ঢাকায় নিয়োগ দেবে চ্যানেল টুয়েন্টিফোর

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চ্যানেল টুয়েন্টিফোর। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘নিউজ প্রেজেন্টার’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য নারী ও পুরুষ প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

নিউজ প্রেজেন্টার।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

স্বীকৃত যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীর ন্যূনতম দুই বছরের কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ন্যূনতম ২২ থেকে অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

কর্মস্থল

ঢাকা।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদনের প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা সিভি ই-মেইল করতে পারবেন (jobs24@channel24bd.tv) এই ঠিকানায়।

আবেদনের শেষ তারিখ

৩ জানুয়ারি, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের অঙ্গীকারে গণগবেষক সম্মেলন

যৌথ চিন্তার মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের বিকল্প পথ অনুসন্ধানে সম্প্রতি গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো গণগবেষক সম্মেলন।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সহযোগিতায় গাংনী উপজেলা গণগবেষণা ফোরাম এই সম্মেলনের আয়োজন করে। গণগবেষণা সস্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আব্দুর রবের সভাপত্তিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এম খালেক। উদ্বোধন শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

গাংনী হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জমিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী খোরশেদ আলম প্রমুখ।

সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, গাংনী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২৫০টি গণগবেষণা সমিতির মাধ্যমে ১০ হাজার মানুষ সংগঠিত হয়ে গণগবেষণা পদ্ধতিতে স্থানীয় সমস্যা ও তার কারণ অনুসন্ধান করে ক্ষুধা এবং দারিদ্র থেকে মুক্তি জন্য নানামূখী উদ্যোগ গ্রহণ করে আত্মনির্ভশীলতা অর্জনের চেষ্টা করছেন। তারা ইতিমধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকার নিজস্ব তহবিল গড়ে তুলে নিজেদের আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি বাল্যবিয়ে, নারী নির্যাতন, স্যানিটেশন, সরকারি সেবা প্রাপ্তি, সামাজিক সস্প্রীতি তৈরীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এই সস্মেলনে থেকে গণগবেষক প্রতিনিধিরাদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং নতুন নেতৃত্ব তৈরীর মাধ্যমে গণগবেষণা কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, মানুষ যদি তার নিজের শক্তিকে আবিস্কার করতে পারে, সে যদি সংগঠিত হয়ে যৌথভাবে চিন্তা করে, নিজেরা নিজেদের সমস্যার কারন খুঁজে বের করে যৌথ উদ্যোগ নেয় তাহলে স্থানীয় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আপনারা গণগবেষণার মাধ্যমে আজ দশহাজার মানুষ সংগঠিত। আপনার নিজেরাই নিজেদের ভাগ্যের কারিগর হয়ে উঠেছেন। আপনাদের নিজস্ব তহবিল হয়েছে, নিজস্ব বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন।

আলোচলা সভা শেষে প্রধান অতিথি অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে গণগবেষকদের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।




সমাপ্ত হলো বাংলাদেশ ক্রিকেটে রাসেল ডমিঙ্গো অধ্যায়

অবশেষে সমাপ্তি হলো বাংলাদেশ ক্রিকেটে রাসেল ডমিঙ্গোর অধ্যায়। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন রাসেল ডমিঙ্গো। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ই-মেইলে বিসিবিকে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন এই প্রোটিয়া কোচ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।

ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারের পরই নিজের দায়িত্ব ছাড়লেন ডমিঙ্গো। সিরিজ হেরে যাওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন ছিলো ডমিঙ্গোকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে। অবশেষে অব্যাহতি দেওয়ার আগে নিজেই সরে দাঁড়ালেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান।

টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পরই বড়দিনের ছুটিতে নিজ দেশে গেছেন ডমিঙ্গো। সেখান থেকেই মেইল পাঠিয়ে পদত্যাগের বিষয়টি জানান তিনি।

সবশেষ এশিয়া কাপ থেকেই ডমিঙ্গোর সঙ্গে বিসিবির সম্পর্কের অবনতি হয়। টি-টোয়েন্টির দায়িত্বেও তার পরিবর্তে আনা হয়েছিলো শ্রীধরন শ্রীরামকে।

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পরই জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে। তবে তিনি স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। অবশেষে আজ বুধবার সকালে জানা গেলো, ডমিঙ্গো নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন দলের দায়িত্ব থেকে।

