দামুড়হুদার পীরপুরকুল্লায় বিয়ের ৫ দিনের মাথায় প্রেমিকের সাথে লাপাত্তা নববধূর

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামে বিয়ের ৫ দিনের মাথায় ঘরে স্বামী রেখে প্রেমিকের হাত ধরে নববধূর লাপাত্তা হবার ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে,পীরপুরকুল্লা গ্রামের নতুন পাড়ার নাজিম উদ্দীন (কালু) ছেলে প্রবাসী আশরাফের কন্যা সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী আরফিনার দুধপাতিলা গ্রামের এক গরু ব্যাবসায়ী ছেলের সাথে ৫ দিন পূর্বে বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। তার পরিবার বড়লোক ছেলে দেখে বিয়ে দিলেও তার মন পড়ে থাকে যশোরের প্রেমিকের প্রতি। ঘরে একদিকে নতুন জামাই আরেক দিকে আরফিনার ছোট মার আত্মীয় পরিচয়ে হাজির যশোরের সে প্রেমিক। দুদিন সে প্রেমিক তার বাড়িতে অবস্থান করে সুযোগ বুঝে গত শুক্রবার আরফিনা ও তার প্রেমিক পাড়ি জমায় যশোরে।

পরবর্তীতে আরফিনার পরিবার আজ শনিবার যশোরে গেছে আরফিনা ও তার প্রেমিকের পরিবারের সাথে বসে সমাধান করতে।আরফিনার দাদী জানান আরফিনার স্বামী তো তাকে আর নেবেনা। এখন সেখানেই দিতে হবে।আরফিনার মা জানান মেয়ে তার কাছে চলে গেছে এখন দেখা যাক কি হয়।স্থানীয় অনেকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন আরফিনার মা ও তার ছোট মা যশোরের ছেলের সাথে প্রেমের সব সম্পর্ক জানে। ওর ছোট মা ছেলেকে ডেকে এনে তার হাতে কৌশলে তুলে দিয়ে এখন নাটক করছে।কারন আরফিনার বাবা প্রবাসে থাকে সে জানলে তাদের বকাবকি করবে।
ঘরে নতুন স্বামী রেখে প্রেমিকের হাত ধরে চলে যাওয়ার আরফিনার প্রতি ছি ছি রব উঠেছে এলাকায়।সেই সাথে আরফিনার বাল্য বিবাহ দেবার সাথে জড়িত তার অভিভাবক, ঘটক ও যিনি বিবাহ পড়িয়েছেন তার কঠোর শাস্তির দাবী তুলেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।




চুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ ও পদাঘাত

চুয়াডাঙ্গায় বীরমুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে বানোয়াট মিথ্যা অভিযোগ তুলে মানববন্ধন এবং প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ ও পদাঘাত করা হয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে দর্শনা মুক্তিযোদ্ধা পৌর কমান্ডারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

আজ শনিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে ওয়েভ ফাউন্ডশনের চাকুরীহারা কর্মীদের ব্যানারে কতিপয় ব্যাক্তি এহন কর্মকান্ড ঘটায়।

চুয়াডাঙ্গা দর্শনার বীরমুক্তিযোদ্ধা মহসিন আলীর ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠন রয়েছে। যার নির্বাহী পরিচালক মহসীন আলী। বিভিন্ন সময়ে আর্থীক অনিয়ম এবং নারী কেলেংকারীর অভিযোগে এ প্রতিষ্ঠন থেকে কিছু কর্মী চাকুরীচ্যুত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কতিপয় কর্মী পরিচালকের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলে শনিবার চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।

মানবন্ধন শেষে বীরমুক্তিযোদ্ধা মহসিন আলীর প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ ও পদাঘাত করেন। এটা মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় আঘাত এবং দেশের শ্রেষ্ট সন্তাদের প্রতি অন্মান বলে দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড মনে করছেন। এর প্রতিবাদে এক বিবৃত্তি দিয়েছেন এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলোক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।




চোরাচালান মালামাল উদ্ধারে দেশের ২য় মেহেরপুর পুলিশ

সারাদেশের মধ্যে চোরাচালান মালামাল উদ্ধারে গ গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান উদ্ধার করেছে মেহেরপুর জেলা পুলিশ।

শনিবার পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলমের এ স্বীকৃতির পুরস্কার তুলে দেন।

