কোটচাঁদপুর মনিরুলের কাঠের তৈরী শিল্পকর্ম

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই মনের ভিতরের ছবি গুলো কাঠের মাধ্যমে গড়ে চলেছেন কাজী মনিরুল ইসলাম। তিনি আপন মনে এ শিল্পকর্মটি করছেন কোটচাঁদপুরের খন্দকারপাড়ার নিজ বাড়িতেই।গড়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম। এর মধ্যে কয়েকটি শেষ হলেও চলমান রয়েছে বেশ কয়েকটি। মুক্তিযোদ্ধার উপর গড়া কাঠের শিল্পকর্মটি সুযোগ হলে মুক্তিযোদ্ধা যাদু ঘরে দেবার ইচ্ছা আছে জানিয়েছেন ওইশিল্পী।

জানা যায়, গরুর ফার্ম,তেলের ব্যবসা সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কাজী মনিরুল ইসলাম। করোনা মহামারিতে ব্যবসা ভাল হচ্ছিল না। প্রায় লোকসান হচ্ছিল। এ কারনে অবসরে যাবার পরের কাজটি শুরু করেছেন তিনি। কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও, মনের ভিতরের ছবিগুলো কাঠের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে শুরু করেছেন তিনি। আর এ কাজটি করছেন নিজ বাড়িতেই কাঠ দিয়ে গড়া ছোট একটি ঘরে।

ইতোমধ্যে তিনি কয়েকটি শিল্পকর্ম শেষ করেছেন। যা মানুষের মনে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে,মাঠ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন গাছি,ঈগল পাখি,বগ পাখি। চলমান রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি শিল্প কর্ম। যার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে একটি বড় শিল্পকর্ম।

তিনি বলেন, সব কিছু একটা ছক ছিল আমার। জীবনের একটা সময় আমি অবসরে যাব। ওই সময় এ কাজগুলো করব। তবে করোনার কারনে একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। অবসরের আগেই জীবনে অবসর চলে এসেছে।

তিনি বলেন,আমি শারিরীক ভাবে একটু অসুস্থ্য। এ কারনে করোনার ভিতর বাইরে যায় না। এ ছাড়া শিল্প কর্ম আমার ভিতরে ছোট বেলা থেকে ছিল। সেটাই করার চেষ্টা করছি। কাজ করে যাচ্ছি,যদি ভাল কিছু করতে পারি। তাহলে তো একটা ভাল কিছু আশা করতেই পারি।

এ শিল্প কর্মগুলোর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার উপর গড়া শিল্পকর্মটি সুযোগ হলে ঢাকা মুক্তিযোদ্ধা যাদু ঘরে দেবার ইচ্ছা রয়েছে আমার।

ঝিনু জানান,অনেক আগে থেকে ফলের বাগানের প্রতি আমার আগ্রহ বেশি। এ কারনে আম আর লিচুর বাগান আছে ৩০ বিঘা। যা থেকে চলে আমার জীবিকা। শিল্পকর্ম নিয়ে তিনি বলেন,এ কাজগুলো করতে কিছু কাঠ বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছে। আর কিছু কাঠ আমার বাগান থেকে কাটা হয়েছে। একটা শিল্প কর্ম শেষ করতে প্রায় ৫/৭ হাজার টাকার ব্যয় হয়েছে।




গেজেট আর স্বাধীনতা সড়কেই সীমাবদ্ধ মুজিবনগর স্থলবন্দর

১৯৯৬ থেকে ২০২২। মধ্যে চলে গেছে ২৭ বছর। এই ২৭ বছর বিভিন্ন বিভাগের চিঠি চালাচালি আর দুবার গেজেট প্রকাশেই মেহেরপুরের স্থলবন্দর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রয়েছে। ১৯৯৬ সালে মেহেরপুরের বুড়িপোতা এবং ২০২২ এ মুজিবনগর স্থলবন্দর হিসেবে গেজেট প্রকাশিত হয়।

মুজিবনগর স্থলবন্দরের গেজেট প্রকাশ হলেও অবকাঠামো নির্মাণ, জমি অধিগ্রহণ কোনটিই বাস্তবে রুপ পায়নি। ওপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয় জেলার চাপড়া থানাধীন হৃদয়পুরেও স্থলবন্ধর বাস্তবায়নে তেমন কোন অগ্রগতি নেই বলে জানা গেছে।

