‘দাওয়াল’ নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন পিকলু চৌধুরী

নাটক, বিজ্ঞাপন ও ডকুমেন্টারি নির্মাণ করে হাত পাকিয়েছেন নির্মাতা পিকলু চৌধুরী। প্রযোজনা করছেন বহু নাটক। এবার তিনি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন চলচ্চিত্র। তার চলচ্চিত্রের নাম ‘দাওয়াল’।

আগামী মার্চ এপ্রিলের দিকে ছবিটির শুটিং করার করবেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। আপাতত চলছে ছবিটির শিল্পী নির্বাচনের কাজ।

নির্মাতা জানান, ‘আমার সিনেমাটি একটি পিরিয়ডিক্যাল গল্পের সিনেমা। গল্পই এই ছবির প্রধান আকর্ষণ। তাই ছবিটির অধিকাংশ শিল্পীই থিয়েটার থেকে নেওয়া হচ্ছে। আশা করি সব ঠিকঠাক করে আগামী মার্চের মধ্যেই শুটিংয়ে নামতে পারব।’

ইতোমধ্যে ছবিটির সঙ্গে চিরকুট ব্যান্ডেরি ইমনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করেছন তিনি। ধীরে ধীরে ছবিটির অন্যান্য কলাকুশলী ও শিল্পীদের নাম জানানো হবে।

‘এ সিরিজের গল্পে ভিন্নতা আছে’‘এ সিরিজের গল্পে ভিন্নতা আছে’ ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০টি চলচ্চিত্র সরকারি অনুদান পাওয়া চলচ্চিত্রের একটি ‘দাওয়াল’। সাধারণ ক্যাটাগরির এই ছবিটিও অনুদান ৬৫ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছে। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ছবিটির সহ প্রযোজক হিসেবও রয়েছেন রকিবুল হাসান চৌধুরী পিকলু।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ‘দাওয়াল’-এর কথা জানেন না এ প্রজন্মের অনেকেই। ১৯৪৮-৮৯ এর ঘটনা এটি। সে সময় ‘সে সময় খাদ্য সমস্যা দেখা দিয়েছিল দেশের বেশ কয়েকটা জেলায়। বিশেষ করে ফরিদপুর, কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার জনসাধারণ এক মহাবিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন। সরকার কর্ডন প্রথা চালু করেছিল। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় কোনো খাদ্য যেতে দেওয়া হতো না। ফরিদপুর ও ঢাকা জেলার লোক, খুলনা ও বরিশালে ধান কাটার মৌসুমে দল বেঁধে দিনমজুর হিসেবে যেত। এরা ধান কেটে উঠিয়ে দিত। পরিবর্তে একটা অংশ পেত। এদের ‘দাওয়াল’ বলা হতো। হাজার হাজার লোক নৌকা করে যেত। আসার সময় তাদের অংশের ধান নিজেদের নৌকা করে বাড়ি নিয়ে আসত। সে সময় তাদের নিয়ে অনেক ঘটনাই ঘটে। এই দাওয়াল নিয়ে বিস্তারিত জানা যায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে। যা এবার উঠে আসবে পর্দায়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ব্রোকলি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

মেহেরপুরে পরীক্ষামুলক ভাবে ব্রোকলির চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। প্রথমেই লাভবান হয়েছেন অনেক কৃষক। অল্প খরচ,চাহিদা বেশি,দামও ভাল পাওয়ায় ব্রোকলির আবাদের দিকে ঝুকছেন জেলার অনেক কৃষক। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, ক্যালসিয়াম ও লৌহ সমৃদ্ধ শীতকালীণ সবজি ব্রোকলি। অনেকেই সবুজ ফুলকপিও বলে থাকেন। তবে সাদা রংয়ের ফুলকপির চেয়ে সুস্বাদু ও বেশি পুষ্টিগুণে ভরপুর। পরিক্ষামুলক চাষেই লাভবান তারা। বাংলাদেশের মানুষের কাছে অপরিচিত ও অপ্রচলিত সবজি হলেও এটি আবাদে কৃষকরা আর্থিক ভাবে বেশি মুনুফা পাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

মেহেরপুরের গাংনীর গাড়াডোব গ্রামের কৃষক জাকারুল ইসলাম জানান, তিনি ফুলকপি আর বাঁধাকপির আবাদ করতেন। এ আবাদ এলাকার সকলেই এক সাথে করায় অনেক সময় লোকসান হতো। পরে স্থানীয় পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিকেএসএফ)’র উদ্যোগে তিনি নতুন সবজি হিসেবে ব্রোকলি আবাদ শুরু করেন। চার বছর আগে তিনি প্রথমে এক বিঘা জমিতে ব্রোকলি চাষ করে লাভ- লোকসানের পার্থক্য করেন। প্রথমে ব্রোকলির বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ বিনামুল্যে প্রদান করে পিএসকেএস নামক ওই সংস্থাটি। প্রথমেই তিনি এক বিঘা জমিতে খরচ বাদ দিয়ে ৫০ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখেন। সেই থেকে এখন তিনি ব্রোকলির আবাদ করছেন।

