গাংনীতে লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ভবনের উদ্বোধন

মেহেরপুরের গাংনীর লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ভবনের উদ্ভোধন করা হয়েছে।

রোববার(১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে প্রধান অতিথী হিসেবে ভবনের উদ্বোধন করেন সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু,গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান ও বিদ্যালয়ের সভাপতি ডাঃ শহিদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে খেলার সামগ্রী প্রদান করেন ও বাউন্ডারি ওয়াল,শহীদ মিনার ও কম্পিউটার ল্যাব প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু, রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুজ্জামান মঙ্গল ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মকলেচ, শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।




হরিণাকুণ্ডুতে সুদখোরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

মাসিক সুদ ৫০০০ হাজার টাকায় ৩০০ টাকা ! এই হারেই সুদ আদায় করছেন অবৈধ সুদ কারবারি। সুদের টাকা গ্রহীতা দিতে ব্যর্থ হলেই শুরু হয় নানা অত্যাচার কোথাও কুপ্রস্তাব,কোথাও মামলা-মোকোদ্দামা। এমনই এক চিত্র দেখা গেছে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের মণ্ডলতোলা গ্রামে। গ্রামটির আনাচে কানাচে সুদে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে মৃত্যু ওয়াজ মণ্ডলের ছেলে মোঃ শফি উদ্দীন। সুদখোরের উৎপাতে বাড়ির গরু,ছাগল বিক্রি করে নিঃস্ব হয়েছেন জামেলা খাতুন নামের এক দিন মুজুরী গৃহিণী । এখানেই শেষ নয় সুদখোর মোঃ শফি উদ্দীনের অত্যাচার স্বজ্জ করতে না পেরে হঠাৎ আকর্ষিকভাবে মৃত্যু হয় জামেলা খাতুনের স্বামী একমাত্র উপার্জনকারী ব্যাক্তি মোঃ রশিদ।

জানাগেছে সুদখোর শফিউদ্দীন দ্বীর্ঘ্য দিন ধরে এই সুদের ব্যাবসা করে আসছেন। ইতোপূর্বে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশিত হলেও থামেনি সুদখোর শফিউদ্দীনের সুদের ব্যবসা। নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা জনপ্রতিনিরাও।

গ্রামের আপামর জনসাধারণ বলছে, তোলা, মণ্ডলতোলা, মাঠআন্দুলিয়া সহ বিভিন্ন এলাকাতে তিনি এই সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোনও ধরা বাঁধার নিয়ম নেই। এইতো সেদিন আমাদের গ্রামের রশিদ নামের এক ছেলে মারা গেলো। শুনছি রশিদের বউয়ের নাকি ৫ হাজার টাকা দাদন দিয়ে সেখান থেকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েও শোধ হয়নি। তাকে আবার ৪ থেকে ৫ লাক্ষ টাকার কেচ করেছে মাদারীপুর জেলায়। যেহেতু এই শফি উদ্দীনের শ্বশুর বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। এই সুদখোর প্রায় মানুষেরই কাছ থেকে স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়ে সুদের টাকা পরিশোধ হলে সেই স্টাম্প দিয়ে অনেক টাকা লিখে কেচ দেয় বলেও জানান গ্রামবাসী। এই সুদের কারবারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হরিণাকুণ্ডু প্রশাসনের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনাও করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

কথিত আছে উপজেলার ইসলাম, পিতা মসলেম সর্দ্দার, নিজাম উদ্দীন পিতা জহির সর্দ্দার, রেজাউল ইসলাম পিতা জহির সর্দ্দার, সুমি খাতুন স্বামী নিজাম সর্দ্দার, তাসলিমা খাতুন স্বামী রেজাউল সর্দ্দার উভয় সাং মণ্ডলতোলা গ্রামে। এদেরকেও একইভাবে ১০(দশ) ১২(বার) লক্ষ টাকার কেচ দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় মৃত্যু রশিদের স্ত্রী জামেলা খাতুন “সাংবাদিকদের” জানান, আমার পারিবারিক প্রয়োজনে ২০১৯ সালে ৫ হাজার টাকা শফি উদ্দীনের কাছ থেকে নিই। যাহা মাসে আমাকে ৩০০/- শত টাকা দিতে হয়। এরপর ২ বছরের জন্য সরকারী চাউলের কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে আমার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নেন। ঠিক ঐ সময়ে আমার কাছ থেকে রেজিষ্ট্রি স্টাম্পে স্বাক্ষর করতে বলে। আমি জানতে চাইলে সুদখোর শফি বলে কোনও সমস্যা নেই, চাউলের কার্ডের জন্য এটা লাগবে। ছয় মাস পরেই আমি তার দেওয়া ৫ হাজার টাকার, ৯ হাজার টাকার সুদ সহ দিতে গেলে তিনি ৬০ হাজার টাকার চেয়ে দ্বাবী করে বসে।