তিন বছরেরও বেশি সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন ডমিঙ্গো। এর মধ্যেই অনেকবারই তার বিদায় নিয়ে গুঞ্জন উঠলেও এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই এলো সেই ঘোষণা।

সূত্র: ইত্তেফাক




অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চলছে গাংনী হাসপাতাল

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নির্ধারিত সময় ও নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না অনেক চিকিৎসক। ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে হচ্ছেন বিভিন্ন রকমের হয়রানির শিকার। এখানে চিকিৎসা না দিয়ে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে রেফার টিকেট। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধে সেবা প্রত্যাশিদের নাভিশ্বাস চরমে। যেন দেখার কেউ নেই।

গাংনীর থানা পাড়ার জোসনা খাতুন চিকিৎসা নিতে আসেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার বেলা বারোটার সময়। ৫ টাকার টিকিট কেনেন বহির্বিভাগ টিকিট কাউন্টার থেকে। সেবা নিতে জান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০৯ নম্বর কক্ষে।উক্ত কক্ষে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন ডাক্তার মাসুদুর রহমান । শুধু জোছনা খাতুনই নয়, এ সময় আরো চার থেকে পাঁচ জন রোগী টিকিট নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১২ টা বাজার সাথে সাথে তিনি চিকিৎসা দেয়ার সময় শেষ বলে ১০৯ নম্বর পক্ষ থেকে বেরিয়ে পড়েন। কয়েকজন সেবা প্রত্যাশীরা সরকারি নির্ধারিত সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ৮টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ডিউটি। তাই আমি আর রোগী দেখতে পারব না।

মাইলমারি গ্রামের রেক্সোনা খাতুন জানান, বেলা ১২ টা বাজার সাথে সাথে টিকিট কাউন্টার থেকে আমাকে আর টিকিট দেয়নি। কাউন্টার তালা দিয়ে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেন কাউন্টারে দা থাকা মকলেছুর রহমান ও লালচাঁদ। সকাল আটটা থেকে বেলা ২:৩০ মিনিট পর্যন্ত সেবা প্রত্যাশীদের টিকিট দেওয়ার সরকারি নিয়মের মধ্যে থাকলেও মোকলেছুর রহমান ও লালচাঁদ হোসেন বেলা ১২ টা বাজলেই টিকিট দেয়া বন্ধ করে দেন। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাউন্টারের মোকলেছুর রহমান ও লাল চাঁদ হোসেনর তৈরি করা নিয়ম। সরকারি সময় ও নিয়মিত অক্ষর করেন না তারা।

অপরদিকে মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মাসুদুর রহমান ও সরকার নির্ধারিত সকাল আটটা থেকে ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দেবার নিয়ম থাকলেও তিনি মনগড়া নিয়ম করেছেন সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১২ টা। কক্ষ ভর্তি রোগী টিকিট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও চিকিৎসা না দিয়ে সাড়ে ১২ টায় বেরিয়ে পড়েন । এটিও তার মনগড়া তৈরী সময়।

জরুরী বিভাগে সার্বক্ষণিক মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও মাঝেমধ্যে তাদের দেখা মেলে। সহকারী মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) দিয়ে চলে জরুরী বিভাগের সমস্ত চিকিৎসা। রোগী আসলে রোগীর স্বজনদের ডাক্তার খুঁজতে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। দায়িত্বেরত মেডিকেল অফিসারে মোবাইল করে ডেকে আনতে হয়। অবস্য অনেক সময় ডাক্তার খোঁজার এ দায়িত্বটা পালন করেন স্যাকমোরা।

অপর একটি সূত্র জানায়,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন কক্ষে রোগী দেখার সময় বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা যেয়ে রোগী ও চিকিৎসকদের চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। ফলে সেবা প্রত্যাশীরা সেবা না পেয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। চিকিৎসকরা বিক্রয় প্রতিনিধিদের চাপে রোগীদের রোগ নির্ণয়, ব্যবস্থাপত্র ও চিকিৎসা দিতে গিয়ে লোকলজ্জায় পড়েন।

একসময় দুপুর ২ টার পর থেকে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা ডাক্তার ভিজিট করার সময় নির্ধারিত করা থাকলেও বর্তমানে সে নিয়ম আর মানা হচ্ছে না। বর্তমান পঃপঃকর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) সুপ্রভা রানী যোগদান করার পর থেকেই ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা সব সময়ের জন্য দখলে নিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।

