বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনে ৫৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ছয়জন, বগুড়া-৪ আসনে ৯ জন, বগুড়া-৬ আসনে ১৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের ৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে ৬ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এসব আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। রাতে নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতার এসব তথ্য জানিয়েছে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন। বাকি দুই আসনে সরকারি দলের কোনো প্রার্থী নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঞা প্রার্থী হলেও সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। তবে জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল হামিদ এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এসব আসনে ভোটগ্রহণ হবে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৫ জানুয়ারি।
পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও): ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনের উপ-নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর সিরাজুল ইসলাম এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, জাকের পার্টির এমদাদ হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) সাফি আল আসাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনে ১৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আশুগঞ্জে ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ (স্বতন্ত্র), জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন (স্বতন্ত্র), বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব শাহজাহান আলম সাজু (স্বতন্ত্র) ও জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল।
সরাইলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, বুধবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরাইলে মোট ৮ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- জাতীয় সংসদ থেকে সদ্য পদত্যাগকারী পাঁচবারের সাবেক সংসদ-সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টি থেকে দুবারের সাবেক সংসদ-সদস্য জিয়াউল হক মৃধা (স্বতন্ত্র), জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী, যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু (স্বতন্ত্র) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী মো. রাজ্জাক হোসেন, সরাইল উপজেলার চুন্টা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম (স্বতন্ত্র) ও সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মো. মোহন মিয়া (স্বতন্ত্র)। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আশুগঞ্জ দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা) শাহ মফিজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ): চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর-নাচোল-ভোলাহাট) আসনে ৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে বুধবার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জিয়াউর রহমান মনোনয়ন জমা দেন। গোমস্তাপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আওয়ামী লীগ নেতা রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার ও গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম বাচ্চু, জাতীয় পার্টির আ. রাজ্জাক, বিএনএফের নবীউল ইসলাম ও জাকের পার্টির গোলাম মোস্তফা মনোনয়নপত্র জমা দেন।
সূত্র: যুগান্তর