এঘটনায় আমার স্বামী ও দেবর ভাসুরদের জানালে তারা সুদখোরের সাথে আলাপ আলোচনা করে আমাকে ৪২ হাজার টাকা দিতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন। আমি গরু ছাগল বিক্রয় করে সেই টাকা পরিশোধ করি। পরবর্তীতে স্টাম্প আনতে তার বাডিতে গেলে সে আমাকে কুপ্রস্তাব। আমি ঐ সুদখোর শফির কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে সে আমাকে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে, এবং বলে তোর স্বাক্ষর করা স্টাম্পে ৪ (চার লক্ষ) টাকা বসানো আছে। আমাকে হুমকী দেয় জান মামুদের ছেলে জহির বিশ্বাসের মতো তোকেও মাদারীপুর কোর্টে মামলা করবো। আমি এই সুদখোরের সুষ্ঠ্যু বিচার চাই বলেও জানান সদ্য স্বামী হারা এই গৃহিণী জামেলা খাতুন।

উপজেলার মণ্ডলতোলা গ্রামের শফি উদ্দীনের স্ত্রী লেলিনা খাতুন জানান, সে আগে সুদের ব্যবসা করতো কিন্তু এখন আর এসব করে না। সুদের ব্যাবসা ও কুপ্রস্তাব বিষয়ে সুদখোরে শফি উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে এড়িয়ে যাওয়ার ভান করে বলেন এসব মিথ্যা কথা।

এদিকে উপজেলার ৭ নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বসির উদ্দীন মণ্ডলতোলা গ্রামের রশিদের মৃত্যুর ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, লোকটা খুব ভালো মানুষ ছিলো। সুদখোর শফি উদ্দীন নাকি জামেলা খাতুনের সাথে সুদের কারবার করেছিলো। এমনই এক ঘটনায় ইতিপূর্বে নানা ধরনের মামলা মোকোদ্দামা হয় সেটা জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধে মামলাটা তুলে নেয়। এখন আবার সেমনই এক ঘটনা জামেলা খাতুনের সাথে শুনা যাচ্ছে। এমনকি এই ঘটনায় হরিণাকুণ্ডু থানাতে একটি অভিযোগও হয়েছে।

হরিণাকুণ্ড থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, এব্যাপারে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ এসেছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। জামেলা খাতুন ও শফি উদ্দীনের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্কের মতো সম্পর্ক ছিলো। তবে এদের মধ্যে মামলার সুত্র ধরে রেশারেশীর ঘটনা মনে হয়েছে।

তিনি আরও জানান,২১ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে চরঠ্যাংগা থানার মাদারীপুর কোর্টে ৪০৬,৪২০ ধারায় একটি প্রতারণার মামলা করে ঐ থানার করম আলীর ছেলে ঈদ্রিস তালুকদার। পরবর্তীতে ১৯ জুলাই ২০২২ ইং তারিখে হরিণাকুণ্ডু থানার ইসলাম উদ্দীন, পিতা মফিজ উদ্দীন ৭/১৭ ধারায় একটি মামলা করেন ঈদ্রীস, শফি উদ্দীন ও মাহাবুবের নামে এবং ধারনা করা যাচ্ছে যে,ওদের মধ্যে বিদেশ যাওয়ার একটি পরিকল্পনা হয়। পরে এদের মধ্যে মতোনৈক্যের ঘটনা ঘটে এবং হুমকী ধামকীর সুত্রপাত ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।




তিন নায়িকার প্রেমে জোভান!

শাওন রাইড শেয়ারিং অ্যাপে বাইক চালায়। উদ্দেশ্য যে টাকা আয় করা তাও নয়। শাওন মূলত রাইড শেয়ারিংয়ের আড়ালে খোঁজে একজন মনের মানুষ। প্রথমে প্রেমে পড়েন শম্পার। এরপর যথাক্রমে রিভি এবং টুই-এর।

তিনটি প্রেমই ঠুনকো কারণে দ্রুত সময়ে ভেঙে যায় শাওনের। এমনই এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোভান। আর তার তিন প্রেমিকার চরিত্রে আছেন সারিকা সাবাহ, কেয়া পায়েল ও তানিয়া বৃষ্টি।

এই চারজনকে নিয়ে প্রেম ও রাইড শেয়ারিংয়ের মজার গল্পে নাটক নির্মাণ করলেন মেহেদী রনি। ‘অপশন বি’ নামের এই নাটকটি রচনা করেছেন রাজিবুল ইসলাম রাজিব।

নির্মাতা মেহেদী রনি জানান, ‘নাটকটিতে অনেকগুলো বিষয়ের সমন্বয় করার চেষ্টা করেছি। রাইড শেয়ারিং, হঠাৎ প্রেম-বিচ্ছেদ এবং সংসার জীবন। সবগুলো বিষয় মিলিয়েই গল্পটি এগিয়েছে। খুব মজা করে আমরা কাজটি করেছি। আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগবে।’

নাটকটির প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, শিগগিরই তারকাবহুল ‘অপশন বি’ মুক্তি পাচ্ছে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।