তিনি আরো জানান, পিকেএসএফ অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থা পিএসকেএস তাদের কৃষি অফিসারের মাধ্যমে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়েছে ব্রকলি আবাদের। সেই সাথে বীজও সরবরাহ করেন। এ বছর আমি আড়াই বিঘা জমিতে ব্রোকলি চাষ করেছেন তিনি। এখন বিক্রি মৌসুম চলছে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি অর্ধলক্ষ টাকা লাভ থাকবে বলেও আশা করছেন তিনি।

সবজি চাষি আবুল কাশেম জানান, একই জমিতে বারবার একই ফসলের চাষ করা যাবেনা বলে কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ দেয়া হয়। তাই নতুন সবজি হিসেবে ব্রোকলির বীজ সংগ্রহ করে দশ কাঠা জমিতে পরিক্ষামুলক চাষ করে গত বছর লাভ পেয়েছি। এবছর এক বিঘা জমিতে ব্রোকলি চাষ করেছি। বিক্রি শুরু হয়েছে। বাজারে চাহিদা ও দাম ভাল আশা করছি লাভবান হবো।

হিন্দা গ্রামের কৃষক শাজাহান আলী জানান, কয়েকজনের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ব্রোকলি আবাদ করেছেন। তবে সাদা রংয়ের ফুল কপির চেয়ে রোগ বালাই ও খরচ কম। বাজারেও চাহিদা রয়েছে।

কৃষি বিভাগের হিসেব মতে, প্রতি শতক জায়গায় ২৫-৩০ দিন বয়সের ২০০টি চারা রোপন করে মাত্র ৫০-৬০ দিন পরই ৪০ মণ ব্রোকলি উৎপাদন করা সম্ভব। ব্রোকলি সাধারণত দোআঁশ ও এঁটেল দোআঁশ মাটিতে ভাল হয়। মধ্য ভাদ্র-মধ্য পৌষ এর মধ্যে বীজ বপন ও চারা রোপন করতে হয় । ২৫-৩০ দিন বয়সের চারা ৫০ সেন্টিমিটার দূরত্বে রোপন করতে হয়। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে গোবর সার বা কেঁচো কম্পোষ্ট সার ব্যবহার করলে ভাল ফলন হয় এবং রোগ বালাই কম হয় বরে জানান পলাশীপাড়া সংস্থার কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা রাব্বি।

পুষ্টিবিদ জান্নাতুন ফেরদৌস জানান, ব্রোকলি একটি ক্রসিফেরী গোত্রের অন্তর্ভুক্ত শীতকালীন সবজি। এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেট, আঁশ আছে। এতে হৃদরোগ, বহুমূত্র এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ব্রকলি জারণরোধী ভিটামিন এ এবং সি সরবরাহ করে কোষের ক্ষতি রোধ করে।

নতুন নতুন সবজি ফসলসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করে জেলার কৃষকরা যাতে সাবলম্বী হতে পারে সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে পিএসকেএস। মেহেরপুর জেলায় প্রথম ব্রোকলি বীজ নিয়ে আমাদের সদস্যদের মাধ্যমে চাষ শুরু করেছি। যারা ব্রোকলি চাষ করেছেন তারা সকলেই লাভবান হচ্ছেন বলে জানান সংস্থার নির্বাহী পরিচারক মুহঃ মোশাররফ হোসেন।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার জানান, ব্রোকলি লাভজনক হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং সবার কাছে সমাদৃত বটে আমাদের দেশে। কারণ কপি গোত্রের অন্যান্য সবজির চেয়ে ব্রোকলি অপেক্ষাকৃত বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ ও ক্যান্সার প্রতিরোধক।মেহেরপুরের কয়েকজন চাষি ব্রোকলি আবাদ করেছেন। তবে এর তেমন কোন পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত করা হয়নি। কারন মেহেরপুরের কিছু কৃষক পরিক্ষামুলক হিসেবে চাষ করছেন। তবে যারা ব্রোকলি চাষ করেছেন তাদের সাথে আমরা কথা বলেছি সকলেই ভাল ফলন পেয়েছেন এবং লাভবান হচ্ছেন। আমরাও ব্রোকলির চাষ বৃদ্ধির পরামর্শ দিচ্ছি।