জানা গেছে, ২০২২ সালে চোরাচালান মালামাল উদ্ধারে গ গ্রুপে সমগ্র দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মেহেরপুর জেলা পুলিশ। ১৩ টি মামলায় ২১ জন আসামি গ্রেফতারসহ ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৪১৯ টাকার চোরাচালান মালামাল উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ।




চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ৫১৪ কর্মী চাকুরিচ্যুতে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা বেসরকারি সাহায্য সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন কর্তৃক সম্প্রতি বেআইনিভাবে সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের ৫১৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরিচ্যুতির প্রতবিাদে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সেই সাথে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।  শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার সময় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এই সময় তারা বলেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী সংস্থার চাকুরী বিধি লঙ্ঘন করে ৬৮ বছর বয়সেও সম্পূর্ন অনৈতিক ভাবে নির্বাহী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া তিনি নিজের মেয়েকে অনৈতিকতার সকল সীমা লঙ্ঘন করে ৮ ধাপ ডিঙিয়ে সংস্থার উপনির্বাহী পরিচালক-১ হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে তিনি বিগত ৩ বছরে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের অভিজ্ঞ, মেধাবী ও বিশ্বস্থ ৫১৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও অনৈতিক এবং অমানবিক ভাবে পূর্ব নোটিশ বাদে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই চাকুরিচ্যুত করেছেন।

মানব বন্ধনে চাকুরিচ্যুতদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন শফিউল ইসলাম রাজু,রকিবুল ইসলাম,শরিফা খাতুন, শিখা রানী, শেফালী খাতুন, সুলতানা খাতুন, জাহাঙ্গীর আলম, তহুরা খাতুন, আনোয়ার হোসেন সহ অন্যান্যরা। পরিশেষে তারা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাশসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে স্বারকলিপি প্রদান করেন।

সম্প্রতি বেসরকারি সাহায্য সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনে তুঘলকি কান্ড শুরু হয়েছে, বিনা কারনে অথবা তুচ্ছ কারনে ৫ শতাধীক কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে অমানবিক ভাবে চাকুরিচ্যুতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিগত ৩ বছরে চরম অমানবিক ভাবে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে এই বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারি তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত শোচনীয় ও অমানবিক জীবন-যাপন করছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী সংস্থাকে সম্পূর্ন কুক্ষিগত করার মানসে নিজের মেয়েকে সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই সু-প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক-১ পদে বসানোর জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে এত বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে বরখাস্ত অথবা অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের এ সকল বিশ্বস্থ, অভিজ্ঞ, দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের হারিয়ে অচিরেই এনজিও সেক্টরে সু-প্রতিষ্ঠিত ওয়েভ ফাউন্ডেশন ধ্বংশের মধ্যে নিপতিত হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন দেশের বিশিষ্ঠ জনেরা।

চাকুরিচ্যুত এ সকল মানুষ কেউ ২৫বছর, কেউ ২০বছর আবার কেউ ১৫ বছর ১০ বছর যাবত নিজের মেধা শ্রম ও বিশ্বস্থতা আর দক্ষতা দিয়ে ওয়েভ ফাউন্ডেশনকে দেশের এনজিও সেক্টরে একটি মর্যাদার স্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে অপরিসীম অবদান রেখেছেন।

পরিশেষে সংস্থার নির্বাহী পরিচালকের উ”চভিলাসী চিন্তা চেতনার বলি হয়ে পরম আরাধ্য চাকুরি হারিয়ে আজ পথে পথে ঘুরছেন, মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। চাকুরি ফিরে পাওয়ার আশায় প্রতিনিয়তই ধরনা দিচ্ছেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনে হেড অফিস, ইউনিট অফিস ও ব্রাঞ্চ অফিস সহ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে।

চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে এরই মধ্যে কেউ কেউ পক্ষঘাত গ্রস্থ, কেউ কেউ চরম অসুস্থ হয়ে মৃত্যূর প্রহর গুনছেন, ইতিমধ্যে কয়েকজন মারাও গেছেন। এরিয়া সমন্বয়কারী, কমিউনিটি ডেভেলপপমেন্ট অফিসার, ইউনিট ম্যানেজার, সহকারি প্রোগ্রাম অফিসার, পিয়ন, নাইটগার্ড, সহকারি সমন্বয়কারি, একাউন্টস অফিসার,সহকারি রিজিওনাল সমন্বয়কারী, মৎস কর্মকর্তা, ফিল্ড মোবিলাইজার, সাপোর্ট ষ্টাফ ইত্যাদী পদের মোট ৫১৪ জনকে বিগত ৪ বছরের বিভিন্ন সময়ে কাউকে বিনা কারনে অথবা কাউকে নামমাত্র কারনে বরখাস্ত,অব্যাহতি প্রদানের মত অমানবিক কাজ করে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনকে দূর্বিসহ করে দেয়া হয়েছে।

চাকুরি ফিরে পাওয়া সহ এই অমানবিক ও অন্যায়-অবিচারের প্রতিকার চেয়ে এনজিও সেক্টরের নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান মাইক্রো রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েও নির্ঘুম রাত ও আতঙ্কিত জীবন যাপন করছেন চাকুরি হারানো ঐ সকল মানুষজন। কারন এমআরএ’র কাছে অভিযোগ জানানোর কারনে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন এমনকি কারো কারো প্রাননাশের হুমকি পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ এনজিও সেক্টরের নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান মাইক্রো রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) কর্তৃপক্ষের প্রতি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবার সহ সচেতন মহল।




গাংনীতে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক পাচারকারি আটক

মেহেরপুরের গাংনীর বামুন্দি থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক পাচারকারিকে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আকুবপুর চেকপোষ্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০ বোতল ফেনসিডিল।

আটককৃতরা হলো-গাংনীর বামুন্দির মৃত রেজাউল ইসলামের ছেলে আলামিন হোসনে (৩৮)ও আফিরুল ইসলামের ছেলে জাব্বারুল ইসলাম(৩৫)। এসময় মাদক পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান,, দুইজন মাদক পাচারকারি মোটরসাইকেল যোগে মাদক নিয়ে আকুবপুর পুলিশ চেকপোষ্ট এলাকা পার হচ্ছে বামুন্দি বাজার এলাকায় আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম অভিযান চালায়।

এসময় আলামিন হোসেন ও জাব্বারুল ইসলাম নামের দুজনকে আটক করা হয়। তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয় এবং একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান,আটককৃতদের মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে । অভিযান পরিচালনা করেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ এসআই কামরুজ্জামান ও এসআই আজাদ ।




দর্শনায় দুটি ইটভাটার কারনে ৬ গ্রামের মানুষ অতিষ্ট

দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার দুটি ইটভাটার কারনে ৬ গ্রামের মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এতে করে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা মাটিদস্যুদের খাল- পুকুর ও কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। যে কারণে মাটি বহনের ট্রাক্টরের শব্দে রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে ৬টি গ্রামের বসবাকারী মানুষের। এর প্রতিকার চেয়ে প্রশসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌরসভার পাশাপাশি দুটি গ্রামে আধা কিলোমিটার দুরত্ব দুটি ইট ভাটা গড়ে উঠেছে। এ ভাটা দুটির মধ্যে দর্শনা পৌরসভার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে ও দর্শনা আন্তজার্তিক চেকপোষ্ট শামসুল ইসলাম সড়কের সাথে আকন্দবাড়িয়া গ্রামে। এ দুটি ইটভাটার কারনে দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড, দক্ষিণচাঁদপুর, আকন্দবাড়িয়া, রতিরামপুর, রাঙ্গিয়ারপোতা, সিংনগর, ঈশ্বরচন্দ্রপুর সহ কয়েক গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দিন-রাত ২৪ ঘন্টা মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছে ভাটা মালিক পক্ষ। সড়কজুড়ে অবৈধ ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্যের কারনে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ফেসবুকেও করছে পোষ্ট। তাই ৬ গ্রামের মানুষ কোন উপায়ন্ত না পেয়ে প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছে। গত বছরের ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় পর্যালোচনা সভা। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের অধিকাংশই আইনটি সংশোধনের আগে আরও পর্যালোচনার তাগিদ দিয়েছেন। সেই সাথে