বিশ্বকাপে মেসির জন্য কোন আবেগের জায়গা নেই : ডেম্বেলে

বিশ্বকাপের ফাইনালে লিওনেল মেসির জন্য কোন আবেগের জায়গা নেই বলে স্বীকার করেছেন ফরাসি তারকা ও মেসির এক সময়ের সতীর্থ ওসমানে ডেম্বেলে। কাতার বিশ্বকাপই হতে চলেছে ৩৫ বছর বয়সী মেসির ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। একইসঙ্গে অধরা শিরোপাটা হাতে তোলারও শেষ সুযোগ। ইতোমধ্যেই মেসি জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপে তিনি আর খেলবেন না।

বার্সেলোনায় মেসির সতীর্থ হিসেবে চার বছর কাটানো ডেম্বেলে বলেছেন, ‘বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ জিততে পারলে সেটা আরো সমৃদ্ধ হবে। কিন্তু আমরও এটা জিততে চাই। আমরা ফ্রান্স, দেশের জন্য আমরা সবসময় লড়াই করতে প্রস্তুত। লক্ষ্য পূরনের জন্যই আমরা এখানে এসেছি। এটা সত্যি যে এই একটি শিরোপা মেসির এখনো হাতে তোলা হয়নি। কিন্তু আমরাও দেশকে গর্বিত করার জন্যই মাঠে নামবো। আশা করছি ফ্রান্সই বিশ্বকাপ জিতবে।’

২৫ বছর বয়সী ডেম্বেলে কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। প্রতিটি ম্যাচেই তিনি মূল দলে খেলেছেন। শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তিউনিসিয়ার কাছে ১-০ গোলের হারের ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিলো ডেম্বেলেকে। ওই ম্যাচের আগেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের নক-আউট নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো।

চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন ডেম্বেলে। কিন্তু নক-আউটে মাত্র দুই মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। লেস ব্লুজদের সেমিফাইনালে বেলজিয়াম ও ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর ম্যাচ গুলোতেও মাঠে নামা হয়নি ডেম্বেলের।

রাশিয়া বিশ্বকাপের চেয়ে এবারের ফরাসি দলটি অনেকটাই পরিবর্তিত। ইনজুরির কারণে ঐ আসরের গুরুত্বপূূর্ণ তিন খেলোয়াড় পল পগবা, এনগোলো কান্তে ও লুকাস হার্নান্দেজ কাতার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন। কিন্তু ডেম্বেলে বলেছেন চার বছর আগে শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতার আলোকে এবারের ফ্রান্স দলের মানসিকতায় অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে।

ডেম্বেলে বলেন, ‘এখানে কিছুটা মিল আছে, তবে ২০১৮ সাল ছিল বিশেষ এক আসর। ঐ সময় দলে আরো বেশি উজ্জীবিত খেলোয়াড় ছিলেন। ১২ বছর পর আমরা ফাইনালে খেলেছিলাম। সে কারণেই এবারের সঙ্গে তার মিল খুব কমই। রাশিয়া বিশ্বকাপের থেকে আমাদের দল এখন আরো বেশি পরিণত। ফাইনালে জিততে আমরা সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি।’




দামুড়হুদা লোকনাথপুরে অবৈধ লাটা হাম্বারের ধাক্কায় দুইজন গুরুতর আহত

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের লোকনাথপুর সহশিক্ষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস পালনের সময় সকাল ১০ দিকে স্কুলের সামনে ইটভর্তি অবৈধ লাটা হাম্বারের ধাক্কায় স্কুলের নাইটগার্ড আশরাফুল এবং নবম শ্রেণীর ছাত্র সিজান গুরুতর আহত হয়েছে।

গতকাল শনিবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে সিজানের একটি অপারেশন সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আশরাফুল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

জানা গেছে, উপজেলার লোকনাথপুর সহশিক্ষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে গত ১৬ই ডিসেম্বর একই স্কুলের নাইট গার্ড লোকনাথপুর গ্রামের মুংলা মির’র ছেলে আশরাফুল (৩০) এবং নবম শ্রেণীর ছাত্র একই গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে সিজান (১৬) কে ইট ভর্তি অবৈধ লাটা হাম্বা দিয়ে পেছন থেকে দ্রুত গতিতে ধাক্কা দেয় একই গ্রামের রেজাউলের ছেলে সাব্বির (১৮)।

ঘটনাস্থলে দুজন মারাত্মক আহত হয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিজানকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং আশরাফুল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানা যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, মহান বিজয় দিবসে স্কুল কতৃপক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে খোরমা বিতরণ করছিল। তখন খুরমা বিতরণে কম হয়ে গেলে ছাত্র ছাত্রীরা হট্টগোল শুরু করে। এরই একপর্যায়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে এসে স্কুলের বাইরে গেটে ছাত্র-ছাত্রীরা হট্টগোল শুরু করে, তখন পেছন থেকে ইট ভর্তি অবৈধ লাটা হাম্বা নিয়ে নাবালক অনভিজ্ঞ ড্রাইভার একই স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র সাব্বির পিছন দিক থেকে সজোরে হট্টগোলের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে দেয়। তখন লোকনাথপুর স্কুলের নাইট গার্ড আশরাফুল এবং একই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র সিজান গুরুতর আহত হয়।