পেশোয়ারের তরুণী নিশে খানকে বিয়ে করলেন শান মাসুদ

পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটার শান মাসুদ বিয়ে করেছেন। শনিবার পাকিস্তানের পেশোয়ারে কনে নিশে খানের সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ক্রিকেট কিংবদন্তি শহিদ আফ্রিদি, বাবর আজম এবং অলরাউন্ডার শাদাব খানসহ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সদস্যরা এতে যোগ দেন। খবর জিও নিউজের।

ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের জন্য আগামী ২৭ জানাুয়ারি করাচিতে বরের বাড়িতে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।

গত এক সপ্তাহ ধরেই বিয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলছে। ৩২ বছর বয়সি পাকিস্তান টিমের এ টপ অর্ডার ব্যাটারের জন্ম ১৯৮৯ সালের ১৪ অক্টোবর, কুয়েতে।

এ পর্যন্ত শান মাসুদ ২৭টি টেস্ট, পাঁচটি ওডিআই ও ১৯টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তাল জাতীয় দলেও ছিলেন শান মাসুদ।

ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের সঙ্গে এ বছর চুক্তি হয়েছে পাকিস্তানি এ ক্রিকেটারের। সব ফরম্যাট মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি রান করেছেন তিনি।




মুজিবনগরে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন

“কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করি কৃমি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি” “আপনাদের স্বাস্থ্য আমাদের অঙ্গীকার” এই প্রতিপাদ্যে মুজিবনগরে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকালে মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, ঢাকা মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফাইলেরিয়াসিস, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও খুদে ডাক্তার কার্যক্রম রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার বাস্তবায়নে এবং মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে, জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ২২ জানুয়ারী থেকে ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ পালনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে দিয়ে কৃমিনাশক সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলিফ হোসেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইন্সপেক্টর আব্দুল হাই।

২২শে জানুয়ারী রবিবার থেকে ২৮শে জানুয়ারী শনিবার এই ৭ দিন উপজেলার ৫ বছর থেকে ১৬ বছর বয়সী সকল শিশুকে একটি করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।




দামুড়হুদায় ডায়াবেটিক সমিতির ত্রি বার্ষিক সম্নেলন 

দামুড়হুদা ডায়াবেটিক সমিতির ত্রি বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন ২০২৩-২০২৫ অনুষ্টিত হয়েছে।

এ ডায়াবেটিক সমতির সভাপতি হয়েছেন মাহাফুজুর রহমান মনজু সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফজলুর রহমান।

শনিবার বেলা ১২ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার অডিটোরিয়াম হল রুমে ডায়াবেটিক সমতির ত্রি বার্ষিক ও সাধারন সভা নির্বাচন অনুষ্টিত হয়।

এ সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমান মনজুর সভাপতিত্বে,আলোচনা করেনএ্যাড ভোকেট আবু তালেব,দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ এখলাছ উদ্দীন সুজন, সোহেল আকরাম,  কামাল উদ্দিন।

দামুড়হুদা ডায়াবেটিক সমিতির ১২ সদস্যর এ কমিটি গঠন করে।তারা হলেন সহ সভাপতি হাজী শহীদুল ইসলাম,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এখলাছ উদ্দিন সুজন,রফিকুল ইসলাম তনু,কোষাধাক্য সোহেল আকরাম,যুগ্ন,কোষাধাক্য আঃ কাদির,সদস্য জহিরুল ইসলাম, আবুল কাশেম,আজাদ হোসেন, আজিবর রহমান প্রমুখ।




হরিনাকুণ্ডুতে ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধিত এসপি কাজী মনিরুজ্জামান

খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ট পুলিশ সুপার ও সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান (জাহিদ) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুলিশের সর্বোচ্চ সম্মান সূচক পিপিএম (সেবা) পদক প্রাপ্ত হওয়ায় ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বরেণ্য সন্তানকে নিজ জন্মস্থানের বন্ধুমহল, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মহলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

