায় পোতা সম্ভব হয়নি সেখানে ততটুকু পোতা হয়েছে।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আবু রায়হান বলেন, নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী খুটি না পোতা হলে বৃষ্টি বা ঝড় হলে হেলে যায়। যেখানে অনেক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। যে কারণে নির্দিষ্ট মাপমত খুটি পোতা জরুরি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঠিকাদারের কাছে থেকে এখনো কাজ বুঝে নেওয়া হয়নি। যখন কাজ বুঝিয়ে দেবে, তখন কোনো ত্রুটি পেলে দরপত্রের নিয়মানুযায়ী কাজ বুঝে নেওয়া হবে।




সালমানের বিরুদ্ধে ফের নির্যাতনের অভিযোগ সোমি আলির

বছরের শুরুতে বলিউড তারকা সালমান খানের বিরুদ্ধে ফের নির্যাতনের অভিযোগ আনলেন তার সাবেক প্রেমিকা বলিউডের পাকিস্তানি অভিনেত্রী সোমি আলি।

প্রেমের ওই সম্পর্ককে ‘বিভীষিকাময়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। সাবেক এই অভিনেত্রী বলেন, জীবনের ওই সময়টি একেবারে ভুলে যেতে চান তিনি। খবর এনডিটিভির।

এর আগে সালমানকে ‘নারী নির্যাতক’ বলার পাশাপাশি ‘প্রতারক-ধর্ষককামী’ বলে গত বছরের আগস্টে খবরে এসেছিলেন সোমি।

এর পর ডিসেম্বরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোমি জানিয়েছিলেন, সালমানের সঙ্গে তার প্রেম ফিকে হয়ে যাওয়ার সময়ে, এই বলিউড তারকা তার গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েও নির্যাতন করতেন।

পাকিস্তানি অভিনেত্রী সোমি আলির বলিউড অভিষেক ঘটেছিল গত শতকের ৯০-এর দশকের শুরুতে। তখনই সালমান খানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাদের প্রেম টিকেছিল ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। প্রেমের ওই বছরগুলোকে তার পুরো অস্তিত্বের সবচেয়ে ‘খারাপ’ সময় হিসেবে বর্ণনা দিয়েছেন।

সালমান ও সোমি একটি সিনেমাতে জুটি বেঁধেছিলেন, কিন্তু তা আলোর মুখে দেখেনি। তার পর বলিউডে ঠাঁই করতে না পারা সোমি আলি চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। আর নানা নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে আলোচনার জন্ম দিলেও সালমান খান এখনো রয়েছেন ‘ব্যাচেলর’। সোমির নানা অভিযোগ নিয়ে তিনি কখনো মুখ খোলেননি




সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চাইলেন নাসির

এক আসর পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফিরেছেন টাইগার দলের একসময়কার অপরিহার্য অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। আর ফিরেই জন্ম দিয়েছেন বিতর্কের, অবশ্য গতকাল নিজের বিতর্কিত আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন নাসির।

মূলত ঘটনাটি ঘটেছিল গত বৃহস্পতিবার বিপিএলের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে। সেদিন ট্রফি উন্মোচন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সাত দলের অধিনায়ক। সেখানে এক সাংবাদিককে অপমান করেন নাসির। মূলত তাকে করা একটি প্রশ্ন শুনেই খেপে যান এ ক্রিকেটার।

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আপনি বিপিএলের গত আসরে দলে ছিলেন না। এবার দল পেয়েই অধিনায়ক।’ এই পর্যন্তই বলার পরই চটে যান নাসির। এ সময় উলটো প্রশ্ন করে বসেন, ‘আপনি কে ভাই? সাংবাদিক আপনি, মিডিয়ার লোক? ঠিক আছে, আপনার প্রশ্ন বলেন।’

তারপর সাংবাদিক তার অনুভূতি জানতে চাইলে উত্তরটা দিয়েছেন ব্যঙ্গ করে। বলেন, ‘আমার তো খুব সুন্দর লাগছে। ওয়াও ফিলিংস, ক্যাপ্টেন আমি যেহেতু!’ এরপর নিজেই হেসে ফেলেন। পিছে দাঁড়ানো খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বিও হেসে ফেলেন এমন কথায়।

গতকাল শনিবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক নাসির হোসেন। পরে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অধিনায়কই। সেখানেই সেই সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চান নাসির। বলেন, ‘আমি তার জন্য সরি। আসলে আমি উনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি নাই কখনো। হয়তো মিরপুরে অনেক দিন ধরে ঢুকি না তো। তার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে স্যরি। আপনি কিছু মনে কইরেন না। যদি আপনি কষ্ট পেয়ে থাকেন, আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

সূত্র:ইওেফাক




দামুড়হুদা হোগলডাঙ্গা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ লতিফের ইন্তেকাল

দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের সাবেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ লতিফ ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না-লিল্লাহি………. রাজিঊন)।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ লতিফ দীর্ঘদিন দামুড়হুদা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন।

শনিবার দুপুর ১টার দিকে কুষ্টিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়ে ছিলো ৭৩ বছর। তিনি দামুড়হুদা বাসট্যান্ড পাড়ায় বসবাস করতেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসার রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি নছিহত করে গিয়েছিলেন মৃত্যুর পর যেন আমাকে (আঃ লতিফ) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন তথা গার্ড অব অর্নার দেওয়া না হয়।  এ বিষয়টি নিহতের পারিবারিক ভাবে নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার সন্ধ্যায় দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদে একাদফা জানাজা নামাজ এবং নিজ জন্মভূমি হোগলডাঙ্গায় রাত ৮টায় দ্বিতীয়দফা জানাজা নামাজ শেষে কবরস্থানে দাফন কার্যসম্পন্ন হয়।