এ বিষয়ে আহত সিজানের দাদি হালিমা বেগম বলেন, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে আমার নাতি ভর্তি আছে। শনিবার ভোররাতে মাজায় একটা অপারেশন হয়েছে। মাজায় একটা রড দেওয়া হয়েছে। আগামী চার দিন পরে আরও একটা অপারেশন করতে হবে বলে ডাঃ জানান।

এ বিষয়ে লোকনাথপুর গ্রামের মৃত নেন্টু মীর’র ছেলে মহাসিন বলেন, আমার চোখের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। একেবারেই অন অভিজ্ঞ শিশু ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছিল। আসল ড্রাইভার পাশে বসে ছিল। ব্রেকে পা না দিয়ে এক্সেলেটারে পা দেয়ার কারণে গাড়ির গতি আরো বেড়ে যায়, যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত সিজানের বড় ভাই একই স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র নিশান বলেন, ঘটনাটি আমার চোখের সামনেই ঘটেছে। স্কুলে ৬০ কেজি খুরমার বাজেট, কিন্তু ২০ কেজি বিতরণ করা হয়, এসব নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে হট্টগোল বাধে। পরে সবাই স্কুলের গেটের বাইরে গিয়ে হট্টগোল শুরু করে। তখন পেছন থেকে ইট ভর্তি অবৈধ লাটা হাম্বা এসে ধাক্কা মারে।

এ বিষয়ে লোকনাথপুর সহ শিক্ষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাবেক মেম্বার সেন্টু হোসেন বলেন, শুনেছি স্কুল গেটের সামনে হট্টগোল হচ্ছিল। ওই অবস্থায় পেছন থেকে লাটা হাম্বা ধাক্কা মারলে দুজন গুরুতর আহত হয়, এর মধ্যে একজন স্কুলের নাইটগার্ড এবং আর একজন স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র।

এবিষয়ে লাটাহাম্বা চালক সাব্বিরের পিতা রেজাউল বলেন, রাস্তার উপর ছেলেপেলে হট্টগোল করছিল,আমরা মনে করেছিলাম সবাই সরে যাবে। কিন্তু কেউ রাস্তা থেকে সরেনি। যার কারনে দূর্ঘটনা ঘটে গেছে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




দামুড়হুদার কাদিপুর মরা গাং’র মাছ হরি লুট: সংঘর্ষের আশঙ্কা

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কদিপুর মরাগাং এর মাছ লুট করে নিয়েছে এলাকার কিছু চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার সকাল ৬টার দিকে মরাগং এ বেড়ী জাল ফেলে সব মাছ লুট করে নেয় তারা। মাছ লুটের ঘটনায় কাদিপুর গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে গ্রামবাসীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কাদিপুর মরা গাংটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত। ওই গাং এ ব্যক্তিগতভাবে মাছ চাষের কোন সুযোগ নেই। গাংটি কাউকে সরকারি ভাবে ইজারা দেওয়া হয়নি। গাংটি দীর্ঘদিন উন্মুক্ত ছিল। গাংটি কাউকে ইজারা না দেওয়ার কারণে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন জনগণের জন্য উন্মুক্ত রেখেছেন। কিন্তু সরকারের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাদিপুর গ্রামের সোলাইমান হকের ছেলে ওসমান (৪৫), ইসমাইল হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৮), মৃত জামাত আলীর ছেলে কামাল হোসেন (৪২), সাদেক আলীর জামাই হাফিজুল (৪৪), ভাগ্যিবান এর ছেলে মুনশাদ (৪৩), আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৭), ইন্তাজ মাওলানার ছেলে আসাদুল হক (৪০) এসব মাছ লুট করছে বলে একাধিক প্রাপ্ত তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গতকাল ভোর বেলা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তারা এসব মাছ লুট করে। এসময় স্থানীয়রা বাধা দিলেও তাতে তারা কোন কর্ণপাত করেনি। তাদেরকে ভয় ভীতি দেখিয়ে মরা গাং এর মাছ লুট করে নেয়।

এবিষয়ে ওসমান বলেন, আমরাই মাছ ছেড়েছিলাম আমরাই মাছ ধরে নিয়েছি। আবারও মাছ ছাড়বো।