জানাগেছে, ১৫ জন মেডিকেল অফিসার ও দুই জন জুনিয়র কনসালটেন্ট দিয়ে চলছে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। এসকল চিকিৎসকরা সেবা দেয়ার মানসিতা নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করলে উন্নত সেবা পাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। কিন্তু চিকিৎসকরা দায়িত্বে অবহেলা করলে সেবা বঞ্চিত হবে সেবা প্রত্যাশীগণ।

এ বিষয়ে ডাক্তার মাসুদুর রহমান এর সাথে কথা বলতে সাড়ে ১২ টার সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে ১০৯ নম্বর কক্ষ তালাবন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার মোবাইল নাম্বারে ফোন করা হলে তিনি জানান, আমি ১০১ নাম্বার কক্ষে আছি। ১০১ নাম্বার কক্ষে গিয়েও দেখা মেলেনি ডাক্তার মাসুদুর রহমানের সাথে। উক্ত কক্ষের বাহিরে তালা দেয়া। পরে তিনি আর মোবাইল রিসিভ করেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তদিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন কর্মচাকরী জানান, মাসুদুর রহমান স্যার ওষুধ কোম্পানির লোকজনের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে যেখানে গর্ভবতী মায়েরা চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন সেই দরজার উপরের টয়লেটের পাইপ ভেঙ্গে মলমুত্র পড়ছে। মলমুত্রের দুর্গন্ধে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকাও মুশকিলের ব্যাপার। যেখানে মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনার বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়, সেখানেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আসা মুনতাসির জামান জানান, যে দরজা দিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে যাবো সেই দরজার সামনে মলমুত্র পড়ে মানুষ যাবার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমি সেবা না নিয়ে ফিরতে বাধ্য হয়েছি। দ্রুত টয়লেটের পাইপ মেরামত করা না হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আর মানুষের দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে না।

পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে সেবা নিতে আসা গাড়াডোব গ্রামের মমতাজ খাতুন জানান, আমি চেকাপ করতে এসেছি। দরজায় ঢুকতেই দেখি টয়লেটের পাইপ ভেংগে মলমুত্র পড়ছে। এদেখে আমার বমি শুরু হয়ে যায়। কেউ সেখানে সেবা নিতে যেতে পারছনা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে একটি দৃষ্টিনন্দন ফুলবাগান থাকলেও সেখানকার গাছগুলি অযত্ন অবহেলায় মরে যাচ্ছে। ফুলবাগানটি পরিচর্যার অভাবে আস্তে আস্তে প্রায় বিলুপ্তির পথে। দীর্ঘদিনের এই ফুলবাগানটি পরিচর্যা করে আগের রূপ ফিরিয়ে আনার দাবি স্থানীয়দের। সেই সাথে গাংনীর একমাত্র চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটির নিয়মশৃংখলা ফিরিয়ে আনার দাবী করেন গাংনীবাসী।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী একজন চিকিৎসক সকাল ৮ টায় অফিসে আসবেন এবং ২:৩০ মিনিট পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। এ নিয়ম কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের জন্যই সমান ও সরকার নির্ধারিত। এর ব্যতিক্রম হলেই সেটি অনিয়ম ও মনগড়া। বহির্বি বিভাগের টিকিট বিক্রিও করবেন সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। যদি না করা হয় সেটিও অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলা। এসব বিষয় স্বীকার করে তিনি বলেন, যারা সরকার নিয়মের ব্যতিক্রম করে হাসপাতালে আসা-যাওয়া করেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) সুপ্রভা রানীর সাথে কথা বলতে কয়েকবার অফিস কক্ষে যাওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি বাহিরে গেছেন বলে জানা যায়। তবে মোবাইল ফোনে সরকারি নাম্বারে ফোন করা হলে সরকারি মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।




মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি ৮৮ ব্যাচের পুনর্মিলনী

মুজিবনগরে শিক্ষকদের সংবর্ধনা, স্মৃতিচারণ ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে বৈদ্যনাথতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় বর্তমানে (মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়) এসএসসি ৮৮ ব্যাচ এর বন্ধুদের নিয়ে পুনর্মিলনী ও মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের পর্যটন মোটেলে জাঁকজমকপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।