মেহেরপুরের মুজিবনগরের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সড়কে মুজিবনগর স্থলবন্দর নির্মাণের গেজেট প্রকাশ করেছে এনবিআর। তার সময়ও ১০ মাস পেরিয়ে যাচ্ছে। এর আগে মুজিবনগর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন মোড় থেকে ভারতের শুণ্য রেখা পর্যন্ত ৫০৪ মিটার সড়ক নির্মান সম্পন্ন হয়েছে। যে সড়কের নামকরণ করা হয়েছে ‘স্বাধীনতা সড়ক’। এছাড়া স্থলবন্দর বাস্তবায়নের যে অবকাঠামো, জমি অধিগ্রহণ তার কোনটিই এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

স্বাধীনতা সূতিকাগার ঐতিহাসিক মুজিবনগরে বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শনে আসেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, রাজনৈতিক শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এসেছেন ভারতীয় হাইকমিশনের রাজশাহী অঞ্চলের দূতাবাস প্রধানও। প্রতিবারই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও উর্ধতন কর্মকর্তারা স্থলবন্দর বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে যান।

সম্প্রতি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন, অচিরেই স্থল বন্দরের সকল কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন। এনিয়ে নতুন করে স্থলবন্দর আলোচনায় আসে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৯ মার্চ মেহেরপুর স্থলবন্দর বাস্তবায়ন আন্দোলন ফোরামের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সদস্য এম এ এস ইমনের নেতৃত্বে মেহেরপুর শহরে চার কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন করা হয়।

পরে ১২ এপ্রিল ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। এছাড়াও স্থলবন্দর বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন কর্মসূচী করতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের এপ্রিলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে মেহেরপুরের বুড়িপোতায় স্থলবন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তা প্রজ্ঞাপন আকারে ২৮ জুলাই গেজেট প্রকাশ করা হয়।

এরপর ২০০১ সালে তৎকালীন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মেহেরপুরের বুড়িপোতায় স্থলবন্দর স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ওই বছরের ১০ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি পত্র পাঠান। এরপর এনবিআর ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একাধিক চিঠি চালাচালি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগর কমপ্লেক্সে এসে স্থলবন্দর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। পরের বছর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মফিদুল ইসলাম মুজিবনগর ও বুড়িপোতা সীমান্ত এলাকা ঘুরে যান। তিনি এলাকা পরিদর্শন ও স্থলবন্দর স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন করে স্থলবন্দর স্থাপনের পক্ষে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। প্রতিবেদনটি প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির (নিকার) বৈঠকে অনুমোদন পায়।

২০২১ সালের মার্চে স্থলবন্দর হিসেবে যাতায়াতের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সীমান্তের ৫০০ মিটার সড়ক নির্মাণ করে এলজিইডি। যার নামকরণ করা স্বাধীনতা সড়ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ২৭ মার্চ স্বাধীনতা সড়কটি ঢাকা থেকে জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে উদ্ধোধন করেন। এর পর ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতাীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে মুজিবনগর স্থলবন্দর নামে গেজেট প্রকাশ করে। এর পরে আর কোন অগ্রগতী দেখা যায়নি। ভ’মি অধিগ্রহণের জন্য কয়েকটি জমি পরিদর্শন করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট ভবনের সম্ভাব্য জমি পরিদর্শন করা হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবে রুপ দেয়নি।

স্থাণীয় কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, দুবছর ধরে শুনছি চেকপোস্ট হবে। কিন্তু হচ্ছে না। চেকপোস্টটা হলে ভারতের হৃদয়পুরে আত্মীয়স্বজন আছে তাদেরকে দেখতে যেতে পারতাম। অসুখ বিসুখ হলে দ্রুত কলকাতায় যেতে পারতাম।
মুজিবনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুন্সি ওমর ফারুক বলেন, মুজিবনগর স্থল বন্দরকে ঘিরে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে চলেছে। তাই দ্রুত এর বাস্তবায়ন দাবি করছি।

মেহেরপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল বলেন, স্থলবন্দরকে ঘিরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছে মেহেরপুরবাসী। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দুই দেশের মানুষের মেলবন্ধনও তৈরি হবে। কিন্তু প্রায় একবছর আগে গেজেট প্রকাশ হলেও দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন এখনো দেখা যাচ্ছে না। সরকারের কাছে দাবী দ্রুত স্থলবন্দর বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মেহেরপুর স্থলবন্দর বাস্তবায়ন আন্দোলন ফোরামের মুখপাত্র ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সদস্য এম এ এস ইমন বলেন, স্থলবন্দরের অগ্রগতী গেজেট প্রকাশেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। স্থলবন্দর মেহেরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা। আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্থলবন্দর বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করে আসছি। মেহেরপুরের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ আমাদের সেই আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষনা করেছেন। কিন্তু মেহেরপুরের কিছু শীর্ষ নেতা স্থলবন্দর নিয়ে আগ্রহ না দেখানোর কারণে এটা সেই সময়ে হয়েছিলো না। পরবর্তিতে ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিবনগরে এসে স্থলবন্দর বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। এর পরে চলতি বছরে স্থলবন্দর নিয়ে গেজেট প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু অগ্রগতি নেই। এটার জন্য আমাদের আবারও আন্দোলনে নামতে হবে।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেন, গেজেট প্রকাশের পর অফিসিয়ালি কোন অগ্রগতি হচ্ছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। তবে যতটুকু জানি মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয়ভাবে কাজ চলছে। প্রশাসনিক ভাবে আমাদের কাছে কোন তথ্য আসলে জানতে পারবো।