এ বিষয়ে মুনসাদ বলেন, আমিও গাং এ পার্টনার ছিলাম। আমাদের মাছ আমরা ধরে নিয়েছি। গাংটি কার কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারিনী পুর গ্রাম এবং বাস্তব পুর গ্রামের মানুষজনের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি। কাদেরকে লিজের টাকা দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার ঝামেলার কারণে কাউকে টাকা দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শাহ জামাল বলেন, সবাই জানে গাংটি উন্মুক্ত। শত শত গ্রামবাসীর মধ্যে থেকেই সকলের সামনে গাং’র মাছ লুট করে নিয়ে যায়। তারা দুইদিন অর্থাৎ শুক্রবার ভোরে এবং শনিবার ভোরে মাছ লুট করে। শুক্রবার ভোরে যে মাছ ধরেছিল সেই মাছ ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে বলে জানতে পেরেছি। গতকাল শনিবার যে মাছ ধরেছিল সেই মাছ কত টাকায় বেচাকেনা হয়েছে তা জানিনা।

উন্মুক্ত গাং’র মাছ এভাবে লুট করে নিয়ে গেলে যে কোন সময় গ্রামবাসীর সঙ্গে একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান তিনি। গাংটি যখন কারো নামে সরকার লিজ দেইনি তাহলে গাং’র মাছ লুট করলে যেকোনো সময় গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়বেন তারা। তিনি আরো বলেন আজ ভোরেও আবারো মাছ লুট হতে পারে বলে শুনেছি।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি আমি, বিষয়টি দেখছি।




সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিপুর উত্থান , অত:পর…

জামায়াত-বিএনপি পরিবার থেকে উঠে এসে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আলোচিত-সমালোচিত তরুন উদীয়মান রাজনীতিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাহিদুজ্জামান শিপু। গেল মঙ্গলবার অনলাইন জুয়ায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার পর তার সম্পর্কে বেরিয়ে এসেছে বিচিত্রি সব তথ্য। কেউ বলেছে শিপু দানশীল ও পরপোকারী, কেউ বা বলেছে গরীবের বন্ধু, কারো কারো মুখে অনলাইন জুয়াড়ী, টেণ্ডারবাজ, নিয়োগ বাণিজ্যর হোতা। শিপুর সম্পর্কে মানুষের মধ্যে অনেক কিছুই অজানা। অনেকেই বলছে কেই এই শিপু? কিভাবে তার উত্থান এই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা আর সমালোচনা। কোটি কোটি টাকার মালিক শিপুর অর্থ সম্পদ হলো কিভাবে? বিভিন্ন অনুষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা খরচের উৎস কি?

গাংনীর ধানখোলা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের ফরাজি পাড়ার এক কৃষক পরিবারের সন্তান সাহিদুজ্জামান শিপু। বাল্যকালে ১৯৯৪ সালের ২৯মে সাহিদুজ্জামান শিপুর পিতা আব্দুল কুদ্দুস, দাদা আলতাফ হোসেন মোল্লা ও দুই চাচা চরমপন্থিদের নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়। শিশু বয়সে বাবাকে হারিয়ে মায়ের কোলে বেড়ে ওঠে। শিপুর দাদা জামায়াত ইসলামের অন্যতম নেতা ছিলেন। বাপ-চাচারা করতেন বিএনপি। শিপুর নানা আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতিক ছিলেন। পারিবারিক নিরাপত্তার কারনে কারনে শিশু শিপুকে নিয়ে তার মা চলে আসেন গাংনীতে। মামা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মরহুম কামরুজ্জামান বুড়োর কাছেই লালিত পালিত হন শিপু। সংসারে তার লেখা পড়ার ব্যয়ভার বহনের জন্য সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায় প্রয়াত ছাত্র নেতা কামরুজ্জামান বুড়ো। ছাত্র অবস্থায় জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। মকবুল হোসেনের আর্শিবাদে ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সহসভাপতির পদ পান তিনি। রাজনীতির অঙ্গনে লড়াকু সৈনেিকর ভুমিকায় অভিভুত হয়ে সাবেক এমপি মকবুল হোসেন তার পার্সোনাল সেক্রেটারি (পিএস) হিসেবে নিয়োগ করেন। সেই থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন শিপু। বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে বিত্ত বৈভবের মালিক হন তিনি। টেণ্ডারবাজি ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের নিয়োগ বাণিজ্যর মূল হোতা হয়ে উঠে তরুণ শিপু। মকবুল হোসেন এমপির মাধ্যমে বিভিন্ন নিয়োগ ও টেণ্ডারবাজির সবটুকুই দেখভাল করতো শিপু।

সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম সহ অনেককেই নানা ধরনের রোশানলে পড়তে হয়েছে তার কাছে। কথিত আছে মেয়র আশরাফুল ইসলামের কাছ থেকে নানা সময়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই সাহিদুজ্জামান শিপু। স্বার্থের টানা পোড়েনের কারনে এক সময় দুজনের মধ্যে শত্রুতা দেখা দেয়। সেই শত্রুতা দিনদিন দানা বেঁধে ওঠে। পরে আশরাফুল ইসলামের সার্থে সম্পর্কের ছেদ পড়ে। বর্তমান এমপি সাহিদুজ্জামানের বিপক্ষে বিভিন্ন সময় মিছিল মিটিং করতে দেখা যায় এই শিপুকে।

