নতুন একটি সময়, নতুন একটি দিগন্ত তৈরী হতে চলেছে দৈনকি আমাদের সৃর্যোদয় পত্রিকার মাধ্যমে। যে প্রত্যয়, যে প্রেরণা, যে উদ্যোগ নিয়ে দৈনিক আমাদের সুর্যোদয় পত্রিকাটি প্রকাশ হতে যাচ্ছে তা পাঠকের কাছে অত্যান্ত জনপ্রিয়তা পাবে বলে আমি আশা রাখি, ভরসা রাখি। কারন এ পত্রিকার সাথে যারা জড়িত রয়েছেন তারা সমাজের পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে। তারা পজেটিভ মানষিকতার চিন্তা করে। পত্রিকাটি হবে মানুষের কাছে একটি আস্থার পত্রিকা। মেহেরপুর জেলায় মানসম্মত একটি ভাল পত্রিকার অনেক অভাব রয়েছে। দৈনিক সুর্যোদয় পত্রিকাটি সেই অভাব পুরন করবে।
যে সংবাদ পড়ে সমাজ এগিয়ে যাবে দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা যেমন সমস্যা লিখবো,তেমনী সমাধানও লিখবো। মানুষের আকাংখার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে হলুদ সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত পত্রিকাটি মানুষের স্বপ্ন পুরুনে কাজ করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি পত্রিকার প্রতি আশির্বাদ থাকবে,যদি তার ব্যতয় ঘটে তবে আমাদেরও দৃষ্টির ব্যত্যয় ঘটবে।
জেলার সকল অসংগতি তুলে ধরে মেহেরপুরকে আরো এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে বলে মন্তব্য করেছেন গপপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মেহেরপুর -১ আসনের এমপি ফরহাদ হোসেন দোদুল। দৈনিক আমাদের সুর্যোদয় পত্রিকার লোগো উন্মোচন ও প্রকাশনার উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল রবিবার বিকেলে গাংনীর সুর্যোদয় স্কুল মাঠে আয়োজিত প্রত্রিকার লোগে উন্মোচন ও ড্যামি কপি প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি সংবাদ পরিবেশন করতে হলে অনেক যাচাই বাছাই করে করা উচিৎ। কারন একটি সংবাদ ছাপা হয়ে গেলে তা আর ফিরিয়ে নেয়া যায়না। আপনার লেখা একটি সংবাদ আগামী দিনের জন্য একটি দৃষ্টান্ত দলিল। তাই যা ইচ্ছে তা লিখে কাগজের পাতা ভর্তি করবেননা। ভাল সংবাদ লিখবেন যা পড়ে মানুষ উপকৃত হয়। এই পত্রিকা নতুন প্রজন্মকে আলো দেখাবে,অনেক সমস্যার সমাধান করবে এমন সংবাদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে দৈনকি আমাদের সুর্যোদয়কে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে মেহেরপুরকে এগিয়ে নিচ্ছে বর্তমান সরর্কা। ্এর আগে অনেক সরকার ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু মেহেরপুরের দিকে নজর দেয়নি। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেহেরপুরকে যুগের সাথে তাল মেলাতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। ইতো মধ্যে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া সড়কটি ফোরলেন সড়কের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্য হয়েছে। ২ ডিসেম্বর রাস্তাটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। মেহেরপুর থেকে ৫৮ কিলোমিটার রাস্তাটি নির্মাণ কাজ করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা। এই ৫৮ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তাকে ফোরলেন করা হবে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। মুজিবনগরে স্থলবন্দর হচ্ছে এই সরকারের আমলে। যে স্থল বন্দর দিয়ে মানুষ দেশ বিদেশে যেতে পারবে। অনেক মানুষ ব্যবসা বানিজ্য করে সাবলম্বী হবে। ৪১০ কোটি টাকা ব্যায়ে মুজিবনগর স্মৃতিকমপ্লেক্সকে আবারও নতুন ভাবে সাজানো হচ্ছে।
সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব আলকামা সিদ্দিকী গাংনী পৌরসভার মেয়র আহামেদ আলী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। গাংনী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা(সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক,গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক,কুষ্টিয়া এলজিইডি’র প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
এসময় পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আবুল কাশেম অনুরাগীসহ প্রত্রিকার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।