বন্ধু পূর্ণমিলনী ও মিলনমেলার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। পরে শিক্ষকদের স্মৃতিচারণ ৮৮র বন্ধুদের স্মৃতিচারণ মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। দুপুরে শিক্ষকদের সাথে নিয়ে দুপুরের খাবার গ্রহণ।

শেষ পর্বে শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও উপহার প্রদান এবং প্রয়াত ৮৮ ব্যাচের বন্ধুদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া এবং উপস্থিত সকল বন্ধুদের মাঝে উপহার প্রদান এবং আগামীতে বন্ধু মিলন মেলা আরও সুন্দর ও প্রাণবন্ত করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে
শেষ হয় ৮৮ ব্যাচের পূর্ণমিলনী ও বন্ধু মিলন মেলা।




প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করা কৃষক লীগ নেতার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংগঠন

রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রবীণ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠলেও ওই কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংগঠনটি। সংগঠনটির জেলা সম্পাদক বলেছেন, প্রকৌশলীও ভুল করেছেন, কৃষক লীগ নেতাও ভুল করেছেন। প্রকৌশলী যদি জাতীর সামনে ক্ষমা চান, তাহলে কৃষকলীগ নেতাও ক্ষমা চাইবে।

লাঞ্ছিতকারী ওই ব্যক্তি হলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সভাপতি বানি আমিন। তিনি বেতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আফতাব আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ছিলো। যা থেকে তিনি অব্যহতি পেয়েছেন।

লাঞ্ছিত করার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি সবার সামনে আসে। গত শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

লাঞ্ছিত হওয়া ওই ব্যক্তি হলেন সর্বজন বিপ্লবী দলের আহ্বায়ক ম. ইনামুল হক। পেশায় তিনি নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থার সাবেক মহাপরিচলক ছিলেন। তিনি জানান, প্রতি শনিবার তিনি দলের পক্ষে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রচারপত্র বিতরণসহ বিভিন্ন পথসভার আয়োজন করেন। ওই দিন আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তিনি কোনো কর্মসূচি দেননি।

এ বিষয়ে বানি আমিন এর আগে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা গিয়েছিলেন। জাদুঘরের সামনে ওই ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছিলেন দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি এখন লজ্জিত।  তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

গাংনী উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান বলেন, দলীয় সভানেত্রী কটাক্ষ করে কথা বলায় বানি আমিন তা মেনে নিতে না পেরে থাপ্পড় দিয়েছেন। তবে এটা করা তার ঠিক হয়নি। তিনি কথা বলেই তার প্রতিবাদ করতে পারতেন। আমরা বানি আমিনকে বলেছি, এটা করা ঠিক হয়নি। তবে দলীয় কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিনে বিএনপির মত দল ঢাকাতে কোন কর্মসূচী রাখেনি। কিন্তু ওই প্রকৌশলী সম্মেলনের অদূরে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে উস্কানি দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় বানি আমিন বয়স্ক মানুষকে থাপ্পড় মেরে ভুল করেছেন, ঠিক তেমনি তিনিও ভুল করেছেন। তিনি যদি জাতীর সামনে ক্ষমা চান, তাহলে বানি আমিনও ক্ষমা চাইবে।




মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী, চালকের আসনে আফিজা

স্বপ্ন থেকে স্পর্শের আঙ্গিনায় এখন মেট্রোরেল। চাইলেই ধরা যাবে। আজ উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে সেই কল্পনা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ খুলে দেবেন কাঙ্ক্ষিত দুয়ার।

শুরুর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে প্রধানমন্ত্রী নিজেই হবেন প্রথম যাত্রী। এদিন প্রথম টিকিট কেটে মেট্রোরেলে চড়ে উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও আসবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই ট্রেনের চালক হিসেবে থাকবেন মরিয়ম আফিজা।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মেট্রোরেল চালানোর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক চালক নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে পাঁচ-ছয়জন নারী চালকও আছেন। এরই মধ্যে আমরা চালকদের প্রশিক্ষণ শেষ করেছি।

উদ্বোধন কেন্দ্র করে দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পুরো এলাকা ঢেকে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তা চাদরে।

জানা গেছে, ঢাকার যানজট নিরসনে মেট্রোরেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে লক্ষ্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) গঠন করা হয়। এই কোম্পানির মাধ্যমে প্রথম প্রকল্প হিসাবে নেওয়া হয় ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট লাইন-৬।