গেল জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী সাহিদুজ্জামান খোকন নির্বাচিত হলে মকবুল হোসেনের কাছ থেকে সরে এসে সাহিদুজ্জামান খোকনের আস্থা ভাজন হবার চেষ্টা করেন শিপু। এ চেষ্টায় সফলও হন তিনি। বিভিন্ন সময়ে প্রয়াত কামরুজ্জামান বুড়োর স্বরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যয় করেন লক্ষ লক্ষ টাকা। শিপুর সাজানো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসানেরএমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন। নিজ খরচে বিভিন্ন মানুষকে অর্থিকভাবে সহায়তা ছাড়াও দান খয়রাতে ব্যাপক পরিচিত পায় গাংনীসহ বিভিন্ন এলাকায়। নিজেকে আগামী দিনের গাংনী পৌর সভার মেয়র হিসেবে তৈরী করার আগাম প্রস্তুতি বটে। কিন্তু তার এই টাকা উড়ানোর বিষয়ে বিভিন্ন মহল আলোচনা সমালোচনা শুরু করে। কিভাবে এই বিত্ত বৈভবের মালিক হন। এই নিয়ে চলে বিত্তশালীদের মধ্যেও নানা গুঞ্জন। সাহিদুজ্জামান শিপুর কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা আয়ের উৎস নেই অথচ কিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হলে প্রশাসনও নড়ে চড়ে বসেন। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে বিষয়টি খোলসা হয়। বেরিয়ে আসে অনলাইন জুয়ার চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বর্তমানে শিপু হাজতবাসে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তজুড়ে এলাকাবাসী জানান, সাহিদুজ্জামান শিপুর দাদা আলতাব হোসেন স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সৃষ্ট চরমপন্থিদের আশ্রয় দুর্দান্ত দাপটে এলাকা অস্থির। সেসময় পুলিশ বেশ কয়েকজন চরমপন্থিকে গ্রেপ্তার করলে চরমপন্থিরা ফুঁসে ওঠে। পরে একই রাতে সাত জনকে জবাই করে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের শিকার সাত জনের মধ্যে জালশুকা গ্রামের তিনজনসহ শিপুর দাদা, বাবা ও দুই চাচাসহ চারজনকে জবাই করে হত্যা করে চরমপন্থিরা। এ হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে গ্রামের বর্তমানে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর চাপিয়ে দিয়ে মামলা করে। অথচ মখলেচুর রহমান মুকুল অন্য একটি মামলায় সেসময় কারাগারে ছিলেন। দির্ঘদিন আদালতে ওই মামলা বিচারাধীন থাকার পর মামলা থেকে অব্যহতি পান মখলেচুর রহমান মুকুল।

আরো একটি সুত্র জানায়, সাহিদুজ্জামান শিপু ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় বিত্তবৈভরে মালিক হন। সুত্রটি জানায় উড়তি বয়সের ছেলেদেরকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে গেছেন। এছাড়া তিনি এলাকায় একজন সুদ ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত। এদিকে নিজের রাজনৈতিক ভীত মজবুত করতে বিভিন্নজনকে অকাতরে অর্থদান শুরু করেন। শিপু কত কোটি টাকার মালিক হয়তো সে নিজেও জানে না। স্ত্রীর নামে পোস্ট অফিসে কিছু সঞ্চয় করেছেন। এছাড়া নিজের নামে কোন ব্যাংকে টাকা রাখেননি এমনকি জমিও কেনেননি। তবে ওইসকল টাকা সোনার বার কিনে মজুদ করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া মেহেরপুর গাংনী, কুষ্টিয়ার কিছু এলাকার মাদকের নিয়ন্ত্রণ করেন এই সাবেক ছাত্র নেতা। এছাড়া রয়েছে নারী কেলেঙ্কারীতে পারদর্শিতার অভিযোগও।

মাদক, সন্ত্রাস ও অনলাইন জুয়াড়ি বিষয়ক শিপুর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগও রয়েছে। এরপর বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত তার অনলাইন জুয়ার আখড়ায় হানা দেয় পুলিশ। শুধু শিপুই নয়, তার সাথে তার আরো পাঁচজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। বেরিয়ে পড়ে থলের বিড়াল। সম্প্রতি গাংনী বাজারে ককটেল বিস্ফোরণ ও উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিপু নিজেই বাদী হয়ে গাংনী থানায় ১১ জনের নামে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী গ্রেপ্তার হন। একটি সুত্র জানায়, শিপু নিজেই একজন অঘটন ঘটন পটিয়শি। নিজেই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপিয়েছেন। প্রশাসনও বিষয়টি আচ করতে পেরে গোপন তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে। তবে এব্যাপারে প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মর্তারা মুখে কোলুপ এঁটেছেন।
অপর একটি সুত্র জানায়, শিপু সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের আশির্বাদপুষ্ট হয়ে তাঁর কাছে থেকে শিক্ষা গ্রহন ও রাজনীতিতে তার পদার্পন। তাই সাবেক এমপি মকবুল হোসনে কে তিনি কোনদিনই পরিত্যাগ করেননি। বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের সাথে মিশে থেকে কফিনের শেষ পেরেকটি মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। অনলাইন জুয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই কুটকৌশলের পখথটি রুদ্ধ। অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার ব্যাক্তিগত কার্যালয় থেকে শিপুসহ আরো পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হলে তার অফিস এলাকা এখন সুনশান নিরবতা। এর শেষ দেখার অপেক্ষায় আছেন অনেকেই। শিপু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বর্তমানে কারান্তরীণ। সহসা জামিন না পেলেও জামিনে যখন বের হবেন তখনও কি তার দাপট থাকবে, না কী শিক্ষা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন তা দেখার অপক্ষোয় গাংনীবাসী।