গতকাল  শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় উপজেলার একতারা মোড়ের একটি মিলনায়তনে মানবাধিকার ও গনমাধ্যম কর্মী অধ্যাপক মাহবুব মুরশেদ শাহীনের সঞ্চালনায় এবং বন্ধু মহলের এম. নজরুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ এম. মোক্তার আলী, অধ্যক্ষ এম.শরিফুল ইসলাম ও এম. শহিদুল ইসলাম,এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিষ্ট্রার এম. জামাল উদ্দীন, থানার অফিসার ইনচার্জ এম. সাইফুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জামাল উদ্দীন, সহকারী অধ্যাপক এটিএম শরিফুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক নিয়ামত আলী, মাসুদুল হক, জামাল উদ্দীন, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন গনমাধ্যম নেতৃবৃন্দ, মানবাধিকার কর্মী, বনিক সমিতির প্রতিনিধি, ফারিয়ার রাশেদ মোশাররফ, বন্ধু মহলের কবি গোলাম সরোয়ার, রাব্বুল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সংবর্ধিত অতিথি হরিনাকুণ্ডুর বরেণ্য সন্তান এসপি কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম তার বক্তৃতার শুরুতে বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সাথে সাথে ১৫ আগষ্টের নির্মম হত্যায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ অন্যান্য শাহাদত বরণকারী, ৩রা নভেম্বর জেলখানায় নিহত জাতীয় চারনেতা, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শাহাদত বরণকারী ত্রিশলক্ষ শহীদ, দুইলক্ষ সম্ভ্রম হারা মা বোনসহ জাতির গর্বিত সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

নিজ এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক এই সংবর্ধনা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহন করায় আয়োজকদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। হরিনাকুণ্ডু থেকে মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে, আত্মহত্যা, দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সচেতন নাগরিক সমাজকে পুলিশের সহায়তা করার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা থেকে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নিজ নিজ অঙ্গন থেকে ভূমিকা রাখার মধ্য দিয়ে একটি উন্নত দেশ গঠন সম্ভব বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

এসপি মনিরুজ্জামান অনুষ্ঠান স্থলে পৌছালে বিভিন্ন পেশাজীবী মহলের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করা হয়। এছাড়া তাকে সংবর্ধনা ক্রেষ্ট উপহার দেওয়া হয়।




ডা.এস এ মালেকের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ বঙ্গবন্ধু পরিষদের স্মরণ সভা

বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রাণশক্তি ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে ঝিনাইদহে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ঝিনাইদহ জেলা শাখার আয়োজনে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র জননেতা সাইদুল করিম মিন্টু।

ঝিনাইদহ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডক্টর এ.এইচ.এম আকতারুল ইলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক আবেদ আলী।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বিশ্বাস, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও সরকারি কৌশুলি (জি. পি) অ্যাড. বিকাশ কুমার ঘোষ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আশফাক মাহামুদ জন, ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাহিত্য সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ঝিনাইদহ জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পিন্টু লাল দত্ত। আলোচনা শোষ মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন জামে মসজিদের ইমাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এবং তাঁর আদর্শ ও সততার ধারক ও বাহক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন তো বটেই, দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রসার ও বিস্তারের অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

বক্তারা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ-ঝিনাইদহ জেলার অগ্রযাত্রা ও কার্যক্রমে মহান ব্যক্তিত্ব ডা. এস এ মালেকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদানকে আজকের এই স্মরণসভায় শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন।




হরিণাকুণ্ডুতে মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ১

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন গুরতর আহত হয়েছে।

শনিবার বিকেলে উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের বড়দোপ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানাধীন রশুনপুর গ্রামের মনিরুদ্দীন মটরসাইকেল যোগে হরিণাকুণ্ডুর দিকে আসছিল। ঘটনাস্থলে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইঞ্জিন চালিত ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মটরসাইকেল চাকল আহত হলে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আমিনুল ইসলাম জানান তার ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। এই অবস্থার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।




গাংনীতে ট্রলি প্রতিযোগিতা নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষে আহত ১০

মেহেরপুর গাংনীর সাহারবাটি গ্রামে পাওয়ার ট্রলি প্রতিযোগিতা নিয়ে সৃষ্ট দুপক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুই জনকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়ায় রেফার করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে সাহারবাটি মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গাংনী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে ।

আহতরা হলেন – ধর্মচাকী গ্রামের আরোজ উল্লাহর ছেলে রহমতুল্লাহ(২০), মৃত সাবদুলের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৫৫), জহুরুল ইসলামের দুই ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৩), সাইদুল ইসরাম (২৫), একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩০), বুলু মিয়ার ছেলে জাহিদ হোসেন (২৬), মাজহারুল ইসলামের ছেলে বুলু মিয়া (৪৫)। এদের মধ্যে জহুরুল ইসলামের দুই ছেলেকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন গাংনী হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন আহত ব্যক্তি জানান , সাহারবাটি গ্রামের বালির মাঠে পাওয়ার ট্রিলার ট্রলি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সাহারবাটি গ্রামবাসী। এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন এলাকার ৬৪ জন কৃষকরা অংশ গ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমী এ প্রতিযোগিতায় হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হয়। কার পাওয়ার ট্রিলারের কত শক্তি তা পরীক্ষার মধ্য  দিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন দর্শকরা। প্রতিযোগিতার শেষের দিকে কমিটির লোকজনের সাথে ধর্মচাকী ও হিজলবাড়ীয়া গ্রামের প্রতিযোগিদের বিতর্ক শুরু হয়। কমিটির কর্মকাণ্ড বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে মাঠ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ধর্মচাকী গ্রামের প্রতিযোগিতারা। আর এতেই শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। এতে আহত হন ওই ১০ জন।