পাশাপাশি ২০১৯ সালের ইটভাটা আইনে বলা হয়েছে আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসাবে কোন জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করিতে পারিবেন না। তাহলে কিসের বলে কিসের জোরে জ্বালানী কাঠ ব্যাবহার করছে। তাহলে কি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন টাকা খেয়ে অনুমোদন দিয়েছে পশ্ন তুলছে সাধারন মানুষ। সংশোধনী আইনে পরিস্কার বলা হয়েছে কোন ভাটা কয়লা ছাড়া কোন জ্বালানী কাঠ ব্যাবহার করতে পারবে না। তাহলে এদের খুটির জোর কোথায়। কোন আইন তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ইট পোড়ানো ব্যাবসা। এ ভাবে চলতে থাকলে পরিবেশ পড়ছে হুমকির মুখে। একদিকে মাটিকাটার দৌরাত্ম্য অন্যদিকে কাঠ পোড়ানোর মহাউৎসব।এ মাটিদস্যুদের কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব। এই দুটি ভাটার মাটি কাটার প্রায় ১৫/২০ টা অবৈধ ট্র্যাক্টরের দৌরাত্ম্যে করছে সড়কজুড়ে। দর্শনা আন্তজার্তিক চেকপোষ্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীসহ বিপাকে পড়ছে যানবাহন চলাচল নিয়ে। প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দৃর্ঘটনা। দুটি ইটভাটার মালিক ইদ্রিস আলী ও ফরমান মিয়ার নের্তৃত্বে চলছে মাটি কাটার মহােৎসব। ফলে দুটি ইটভাটার মালিক দিনের বেলায় ও রাতের আঁধারে কৃষি জমির মাটি ট্রাক্টর যোগে কেটে নিচ্ছে তাদের ইটের ভাটায়।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় অর্ধশতাধিক মাটি ব্যবসায়ী এই কৃষি জমির মাটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছেন। ওরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশ্যে তাদের ছত্রছায়ায় থেকে এ ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। কেউ বাধা দিচ্ছে না তাদের, হরহামেশায় কৃষি জমির মাটি বিক্রি হচ্ছে। কৃষি জমির মাটি যেভাবে কাটা হচ্ছে এতে করে কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ভবিষ্যতে যেসব জমিগুলোতে মাটিকাটা হচ্ছে, স্তরের মাটি অপসারণ করা হয়, তখন ওইসব জমিগুলোতে ফসল উৎপাদনে ব্যর্থ হবে বলে ভবিষ্যৎ ধারনা কৃষি কর্মকর্তাদের। যেভাবে মাটিকাটা হচ্ছে, এভাবে রাস্তাঘাটসহ প্রতিনিয়ত ধ্বংসের মুখে পড়ে যাচ্ছে কৃষি জমি। তাই এলাকার সর্বস্তরের জনগণ বর্তমান সময় এই মাটি ব্যবসায়ীদের রুখে দিতে প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করছেন।

স্থানীয় একাধিক কৃষক ও সচেতন ব্যক্তিরা জানান, যেভাবে মাটিকাটা শুরু হয়েছে যেন কে/বা কারা তাদেরকে লাইসেন্স দিচ্ছে। মাটিকাটার জন্য রাস্তাঘাট যেমন ধ্বংস হচ্ছে তেমনি ধ্বংস হচ্ছে কৃষি জমি। বর্তমানে কোন ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই ব্যবসায়ীরা মাটি কাটছে যা সত্যি দুঃখজনক ব্যাপার। তারপরও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এ মুহূর্তে যদি মাটি কাটা বন্ধ করা না যায় তাহলে ভবিষ্যতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলেও জানিয়েছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগ করে বলেন, প্রত্যকটা জিনিসের নিদ্রা আছে, কিন্তু দুই ভাটার মালিক নিজেদের আখের গোছানোর জন্য সারারাত মাটি কাটছে। বাবা এরা টাকার জন্য মাটিকেও নিদ্রা দিচ্ছে না। এদের বিচার এ দেশে হবে না।

ছেলে মেয়েদের অভিভাবকদের কাছে জানতে চাইলে তারা আরও জানান, এখন স্কুল কলেজ খোলা রয়েছে। নতুন বই হাতে পাবে তাই ছেলে মেয়েদের নিয়ে কিছুটা চিন্তায় রয়েছি। যে কোন সময় ঘটতে পারে দৃর্ঘটনা। স্কুল, কলেজে যাবে ছেলে মেয়েরা তাদের সড়কে চলাচল করা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। গত বছরে দর্শনা রামনগরে স্কুল ছাত্র, রাঙ্গিয়ারপোতায় মোটরসাইকেল চালক ও সিংনগরে মাটিকাটা এক শ্রমিক মাটিকাটা ট্র্যাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে সড়কেই তরতাজা প্রান গিয়েছে এ তিনজনের।