যা এমআরটি-৬ নামে পরিচিত। প্রকল্পটি উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। এই প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। আজ উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন।

এই অংশের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। ১০ মিনিট অন্তর চলবে এই ট্রেন। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত কোনো স্টেশনে না থেমে পৌঁছাতে সময় লাগবে ১০ মিনিট এবং স্টেশনগুলোতে থেমে থেমে পৌঁছাতে সময় লাগবে ১৭ মিনিট।

প্রাথমিক পর্যায়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। ট্রেনে নারীদের জন্য আলাদা কোচের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া প্রতিবন্ধীদের চলাচলের জন্য স্কেলেটর, লিফটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেউ অসুস্থ হলে সেখান প্রাথমিক চিকিৎসাও দেওয়া যাবে।

সূত্র: যুগান্তর




দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমানের ইন্তেকাল

দর্শনার বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ৪ বারের নির্বাচিত মেয়র মতিয়ার রহমান ইন্তেকাল (ইনালিল্লাহি ওয়া ইনা ইলাইহি রাজিউন) করেছেন।

আজ মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ভোর ৫ টার দিকে দিল্লী এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় ইন্তেকাল করেছেন।

গত একমাস আগে স্ত্রীর দেওয়া লিভার নিয়েও বাঁচতে পারলেন না দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান। মৃত্যুকালে তার বয়স (৫৮) ও ২ কন্যা সন্তানের জনক মেয়র মতিয়ার রহমান। এ দিকে তার মৃত্যুতে দর্শনা সহ গাটা চুয়াডাঙ্গা জেলা জুড়ে শােকের ছায়া নেমে এসেছে।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার ড্যামজ রােগে ভুগছিলেন। দীর্ঘ কয়ক বছর যাবত ভারত এবং বাংলাদশর বিভিন্ন হাসপাতাল চিকিৎসা নিয়েও তিনি কোন সুফল পায়নি।  তার লিভারের প্রায় পুরাটাই মৃতপ্রায় কোষ পরিণত হয়ছিল। স্ত্রীর লিভারের ৩০ পাসেন্ট নিয়ে তার লিভারের অংশ বিশেষ ফল প্রতিস্হাপন করা হয়েছিল। একমাস আগে দিল্লির এ্যাপােলাে হাসপাতালে। অপারশনের পর হতে তিনি আশংকাজনক ও অচেতন অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

দর্শনা পৌরসভার চলতি মেয়রের দায়িত্ব পালন সহ ৪ বারের নির্বাচিত মেয়র এবং তার পিতা মরহুম শামসুল ইসলাম তৎকালীন দর্শনা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাব দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গা জেলার ২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম, জেলা পরিষদর চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুরসহ অনেকেই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

সেইসাথে দর্শনা পৌরসভায় ৩ দিনের শোক বার্তা জানিয়েছে প্যানেল মেয়রসহ কর্মকর্তা – কর্মচারীরা। সেই সাথে দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান ও সাধারন সম্পাদক সাবির হোসেন মিকা ঘোষনা দেন এবং মাইকিং করে দোকান পাট বন্ধ রাখার আহব্বান জানান। শোকসমাপ্ত পরিবারর প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বিভিন্ন মহল।




মেহেরপুর বৈশাখী টেলিভিশনের ১৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

মেহেরপুরে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন বৈশাখী টেলিভিশনের ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বৈশাখী টেলিভিশনের মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।

অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মন্টু, সাংবাদিক রফিকুল আলম, রুহুল কুদ্দুস টিটো, মহাসিন আলী, আঙ্গুর, ফারুক মল্লিক, মাজেদুল হক মানিক, তৌহিদ উদ দৌলা,মাহবুব হোসেন প্রমুখ।

পরে শিশু পরিবারের নিবাসীদের নিয়ে অতিথিরা কেক কাটেন।




মেহেরপুরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কম্বল বিতরণ

মেহেরপুরে তিনশত শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে মেহেরপুর জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে এই কম্বল বিতরণ করা হয়।

মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম উপস্থিত থেকে কম্বল বিতরণ করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট একরামুল হিরা, যুব প্রধান খন্দকার শামসুজ্জোহা সোহাগ, জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, আব্দুর রব প্রমুখ।