এদিকে বিপুল সংখ্যক মানুষের মানুষের মধ্যে এমন সংঘর্ষে দ্বিগবিদিক ছুটতে থাকেন উৎসুক মানুষ। মঞ্চে উপস্থিত জন প্রতিনিধিরাও বিষ্মিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষ থামাতে সক্ষম হন। এর মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতাও স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

প্রতিযোগিতার আয়োজন কমিটির সদস্য স্থানীয় আব্বাস আলী মেম্বার জানান,আমাদের কারো সাথে সংঘর্ষ বা মারামারি হয়নি । প্রতিযোগিতা শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তার মধ্যে কে বা কারা হট্টগোল শুরু করলে আমরা যে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে সকলে বাড়ি ফিরে যাই। স্থগিত হওয়া খেলাটি পুনরায় হবে বলে জানান তিনি।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জনান, এমন বিষয়ে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




গাংনীতে সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরের গাংনীর ছাতিয়ান গ্রামে ভুয়া কমিশন করে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শাহিন নামের এক ব্যাক্তি। শনিবার বিকেলে ছাতিয়ান ব্রিক ফিল্ডে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তার পিতা সাবেক সেনা সদস্য জবেদ আলী স্ট্রোক জনিত কারণে প্যারালাইজ্ড ও বাকশক্তিহীন। চিকিৎসার কথা বলে তার বৈমাত্রিক বোন সেলিনা খাতুন ও লিলি খাতুন ভুয়া কমিশন করে গত ১৬-১০-২০২২ ইং তারিখে গাংনী সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নেয়। যার দলিল নং- ৮০৭৯/২২। দলিলে সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মাঠ কবর স্থান ও বাড়িঘর। আর এতে সনাক্তকারী হিসেবে রয়েছেন জনৈক তরিকুল ইসলাম।

শাহিন আরো জানান, তার পিতা জবেদ আলী একজন শিক্ষিত ও সামরিক বাহিনীর সদস্য। কোন কমিশন করতে হলে নিজ বাসস্থানে উপস্থিত হয়ে ও তার সকল ওয়ারিশদের সম্মতিতে ভাগ বন্টন হতে হবে। অথচ বাসস্থানে উপস্থিত না হয়ে কোন তদারকি ও তদন্ত ছাড়াই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বঞ্চিত করে কমিশন করে রেজিস্ট্রি করেছেন সাব-রেজিস্টার। এতে জবেদ আলীর স্ত্রী ও তার দুই সন্তান সম্পদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা সম্পত্তি ফিরে পেতে ও ভুয়া দলিল বাতিলের আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি মেম্বর হাফিজুল জানান, জবেদ আলীর দুই স্ত্রী। জবেদ আলী অসুস্থ হবার পর উভয় স্ত্রীর সন্তানরা চিকিৎসা করছেন। চিকিৎসার জন্য দুই মেয়ে তার বাবাকে তাদের জিম্মায় রেখে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে কমিশন করে সব সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে। এটি অন্যায় ও বড় ধরণের অপরাধ। সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার পর দুই বোন ও তার লোকজন স্ত্রী ও দুই ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করছেন ও নানা ভাবে হুমকী দিচ্ছেন। ওই দুই বোনের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কোন কর্ণপাত করেনি তারা।

গ্রামবাসিরা জানান, জবেদ আলী ছিলেন একজন শিক্ষিত ও মার্জিত ব্যক্তি। সে তার কোন সন্তানকে বঞ্চিত করতে পারেন না। এখন তিনি কথা বলতে না পারায় সুযোগটি হাতিয়ে নিয়েছেন তার সুচতুর দুই মেয়ে। কমিশনও প্রশ্নবিদ্ধ। আসল দলিলে জবেদ আলীর স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও টিপ সহি দেয়া রয়েছে। তা ছাড়া জবেদ আলী কোন কথা বলতে পারেন না। হলফ নামায় তার দুই সন্তান ও এক স্ত্রীর নাম দেয়া নেই। ওয়ারিশ পত্রটিও সঠিক নয় বলে দাবী করেছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসি উপস্থিত ছিলেন।