এ বিষয়ে দর্শনা ষ্টার ব্রিকসের সত্বাধিকারী ইদ্রীস আলীকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। সুপার ব্রিকসের সত্বাধিকারী ফরমান মিয়া বলেন, আমি একটু বাইরে যাচ্ছি গাড়ির মধ্যে রয়েছি, দু’দিন পর এসে কথা হবে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগম বলেন, এ ধরনের কর্মকান্ড না করার নির্দেশনা দিয়েছি। না মানলে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টর মাধ্যমে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।




ঢাকায় নিয়োগ দেবে নিটল মোটরস

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নিটল মোটরস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার / ম্যানেজার’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করতে পারবেন। নারী ও পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার / ম্যানেজার (ট্যাক্স)।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

স্বীকৃত যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফাইন্যান্স/ অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে এমবিএ/ এমকম পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। সিএ (সিসি)/ আইসিএমএ সম্পন্ন বা আংশিক সম্পন্ন হলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রার্থীর পাঁচ বচরের কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়াও ট্যাক্স, ভ্যাট, কাস্টমস ডিউটি, ইনকাম ট্যাক্স বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। চাপ সামলে কাজের আগ্রহ থাকতে হবে। ২৮ থেকে অনূর্ধ্ব-৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

কর্মস্থল

ঢাকা।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




আলমডাঙ্গায় তিব্র শীতে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত নারী-পুরুষ 

নিম্ন তাপমাত্রার পাশাপাশি তিব্র শীতে সাধারণ মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না।

শীত নিবারণের জন্য গরম পোশাকের সঙ্গে বেছে নিচ্ছে খড়কুটোর আগুন। এরই মধ্যে আলমডাঙ্গায় নারী-পুরুষের পাশাপাশি শিশুরা ডাইরিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি,কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

ঘন কুয়াশার কারনে বৌরো আবাদের বীজ তলার চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পান, আলু, গম সহ বিভিন্ন ফসল কুয়াশার কারণের পোকা-মাকড়ের আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্নআয়ের মানুষ গরম পোশাক কিনতে ফুটপাতসহ বিভিন্ন দোকানে ভিড় জমাচ্ছে।

এদিকে তিব্র শীতের প্রভাবে আলমডাঙ্গার ৫০ শয্যা হারদি হাসপাতালে রোগের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। নারী-পুরুষ ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা নিউমোনিয়া ও সর্দি জ্বরসহ শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে আলমডাঙ্গার ৫০ শয্যা হারদি হাসপাতালে নারী-পুরুষ ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১ শ জন ভর্তি হয়েছে। এ রোগে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। এছাড়াও সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে ৭০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন ৫/৭ জন শিশু শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হারদি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

অন্য দিকে, আলমডাঙ্গায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আগুন পোহানোর সময় তাহারন নেসা (৭০) নামে এক বৃদ্ধা দগ্ধ হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃদ্ধার শরীর ৬০-৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার  সকালে আলমডাঙ্গা উপেজলার পুটিমারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ তাহারন নেসা চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের মৃত ঝড়ু মিস্ত্রীর স্ত্রী।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মারভিন অনিক চৌধুরী বলেন, বৃদ্ধার শরীরের ৬০-৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা ও আলুক্ষেত রক্ষায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়া, সম্ভব হলে চারা রাতের বেলা ঢেকে দেওয়া, বীজতলায় সেচ দিয়ে পরদিন সকালে পানি বের করে দেওয়া এবং বীজতলা লাল হলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আলুক্ষেতে আগামধসা ও নাবিধসা ছত্রাক যাতে না লাগে, সে জন্য ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে। এ জন্য মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

হারদি ৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাজনিন সুলতানা কণা বলেন, শীতের প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। বিভিন্ন সময় মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেককে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকরা।

১২ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শনিবার পর্যন্ত ভর্তি আছেন ২৬ জন। এর মধ্যে ১২ জনই শিশু। এছাড়াও নারী-পুরুষ ৪৫ জন ভর্তি আছে।