এদিকে, শিপু আটকের পর তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পদধারী অনেক নেতা প্রশাসনের কাছে সুপারিশ করেছেন। কিন্তু পুলিশ অনড় থাকায় কোন সুপারিশ কাজে আসেনি।
আজ রবিবার শিপুর রিমাণ্ড আবেদনের উপর শুনানী হওয়ার কথা রয়েছে।




হরিণাকুণ্ডুতে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফ্রি আদায়ের অভিযোগ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এইচএসসি কৃষি শিক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা স্বাক্ষর করতে ছাত্রছাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার হাজী আরশাদ আলী কলেজের কৃষিশিক্ষার প্রভাষক ফারজানা সিমু ও ভুগোল বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক সামছুল আলমের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায় ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে প্রতি বিষয়ে ২০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

ধার্যকৃত টাকা না দিলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকিসহ ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষর না করে পরীক্ষার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একছাত্র জানায়, ভূগোল পরীক্ষার খাতা বাবদ প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ২৪০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। টাকা না দিলে তাদের খাতায় স্বাক্ষর করা হয়না এবং তাদের ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।

ভূগোলের সহকারী অধ্যাপক সামসুল আলমের কাছে এ টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেননি। আগে থেকেই এমন হয়ে আসছে, আমরাও ছাত্র জীবনে এর থেকে অনেক বেশি দিয়ে এসেছি বলে তিনি দাবী করেন।

কলেজের একাধিক ছাত্র জানায়, কৃষিশিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ সংশ্লিষ্ট প্রিভাষক ফারজানা সিমু ২০০ টাকা করে নিয়েছেন।

কলেজের ২৫০ জন পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে ২০০ টাকা করে ৫০হাজার টাকা উঠেছে। যেটাকে অনেকে সিজেনাল ইনকাম বলেও মনে করছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক ফারজানা সিমুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কলেজের অধ্যক্ষের সম্মতিতে টাকা তুলেছেন বলে জানান। এছাড়াও এক্সটার্নাল, ইন্টার্নাল ও পরীক্ষার কেন্দ্রে এই টাকা খরচ করেন বলেও জানান তিনি। তথ্য সংগ্রহের জন্য তাকে ফোন দেওয়ার পর পরই তিনি বিভিন্ন লোক মাধ্যমে নিউজ না করার জন্য সুপারিশ করতে থাকেন।

উল্লেখ যে, ব্যবহারিক পরীক্ষার কেন্দ্র ফি বাবদ বোর্ড নির্ধারিত খরচ পরীক্ষার্থীদের ফর্ম পূরণ করার সময় নিয়ে নেওয়া হয় বলে জানান উপজেলার সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোক্তার আলী।

হাজী আরশাদ আলী কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম মোত্তালেব হোসেন বলেন, ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষর করে টাকা নিচ্ছে এই বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। তবে তিনি বলেন, আমি জন প্রতি ৪০ টাকা করে নিতে বলেছি যেটা কেন্দ্র পরিচালনায় বাড়তি খরচ হয়।এর বাইরে যে টাকা নিচ্ছে সেটা আমার অজানা। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তবে আমি এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সুরাহা করবেন এমনটাই পরীক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের দাবি।




সৌরজগতের বাইরে নতুন দুই ‘পানির পৃথিবী’

পৃথিবীর সৌরজগতের বাইরে ‘পানির চাদরে ঢাকা’ দুটি নতুন গ্রহ আবিষ্কারের দাবি করেছেন একদল মহাকাশ বিজ্ঞানী। মহাবিশ্বে এমন গ্রহের অস্তিত্ব এতদিন তত্ত্বীয় ধারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল; গবেষকরা তথ্যপ্রমাণ দিয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে এবার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ‘পানি রয়েছে এমন জগৎ’ আবিষ্কারের দাবি করলেন গবেষকরা। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষকরা লিখেছেন, একটি লাল বামন নক্ষত্র ঘিরে চক্কর দিচ্ছে গ্রহ দুটি। পৃথিবীর সৌরজগৎ থেকে প্রায় ২১৪ আলোকবর্ষ দূরের এক সৌরজগতে কেপলার-১৩৮সি এবং কেপলার-১৩৮ডি নামের গ্রহ দুটির অবস্থান। আকারে পৃথিবীর দেড় গুণ বড় হলেও গ্রহ দুটির ভর পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণ।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট লিখেছে, অনলাইন ‘এক্সোপ্লানেট’ তালিকাতে নাসা এখনো কেপলার-১৩৮ডি’কে ‘সম্ভবত পাথুরে গ্রহ’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করে রেখেছে। পৃথিবীর সূর্য নয়, ভিন্ন কোনো নক্ষত্রকে ঘিরে চক্কর দেয় এমন সব গ্রহকে এক নামে চিহ্নিত করতে ‘এক্সোপ্লানেট’ শব্দটি ব্যবহার করেন গবেষকরা।

নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের সহ-লেখক, ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিয়ালের অধ্যাপক বিয়র্ন বেনেকি বলেন, ‘আমাদের আগের ধারণা ছিল যে পৃথিবীর চেয়ে আকারে কিছুটা বড় গ্রহগুলো আদতে পাথর আর বড় আকারের ধাতব বল ছাড়া কিছু নয়। এ কারণেই ওই গ্রহগুলোকে আমরা সুপার আর্থ বলে ডাকতাম। আমরা এবার প্রমাণ দেখিয়েছি যে ওই গ্রহ দুটি (কেপলার-১৩৮সি ও ডি) অনেকটাই ভিন্ন। গ্রহ দুটির আয়তনের একটা বড় অংশ জুড়ে সম্ভবত পানি।’

তবে, সম্ভবত নীল সাগর নয়, উত্তপ্ত বায়ুমণ্ডলে ভেসে বেড়ানো জলীয় বাষ্প ঢেকে রেখেছে গ্রহ দুটিকে। গবেষক দলের প্রধান এবং ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিয়ালের ক্যারোলিন পলেট বলেন, ‘কেপলার-১৩৮সি ও ডি গ্রহ দুটির বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা সম্ভবত ফুটন্ত পানির চেয়েও বেশি এবং আমরা গ্রহ দুটিতে ঘন জলীয়বাষ্পের স্তর প্রত্যাশা করছি।’

জলীয়বাষ্পের বায়ুমণ্ডলের নিচে তরল পানি থাকার সম্ভাবনাও ফেলে দিচ্ছেন না গবেষকরা। কেপলার জুটিকে তারা তুলনা করছেন বৃহস্পতি আর শনির চাঁদ ইউরোপা আর এনসেলাডাসের সঙ্গে। ওই দুটি উপগ্রহেও পানির অস্তিত্ব আছে বলে মনে করেন মহাকাশ গবেষকরা। তবে ওই দুই উপগ্রহের সঙ্গে কেপলার জুটির পার্থক্য হলো, নিজ নক্ষত্রের অনেক কাছে অবস্থান করছে গ্রহ দুটি।

নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ গ্রহ দুটিকে চিহ্নিত করেছিল আগেই। কিন্তু এতদিন গ্রহ দুটির বায়ুমণ্ডলের গঠন উপাদান নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি গবেষকরা। সে কাজে সহযোগিতা করেছে নাসার হাবল ও স্পিটজার টেলিস্কোপ।

টেলিস্কোপে সরাসরি নীল রঙের পানি চোখে পড়েনি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। তবে, গ্রহগুলোর আকার ও ভর নির্ধারণের জন্য যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন তারা। সে তথ্য নিয়ে পরীক্ষাগারের মডেলের সঙ্গে তুলনা বিচার করে গবেষকরা বলছেন, গ্রহ দুটির আয়তনের একটা বড় অংশ গঠিত হয়েছে পাথরের চেয়ে হালকা কিন্তু হাইড্রোজেন বা হিলিয়াম গ্যাসের চেয়ে ভারি কোনো উপাদান দিয়ে। সে কারণেই পানির কথা আসছে।




স্নাতক পাসে বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ দেবে আজকের পত্রিকা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দৈনিক আজকের পত্রিকা। প্রতিষ্ঠানটিতে এক্সিকিউটিভ/ সিনিয়র এক্সিকিউটিভ-সার্কুলেশন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

এক্সিকিউটিভ/ সিনিয়র এক্সিকিউটিভ- সার্কুলেশন।

যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক পাস হতে হবে। বয়স সর্বনিম্ন ২২ বছর। সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদের জন্য ন্যূনতম ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলা এবং ইংরেজিতে চমৎকার মৌখিক ও লিখিত যোগাযোগ দক্ষতা। কঠোর পরিশ্রমী, সক্রিয় এবং ক্রস ফাংশনাল দলে কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে। নিয়মিত ফিল্ড ভিজিট করার মনোভাব থাকতে হবে।, মোটরসাইকেল চালনার লাইসেন্স থাকতে হবে।

কর্মস্থল

খুলনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট।

বেতন

৩০০০০ – ৪০০০০ (মাসিক )

আবেদনের প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৮ ডিসেম্বর, ২০২২।

সূত্র : বিডিজবস