তবে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মুজিবনগর বৈদ্যনাথতলা স্থলবন্দর : এ স্থলবন্দরের রুট হলো স্বাধীনতা সড়ক (মেহেরপুর-মুজিবনগর-চাপড়া-কৃষ্ণনগর সড়ক) সড়কপথ। এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করা যাবে, সেগুলো হলো- মাছ, সুতা, গুঁড়া দুধ, চিনি ও আলু (HS Code ০৭০১.৯০.১৯ ও ০৭০১.৯০.২৯) ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রজ্ঞাপন এস.আর.ও নং ১৪/ডি/কাস/৭২, তারিখ : ২৯-০৪-৭২ এর টেবিলের পার্ট-ঠও এর অধীনে সুনির্দিষ্টকৃত ওজনের মালামাল এবং প্যাসেঞ্জার ব্যাগেজ (Passengers baggages)।




গাংনীতে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ দু’জন গ্রেপ্তার

মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার রাতে গাংনী থানা পুলিশের পৃথক দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- গাংনীর বালিয়াঘাট গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে রাসেল (৩২) এবং সহড়াবাড়িয়া গ্রামের ছের আলীর ছেলে হুমায়ন কবীর(৩৩)।

বৃহষ্পতিবার সকালে দুজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ধৃত রাসেল ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। জামিনে এসে রাসেল পলাতক ছিল। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপর দিকে, হুমায়ন কবীরের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারী করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।




মেহেরপুরে সমবায় বিভাগের প্রশিক্ষণ

মেহেরপুর জেলাধীন সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে ই-গভর্নেন্স ও উদ্ভাবক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুর জেলা সমবায় অফিসারের কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

ই-গভর্নেন্স ও উদ্ভাবক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, জুম মিটিং এর মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় যুগ্ম নিয়ন্ত্রক মোঃ মিজানুর রহমান, মেহেরপুর জেলা সমবায় কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র বালা, উপসহকারী নিয়ন্ত্রক এনামুল হক, মেহেরপুর সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, মেহেরপুর জেলা সমবায় কার্যালয়ের মোঃ নুরুজ্জামান, সহকারি প্রশিক্ষক রোকনুজ্জামান তুষার সহ মেহেরপুর সমবায় কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গার গোলাপনগর মোড়ে দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযোন চালিয়েছে । অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলসহ ২ জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। সেই সাথে পুলিশ জব্দ করেছে ফেনসিডিল বহনকারী পিকাপ ভ্যানটি।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এইচ এম লুৎফুল কবিরের নেতৃত্বে তিতুদহ ক্যাম্প পুলশের ইনচার্জ এসআই আনোয়ারুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তীত্বে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদক বিরোধী অভিযান চালান দর্শনা থানাধীন তিতুদহ ইউনিয়নের গোলাপনগর মোড়ে।

এসময় পুলিশ পেয়ারা ভর্তী একটি পিকাভ্যানের (ঢাকা মেট্র-ন-১৯-৮১৬৩) গতিরোধ করেন। পিকাভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে মুখবাঁধা তিনটি চটের বস্তা উর্দ্ধার করেন। বস্তার মুখ খুখে ২১৬ বোতল ফেনসিডিল উর্দ্ধার করে পুলিশ। সেই সাথে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে দামুড়হুদা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের জয়নাল মন্ডলের ছেলে হোসেন মন্ডল (৩১) ও মাদারিপুর জেলার চাপাতলি গ্রামের সাহেদ আলী শিকদারের ছেলে রাসেল শিকদারকে (৩২) গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ সময় পেয়ারাভর্তি মিনি ট্রাকে থাকা ছয়ঘরিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন কৌশলে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় হোসেন মন্ডল, রাসেল শিকদার আনোয়ারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দর্শনা থানা পুলিশ। ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায়

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ এইচ এম লুৎফুল কবির বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের পূর্বক আজ বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।




