দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর রেল স্টেশনের অদুরে রেললাইনের মাত্র ১০ থেকে ১২ ফুট পাশ থেকে মাটি উত্তলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রির অভিযোগ উঠছে। প্রায় হাফ কিঃমিঃ জাইগা জুড়ে লম্বালম্বি করে ১০ থেকে ১২ ফুট গভীর খননের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে রেললাইন।
সরজমিনে জানাগেছে, উপজেলার জয়রামপুর রেলস্টেশনের অদূরে মসজিদ সংলগ্ন জয়রামপুর টু দর্শনা রেল লাইনের মাত্র ১০ থেকে ১২ ফুট পাশ থেকেই জয়রামপুর স্টেশন পাড়ার আব্দুল মতিন মাওঃ এর ছেলে সাখাওয়াত অবৈধ মাটি উত্তোলনকারী ভেকু মেশিন দিয়ে রেল লাইনের পাশ থেকে গভীর খনন করে প্রায় কোয়ার্টার কিঃমিঃ মাটি উত্তোলন করেছে এবং তা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।
এবিষয়ে অভিযোগ তোলে স্থানীয় এলাকাবাসী। বেশ অনেক খানিক জায়গা জুড়ে প্রায় ১০থেকে ১২ ফুট গভীর করে মাটি উত্তলন করে তা স্থানীয় বিভিন্ন ইট ভাটা সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। ১০ থেকে ১২ ফুট গভীর করে এ মাটি উত্তোলন করার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে রেললাইন।
এবিষয়ে সাখাওয়াত এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার বাড়ি গেলে তাকে পাওয়া যাইনি এবং তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাই। জয়রামপুর গ্রামের স্থানীয় একজন সচেতন ব্যক্তি সৈয়দ বিন মোশারফ বলেন, যতদূর জেনেছি যে স্থান থেকে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে সেই স্থান মালিকানাধীন। কিন্তু তারপরও সরকারি স্থাপনার পাশ থেকে এত গভীর করে মাটি উত্তোলন করার ফলে বর্ষার মৌসুমে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধসে যেতে পারে। সরকারি ভূমি আইনে আছে জমির কোন প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না, এবং নিজের জমিতেও যদি মাটি খনন বা গর্ত অথবা পুকুর খনন করা হয় সে ব্যাপারেও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অনুমতি নিতে হবে। তারা অনুমতি নিয়ে এই মাটি উত্তোলন করছে কিনা তা আমার জানা নেই, তবে সরকারিভাবে কখনো রেল লাইনের পাশ থেকে মাটি উত্তোলন করে ইটভাটায় বিক্রির জন্য অনুমতি দেবেন বলে আমার মনে হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জয়রামপুর স্টেশন পাড়ার জৈনক ব্যক্তি বলেন, জমি মালিকানাধীন এটা সত্যি, কিন্তু তাই বলে রেললাইনের পাশ থেকে মাটি তুলে তা ইট ভাটায় বিক্রি করবে এটা মোটেই ঠিক না। এটা কোন দেশ প্রেমের মধ্যে পড়ে না,রেল লাইন দেশের জাতীয় সম্পদ, ইচ্ছা করে রেললাইন ধ্বংসের পরিকল্পিত পায়তারা বলে আমি মনে করি। রেললাইনের পাশ থেকে মাটি তুলে বিক্রি করতে হবে এটা কোন ধরনের কথা। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি।
উপজেলার হাউলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, শুনেছি রেললাইনের পাশ থেকে মাটি উত্তোলন করছে কিন্তু এটা তো আমাদের দপ্তরের বিষয় নয়। এটা রেলওয়ের বিষয়। শুনেছি জিআরপি পুলিশ এসেছিল তারপরে কি হয়েছে আমি জানিনা, আমাকে কেউ কিছু জানায়নি।
হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, রেললাইনের পাশ থেকে কারা মাটি খনন করে বিক্রয় করছে সে বিষয়ে আমি কিছু জানিনা এবং আমাকে এবিষয়ে কেউ কিছু জানাইনি।
এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি, সরজমিনে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।