মুজিবনগরে ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, আসামি পলাতক

পুলিশের মাদক মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মুজিবনগরে ১০০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ। এ সময় ২ মাদক ব্যাবস্যায়ী পালিয়ে যায়।

মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্য (ওসি) মেহেদি রাসেল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমার নেতৃত্বে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত্রি ২টার সময় মুজিবনগর থানা পুলিশের এস আই উত্তম কুমার,এস আই সাহেব আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপজেলার জয়পুর গ্রামস্থ ময়নাতলা মাঠে অভিযান চালিয়ে ১০০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেন।

ওসি জানান, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুজন মাদক ব্যবসায়ী ফেন্সিডিল ফেলে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিলের মূল্য অনুমান ২ লক্ষ টাকা।

পলাতক আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।




সারা বাংলা ৮৮ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্যানেলের সপ্তাহ ব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ

সারা বাংলা ৮৮ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্যানেলের পক্ষ থেকে সপ্তাহ ব্যাপী জেলার ৪টি উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

গতকাল শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পলাশপাড়ায় মরহুম অধ্যাপক ওয়াজেদ আনোয়ারুল কাদিরের বাড়ির বাগানে প্রায় দুই শতাধিক দুঃস্থ মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দুঃস্হদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন জীবননগর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ইমরুল কাদির বাবু।

হামিদুল ইসলাম সেন্টুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কো-অর্ডিনেটর ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, এডমিন প্যানেলের মডারেটর লাবণ্য মারু, যুগ্ন কো-অর্ডিনেটর শামস গোলাম হোসেন আবির, শারমিন দিলারা লুনা, সব্যসাচী রাজু, শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, শিক্ষক মহসিন আলী, মোজাম্মেল হক নেন্টু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সারা বাংলা ৮৮ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্যানেলের ঝর্না, মনোজ কুমার আগারওয়াল, জিয়াউর রহমান জিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, শাহীন পারভেজ, কামরুল হাসান হিরো, ইসমাইল হোসেন, মনজুর আলম, সাংবাদিক রিফাত রহমান, জহুরুল ইসলাম, আজিম উদদীন। এছাড়া সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন, ঢাকা থেকে বন্ধু প্রকৌশলী শামীমুর রহমান রোমেল, ডা. আসমা উল হোসনা লাকি, ফিরোজা বেগম কেয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নাজমুল হাসান তপু, তৌফিক এহসান বাবু, প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজীম বিপুল, জীবননগর উপজেলার যুগ্ন কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু, আবদুস সালাম ঈশা, হাসানুজ্জামান পলাশ, দামুড়হুদা উপজেলার সাংবাদিক বখতিয়ার হোসেন বকুল, ইউসুফ আলী খান ঈছা, শাহীন, একরামুল হক।

দর্শনা থেকে শাহ মুহাম্মদ তারিকুজজামান, আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে অন্যতম যুগ্ন কো-অর্ডিনেটর হাবিবুল করিম চঞ্চল, এমদাদ হোসেন, এসএম শাহজাহান ঝন্টু ও বিল্লাল হোসেন বিপ্লব। আমেরিকা প্রবাসী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ এবং কানাডা প্রবাসী প্রকৌশলী ফিরোজ আলী। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, মানুষের উপকারের মধ্যেই মানুষের সার্থকতা, এক্ষেত্রে সারা বাংলা ৮৮ অর্থাৎ এসএসসি ১৯৮৮ ব্যাচ সার্থক। কারণ তারা মানুষের সেবামূলক কাজেই নিয়োজিত আছে, এ ধরনের কাজে সমাজের অন্যান্যদের এগিয়ে আসা উচিত।

এর আগে এদিন সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছী ইউনিয়নে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়ুলগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা মো. আবু হেনা, কামরুল হাসান হিরো, শাহ মুহাম্মদ তারিকুজজামান ও জেলা কো-অর্ডিনেটর ডা সায়ীদ মেহবুব উল কাদিরসহ এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ। সকলেই সামাজিক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দেন। সারা বাংলা ৮৮, সুখে দুঃখে পাশাপাশি এই মূলমন্ত্র নিয়ে সারা বাংলা ৮৮ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এগিয়ে যাবে এটাই সবার প্রত্যাশা।

উল্লেখ্য, এর আগে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা, জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় সারা বাংলা ৮৮ জেলা প্যানেলের পক্ষ থেকে দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।