সাকিব-মমিনুলে ভরসা করেই লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশ

ভারতের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর পরও পরপর দুই ওপেনার হারিয়ে বিপদে পড়লেও সেখান থেকে বাংলাদেশকে পথ হারাতে দেননি সাকিব আল হাসান আর মমিনুল হক।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা বেশ ভালো করেছিলো দুই টাইগার ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকির হাসান।

ভালো শুরুর পরও বেশিদূর দলকে টানতে পারেননি এই দুজন। দলীয় ৩৯ রানেই ফিরে যান জাকির। ব্যক্তিগত ১৫ রানে উনাদকাটের বলে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন জাকির।

পরের ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ওপেনার শান্তও। ২৪ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয় এই ওপেনারকে। ৩৯ রানেই দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন টাইগারদের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল আর বর্তমান অধিনায়ক সাকিব মিলে।

দুজন মিলে দেখশুনে শুরু করে দল্কে এগিয়ে নিউয়ে যাচ্ছেন ধীরে ধীরে। দুজনের ৪৩ রানের জুটিতে লাঞ্চের আগে ২ উইকেটে ৮২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। সাকিব অপরাজিত আছেন ১৬ রানে আর মমিনুল ২৩ রানে।

সূত্র: ইত্তেফাক




বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন পদত্যাগ করবেন আজ

সংসদ সদস্য পদ থেকে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) পদত্যাগ করবেন বিএনপি থেকে নির্বাচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

বিষয়টি বিএনপির প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার নিশ্চিত করেছেন।

চলতি একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য ছিলেন। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় জনসভা থেকে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির ৬ সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেন। এরইমধ্যে সংরক্ষিত নারী আসন ছাড়া অন্য ৫টিতে উপনির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই সময় হারুনুর রশীদ বিদেশে থাকার কারণে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় উপজেলা প্রশাসনের শীতবস্ত্র বিতরন

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত,দর্শনা প্রবিণ কমিটির আয়োজনে দর্শনার অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে ১ নং ওয়ার্ড থেকে ৯ নং ওয়ার্ডের মাঝে কম্বল বিতরন করেছেন।

গতকাল বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১১ টার সময় দর্শনা পুরাতন বাজার প্রবিণ অফিসের সামনে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহি অফিসার সানজিদা বেগমের সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু, এ সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যপক মোশারফ হোসেন, আকমত আলী, ফজলুর রহমান প্রমুখ।

এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আলী মুনছুর বাবু বলেন, উপজেলা পরিষদ সব সময় দুস্থ, গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। দর্শনা শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করায়,দর্শনা প্রবিণ কমিটির সভাপতি ও দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যপক মোশারফ হোসেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন সাংবাদিক হানিফ মন্ডল।




দর্শনার ফুলবাড়িয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা নজিরের ইন্তেকাল

দামুড়হুদার দর্শনা থানার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের স্কুলপাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে বীরমুক্তিযোদ্ধা নজির আহম্মদ (৭৫) (স্টোক) করে ইন্তেকাল করছেন। গত মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না— রাজিউন)।

তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন রোগেও ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দামুড়হুদা উপজেলা আ লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী মুনছুর বাবু, দামুড়হুদা উপজেলা আ লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম পৃথক পৃথক শোক প্রকাশ করেছেন।

গতকাল বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার সময় দামুড়হুদার ফুলবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠে তাকে গার্ড অফ অনার দেন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহি অফিসার সানজিদা বেগম ও সাবেক চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এএইএম লুতফুল কবীর এবং চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের একদল চৌকস পুলিশ সদস্যরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান, এসময় উপস্থিত তার সহযোদ্ধারা তাকে শেষ শ্রদ্ধাজানান, মশিউর রহমান, ইকলাস, ফজলুর রহমান, মাহাতাব উদ্দীন, এরশাদ আলী, মতিয়ার রহমান, জামান উদ্দীন ও সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কুড়ালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন, সাবেক চেয়ারম্যান শাহ ইনামুল করিম ইনু, আজ বেলা সাড়ে ১১টার সময় গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে নামাজের জানাজা শেষে দাফন করে।




গাংনীতে ৯০ জনের মাঝে ৯ লাখ টাকার চেক বিতরণ

গাংনীতে তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়মুখী কাজে সহায়তার জন্য ৯০ জন হতদরিদ্রদের মাঝে চেক প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল টার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সস্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের উদ্যোগে এই চেক বিতরণ করা হয়।

জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম হুসাইন, রাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর যশোর অঞ্চলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর গাংনী সমন্বয়ক হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান, রাইপুর ইউনিয়নের মেম্বর শামীম আহমেদসহ দি হাঙ্গার প্রজেক্টের বিভিন্ন ইউনিয়নের সমন্বয়ক ও সাংবাদিকবৃন্দ।